ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob

ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob amader shoishob ইহা সম্পুর্ন শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দিবে

একটা সময় ছিলো, যখন BTV তে কোরআন পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিত। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো। অতঃপর হাসিমুখে উপ...
27/01/2023

একটা সময় ছিলো, যখন BTV তে কোরআন পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিত। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো। অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরী উপস্থাপিকা, আর বলতেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি..... ঠিক তখনই বুক ধকধক করতো উত্তেজনায়, প্রায়ই ভালোভাবে ছবির নাম শুনতে পেতাম না!!

শুক্রবার আসলেই সে কী ব্যস্ততা। চারপাশে সবাই ৩টার আগে কাজ শেষ করতেন। কারণ ৩টায় ছায়াছবি প্রচার করা হবে। আর ৮:৩০ টা বেজে উঠার আগেই সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলতো। কারণ, উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে আলিফ লায়লার অপেক্ষায়।

তারপর বিজ্ঞাপন হচ্ছেতো হচ্ছেই, আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় মিউজিক। শুরু হতে হতেই আবার বিজ্ঞাপন। মাত্রই কাহিনীতে মনোযোগ দিতে দিতেই শেষ হয়ে যেতো, লেখা উঠতো আগামী পর্বে দেখবেন...। এত অল্প সময় দেখাতো, তবুও আনন্দের শেষ নেই তখন।...

"আমি বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে" , আমরা নতুন আমরা কুড়ি, এসো গান শিখি সবাই মিলে"— আহ্ কি মিউজিক ছিলো এখনো কানে বাজে আর বিজ্ঞাপন গুলোতো একদম মুখস্ত ছিলো।

এখনও সব আছে, কিন্তু আর বুকে কাঁপন তুলে না। সেই উপস্থাপিকাও আছেন, হয়তো আজ তার লিপস্টিক আরো কড়া হয়েছে। তিনি এখনো আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে এখন আর মনোযোগী করে না। ছায়াছবি দেখার জন্যও এখন কেউ শুক্রবারের অপেক্ষা করে না। এখনকার পিচ্ছিরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। একসাথে ২০/৩০ জন মিলে আগে যেভাবে আনন্দের সাথে টিভি দেখতাম। এখন তা কল্পনাও করা যায় না। ডিজিটাল যুগ এসেও আমাদের শৈশবের দিনগুলোকে ভুলাতে পারেনাই।আমরা এখনো শৈশবের দিনগুলোকে বড্ড মিস করি। কত সুন্দর ছিলো আমাদের শৈশবের সময় টা।

এই BTV নিয়ে আমাদের স্মৃতির শেষ নেই। আমাদের একটা কাল এই বিটিভি জুড়েই ছিলো।

বর্ষায় যখন নদীতে মাছ ধরতাম
08/01/2023

বর্ষায় যখন নদীতে মাছ ধরতাম

স্মৃতি কখনও হাসায়, কখনও বা কাঁদায়,কখনও নিয়ে যায় সেই অতীতে,কখনও ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাই খুঁজে ফিরি আগের ছোঁয়া যা আছে শৈ...
02/01/2023

স্মৃতি কখনও হাসায়, কখনও বা কাঁদায়,
কখনও নিয়ে যায় সেই অতীতে,
কখনও ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাই
খুঁজে ফিরি আগের ছোঁয়া যা আছে শৈশব মনেতে

যদি চিনতে পারেন তাহলে বুঝবো আপনার শৈশব অনেক মধুর ও সুন্দর ছিল 🥰🥰
10/11/2022

যদি চিনতে পারেন তাহলে বুঝবো আপনার শৈশব অনেক মধুর ও সুন্দর ছিল 🥰🥰

সবার শৈশবেই একান্ত কিছু দিন ছিল ।মাথার উপর ঘোর বৃষ্টি । হাঁটুসমান পানি । মাঝখানে ফুটবল । দুইদিক থেকে সমানে লাথির গোলাগুল...
03/07/2022

