Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া

Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া শুধুমাত্র দ্বীনী ভাই-বোনদের জন্য যার? (পাত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
19) টাখনুর উপরে কাপড় পড়েন তো?
(2)

আসসালামু আলাইকুম ।
Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া
পেইজের মুল লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করা ।

******************************************************************************
বায়োডাটা পাঠাতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা নিচের ফরমেট ফলো করে বায়োডাটা পাঠাবেন ।
দ্বীনদার পাত্র চাই/ দ্বীনদার পাত্রী চাই
1) পূর্নাঙ্গ নাম : পরে জানানো হবে ইন শা আল্লাহ

2) পিতার নাম :
3) পিতার পেশা :
4) মাতার নাম :
5) স্থায়ী ঠিকানা :
6) জন্মস্থান :
7) বর্তমান ঠিকানা :
8) জন্মতারিখ (প্রকৃত)
9) উচ্চতা :
10) ওজন :
11) গায়ের বর্ন :
12) রক্তের গ্রুপ :
13) শিক্ষাগত যোগ্যতা :(শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম , পাশের সাল )
14) পেশা :
15) কর্মস্থলের ঠিকানা :
16) আপনার আয়ের উৎস হালাল ?
17) বৈবাহিক অবস্থা : ( ডিভোর্সি হলে সংক্ষেপে কারন লিখুন )
18) আপনার সুন্নাহ সম্মত দাড়ি আছে কি ? (পাত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
20) শরীয়াহ সম্মত নিকাব, হাত-মুজা পরে পর্দা করেন কি?
21) কোন মাযহাব অনুসরন করেন?
22) রাজনৈতিক মতাদর্শ?
23) ভাই-বোন: কতজন? ভাই-বোনদের মাঝে আপনার অবস্থান ও তাদের বিষয় বিস্তারিত লিখুন?
24) বিবাহ করার উদ্দেশ্য কি ? (এক লাইনে লিখুন)
25) আপনি নন-মাহরামদের থেকে পর্দা করেন?
26) আপনার বিয়ের বিষয়ে কি আপনার পরিবার অবগত?
27) আপনি টিভি সিরিয়াল, নাটক, গান, ছায়াছবি দেখেন?
28) আপনি তাজবীদ সহকারে কুরআন পড়তে জানেন?
29) আপনার অর্থসহ মুখস্ত সূরার সংখ্যা কয়টি?
30) আপনি দৈনিক দাওয়াতি কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করেন?
31) আপনার পঠিত ইসলামি বইয়ের সংখ্যা কত?
 Partner’s Requirements: (যেমন সঙ্গি প্রত্যাশা করেন)
1) বয়স :
2) গাত্রবর্ন:
3) উচ্চতা:
4) ওজন:
5) শিক্ষাগত যোগ্যতা :
6) জেলা :
7) সম্পদ/ সামাজিক অবস্থা/ সৌন্দর্য / দ্বীনদারীতা কোনটা সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনি অগ্রাধিকার দেবেন? আপনার আগ্রহের পক্ষে কারণ উল্লেখ করুন:
Contact Number : যোগাযোগের মাধ্যম
১) অভিভাবকের মোবাইল নম্বর(Required):
পাত্র পক্ষকে অবশ্যই দিতে হবে। পাত্রী পক্ষ দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
২)পার্সোনাল মোবাইল নম্বর :(বোনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
৩)সেল্ফ ইমেইল এড্রেস :(Required) ।
পাত্রীপক্ষ গার্ডিয়ানের ইমেইল দিবেন
৪) গার্ডিয়ানের ইমেইল এড্রেসঃ
বিশেষ দ্রষ্টব‍্য:
বায়োডাটায় চাওয়া রিকয়ারমেন্ট আপনার সাথে কেবল মিললে প্রথমে ইমেইল করবেন সেখান থেকে আগ্রহ দেখালে অনুমতি নিয়ে ফোন করবেন।ইমেইল করার পর জবাবের অপেক্ষায় থাকবেন। পাত্র বা পাত্রী ইমেইল পাওয়ার পর রিপ্লাই দিবেন ও আগ্রহী বা আগ্রহী না হলেও ইমেইলে জানিয়ে দিবেন।ইমেইল করার তিন দিনের মধ্যে রিপ্লাই না পেলে ফোন করবেন।
**************************************************
*******আমাদের পেজ ও গ্রুপ সমুহ যেখানে আপনারা একটিভ থাকতে পারেন।*****
পেজ লিংক
1) Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া
https://www.facebook.com/sunnahmatrimonybd/
2) উচ্চ শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/ReligiousMatrimony/
3) ডিভোর্সি বিধবা দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/DivorceWidowMatrimony/
4) জেনারেল শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/GeneralEduMatrimony
5) মাদ্রাসা শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/MadrasahMatrimony
6) Islamic Marriage and Family Life
https://www.facebook.com/IslamicMarriageandFamilyLife/
গ্রুপ লিংক
1) Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া
https://www.facebook.com/groups/sunnahmatrimonybd
2) মাদ্রাসা শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/groups/MadrasahMatrimony/
3) জেনারেল শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/groups/GeneralEduMatrimony
4) উচ্চ শিক্ষিত দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/groups/ReligiousMatrimony/
5) ডিভোর্সি বিধবা দ্বীনি পাত্র-পাত্রী
https://www.facebook.com/groups/DivorceWidowMatrimony/
6) Islamic Marriage and Family Life
https://www.facebook.com/groups/IslamicMarriageandFamilyLife

22/08/2024

** জরুরী **
দুই তলায় ৭০ জন আটকে আছে, পানি অনেক জলদি উপরে উঠছে, হয়তো কিছু ক্ষনের ভেতর পুরোটা ডুবে যাবে। মানুষ গুলোকে বাঁচানো লাগবে।
নৌকা লাগবে জরুরী প্লিজ হেল্প।
জেলা -: ফেনী
থানা -: ফেনী
ইউনিয়ন -: ১০ নং ছনুয়া ইউনিয়ন
গ্রাম -: দমদমা, তেতোইয়া
ওয়ার্ড :- ১নং , ২ নং
বাড়ি -: আব্দুর রউফ কাজী বাড়ি
Shobuj (Still In the location) - 01885533280
Amran - 018 4540 7518
Water level is rising as we speak, they need a boat, please!

