![#পরকীয়া একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস। হুট করে প্রথম দেখায় ভালবাসা হলেও, পরকীয়া কিন্তু হুট করে হয় না। যখন দেখবেন- হায়-হ্যালো ...](https://img5.evepla.com/286/795/1125991862867958.jpg)
04/11/2024
#পরকীয়া একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস। হুট করে প্রথম দেখায় ভালবাসা হলেও, পরকীয়া কিন্তু হুট করে হয় না। যখন দেখবেন- হায়-হ্যালো থেকে আপনার কনভারসেশন মিডনাইট অব্দি চলে যাচ্ছে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনি ভুল পথে। যখন দেখবেন দরকারের বাইরেই কাউকে অযথা নক দিচ্ছেন, কল দিচ্ছেন বা কেয়ার করছেন, তখন আপনাকে বুঝতে হবে শয়তান আপনার ওপর ভর করেছে।
কিন্তু ভুল জানার পরেও, বুঝার পরেও আপনি যখন সেটা কন্টিনিউ করবেন, তখন সেটাকে ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত বলে যেতে পারে। পরকীয়া যারা করে তারা ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনেই করে।
একজন সমাজ-পরিবার তোয়াক্কা না করে পরকীয়া করে, আবার অপরজন সমাজ ও পরিবারের স্বার্থে সব জেনে বুঝেও মেনে নেয়। তার মানে দায়ভার আপনাদের উভয়ের।
ফেসবুক কখনো পরকীয়া, ডিভোর্স সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না। ফেসবুকে মানুষ আপনাকে জাজ করবে, কয়েকদিন সমালোচনা করবে, আলোচনা করবে এবং একটা মুখরোচক টপিক হিসেবে দেখবে। তারপর যে যার মত ব্যস্ত হয়ে যাবে। আপনার জীবন আপনাকেই মেইনটেইন করতে হবে। তাই এই ধরনের বিষয়গুলো পরিবারকে সাথে নিয়ে সমাধান করুন বা করা উচিত।
চারদিকে যেভাবে পরকীয়া, চিটিং এসব হচ্ছে এতে করে ইয়াং জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের ভীতি ঢুকে গেছে। এটার দায়ভার আমরা এড়াতে পারি না। এই ইয়াং জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা বিশ্বাস করতে চেয়েও পারে না যে, বিয়ে সবচেয়ে সুন্দরতম বিষয়। এর থেকে সুন্দর ও পবিত্র কোন সম্পর্ক হতেই পারে না। কিন্তু এইসব পরকীয়া, চিটিং করা এসবের জন্য তারা এখন বিয়েকে নেগেটিভভাবে দেখা শুরু করেছে।
তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ পরকীয়ার মতো এতো নোংরা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে না লিখে পারিবারিক এবং আইনীভাবে সমাধানে আসুন।
ছেলেমেয়েগুলোকে বুঝতে দিন, সবাই পরকীয়া করে না। সবাই এমন চরিত্রহীন/হীনা নয়। যারা এসবের বাইরে, তারা বিবাহিত জীবনে অনেক বেশি ভালো আছে। তারা একটা পজেটিভ ভাইব পাক ভালো কাপলদের থেকে। তাদের জীবন থেকে এই বিয়ে ভীতি দূর হোক। আর কতো!
মতামতের ভিন্নতা থাকলে পারে যেহেতু আমরা আলাদা মানুষ। তাই মত ভিন্ন হলেও আমি আপনার মতামতকে সম্মান জানাই।
----------
সংগৃহীত ও সম্পাদিত
সুনয়না প্রিয়ভাষিণী