সবার শৈশবেই একান্ত কিছু দিন ছিল ।

মাথার উপর ঘোর বৃষ্টি । হাঁটুসমান পানি । মাঝখানে ফুটবল । দুইদিক থেকে সমানে লাথির গোলাগুলি, গোল হইতো না কোনোদিকেই ।

হুদাই যেকোনো একদিকে দৌঁড়াইয়া পানির উপরে ঝাঁপ দেওয়া আর দিনশেষে সবারই কাদাভূত হয়ে ঘরে ফেরা।

একটা সময় ছিল যখন সব ছিল, ছিল ফসল ভরা মাঠ, গোয়াল ভরা গাই আর পুকুর ভরা মাছ, এখন সে সব আর নেই তেমন। মানুষ গুলোই শুধু আছে কি...
03/07/2022

একটা সময় ছিল যখন সব ছিল, ছিল ফসল ভরা মাঠ, গোয়াল ভরা গাই আর পুকুর ভরা মাছ, এখন সে সব আর নেই তেমন। মানুষ গুলোই শুধু আছে কিন্তু সেই সুন্দর দিনগুলো আর নেই। এখন সবাই বৈষয়িক। টাকা পয়সা, ব্যবসা বাণিজ্য, কেরয়িার নিয়ে ব্যস্ত সবাই। মানিসক বিকাশের কোনো সুযোগ আর নেই। নেতৃত্বের অভাবে সব বন্ধ হয়ে গেছে। খালে বিলে ঝাপ দেওয়া নেই, পুলের গোড়ায় ছোট্ট টং রেষ্টুরেন্টে সকালে পরোটা আর ভাজি খাওয়া নেই, দুপুরে ডুবা তেলে ভাজা গুলগুল্লা খাওয়া নেই। সেই জাম গাছ নেই। পুকুরে সাঁতার কাটা নাই, শেঁওলা জমে গেছে পুকুরে। খালগুলো মরে গেছে। সেই জোয়ারের ঘোলা পানির স্রোত নেই , খেলার মাঠে কেউ খেলতে নামে না, পাঠাগার বন্ধ হয়ে গেছে কবেই। এখন কেউ চিঠিও লেখে না। পত্রমিতালি নেই। ডাক পিয়নের সাইকেলের ঘন্টি বাজিয়ে চিঠি নিয়ে আসা নেই। নাটক নেই, ভলিবল খেলা নেই, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নেই, যাত্রাপালা নেই, নৈাকা বাইচ নেই। কারো হাতে বই নেই কিন্তু সবার হাতে আছে মোবাইল।

25/01/2021

"PTZ বনভোজন ২০২১"
লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্ক, জামালপুর।

পুরো দমে চলছে বনভোজনের আয়োজন, সবার জন্য থাকছে যাতায়াত সুবিধা। আমন্ত্রিত অতিথিদের পুরোপুরি বিনোদন দিতে থাকছে খেলাধুলা গান বাজনা সহ নানা আয়োজন।
এছাড়াও থাকবে লটারি সকালের নাশতা দুপুরে ভরপুর খাওয়া দাওয়া সহ দিন ভর আনন্দ বিনোদন। আপনিও শরিক হতে আজই যোগাযোগ করুন নিম্ন নাম্বারে।
মোবাইল নাম্বার- ০১৬১৫-৬০০৮০০
মোঃ সানোয়ার হোসেন, এডমিন ও সভাপতি
প্রিয় টাংগাইল জেলা ফেসবুক গ্রুপ।

♥PTZ বনভোজন ২০২১♥
১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার
লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্ক, জামালপুর।

29/11/2020

বাংলাদেশের কাঠবিড়ালি

ফিরে দেখা শৈশবের ইঁদুরের গর্ত খুড়ে ধান সংগ্রহ স্মৃতির পাতায় এখনো ভেসে ওঠে দিনগুলো
27/11/2020