28/10/2023

একজন ইহুদি ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ (যিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিতও ছিলেন) খোলাখুলি বলেছিলেন যে, পৃথিবীতে মুসলিম নারীর চেয়ে পবিত্র ও বিশুদ্ধ নারী অন্য কোন ধর্মে নেই।
পুরো ঘটনাটি ঘটেছিল যখন আলবার্ট আইনস্টাইন ইনস্টিটিউটের (Albert Einstein Institution) সাথে যুক্ত একজন ভ্রূণ বিশেষজ্ঞ, ইহুদি পেশাদার রবার্ট, তার ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। যার একমাত্র কারণ ছিল, কুরআনে উল্লেখিত তালাক প্রাপ্ত নারীর ইদ্দতের আদেশ সম্পর্কিত আয়াত এবং ইদ্দতের জন্য তিন মাসের সীমা নির্ধারণের পেছনের রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে অবগতি।

আল্লাহ তায়ালা কোনো তালাক প্রাপ্ত নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বে তিন মাসের একটি গ্যাপ রাখতে বলেছেন। তিনি পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,
وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ
অর্থাৎ 'তালাকপ্রাপ্তা নারীরা তিন মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে' (সূরা আল-বাকারাহ ২২৮:২)
এই আয়াতটি একটি আধুনিক জ্ঞান ডিএনএ এর উদ্ভাবনের রাস্তা সুগম করেছে এবং দেখা গেছে যে একজন পুরুষের বীর্যে থাকা প্রোটিন অন্য পুরুষের থেকে ৬২% পৃথক ও ভিন্ন থাকে।
আর একজন নারীর শরীর একটি কম্পিউটারের মত। যখন একজন পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করে তখন সেই নারীর শরীর সব ব্যাকটেরিয়াকে শোষণ করে এবং তার শরীরে তা ধারণ করে।
অতএব, বিবাহ বিচ্ছেদের পরপরই, যদি একজন মহিলা অন্য পুরুষকে বিয়ে করেন বা একই সাথে বেশ কয়েকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ জমা হয় যা বিপজ্জনক ভাইরাসের রূপ নেয় এবং মারাত্মক রোগ সৃষ্টির কারণ হয়।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখে যে, প্রথম মাসিক আসার পর একজন মহিলার শরীর থেকে ৩২% থেকে ৩৫% পর্যন্ত প্রোটিন শেষ হয়ে যায়, এবং দ্বিতীয় মাসিক আসার পর তার শরীর থেকে ৬৭ থেকে ৭২% ডিএনএ ধ্বংস হয়ে যায়। এবং তৃতীয় মাসিকের পর ৯৯.৯% পর্যন্ত প্রোটিন নির্মূল হয়ে যায়। এরপর জরায়ু আগের ডিএনএ থেকে সম্পন্নরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই নতুন ডিএনএ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
একজন গণিকা অনেক মানুষের সাথে সঙ্গম করে, যার ফলে বিভিন্ন পুরুষের ব্যাকটেরিয়া তার জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরণের ডিএনএ তার মধ্যে জমা হয় এবং সে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো, তার ইদ্দত তালাকপ্রাপ্ত মহিলার চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ মাস ১০ দিন।
এর কারণ হলো দুঃখ ও দুশ্চিন্তার কারণে তার শরীর থেকে প্রাক্তন ডিএনএ দ্রুত শেষ হয় না, এটি শেষ হতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর এ জন্য মহিলাদের ইদ্দত চার মাস দশ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ
অর্থাৎ 'তোমাদের মধ্য হতে যারা স্ত্রীদেরকে রেখে মারা যাবে সে অবস্থায় স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন বিরত রাখবে।' (আল-বাকারাহ, ২৩৪)

এই সত্যের মুখোমুখি হয়ে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ভিন্ন স্থানে গবেষণা পরিচালনা করেন।
এক. আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মুসলমানরা যে মহল্লায় থাকেন, সেই সব নারীর ভ্রূণের মধ্যে মাত্র একজন স্বামীর ডিএনএ পাওয়া গেছে।
দুই. অন্য মহল্লা যেখানে আসল আমেরিকান মহিলারা থাকেন, তাদের ভ্রূণের মধ্যে একাধিক অর্থাৎ দুই বা তিন জনের বেশি পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গেছে।
অতঃপর যখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার নিজ স্ত্রীর ভ্রূণ ​​পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি একটি মর্মান্তিক সত্য দেখতে পান যে, তার স্ত্রীর মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ডিএনএ আছে। যার অর্থ হলো তার স্ত্রী তার সাথে প্রতারণা করছিল এবং তার তিন সন্তানের মধ্যে কেবল মাত্র একজন ছিল তার নিজ সন্তান, বাকিরা ছিল অন্য পুরুষ থেকে।

ডাক্তার তখন নিশ্চিত হন যে ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা নারীদের নিরাপত্তা এবং সমাজের সম্প্রীতির নিশ্চয়তা দেয়। এবং এই বিষয়েও নিশ্চিত হন যে, একমাত্র মুসলিম নারীরাই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ ও সতী।
والله ورسوله اعلم عزوجل وصل الله عليه وسلم
ইসলামে একজন মহিলার জন্য এক‌ই সময়ে একাধিক বিয়ে বা একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি কেন!
অবশেষে বিজ্ঞানও আল কুরআনের বিধানের নির্ভুল ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলো: -------------------------------------------------
(সংগৃহীত)

