03/08/2022
রিলেশনশিপ সম্পর্কে জানে না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর!!!
তবে গতানুগতিক হারাম রিলেশনশিপ, ফ্রি মিক্সিং, গার্ল ফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড, ওনলি ফ্রেন্ড, ক্নোজ ফ্রেন্ড, দ্বীনি বোন/ভাই বলতে যে ইসলামে কিচ্ছু নেই তা আমরা অনেকই জানি কিন্তু এরিয়ে চলি। আমরা ঠিকই সলাত পড়ছি, রোজা রাখছি, দ্বীনের অন্যান্য বিষয়গুলো পালন করতে চেষ্টা করছি কিন্তু এখানেই যতো রাজ্যের অনিহা। আমরা ভুলে যাই দয়াময় আল্লাহ এ সম্পর্কে কি বলেছেনঃ
وَ لَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً ؕ وَ سَآءَ سَبِیْلًا.
তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় তা অশ্লীলতা ও বিপথগামিতা। (সূরা বনী ইসরাইল ১৭)
যেখানে আল্লাহ কাছে যেতে পর্যন্ত মানা করেছেন সেখানে আপনি বলছেন, আরে আমরা তো ভাই-বোন/ভাল বন্ধু। আচ্ছা এমন ট্যাগ লাগিয়ে আপনি যে হারাম কাজকে বৈধ বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তা কতোদিন? কি জবাব দিবেন? যদি আল্লাহকে ফাঁকি দিতে পারেন, করেন। যতো ইচ্ছে করেন। আর যদি না পারেন আল্লাহর জন্য ফিরে আসুন, আল্লাহ আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
* জানেন আল্লাহ কি বলেছেন?
তিনি সূরা যুমার ৫৩ নং আয়াতে বলেনঃ
বলো- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
আহ! আমার রবের দয়া কতোই না বিশাল আর বান্দা হিসেবে আমরা কতই না অকৃতজ্ঞ।
আপনার মাথায় হয়তো এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ছেলেটা খুব দ্বীনদার/মেয়েটা খুব ধার্মিক আমরা তো কোন বাজে কথা বলি না। সে অন্য ছেলে/মেয়েদের মতো না। সে আমাকে তাহাজ্জুদে ডেকে দেয়, পর্দা করতে বলে, সলাত পড়তে বলে, দ্বীনের সকল বিষয়.......
কতো দ্বীনদার না?
মনে রাখবেন, দ্বীনদার ছেলে/ধার্মিক মেয়ে কখনো রিলেশনশিপ করতে পারে না। আর যাকে আপনি দ্বীনদার বলে মনে করছেন সে ঐ ব্যক্তির মতো যে কুরবানির নিয়তে গরু চুরি করে। (বিয়ের আগে পবিত্র ভালবাসা বলতে কিছু হয় না।)
তবে আপনি সমাজে এমন কিছু ছেলে/মেয়ে খুঁজে পাবেন যারা রিলেশনশিপ করে না কিন্তু কেনো? তাদের কি মন চায় না?
উত্তরঃ
তাদেরও মন চায়, তারা করে না কারণ তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা পুরষ্কারের আশা করে।
আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
وَلِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ جَنَّتٰنِۚ
"যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে পেশ হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্যে রয়েছে দু’টি জান্নাত।"(সূরা আর রহমানঃ ৪৬)
সুবহানাল্লাহ।
রসূলুল্লহ সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
যে ব্যক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের জামিনদার হবে আমি তার বেহেশতের জামিনদার হবো।’
(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩০)
প্রিয় পাঠক আপনিও অবশ্যই চাইবেন দু'টি জান্নাত। তবে ভয় কিসের! আমাদের গন্তব্য তো জান্নাত। তাই বেলা ফুরাবার আগে ফিরে আসুন রবের দুয়ারে। আল্লাহ তা’আলা বান্দার তওবার কারণে সেই লোকটির চেয়েও অধিক খুশী হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তার উট হারিয়ে পরে তা পেয়ে যায়।
সুবহানাল্লাহ 🖤
শেষ কথাঃ
তাই আজ এই মুহূর্তে নিয়ত করি "ছেড়ে দিবো সে কাজ, যে কাজে রব হবে নারায।"
পারবো তো ইন শা' আল্লহ?
ওমা তাওফিক ইল্লাবিল্লাহ।🖤