ফিরে দেখা শৈশবের ইঁদুরের গর্ত খুড়ে ধান সংগ্রহ
স্মৃতির পাতায় এখনো ভেসে ওঠে দিনগুলো

"জোলাপাতি" খুব ছোটবেলায়, যখন আপনি টাকাই চেনেন না, তখন কি বাজার করেছিলেন? কিংবা যখন ভাত রান্না করতে পারার কথা নয়, তখন ভাত...
04/09/2020

"জোলাপাতি"

খুব ছোটবেলায়, যখন আপনি টাকাই চেনেন না, তখন কি বাজার করেছিলেন? কিংবা যখন ভাত রান্না করতে পারার কথা নয়, তখন ভাতের হাঁড়ি চুলায় তুলেছিলেন? কিংবা একদঙ্গল ছেলেমেয়েকে হাঁড়ি থেকে খাবার বেড়ে দিয়েছিলেন? এখন যখন আপনি নিজেই সংসারে ব্যস্ত, তখন হয়তো আপনার সেসব কথা ভেবে দেখার সময়ই নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, বাড়ির পেছনের ফাঁকা জায়গায়, ঘরের কোণে, গাছতলায় আপনি সেই শৈশবে আপনার সংসার সাজিয়েছিলেন খেলার ছলে! সে কী ব্যস্ততা আপনার! মনে পড়ে? হয়তো আপনার সন্তান সঙ্গীর অভাবে এখন সে খেলা আর খেলতে পারে না।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, বড়রা যা করে, ছোটরা তা–ই শেখে। জোলাপাতি খেলা ছোটদের ‘বড় খেলা’! জোলাপাতি বললে অনেকেই এই খেলাকে নাও চিনতে পারেন। কিন্তু ‘হাঁড়িপাতিল’ বা ‘বউ বউ’ বললে চিনতে পারবেন সহজেই। শিশুদের স্বপ্নের সংসার এই জোলাপাতি। ভবিষ্যতে সে যে সংসারে প্রবেশ করবে, এই খেলা যেন তারই ‘পাকা তালিম’।

‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’—ভরদুপুরের অবসরে এখনো কানে বাজে এই সুর। এক অলৌকিক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। সময়...
04/09/2020

‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’—
ভরদুপুরের অবসরে এখনো কানে বাজে এই সুর। এক অলৌকিক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। সময় হয়তো কিছুটা আটকে যায়। অথবা আমরাই আটকে যাই ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ’র মাদকতায়। ফিরে যাই নির্মল শৈশবের দিনগুলোয়। বিকেলের চুরিয়ে যাওয়া আলোয় একদঙ্গল ছেলেমেয়ে চোখ–বাঁধা কানামাছিকে ‘টুকি’ দিতে দিতে সুর করে গলা ছেড়ে গাইছে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’। অথবা স্কুলের টিফিনের স্বল্প সময়ে একই দৃশ্যের পুনরাবর্তন। কানামাছি একজনকে ছুঁয়ে দিল, তো নতুন এক কানামাছির জন্ম হলো। এভাবে একের পর এক কানামাছির পরিবর্তন। কিন্তু সুর ও ছন্দ অপরিবর্তনীয়। আপনার বয়স যা–ই হোক না কেন, হারজিতের প্রশ্নহীন কানামাছি খেলার সেই ছন্দ ও সুর আপনাকে এখনো স্মৃতিকাতর করে তুলবেই।

ফিরে দেখা স্মৃতি গুলোঃশৈশব প্রত্যেকের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিন গুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোট...
30/08/2020

ফিরে দেখা স্মৃতি গুলোঃ

শৈশব প্রত্যেকের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিন গুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোটাছুটি করে দৌড়ে বেড়ানোর এক অন্যতম মুহূর্ত। আমার শৈশব যেন আজও আমাকে ডাকে বলে আয়-ফিরে আয়।

সত্যিই আজও বার বার ফিরে যেতে মন চায় ফেলে আসা সেই শৈশবের দিন গুলিতে। মনে পড়ে অবাধে ঘোরা ফেরা আর খেলে বেড়ানো সেই সব দিনগুলির কথা। আপনিও হয়তবা শৈশব শব্দটি পড়েই স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে।