08/01/2023

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আসলে কি?
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রুহের জগতে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বলে কোন সম্পর্ক ছিলো না। প্রতিটি রুহ-ই আলাদা।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) জান্নাতে ১ম মানুষ আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। তারপর সৃষ্টি করলেন হাওয়া (আঃ) কে। এবং বিয়ে দিলেন তাঁদের দুজনকে। সৃষ্টির সর্ব প্রথম পবিত্র সম্পর্ক স্বামী_স্ত্রী।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? দুনিয়াতে আমরা নানা রকমের সম্পর্ক মেইনটেইন করি। আমাদের সম্পর্ক গুলোতেও অনেক আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করে। তারপরও একসময় আলাদা হতে হয়। ছোট বেলার মতো করে ভাই-বোনরা একসাথে থাকা হয়না। বাবা-মায়ের সাথেও থাকা হয়না সারাজীবন। যার যার নিজের নতুন পরিবার তৈরী হয়। তৈরী হয় সেই ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ সম্পর্ক।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? যদিও জান্নাতে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আমাদের দেখা হবে, কথা হবে (যারা যারা জান্নাতে যেতে পারবো)। কিন্তু সেখানেও যে সম্পর্কটি হবে সবার জন্য চিরস্থায়ী, তা হলো ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ পবিত্র সম্পর্ক।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি? ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ এই সুন্দর পবিত্র সম্পর্ক জান্নাত থেকেই শুরু হয়েছে, দুনিয়াতেও কিছু কালের জন্য দেয়া হয়েছে। আবার জান্নাতে গিয়েও অন্ততকালের জন্য এই সম্পর্ক থাকবে।
অথচ দুনিয়াতে থাকতে আমরা এই পবিত্র-সুন্দর ❝স্বামী-স্ত্রীর❞ সম্পর্কটিকে কতটা-ই না মূল্যহীন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি। শয়তানের ওয়াসওয়াসায়, দুনিয়ার ধোকায়, চাকচিক্যে এই সম্পর্ককে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই না। একজন আরেকজনকে ধোকা দেই। যার যে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো, তা ঠিকভাবে পালন করিনা।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) আমাদেরকে কি হুকুম দিয়েছেন এবং নবীজি (ﷺ) এই ব্যাপারে কি বলেছেন, আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি এবং সেভাবে দুনিয়ায় এই পবিত্র সম্পর্কের হাক্ব আদায় করি। ইন-শা~আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও কামিয়াবী হাসিল হবে।
আল্লাহ্ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) বলেছেনঃ ❝তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাক আর তোমরা (স্বামীরা) তাদের জন্য পোশাক।❞
সূরা_বাক্বরঃ ১৮৭ আল_কুরআন
নবীজি (ﷺ) বলেছেনঃ ❝তোমাদের মাঝে সেই ব্যাক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।❞
নবীজি (ﷺ) আরো বলেছেনঃ ❝কোন মহিলা যদি এমন অবস্থায় মারা যায় যে, তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট, তাহলে সেই মহিলা জান্নাতী।❞

©️

15/11/2022

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তাঁকে জাহান্নাম দেখানো হয়। তিনি দেখতে পান সেখানকার অধিকাংশ অধিবাসী হলো নারী। কারণ, তারা কুফরী করে।

সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরি করে?

নবিজী বললেন, না, তারা স্বামীর অবাধ্য এবং অকৃতজ্ঞ হয়। [সহীহ বুখারী: ২৯]

এখানে দুটো বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি এলার্মিং হাদীস বলেন, জাহান্নামীদের অধিকাংশ নারী এবং এটার কারণ কুফরি। স্বাভাবিকভাবেই সাহাবীরা আল্লাহর সাথে কুফরিকে মনে করেন। তবে শাব্দিক অর্থে কুফরি শুধুমাত্র আল্লাহর সাথে কুফরি না-ও হতে পারে। নবিজী বিষয়টি ক্লিয়ার করে বলেন- স্বামীর অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতা।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, পাপ। এখানে নারীদের দুটো পাপের কথা বলা হয়েছে, যে কারণে তাদের স্রেফ গুনাহই হচ্ছে না, তাদের জাহান্নামে যাবার কারণ। স্বামীর অবাধ্যতা ও অকৃতজ্ঞতা।

অবাধ্যতার বিপরীত বাধ্যতা, আনুগত্য। তারমানে, স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করবে, স্বামীর কথা মানবে, এটা অপশনাল না; আবশ্যক।

স্ত্রীকে স্বামীর আনুগত্য করতে হবে, এটা কি কুরআনে আছে?

অবশ্যই আছে।

আল্লাহ বলেন:

"পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে আল্লাহ তাদের একের ওপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজেদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত। তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযতকারিণী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান।" [সূরা আন-নিসা ৪:৩৪]

স্ত্রী যদি স্বামীর আনুগত্য না মানে, স্বামীর অবাধ্য হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রীকে বুঝাবে, স্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা থাকবে। এগুলো ধারাবাহিকভাবে করবে। এরপরও যদি স্ত্রী আনুগত্য না করে, তাহলে স্বামী তাকে মৃদু প্রহার করতে পারে।

এই যে স্বামী স্ত্রীকে শাস্তি দেবার অধিকার আছে, এটা অথোরিটির বিষয়। স্বামীকে আল্লাহ এমন অথোরিটি চর্চার সুযোগ দিয়েছেন।

আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদাহর অনুমতি নেই। সিজদাহ পাবার একমাত্র হকদার হলেন আল্লাহ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক্ষেত্রে একটি মেটাফোর ব্যবহার করেন। তিনি বলেন:

"আমি যদি কোনো মানুষকে সিজদাহ করার অনুমতি দিতাম, তবে স্ত্রীদেরকে নির্দেশ দিতাম স্বামীদেরকে সিজদাহ করার। কেননা, আল্লাহ স্ত্রীদের ওপর স্বামীদের অধিকার দিয়েছেন।" [সুনানে আবু দাউদ: ২১৪০, জামে আত-তিরমিজি: ১১৫৯, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৮৫২]

এই হাদীসকে মুহাদ্দিসগণ 'হাসান', 'সহীহ' হিশেবে আখ্যায়িত করেন।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীকে স্বামীর সিজদাহ করার নির্দেশ দেননি, কিন্তু স্ত্রীর কাছে স্বামী কেমন এটা বুঝার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী উদাহরণ দিয়েছেন। কাউকে সিজদাহ দেয়া মানে তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করা। আর এটা তখনই সম্ভব, যখম একজন থেকে আরেকজন শ্রেষ্ঠ হবে। সমানে-সমানে সিজদাহর মতো এমন উদাহরণ নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিতেন না।

