07/06/2022
সুন্নাতী বিয়ে : পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নাত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন :
النِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِي، فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي،
“বিয়ে করা আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে না; সে আমার লোক নয়।” (সুনান ইবনু মাজাহ)
হাদীসের প্রথম অংশ বিয়ে করা সুন্নাত প্রমাণিত করে, আর দ্বিতীয় অংশ বিয়েশাদীসহ যেকোনো কাজে সুন্নাত অনুসরণে উৎসাহিত করে। প্রত্যেক কাজে নবীজির সুন্নাত অনুসরণের কথা তো কুরআন মাজীদের পাতায় পাতায় রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ .
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করো। জেনে শুনে এত্থেকে বিমুখ হয়ো না।" (সুরা আনফাল-২০)
তিনি আরও বলেন :
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ.
"তোমাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ।" (সূরা আহযাব-২১)
অনেকেই জানতে চান, বিয়ের সুন্নাত কী কী? অথবা সুন্নাতী বিয়ে বলতে কী বুঝায়? সুন্নতী বিয়ে বলতে ওই বিয়েকে বুঝায়, যা নবীজির সুন্নত ও শরীয়ত অনুসারে সস্পাদিত হয়েছে। আমরা এখানে সুন্নাতী বিয়ের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্যাবলী সংক্ষেপে আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ।
১. বিয়ের বয়স হয়ে গেলে এবং উপযুক্ত পাত্র মিলে গেলে দ্রুত বিয়ে করা বা বিয়ে দেওয়া। নবীজি সা. বলেন-
يَا عَلِيُّ، ثَلَاثٌ لَا تُؤَخِّرْهَا : الصَّلَاةُ إِذَا آنَتْ، وَالْجَنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ، وَالْأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفُؤًا ".
হে আলী, তিন কাজে বিলম্ব করবে না : নামাযে, যখন তার সময় হয়ে যায়। জানাযায়, যখন তা উপস্থিত হয়ে যায়। বালেগা মেয়ে, যখন তার উপযুক্ত বর পাওয়া যায়। (তিরমিযী-১৭১)
স্মরণ রাখতে হবে, বালিগ হওয়া আর বিয়ের বয়স হওয়া এক বিষয় নয়। বিয়েতে যেমন যৌনসক্ষমতার বিষয় রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভরণপোষন ও সংসার সামলানোর ব্যাপার-সেপার। কাজেই এগুলো পালনে সক্ষম হওয়ার বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে। কুরআনের ভাষায় 'বুলুগে রুশদ' তথা 'পরিপক্ক বুঝে উপণিত হওয়া' বলে যে বয়স বোঝানো হয়েছে, সেটাকে বিয়ের বয়সও ধরা যেতে পারে। আর এটি নারী-পুরুষ ও তাদের স্ব স্ব গঠনপ্রকৃতি অনুসারে ব্যবধান হতে পারে।
২. বিয়ের ক্ষেত্রে দীনদারীকে প্রাধান্য দেওয়া- রূপলাবণ্য, বংশাভিজাত্য, অর্থকড়ি নয়। হাঁ, দীনদারীর সাথে যদি এগুলোর কোনো একটি মিলে যায়, তাতে সোনায় সোহাগা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلَا تَنْكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلَأَمَةٌ مُؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلَا تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُوا وَلَعَبْدٌ مُؤْمِنٌ خَيْرٌ مِنْ مُشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُولَئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ (২২১)
তোমরা মুশরিকা নারীকে বিয়ে করো না; যতক্ষণ না সে ঈমান আনে। জেনে রেখো, ঈমানদার দাসী স্বাধীন মুশরিক নারী অপেক্ষা অনেক উত্তম; যদিও তারা তোমাদের মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষের কাছে বিয়ে দিও না; যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। একজন মুমিন কৃতদাস স্বাধীন মুশরিক অপেক্ষা অনেক শ্রেয়; যদিও সে তোমদের মুগ্ধ করে। কারণ, ওরা আগুনের দিকে ডাকে, আর আল্লাহ আপন ইচ্ছায় জান্নাত ও মাগফিরাতের দিকে আহ্বান করেন। আর এভাবেই তিনি তাঁর আয়াতসমূহ বিশ্লেষণ করেন যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা বাকারা-২২১)
নবীজি সা. বলেন-
تُنْكَحُ المَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ: لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ، تَرِبَتْ يَدَاكَ "
সাধারণত ৪জিনিষ দেখে মেয়েদের বিয়ে করা হয়। সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য ও দীনদারী। তুমি দীনদারকে বিয়ে করে জিতে যাও, যদিও এতে তোমার হাতে মাটি লেগে যায়। (বুখারী-৫০৯০)
অন্য হাদীসে দীনদার পাত্রীর ৪টি গুণ উল্লেখ করা হয়েছে- (ক) স্বামীর আনুগত্য করা। (খ) স্বামীকে আনন্দিত করা। (গ) স্বামীকে কসমমুক্ত করা। অর্থাৎ স্বামীর রাগ করলে তার রাগ ভাঙ্গানো। নিজের মতের ওপর জেদ না ধরা। (ঘ) স্বামীর অবর্তমানে নিজের স্বতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ রক্ষা করা। (ইবনু মাজাহ-১৮৫৭)
৩. অধিক সন্তানপ্রসবিনী নারী বিয়ে করা। অর্থাৎ যে বংশের মেয়েরা অধিক সন্তান উৎপাদনে সক্ষম, এবং সন্তানধারনে আগ্রহী, এমন নারী বিয়ে করা। নবীজি সা. বলেন-
تَزَوَّجُوا الْوَلُودَ الْوَدُودَ، فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ.