আমাদের বাড়ি গ্রামে। আমার ছেলেবেলা কেটেছে গ্রামেই। গ্ৰামের সোঁদা মাটির গন্ধ। পিয়ারা গাছের সাথে মোটা দড়ি দিয়ে বাঁধা দোলনা, বর্ষাকালে সোনা ব্যাঙের, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পুকুরের স্বচ্ছ টলমল জলে তাজা কই, শিঙি ও মাগুর মাছ প্রভৃতির মত সুন্দর প্রকৃতি আজও আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

শহরের এই ইট কাঠ পাথরের চার দেয়ালের মধ্যে থেকে যখন হতাশাটা গভীর হয়ে আসে তখন আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই সেই আমার ছেলেবেলার কাটানো মুহূর্তগুলো। দিগন্তজোড়া সবুজ খোলা মাঠ, নীল আকাশে মুক্ত বলাকার দল, সোনালী ধানের শীষ।

বাতাসে ভেসে আসে রাখালের বাঁশির সুর, মাঝির কণ্ঠে গাওয়া ভাটিয়ালি গান, শৈশবে চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। গ্রামের জীবনকে আমি পথের বাঁকে ফেলে এসে শহরের জীবনে যতই খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করি ততই ফিরে আসি সেই আমার শিকড়ে। আমার শৈশব, কৈশোর তাড়িত করে আমি এখন মৌলিক জীবনের পথে। আমি আধুনিকতা আর শিকড়ের টানাটানিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।

স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সুখের তা হলো আমার স্কুল জীবন আর শৈশব।আরো ২০ বছর আগে প্রাইমারি স্কুল পার করে এসেছি। ...
21/07/2020

স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সুখের তা হলো আমার স্কুল জীবন আর শৈশব।

আরো ২০ বছর আগে প্রাইমারি স্কুল পার করে এসেছি। তারপরও সেসব স্মৃতি আমার জীবনের অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে। আমার দুরন্ত শৈশব আর স্কুলের কথা মনে পড়লে মাঝে মাঝে মনে হয় কেন বড় হলাম। ছোট থাকাই ভালো ছিল।

আমি পড়তাম গোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে হাই স্কুল তারপর ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি বড়দের বরাবর সম্মান করে চলি। শিক্ষক আর বন্ধুদের স্নেহ- ভালোবাসায় আমার স্কুল জীবন হয়ে উঠেছিল আনন্দের ও গৌরবময়।

স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন ছিল আমার জন্য বেশ আনন্দের। সারাবছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করতাম। সেদিনটা হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ-কোলাহল, আমোদ-কৌতুকে কেটে যেত। এ দিনে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হতো। আমি ভালো ফলের জন্য পুরস্কার না পেলেও এই দিনটা খুব উপভোগ করতাম।

শৈশব আর স্কুলের গল্প করতে গেলে বন্ধুদের কথা আগে বলা দরকার। বন্ধু ছাড়া স্কুল আর শৈশব আমি চিন্তা করতে পারি না বন্ধুগুলোকে আমার অস্তিত্ব মনে হতো। কে বেশি কাছের তা আলাদা করা কঠিন।

তবে একজন আছে যার কথা একটু আলাদা করে লিখতেই হয়। ওর নাম রেদোয়ান। ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের শুরুটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে।

রেদোয়ান সব সময় লুকিয়ে আমার ক্লাসের খাতা ছিঁড়ে ফেলত। ও চাইতো না আমি ওর চেয়ে ভালো ফল করি। কেন এমন করতো জানি না। টের পেয়ে আমিও লুকিয়ে ওর খাতা ছিঁড়ে রাখতাম।

একজন আরেকজনের পেছনে বসে শার্টে কালি লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা তো ডাল ভাত হয়ে গিয়েছিল। এখন এসব কথা মনে হলে হাসি পায় আবার কখনও চোখ ছলছল করে ওঠে।