ইসলাম স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা, কর্তৃত্বকে কখনো 'সমান' বলে উল্লেখ করেনি; বরং স্বামীকে, পুরুষকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছে।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:

"নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।" [সূরা বাকারা ২:২২৮]

নারী-পুরুষ কি সবকিছুতে সমান? না। ইসলামে নারী-পুরুষ সবকিছুতেই সমান নয়, সবকিছুতে তাদের সমান অধিকার নেই। ধর্মীয় বিধান মেনে চলার জন্য, সওয়াবের বেলায়, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে নারী-পুরুষ তার এফোর্ট অনুযায়ী সওয়াব পাবে। পুরুষ নামাজ পড়লে বেশি সওয়াব, নারী নামাজ পড়লে কম সওয়াব এমন না। আবার ইসলাম তাদেরকে একই দায়িত্ব দেয়নি। দুজনের ভূমিকা ভিন্ন।

ইবাদাতের ক্ষেত্রে নারী 'নারী' হবার কারণে অনেক ইবাদাত সক্রিয়ভাবে করতে পারে না।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবী আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহা মদীনার নারীদের পক্ষে তাঁর কাছে জানতে গেলেন- তারা (স্ত্রীরা) তো স্বামীর 'চাহিদা' পূরণ করে, সন্তান লালন পালন করে, গৃহস্থালি দেখাশোনা করে। অন্যদিকে, স্বামীরা জুমুআর নামাজে যায়, অসুস্থকে দেখতে যায়, জানাজার নামাজ পড়তে যায়, হজ্জ-উমরা করতে যায়, যুদ্ধে যেতে পারে। নারীদের তো সেই সুযোগ নাই। তারা তো পিছিয়ে গেলো। তারা কিভাবে সেইসব সওয়াব অর্জন করতে পারে, যা নারী হবার কারণে তারা বঞ্চিত?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই নারী সাহাবীর প্রশ্ন শুনে এতো খুশি হলেন যে, তিনি বাকি সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, দ্বীনের ব্যাপারে এই নারীর মতো বুদ্ধিদীপ্ত কোনো প্রশ্ন কি তোমরা এর আগে কখনো শুনেছো?

সাহাবীরা জবাব দিলেন, তারা কখনো শুনেননি।

অতঃপর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আতিকা বিনতে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বললেন, অন্যান্য নারীদেরকে জানিয়ে দিতে- স্ত্রী যদি তার স্বামীর সাথে ভালো আচরণ করে, তাকে সহযোগিতা করে, তাকে মান্য করে, তাহলে সে সমান সওয়াব পাবে (স্বামী বাইরে গিয়ে যেসব সওয়াব কামায়)।

একজন নারী সাহাবী গেলেন আল্লাহর ইবাদাত করে (হজ্জ-উমরা, জানাজা, যুদ্ধ) করে সওয়াব অর্জনের প্রশ্ন নিয়ে, আর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের জন্য সেসব বিধান শীতিল করে সেগুলো করতে না বলে কী বললেন? স্বামীর খেদমত। স্বামীর খেদমত করলে নারীরা তেমন সওয়াব পাবে।

আতিকা বিনতে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহা যখন উত্তর শুনলেন, তখন আনন্দচিত্তে তাকবীর দিতে দিতে নারীদের কাছে যান সুসংবাদ দিতে। [ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান: ৮৩৬৯, মুসান্নাফ ইবনে আব্দির রাজ্জাক: ১৫৯১৪]

আনুগত্য দুই ধরনের হতে পারে। শর্তহীন আনুগত্য, শর্তযুক্ত আনুগত্য। শর্তহীন আনুগত্য লাভের অধিকারী আল্লাহ ও তাঁর রাসূল। বাকি সবার প্রতি আনুগত্য শর্তযুক্ত। আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশের সাথে কনফ্লিক্ট হয়, এমন কারো আনুগত্য করা যাবে না বলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উল্লেখ করেন। [সহীহ বুখারী: ৬৮৩০]

নফল রোজা দেখবেন সবচেয়ে বেশি রাখে নারীরা। একজন পুরুষ যদি নফল রোজা রাখতে চায়, স্ত্রীর অনুমতি নেয়া লাগে না। কিন্তু, একজন নারী যদি নফল রোজা রাখতে চায়, স্বামীর অনুমতি লাগবে। [সহীহ বুখারী: ৫১৯২]

একটি নফল আমল করার সময়ও নারীকে স্বামীর অনুমতি নিতে হচ্ছে, সে চাইলে এখানে তর্ক করতে পারবে না 'আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখবো, তুমি না করবে কেনো?' অনুমতির ব্যাপারটি শার'ঈ স্বীকৃত।

বিয়ের পর একজন নারীর কাছে যদি স্বামী-বাবা দুইদিক থেকে আনুগত্যের কনফ্লিক্ট হয়, তাহলে সে কার আনুগত্য করবে?

শায়খ আসিম আল হাকিমের মতে, এই বিষয়ে আলেমগণের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই যে, স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করবে।

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহর কাছে একটি কেইস যায়৷ একজন নারীর মা অসুস্থ। এখন সে যদি তার মায়ের সেবা করতে যায় তবুও কি স্বামীর অনুমতি নিতে হবে?

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, হ্যাঁ, তবুও অনুমতি নিতে হবে। স্বামী অনুমতি দিলে তবেই যাবে। [শারহু মুনতাহা আল-ইরাদাত ৩/৪৭]

স্ত্রীকে স্বামীর আনুগত্য করতে হবে এটা স্বীকৃত বিষয়। লেখাটি শুরু করেছিলাম জাহান্নামীদের মধ্যে অধিকাংশ নারী হবার কারণ স্বামীর অবাধ্যতা। এই অংশ শেষ করবো, নারীদের জান্নাত লাভের একটি উপায় হলো স্বামীর আনুগত্য।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের চারটি আমলের কথা বলেছেন। এগুলো তারা যথাযথভাবে করলে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে তারা প্রবেশ করতে পারবে।

আমলগুলো হলো:

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ

২. রমজান মাসের রোজা

৩. সতীত্ব রক্ষা

৪. স্বামীর আনুগত্য। [সহীহ ইবনে হিব্বান: ৪২৫২]
..