তোমরা অধিক সন্তানপ্রসবীনী ও সোহাগীনি নারীকে বিয়ে করো। কারণ, আমি তোমাদের নিয়ে গর্ব করবো। (নাসায়ী-৩২২৭)
৪. সন্তান ও স্বামীসোহাগিনী নারী বিয়ে করা। অর্থাৎ- যে বংশের মেয়েরা স্বামী ও সন্তানের প্রতি প্রীতি ও স্নেহমমতা লালন করে বলে প্রমাণিত এমন মেয়ে বিয়ে করা। এটা পরীক্ষার উপায় হলো- প্রস্তাবিত মেয়ের মা, খালা ও ফুফুদের খোঁজখবর নেওয়া। (প্রাগুক্ত)
৫. ছেলে-মেয়ে উভয়ে অভিভাবকের সম্মতিতে বিয়ে করা; তাদের অবাধ্যে নয়। বিশেষকরে মেয়েরা কোনোভাবেই তার ওলীর অসম্মতিতে বিয়ে না করা।
لا نكاح إلا بولي.
ওলীর সম্মতি ছাড়া বিয়ে নয়। (আবু দাঊদ-২০৮৫)
৬. ছেলেমেয়ে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হওয়া, জোর-জবরদস্তিতে নয়। বিয়ের ব্যাপারে বালেগ ও প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েকে জোর-জবরদস্তি না করা চাই। বরং অভিভাবকদের নিজেদের পছন্দের কোনো পাত্র/পাত্রী থাকলে সেটা নিয়ে অধিনস্তদের সাথে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। তাদের সম্মতি প্রকাশের পূর্বে জোরকরে বিয়ে না করানো। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। মহিলা সাহাবী হযরত বারিরাহ রাযি.কে তার অপছন্দের পাত্রের সাথে বিয়ে বহাল রাখতে নবীজি সা. তাকে বাধ্য করেননি। কেবল পরামর্শ দিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন। এটি হাদীসের প্রসিদ্ধ ঘটনা।
৭. বিয়ের পূর্বে ছেলে-মেয়ে গোপন সম্পর্ক না করা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَهُمْ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ
"তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে...মুমিন স্বতীসাধ্বী নারী...যদি ইন্দ্রীয়বাসনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে না হয় এবং গোপনসম্পর্কের ভিত্তিতে না হয়...। (সূরা মায়েদা-৫)
নবীজি সা. বলেন-
لَمْ نَرَ - يُرَ - لِلْمُتَحَابَّيْنِ مِثْلُ النِّكَاحِ
"প্রেমিকদের জন্য বিয়ের চাইতে উত্তম কিছু নেই।" (ইবনু মাজাহ-১৮৪৭) এর একটি অর্থ প্রেম-মহব্বত বৃদ্ধির জন্য বিয়ের বিকল্প নেই।
৮. বিয়ের পূর্বে যথাসম্ভব ছেলে-মেয়ে একে অপরকে দেখে নেওয়া।
إذا خطب أحدكم المرأة، فإن استطاع أن ينظر إلى ما يدعوه إلى نكاحها فليفعل.
"তোমাদের কেউ যখন কোনো মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব করে, সম্ভব হলে তাকে দেখে নিবে, যা তাকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করবে।" (আবু দাউদ-২০৮২)
৯. বিয়ের মহর স্বাভাবিক ও সঙ্গতি অনুসারে হওয়া; অস্বাভাবিক না হওয়া।
خطبنا عمر رحمه الله، فقال: ألا لا تغالوا بصدق النساء، فإنها لو كانت مكرمة في الدنيا، أو تقوى عند الله لكان أولاكم بها النبي صلى الله عليه وسلم، ما أصدق رسول الله صلى الله عليه وسلم امرأة من نسائه، ولا أصدقت امرأة من بناته أكثر من ثنتي عشرة أوقية
"হযরত ওমর রাযি. এক খুতবায় বলেন : তোমরা মেয়েদের মহর উচ্চ করো না। কারণ উচ্চমহর যদি দুনিয়াতে সম্মানের আখেরাতে বুযুর্গীর কারণ হতো, তা হলে তজ্জন্যে নবীজি সা. সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর কোনো স্ত্রী ও কন্যার মহর ১২ উকিয়া থেকে বেশি নির্ধারণ করেননি।" (আবুদাঊদ-২১০৬)
(১২ উকিয়া=৪০×১২দিরহাম=৪৮০দিরহাম=অানুমানিক১৫০ ভরি রুপা।)
১০. বিয়ে সাদী অনাড়ম্বর ও লৌকিকতামুক্ত হওয়া। নবীজি সা. বলেন-
إِنَّ أَعْظَمَ النِّكَاحِ بَرَكَةً أَيْسَرُهُ مَؤُونَةً "
সবচেয়ে অধিক বরকতপূর্ণ বিয়ে ওটি, যার ব্যয় কম। (মুসনাদে আহমাদ-২৪৫২৯)
তিনি আরও ইরশাদ করেন :
إن البذاذة من الإيمان، إن البذاذة من الإيمان.