এমন ঠাণ্ডা যুদ্ধ করতে করতে আমরা কখন ভালো বন্ধু হয়ে গেছি টের পাইনি।

স্কুল, বন্ধু, শৈশব সবকিছুই আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা তো হওয়ার নয়। সময়ের স্রোত অতীত ফিরিয়ে দেয় না। তাই স্মৃতি হাতড়ে বেঁচে থাকতে হয় জীবনভর।

ঘুড়ি উৎসব, গগন জুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি
27/06/2020

ঘুড়ি উৎসব, গগন জুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি

27/06/2020

নৌকা ঘুড়ি

26/06/2020

ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা ২০২০

আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য! অন্য সময় তাদের দেখা মেলা ভার। হালের নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়া তর...
08/06/2020

আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য! অন্য সময় তাদের দেখা মেলা ভার। হালের নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়া তরুণ প্রজন্মকে মাঠে ফেরাতে দারুণ কাজ করছে ঘুড়ি। গ্রাম বা শহরে এখন ঘুড়ি ওড়ানো খেলা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। শিশুরা বড় হচ্ছে খাঁচার মধ্যে। ঘরে বসে শহুরে শিশুরা কম্পিউটার বা ভিডিও গেইম খেলে সময় কাটায়। যারা মাঠে যায়; তারা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। গ্রামীণ শিশুদের মধ্যেও ক্রিকেট খেলার জোয়ার বয়ে গেছে। তবে ঘুড়ি ওড়ানো খেলা একেবারে হারিয়ে গেছে। একসময় এ দেশের ছেলেপুলেরা প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতো। শরৎ, হেমন্তের বিকেলের আকাশ ছেয়ে যেত ঘুড়িতে। আকাশজুড়ে উড়ে বেড়াত নানা রঙের ঘুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি কত রঙের ঘুড়িতে আকাশ ছেয়ে যেত! দেখে মনে হতো, নানা রঙের মেলা বসেছে আকাশজুড়ে। কোনো ঘুড়ি কাটা গেলে মনে হতো রঙের মেলা থেকে যেন একটি রং খসে পড়ল। একসময় ঘুড়ি ওড়ানো আর ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতার রেওয়াজ ছিল। যা এখন প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে এখনো কোথাও কোথাও ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব হয়ে থাকে।
‘আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা, তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা। আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি, তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি।’ সুফিয়া কামালের লেখা ‘আজিকার শিশু’ কবিতা মনে করিয়ে দেয় শৈশবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দময় স্মৃতি। করোনাভাইরাসের লকডাউনে অনেকটাই ফিরেছে ঘুড়ি ওড়ানো সেই বিকেল। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা যেমন ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তেমনই অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড়রাও ঘুড়ি উড়ানোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন বিকেল হলেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ ভবনের ছাদ এবং গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ময়দানে দেখা মিলছে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব।

ঘুড়ি এক প্রকারের হাল্কা খেলনা, যা সুতা টেনে আকাশে ওড়ানো হয়। পাতলা কাগজের সঙ্গে বাঁশ থেকে বানানো চিকন কঞ্চি লাগিয়ে সাধারণত ঘুড়ি তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপাদান ও নকশার ঘুড়ি রয়েছে। বিশ্বজুড়েই ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। বহু দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো একটি অবসর বিনোদন। বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা রয়েছে।