দাম্পত্য জীবনের ভিত্তিমূল কী? উপরে যা বললাম সেগুলো ল' এন্ড অর্ডার। দাম্পত্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ল' এন্ড অর্ডার; তবে এটা দাম্পত্য জীবনের ভিত্তিমূল না।

পবিত্র কুরআনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রাণশক্তি বলা হয়েছে 'মাওদ্দাহ ওয়ারাহমাহ'- ভালোবাসা ও দয়া। এই দুটো আল্লাহ নিজেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বর্ষণ করেন।

কথা হচ্ছে, অন প্রিন্সিপ্যালের ওপর; যেসব স্বামী অথোরিটির মিসইউজ করে তারা এই আলোচনার বিষয় না।

এভারেজ একজন স্বামী সারাক্ষণ কি তার স্ত্রীকে অর্ডার করতে পারেন? অফিসের পিওনকে যেভাবে চা আনতে বলেন, স্ত্রীকেও তেমনি বলেন?

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের চাবিকাঠি হলো পারষ্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ। ভালোবাসার গভীরতা যতো বেশি থাকে, আবদার মেটাতে পারার আগ্রহ ততো বেশি।

স্ত্রী একদিন রেস্টুরেন্টে খেতে চায়। ভালো রেস্টুরেন্ট। বিল ৩-৫ হাজার টাকা আসতে পারে। স্বামীর পক্ষে এফোর্ড করার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি।

স্ত্রীর এমন আবদারে স্বামী কতো দ্রুত রেসপন্স করবে বা কতো সুন্দরভাবে গুছিয়ে জবাব দিবে, বাজেট ঘাটতি থাকলে বুঝাবে সেটা নির্ভর করবে দুজনের মধ্যকার ভালোবাসার মাত্রার ওপর। এই মাত্রার তারতম্যের কারণে কেউ পরদিনই স্ত্রীর ইচ্ছেপূরণের জন্য চলে যাবে রেস্টুরেন্টে (প্রয়োজনে ধার নিবে), এই মাত্রার তারতম্যের কারণে কেউ স্ত্রীকে ধমক দিয়ে ঠাণ্ডা করবে, পারলে আরো কিছু কথা শুনাবে।

এই ভালোবাসার মাত্রা যতো লেভেল বাড়তে থাকবে, সম্পর্কে ততো এক্সিলেন্সি অর্জন হবে। এই এক্সিলেন্সিটাই ইহসান।

আইনানুগ অনেক কাজ স্ত্রী করতে বাধ্য না, অনেক কাজ স্বামী করতে বাধ্য না। কিন্তু, উভয়ের বন্ডিং যখন এমন একটা লেভেলে চলে যাবে, তখন তারা একজন আরেকজনের জন্য সর্বোচ্চ করতে দ্বিধান্বিত হবে না।

উপরে একটি বিধানের কথা বলা হলো, স্ত্রীর মা অসুস্থ হলে তার সেবা করতে গেলেও স্বামীর অনুমতি লাগবে।

এখন দেখেন, স্বামী-স্ত্রীর পারষ্পরিক বোঝাপড়া যদি মজবুত হয়, তাহলে কি স্ত্রীকে এই আবদার করতে হবে- আমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিন?

নাকি স্বয়ং স্বামীই তাকে বলবে- আসো, মা অসুস্থ, তাকে দেখে আসি।

স্ত্রী যদি নিজের অসুস্থ মা-বাবাকে দেখতে যেতে না পারে, তাহলে তার মানসিক অবস্থা কেমন হবে? সে কি সারাদিন কান্না করবে না? স্বামীর সাথে কি আগের মতো প্রেমালাপ করতে পারবে?

স্বামী এবং স্ত্রীর কাজকে যদি জবের সাথে তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন উভয়কেই মূলত মূল জবের চেয়ে ওভারটাইম জব বেশি করতে হয়। এখানে কোনো পক্ষই গুনে গুনে শুধু দায়িত্ব সেরেই ক্ষান্ত হয় না।

স্বামী-স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে কাজ করতে হয়। এটাকে মেরামত করতে হয়, বিউটিফাই করতে হয়; এটা উভয়েরই দায়িত্ব।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ডায়মেনশন নানামাত্রিক। তাদের মধ্যকার প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্বের তুলনা অন্য কোনো সম্পর্কের সাথে হয় না।
..

বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড এই সম্পর্কে অথোরিটির বিষয়টি অনুপস্থিত। বয়ফ্রেন্ড যদি বিয়ের আগেই অধিকার খাটাতে যায়, রশি ছিড়ে যায়।

কিন্তু, দাম্পত্য জীবনটা সারাক্ষণ শুধু প্রেমালাপ, রসালো, মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভরপুর থাকে না। দাম্পত্য জীবন ভালোবাসা, রাগ, অভিমান, ক্ষোভ সবকিছুর সমন্বয়। দাম্পত্য জীবনে যেমন স্বামীর আদুরে নিষেধাজ্ঞা, আদেশ থাকতে পারে, তেমনি কথা শুনতে না চাইলে গলার স্বর উঁচু করতে হয়। যখন ভালোবাসার আবেগ, যুক্তি দিয়ে বুঝানো যাবে না, তখন শেষকথা বলতে হয়- "আমি 'না' বলছি মানে না। তুমি যাবে না, তুমি করবে না।"

একদিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অন্যদিকে স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করবে, এটা কোনোভাবেই কন্ট্রাডিক্টরি না। একসাথে দুটো রুল পালন করা সম্ভব।

যেসব দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া পরিষ্কার, ভালোবাসা গাঢ়, তাদের মধ্যে অথোরিটি (স্বামীর) চর্চার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। স্বামী সবসময় যদি স্ত্রীকে আনুগত্য করার নির্দেশ দেয়, সবসময় যদি কর্তৃত্ববাদী মনোভাব নিয়ে স্ত্রী কিছু করতে আদেশ-নিষেধ করে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোভাবে আগাচ্ছে না।

