10/21/2024
সালটা ঠিক ২০২১ করোনার শেষকালিন সময় আমার পেজের সিগনেচার প্রডাক্ট ছিলো।আমি শখের বসেই একটা মাস্ক কিনে আমার নাম লিখে তারপর মাস্কটা পড়ে ছবি পোস্ট করেছিলাম তারপর থেকে অনেকেই চাইছেন তারপর ভাবলাম সবার যেহেতু এত ভালো লেগেছে নতুন আইডিয়া এবং পড়লেও বেশ সুন্দর লাগতো তারপর পেজে উটালাম বিভিন্ন গ্রুপ তারপর টিকটকেও ভিডিও আপলোড করা সব যায়গায় এক্টিব থাকা,হটাৎ আমার মাস্ক এর একটা ভিডিও ভিউ হয় ৭হাজার ৪শ এইরকম অনেক কমেন্ট আসে Order করার জন্য আলহামদুলিল্লাহ এই সময় টা যে আমার জ কত বড় ব্লেসিং ছিলো,আমি অনেক টাকা ইনকাম করেছি এই মাস্ক আর কম্ভ সেল করে তখন তেমন কেউ করে নি অনেকে জানতো না,বিভিন্ন জেলা,বিভিন্ন জায়গার মানুষ Order সবকিছু তখন অবাক লাগতো,আমাকে অনেক হ্লেপ করেছে আমার ফ্রেন্ড জেসমিন,ভালো লাগে আসলে এখন আমার কাজগুলা দেখতে অনেকেই যারা নতুন বিজনেস করেন বা করতেছেন শুধু একটা কথাই বলবো,বিজনেস সব সময় লাভবান নয়,লস আপনাকে শিখাবে মাথায় নতুন আইডিয়া দিবে।সবসময় ধৈর্য ধরে এক্টিব থাকা উচিত কাজের মান সব সময় ভালো রাখা উচিত।আমার পেইজের একটা মাস্ক এর দামই আমি রাখতাম ১২০টাকা কারণ মাস্ক আমি খুব ভালো কোয়ালিটির কিনতাম এবং আমার কিনা দামি থাকতো ৩০-৪০টাকা সাথাএ রিক্সা ভাড়াত আছেই,এবং যে কালারটা আমি ইউজ করতাম এইটা কোন সাধারন কালার বা ফেব্রিক কালার না এক্রেলিকি ইউজ করতাম যে টিউবটাতে কালার থাকত ৭০মিলি এইটার কিনা দাম পরতো ৮০-৯০টাকা একদম ওওয়াটারপ্রুফ ছিলো এবং কালারটিতে স্পারক্লিং করতো যেটা কাস্টমারদের নজর কারতো।কেউ কখনোই অভিযোগ করতো না দাম বেশি উল্টো দেখা যেতো তারা ৫-৮টা করে Order দিতো এইটা নিম্ন বললাম এমন আমি Order নিছি ১০-২০টা শুধু একজনের Order তার ফেমিলি ফ্রেন্ডসদের জন্য,প্রিতিদিন Order আসতো জেসমিন মেয়েটা আমার অনেক কস্টের সাক্কি বলতে পারি আমার অনেক পাহাড় পপরিমান কাজকে সহজ করে দিত শুধু এইটা বলে যে তুমি Order নেও আমি আছি তুমার সাথে,কিসের রাত কিসের দিন আমার বাসায় আসতো হেল্প করতো অনেক সময় হেল্প না করলেও সাহস দিত তুমি পারবায় আরে এইটা তুমার জন্য কোন বিষয় না করো।কোন রকম হিংসা কপি করা ছাড়া স্বার্থহীনভাবে করে গেছে।
আমি দেখি অনেক ছোট আপুরা বড় আপুরা কাজ করছেন যখন দেখি হাতের কাজ নিতে তখন Appreciate না করে পারা যায় না।সবাইকে একটা কথাই বলবো বাসায় বসে কাজ করা কিন্তু কোন ছোটকাটো বিষয় না,আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম রিযিকের মালিক আল্লাহ। কারও রিযিক কেউ নিতে পারে না,চেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাওয়া উচিত আর আল্লাহর উপর ভরসা।
আমি অই সময়টাতে স্টুডেন্ট ছিলাম আমি কোন সময় ভাবিও নাই কোন দিন বিজনেস করবো ফেমিলিকে গিফট করবো,এখন সংসার জীবন তাও বিদেশে সাথে ২টা বাচ্চা নিয়েও আমি বিজনেসটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি তাহলে আপনারা কেনো পারবেন না?অলসতা শয়তানের বাসা বন্ধু, আমি ডিপ্রেশন চিন্তা স্ট্রেস এইগুলো কখনোই আমাকে গিলতে পারে নাই শুধু আমার এই কেলিগ্রাফি আর বিজনেসটার জন্য, আমি যে টাকার জন্য বিজনেস করতে হবে এখন এমন না কারন আমাকে আমাদের বাচ্চাদের চালানোর জন্য আমার রুমান আছেন।কিন্তু শখ?শখের নেশা যে বড় খরাপ এইটা আমাকে চাড়ে না আর এই শখ যদি আমাকে টাকা এনে দে তাহলে বিজনেসটাও চলুক।
আমার শখের ভালোবাসার একটা বিজনেস: Ayesha's calligraphy
প্রথম ছবিটা আমার কাস্টামার রিভিউ✨
এইরকম হাজারো রিভিউ হাজারো মানুষের দুয়া, ভালো আচরন, আজ আমার সাথে আছে বলেই আমার কঠিন রাস্তা সহজ করে দিচ্চেন আল্লহ।মানুষের জজীবনে টাকা যেমন প্রয়োজন তেমন মানুষের দুয়া ভালোবাসাও এইগুলা যে কিভাবে কাজের লাগে তা বলার মতো না একদম ম্যাজিক এর মত। আমি এই কাজের মাধ্যমেই আমার রুমানকে আমি পেয়েছিলাম ,আর এইভাবেই যেনো সারাজীবন এক সাঘে থাকি।এক মানুষেটা যেভাবে আমাকে সবকিছুতে সাহস এবং সাপোর্ট দিয়েছেন তা আমি কোন দিন সুধ করার মতো না।