ঘুড়ি উদ্ভাবন এবং ওড়ানোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। কিংবদন্তি আছে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়। গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এরও বহু যুগ পূর্বে এশিয়া মহাদেশের লোকেরা ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যাপারে দক্ষ ছিল। চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্যে, প্রায় ২,৮০০ বছর পূর্বে চীন দেশে ঘুড়ির সর্বপ্রথম উৎপত্তি ঘটেছে। পরবর্তীকালে এটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও ইউরোপে ঘুড়ি খেলাটির প্রচলন ঘটে প্রায় ১,৬০০ বছর পূর্বে।
প্রথম দিকে ঘুড়ি কাগজ অথবা হাল্কা তন্তুজাতীয় সিল্কের কাপড় দিয়ে উড়ানো হতো। ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানের অংশ হিসেবে ঘুড়িতে বাঁশের কঞ্চি কিংবা অন্যান্য শক্ত অথচ নমনীয় কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। সুতা কিংবা পাতলা দড়ি ব্যবহৃত হয়। আধুনিককালের ঘুড়িগুলোয় সিনথেটিকজাতীয় পদার্থের প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত। কোনোটি আকারে খুব বড় ও দেখতে মনোহর। আবার কোনোটি আকারে খুবই ছোট যা দ্রুত উড়তে পারে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ব্রিস্টল ঘুড়ি উৎসব শেষে সবচেয়ে বড় ঘুড়িটি প্রায় ২০ মিনিট আকাশে অবস্থান করে। এটি ভূমির প্রায় ১০,৯৭১ বর্গফুট জায়গা দখল করেছিল। বিভিন্ন দেশে ঘুড়ির বিভিন্ন রকম নামকরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ঘুড়ির নামগুলো হচ্ছে- চারকোণা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, আগুন পাখি, প্যাঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি লেজ, চিলঘুড়ি, বেত, ডাক, মানুষ ও তারাঘুড়ি, পাল তোলা জাহাজ প্রভৃতি।

ঘুড়িপ্রেমীদের তথ্যমতে, শীতের শেষে বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন জেগে উঠতো, তখন গ্রামের বিলগুলোতে চলতো ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক কিশোরের হাতে থাকতো লাটাই ও সুতা। আকাশে উড়তো বিচিত্র নামের রঙিন ঘুড়ি। তার সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা থেকে তোলা পাতলা সুতা কিংবা বেত ও বাঁশের পাতলা চ্যাটা একটি ধনুকের মতো ছড়ের সঙ্গে বিশেষভাবে বেঁধে ঘুড়িতে জুড়ে দিলে উড়ন্ত ঘুড়ি থেকে সুরেলা শব্দ শোনা যেতো। একে ডাক ঘুড়ি বা বেনা ঘুড়ি বলা হতো। ইদানিং অনেকেই বাড়ির ছাদে নিজেদের ঘুড়ি উড়ানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। এসব ছবি দেখে অনেকেই ফিরে যাচ্ছে সেই পুরোনো স্মৃতির দিকে। এখনকার চিত্র দেখলে মনে হচ্ছে, সেই ঘুড়ি ওড়ানো বিকেলগুলো হয়তো আজ আবারও ফিরে এসেছে। গ্রামে-গঞ্জে এখন ঘুড়ি উড়ানোর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শিশু-কিশোররা উড়াচ্ছে ঘুড়ি। বাতাসে দুলতে দুলতে ভূপাতিতও হয় ঘুড়িগুলো।

শিশু-কিশোররা রাতে উড়ানোর জন্য ঘুড়িতে যুক্ত করেছে ব্যাটারি চালিত বাতি, যা রাতে উড়ানো ঘুড়িতে জ্বলছে। বড়দের কেউ কেউ ঘুড়ি বানাতে পারলেও শিশু-কিশোররা বেশিরভাগই ঘুড়ি কিনে উড়িয়ে থাকে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। এ কারণে গ্রামের ঘুড়ি তৈরিতে যুবকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তাদের কাছেই এখন মিলছে ঘুড়ি। সাধারণত যেকোনো ডিজাইনের একটি ঘুড়ির দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তারা জানান, এখন প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, করোনাভাইরাসে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। তাই বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে।

04/06/2020

শৈশবের বৃষ্টি আজও মনে পরে যায়, ভিজতে বড় ইচ্ছে জাগে মনে

আমাদের শৈশব হারিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে অনেক খেলা। এখন সেসব খেলার কথা মনে হলে খেলার সঙ্গীদের কথা মনে পড়ে যায়, মনে...
02/06/2020