ইসলামের একেকটি বিধানকে পূর্ণাঙ্গভাবে দেখতে হয়। পূর্ণাঙ্গভাবে দেখলে বুঝা যায় এইসব বিধানের হিকমত কী। সম্পর্ক সংক্রান্ত বিধানগুলোতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল চেক এন্ড ব্যালেন্স করেছেন। প্রত্যেকটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা প্রমাণ করা সম্ভব।

একদিকে নারীকে বলেছেন স্বামীর আনুগত্য করতে, স্বামীর নির্দেশ মানতে, অন্যদিকে বারবার পুরুষকে উৎসাহ দিয়েছেন স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরণ করতে।

স্ত্রীর মা অসুস্থ হলে তাকে বাপের বাড়ি যেতে না দেয়া কি উত্তম আচরণ হতে পারে?

উত্তম আচরণের প্রসঙ্গ আসলে দেখা যায় স্বামী এমন অনেক কাজ করে, যা আদতে সে করতে বাধ্য নয়। বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়েও এগুলো করতে নবিজী উৎসাহ দেন।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জের মহাগুরুত্বপূর্ণ ভাষণে নারীদের (স্ত্রীদের) সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দেন। স্ত্রীদের বক্রতার উদাহরণ দিয়ে বলেন তাদের সাথে কিভাবে ডিল করতে হবে।

স্বামী-স্ত্রীর প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কের সাথে আনুগত্যের সম্পর্কও জড়িত। এটা কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যারা আনুগত্যকে স্রেফ মুসলিম দেশের মানবরচিত বিধান বলতে চায়, তারা জেনে বুঝে বা অজ্ঞাতসারে কুরআন-হাদীসের বিধানকে এড়িয়ে যাচ্ছে।

এটাকেই আগের একাধিক পোস্টে বলতে চেয়েছিলাম, দ্বীনি ফেমিনিস্ট আসলে ঘোড়ার ডিম। তারা ফেমিনিস্ট চিন্তাভাবনার বিপরীতে কুরআনের আয়াত, হাদীস মেনে নিতে চাইবে না। নিজেদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে তারা প্রথমে অস্বীকার করে নির্দিষ্ট কিছু হাদীসকে, অতঃপর প্রশ্ন তুলে হাদীস শাস্ত্র নিয়ে। আর ক্লাসিক্যাল তাফসীর, ফিক্বহ তো তারা সহ্যই করতে পারে না। ফলে, এই জায়গায় তারা নতুন ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হয়।

Collected

16/10/2022

জীবনটা যে স্বামী ছাড়াও অবিস্মরণীয় হতে পারে তার উদাহরণ— মারিয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহা।

জীবনটা যে সন্তান ছাড়াও সফল হতে পারে তার উদাহরণ— আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা।

জীবনটা যে জালিম স্বামীর সাথে বসবাস করেও সমুজ্জ্বল হতে পারে তার উদাহরণ— আসিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা।

জীবনটা যে ধূ ধূ মরুর মতো একা হলেও একসময় কোটি মানুষের ভালোবাসায় মুখরিত হতে পারে তার উদাহরণ— হাজেরা রাদিয়াল্লাহু আনহা।

জীবনটা যে পড়ন্ত বয়সেও অন্যদিকে মোড় নিতে পারে তার উদাহরণ— খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা।

জীবনটা যে শুধু সংসারী হয়ে সবচেয়ে উঁচু মর্যাদার নারী-জীবন হতে পারে তার উদাহরণ— ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা।

দুঃখ তো তোমার থাকবেই নারী। সে সংসার থাকলেও থাকবে, না থাকার কারণেও থাকবে। দুঃখগুলোকে পোষ মানিয়ে জীবনটা যদি উৎসর্গ করো শুধু রবের নামে, তাহলে দেখো এই বেঁচে থাকার অনুভূতি কী অসাধারণ— পরকালের আশ্বাস এনে দিবে একেকটা অপ্রাপ্তিতেও কী দারুণ স্বাদ!

17/06/2022

নেকসন্তান লাভের দোয়া
সন্তান না থাকলে, সন্তানের জন্য দু‘আগুলো পড়া। সন্তান থাকলে তাদের ভালাইয়ের জন্য দোয়াগুলো পড়তে পারি
১: প্রথম দোয়া:
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তোমার নিকট হতে কোনো পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি দু‘আ শ্রবণকারী। (আলে ইমরান ৩৮)
২: দ্বিতীয় দোয়া,
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকেও নামায কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও (এমন লোক সৃষ্টি করুন, যারা নামায কায়েম করবে)হে আমার প্রতিপালক! এবং আমার দোয়া কবুল করে নিন। (ইবরাহীম ৪০)
৩: তৃতীয় দোয়া,
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
হে আমার প্রতিপালক! আমাদেরকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পক্ষ হতে দান করুন নয়নপ্রীতি এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও। (ফুরকান ৭৪)
৪: চতুর্থ দোয়া,
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তাওফীক দান করুন, যেন আপনি আমাকে ও আমার মাতাপিতাকে যে নি‘আমত দিয়েছেন তার শোকর আদায় করতে পারি, যাতে আপনি খুশি হন এবং আমার জন্য আমার সন্তানদেরকেও (সেই) যোগ্যতা করুন। আমি আপনার কাছে তাওবা করছি এবং আমি আনুগত্য প্রকাশকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (আহকাফ ১৫)
৫: পঞ্চম দোয়া,
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
হে আমার রব্ব! আমাকে একা রেখে দিও না, আর তুমিই শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী। (আম্বিয়া ৮৯)
৬: ষষ্ঠ দোয়া
رَبِّ هَبۡ لِی مِنَ ٱلصَّـٰلِحِینَ
ইয়া রব, আমাকে নেককার সন্তান দান করুন (সাফফাত: ১০০)।
৭: সপ্তম দোয়া
هَبۡ لِی مِن لَّدُنكَ وَلِیࣰّا
ইয়া রব, আপনি আমাকে এক উত্তরাধিকারী দান করুন (মারয়াম: ৫)।
৭ : এটা কোনো দু‘আ নয়। আয়াতটা পড়ে, রাব্বে কারীমের কাছে আবদার জুড়তে পরি, ইয়া রাব্বা, আমাকেও এদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ مِنْ كُلِّ بَابٍ.سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ
(অর্থাৎ) স্থায়ীভাবে অবস্থানের সেই উদ্যানসমূহ, যার ভেতর তারা নিজেরাও প্রবেশ করবে এবং তাদের বাপ-দাদাগণ, স্ত্রীগণ ও সন্তানদের মধ্যে যারা নেককার হবে, তারাও। আর (তাদের অভ্যর্থনার জন্য) ফেরেশতাগণ তাদের নিকট প্রত্যেক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে (আর বলতে থাকবে) তোমরা (দুনিয়াতে) যে সবর অবলম্বন করেছিলে, তার বদৌলতে এখন তোমাদের প্রতি কেবল শান্তিই বর্ষিত হবে এবং (তোমাদের) প্রকৃত নিবাসে এটা কতই না উৎকৃষ্ট পরিণাম। (রা‘দ ২৩-২৪)।
৮: এটা সবসময়ে আমল। যাদের সন্তান আছে, তাদের জন্য। যাদের সন্তান নেই তাদের জন্যও। যারা বিয়ে করে্ছেন, তাদের জন্য। যারা বিয়ে করেননি তাদের জন্যও। রাব্বে কারীম নেকসন্তান দান করুন। আমীন।