সরলতা ও সাদাসিধে জীবনযাপন ঈমানের অংশ। (আবু দাউদ-৪১৬১)
১১. বিয়ের খবর পাড়াপ্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের জানানো; গোপনে না করা। এর জন্য জুমআর দিন মসজিদে হওয়া অধিক মুনাসিব। এই এ'লান দ্বারা বিয়েসুন্নাহর প্রচার হয়, সন্তানের ওপর অপবাদ আসার ঝুঁকি হ্রাস পায়। নবীজি সা. বলেন-
أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ، وَاجْعَلُوهُ فِي المَسَاجِدِ، وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالدُّفُوفِ.
তোমরা বিয়ের এলান করো এবং তা মসজিদে করো। প্রয়োজনে দফ বাজিয়ে প্রচার করো। (তিরমিযী-১০৮৯)
১২. বরপক্ষ সম্ভব হলে ওলীমার আয়োজন করা। মেয়েপক্ষ মেহমানদারী করা এবং তা গ্রহণ করা বিয়ের সুন্নাত নয়। বরং ক্ষেত্রবিশেষে জুলমের অন্তর্ভূক্ত। নবীজি সা. ইরশাদ করেন-
أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ.
তুমি ওলীমা করো, যদিও একটি বকরী দিয়ে হয়। (বুখারী-২০৪৮)
১৩. বিয়ের মহর যথাসম্ভব দ্রুত পরিশোধ করা। নবীজি সা.-এর কোনো মহরই অপরিশোধিত ছিল না।
১৪. বিয়ের উদ্দেশ্য একমাত্র সুন্নত আদায় করা এবং চরিত্র হেফাযত করা হওয়া। কেবলই কামনা-বাসনা চরিতার্থ করা বা অন্যকোনো উদ্দেশ্য না হওয়া। যেমন, সমাজরক্ষা, সংসারের কাজকর্ম ইত্যাদি। বিয়ের প্রতি উৎসাহমূলক প্রায় হাদীসে 'ইফফত' তথা চারিত্রিক পবিত্রতার কথা সবিশেষ উল্লেখ রয়েছে।
১৫) শরিয়তবর্ণিত বিয়ের অন্যান্য শর্ত ও আদবগুলো রক্ষা করা। যেমন, ইজাব-কবুল, বিয়ের মজলিসে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষী, অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারীর উপস্থিতি আবশ্যক। সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ নয়।
বিয়ের মধ্যে উপরুক্ত বিষয়গুলোর কমবেশ হওয়ার পরিমাণ অনুপাতে বিয়েকে সুন্নাতের নিকটবর্তী বা দূরবর্তী গণ্য হবে। যে বিয়েতে সবগুলো সুন্নাতের রেয়াত করা হয়েছে, সেটা পূর্ণাঙ্গ সুন্নতী বিয়ে বলে সাব্যস্ত হবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষকরে শেষোক্তটি কেবল সাধারণ সুন্নত নয়; বরং তার ওপর বিয়ের শুদ্ধতা নির্ভর করে।
আল্লাহু আ'লামু- আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
সহায়কগ্রন্থ : পবিত্র কুরআনুল কারীম। আততারগীব ওয়াত্তারহীব লিল মুনযিরী, মিশকাতুল মাসাবীহ এবং ভেতরে বর্ণিত হাদীসের কিতাবসমূহ।
মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাযী
দারুল হিকমাহ
০১পহেলা ফেব্রুয়ারী ২০২২
বিঃদ্রঃ যাদের বিবাহের প্রয়োজন তারা সরাসরি অফিসে এসে যোগাযোগ করতে পারেন, আমাদের কাছে পাত্র এবং পাত্রীর তথ্য ভান্ডার সংরক্ষিত আছে।
অফিসের ঠিকানাঃ রুপালী টাওয়ার, ২য় তলা, তালতলা মোড়, হাজী ক্যাম্প রোড, ঢাকা বিমানবন্দর সংলগ্ন, ঢাকা-১২৩০.
মোবাইলঃ 01912-580 216
#বিবাহ
#বিয়েশাদী
#বিয়ে
#ম্যারেজ
#ম্যারেজমিডিয়া
#ডিভোর্স
#তালাক
#নারী
#পুরুষ
#মিলন