15/05/2022

বিয়ের পর স্ত্রীকে আপনার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে বলুন, মা'এটি একটি চারাগাছ, যা ইতিপূর্বে কখনো ফল দেয়নি।

এতদিন একটুকরো মাটি নিয়ে একটি টবেই ছিল তার বাসস্থান। সবে মাত্র তাকে টব থেকে বের করে বিস্তৃত জমীনে রোপন করা হলো। মা' এটি এখনই ফল দিতে সক্ষম নয় ।

আর মা' আপনিতো জানেন, একটি চারা গাছ ফল দিতে হলে আগে তাকে বেড়ে উঠতে হয়, আর তার বেড়ে উঠার জন্য জরুরি উপযুক্ত আলো-বাতাস, মাটি-পানি , সার ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া একটি চারাগাছ কখনো বেড়ে উঠতে পারে না। মোট কথা একটি গাছের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা যদি সে ঠিক মতো পেয়ে যায় তাহলে, গাছটি খুব সহজেই বেড়ে উঠে এবং ভালো ফল দেওয়া শুরু করে। অন্যথায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।

কেউ যদি কোনরূপ পরিশ্রম ছাড়াই চারা গাছ লাগিয়ে ফলের আশা করে, তবে এটা নিছক বোকামি বৈ কিছুই না।
একটি গাছের পিছনে সে পরিমাণই পরিশ্রম করতে হয়, যে পরিমাণ ফলের সে আশা করে।

মা' এটি আমারই একটি চারা গাছ। আমার এই চারা গাছকে আপনার জমীনে রোপন করলাম, আল্লাহ চাহে তো এর সব ফলই আপনার হবে ইনশাআল্লাহ, তবে এই গাছটি এখনই ফল দেওয়ার উপযোগী নয়। তবে উপযোগী করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনার ।

আমি চাইবো আপনি এর থেকে এমন ফলের আশা করুন, যেমন আশা করে ছিলেন আপনার শাশুড়ি থেকে। আমি চাইবো আপনি তাকে সে ভাবেই যত্ন নিন, যেমনটি আশা করেন আপনার মেয়ের ব্যপারে তার শাশুড়ি থেকে।

মা' আশা করি আমি কখনো নৈরাশ হবো না ইনশাআল্লাহ।
আর দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাদের দাম্পত্য জীবনে অনাবিল সুখ- শান্তি দান করেন আর আপনার মনের সকল নেক মাকসাদ পূর্ণ করেন। আমিন।

Collected from

05/01/2022
05/01/2022
03/06/2021

আপনার স্ত্রীকে রাণীর মর্যাদা দিন, বিনিময়ে তিনি আপনাকে রাজার মর্যাদা দিবেন।

সাফিয়্যা (রা.) ছিলেন, নবীজির অন্যতম স্ত্রী। তিনি কিছুটা খাটো ছিলেন, ফলে উটের পীঠে আরোহন করতে কষ্ট হতো। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সাহায্য করার জন্যে নিজের হাঁটু পেতে দিতেন। সাফিয়্যা (রা.) সেই হাঁটুতে পা রেখে উটের হাওদায় ওঠে বসতেন। [সহিহ বুখারি: ৪২১১]

আম্মাজান সাফিয়্যা (রা.) বলেন,❝একবার রাসূল ﷺ তাঁর স্ত্রীদের সাথে হজ্বে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমার উট বসে পড়ল, কারণ ওটা ছিল সবচেয়ে দুর্বল উট, তাই আমি কেঁদে ফেললাম। নবী ﷺ আমার কাছে আসলেন আর আমার চোখের জল নিজের জামা ও হাত দিয়ে মুছে দিলেন।❞ [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৩৭]

সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি তাঁর স্ত্রীর সাহায্যে নিজের হাঁটু বিছিয়ে দেন আর সেই হাঁটুতে পা দিয়ে ভর করে স্ত্রী উটের পীঠে চড়েন! কী অসাধারণ দৃশ্য! কী চমৎকার বিনয় ও ভালবাসা! আবার স্ত্রীর চোখের পানি নিজের জামা ও হাত দিয়ে পরম মমতায় মুছে দেন। অন্য হাদিসে এসেছে, তিনি উঠের পীঠে তন্দ্রালু হয়ে পড়তেন, তখন নবীজি তাঁর মাথা ধরে রাখতেন! একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে আর কী চায়?

একজন স্ত্রী হিসেবে সাফিয়্যা (রা.) নিজ স্বামী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন? কতটুকু ভালবাসতেন? এটি বুঝতে একটি হাদিসই যথেষ্ট হতে পারে।

হাদিসে এসেছে,❝রাসূল ﷺ যখন প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, তাঁর স্ত্রীরা তাঁর চারপাশে জড়ো হলেন। তখন সাফিয়্যা (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতে পারতাম!’ (অর্থাৎ, আপনার কষ্টটা আপনার না হয়ে যদি আমার হতো!) তাঁর কথা শুনে অন্য স্ত্রীগণ মুখটিপে হাসলেন। রাসূল ﷺ তাঁদের দেখে ফেললেন এবং বললেন, ‘তোমাদের মুখ ধুয়ে ফেল।’ তাঁরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেন?’ তিনি জবাবে বললেন,‘কারণ তোমরা তাঁকে বিদ্রুপ করেছ। আল্লাহর শপথ! সে সত্য বলছে।❞
[তবাকাতে ইবনে সা'দ: ৮/১০১]

জ্বী, এটিই বাস্তবতা। জ্ঞানীরা বলেন, নারীকে আপনি যেটুকু ভালবাসা ও সম্মান দিবেন, সে বিনিময়ে তারচেয়ে বেশি ভালবাসা ও সম্মান ফিরিয়ে দেবে। আবার তাকে যতটুকু ঘৃণা দেখাবেন, বিনিময়ে সে তারচেয়েও বেশি ঘৃণা ফিরিয়ে দেবে।
(যাহোক, এটা কোনো চিরন্তন সত্য বা ওহির বাণী নয়, আপনারা এতে দ্বিমত করতেই পারেন। আমরা প্রাসঙ্গিক হিসেবে এটি উল্লেখ করলাম মাত্র।)

মূলকথা হলো, স্ত্রীকে ভালবাসা ও সম্মান দিন। তাকে রানির মত ট্রিট করুন। সে আপনাকে রাজার মত ট্রিট করবে, আপনাকে সম্মান করবে, ভালবাসবে। যেমনটি আমরা দেখেছি সাফিয়্যা (রা.) ও নবীজির জীবনে।আপনার স্ত্রীকে রানির মর্যাদা দিন, বিনিময়ে তিনি আপনাকে রাজার মর্যাদা দিবেন।

31/05/2021

দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ একটি গল্প❤️

৩৪ বছর বয়সী এক মহিলার বিয়ে হয়নি। অনেক চেষ্টার পর যার সাথে বিয়ে ঠিক হল তার আত্মীয় বিয়ের ঠিক আগের দিন, সমবয়সী বলে বিয়ে ভেংগে দিয়ে যায়।
অভিযোগ ছিল, এই বয়সে মেয়ে গর্ভবতী হতে পারবে না।

বিয়ের আগের দিনই বিয়ে ভাংগার ব্যপারে ছেলের পুর্ন সমর্থন ছিল। ছেলেও হঠাত বলে বসে বয়স্ক মেয়ে বিয়ে করব না। ৩৪ বছর বয়সী মেয়েটার (নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না) মাথায় আকাশ ভেংগে পড়ে। বয়স, অপমান, লজ্জা, ভবিষ্যত দুশ্চিন্তা তাকে ঘিরে ধরে।

নিজের একটু শান্তির জন্যে সে উমরাহতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মদীনাতে, মক্কাতে তার প্রার্থনা কতটা আবেগের ছিল জানি না। শুধু এটুকু জানি, সিজদাতে, কান্নারত অবস্থায় সে কুরআনের একটা আয়াত তিলাওয়াত করতে থাকতো।

'তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না' - (সুরাহ যুমার: ৫৩)

উমরাহ শেষে দেশে ফেরার পর এয়ারপোর্টের লাগেজ বেল্ট থেকে সুটকেস বের করতে বেগ পেতে হচ্ছিল বোনটার। পাশের এক সুদর্শন পুরুষ বেল্ট থেকে তাকে ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে চলে গেল।

এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে মেয়েটা তার অপেক্ষারত বোন আর দুলাভাইকে দেখতে পেল। সাথে দেখতে পেল বেল্ট থেকে লাগেজ নামিয়ে দেওয়া লোকটিকে। দুলাভাই পরিচয় করিয়ে দিলেন মেয়েটিকে তার বন্ধুটির সাথে। আর এই পরিচয় বিয়েতে রুপ নিতে সময় লেগেছে খুব কম।

দু'আর রিফ্লেকশন সিনেমাটিক মনে হয়েছে? তাহলে আরও শুনুন। বোনটির বিয়ের পর সন্তানের সংখ্যা ৩ জন, তাও আবার জময।আমি এতে অবাক হইনি।

এখানে শেষ না, যেই মানুষটা বয়সের অজুহাতে বিয়ের আগের দিন বিয়ে ভেংগে ফেলেছিল এবং পরে কম বয়সের মেয়ে বিয়ে করেছে , তার বিয়ের পর অনেক চেষ্টা করেও সন্তান হচ্ছে না।

যাইহোক। এটা তাদের ব্যাপার। সন্তানহীন, সেটা আল্লাহর ইচ্ছা। দোষারোপের উদ্দেশ্যে বলিনি। আমার উদ্দেশ্য এটা বুঝানো, দু'আয় কবুল হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে দু'আ করতে থাকুন। একিন সৎ হলে, আর হালাল পথে চললে একদিন দু'আ কবুল হবে ইনশাআল্লাহ্।

'বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।' - (সুরা যুমারঃ ৫৩)

কালেক্টেড

Address

Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া:

Share

Category

★আমাদের কাজ সম্পর্কে ও কিভাবে আমাদের কাছে বায়ো দিবেন★

আসসালামু আলাইকুম ।

Sunnah Matrimony -সুন্নাহ ম্যারেজ মিডিয়া

পেইজের মুল লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীনদার পাত্র-পাত্রীর সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করা ।

Ø পাত্র-পাত্রী রা তাদের ডিটেইলস বায়োডাটা আমাদের ফরমেট অনুযায়ী বা আমাদের ফরমেটের কাছাকাছি ফিলাপ করে আমাদের পেইজের ইনবক্সে দিবেন । বায়োডাটায় একটিভ ইমেইল অবশ্যই দিতে হবে।