আমাদের শৈশব হারিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে অনেক খেলা। এখন সেসব খেলার কথা মনে হলে খেলার সঙ্গীদের কথা মনে পড়ে যায়, মনে পড় শৈশবের হারিয়ে যাওয়া খেলা আর স্মৃতির কথা। আমরা উদাস হয়ে যাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও।
‘শৈশব’ শব্দটা শুনলেই কেমন যেন একটা ধূসর গল্পের জগৎ সামনে চলে আসে। নির্ভার, চিন্তাহীন একটা সময়। কত কীই–না করেছি আমরা সে সময়! কত গল্প, কত দুষ্টুমি আর কত খেলা। যাঁরা এখন এই লেখার পাঠক, তাঁদের শৈশবের স্মৃতি এখন বেশ খানিকটা ফিকে হয়ে গেছে। শৈশবের কথা উঠলেই এখন খেলার সঙ্গী, খেলা, খেলার মাঠ আর কত হাজারো রকমের স্মৃতি ভেসে ওঠে মনে। খেলার সঙ্গীরা এখন কে কোথায়, সেটা জানা নেই। কিন্তু খেলার স্মৃতিটুকু রয়ে গেছে। চলুন আরেকটু উসকে তোলা যাক সেই স্মৃতি ছবি গুলো দেখে.....

শৈশব, আহা মধুর শৈশব। শৈশব এক আনন্দময় স্বপ্নপুরীর নাম। স্মৃতির পর্দায় দোলা দিয়ে যায় শৈশবের রঙিন দিনগুলো। নানান খেলায় মুখর...
02/06/2020

শৈশব, আহা মধুর শৈশব। শৈশব এক আনন্দময় স্বপ্নপুরীর নাম। স্মৃতির পর্দায় দোলা দিয়ে যায় শৈশবের রঙিন দিনগুলো। নানান খেলায় মুখরিত আমাদের শৈশবের দিনগুলো ছিল সত্যিই আনন্দময়। শৈশবের তথা বাঙালির লোকজ ইচিং-বিচিং-চিচিং-চাসহ বিভিন্ন খেলাগুলো কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া ও সুযোগের অভাবে এখনকার শিশুরা হয়ে পড়েছে খেলা বিমুখ।

ঈদ মানে আনন্দ। অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল- ছোট-বড় সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপ...
24/05/2020

ঈদ মানে আনন্দ। অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল- ছোট-বড় সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ। ঈদের দিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। ঈদের আগের এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করি।

অপরের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে সচেষ্ট হই। রোজার প্রধান লক্ষ্য ত্যাগ ও সংযম। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তা হবে সবার জন্য কল্যাণকর। দুর্ভাগ্যজনক যে, রমজান সংযমের মাস হওয়া সত্ত্বেও একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে অধিক মুনাফা করেছে। রমজান মাসেও হত্যা, ছিনতাই ও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এর পাশাপাশি মানুষ কষ্ট পেয়েছে যানজটে। তবে মহাসড়কগুলোর উন্নতি হওয়ায় এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি কম হয়েছে।

আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অনেক সমস্যা আছে, আছে অনেক জটিলতা। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জাতীয় উৎসবে শ্রেণী-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ শরিক হয়। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রিয়জনকে নতুন পোশাক ও উপহার সামগ্রী কিনে দেয়। যারা সারা বছর জীর্ণ পোশাকে থাকে, তারাও ঈদের দিনে সন্তানদের গায়ে নতুন পোশাক পরাতে চায়। ঈদের আনন্দ কেবল একা ভোগ করলে হবে না, গরিব-দুঃখী মানুষকে তাতে শামিল করতে হবে। এটিও ইসলামের শিক্ষা। এ কারণেই ধনীদের জন্য জাকাত ফরজ করা হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায়ের আগেই ফিতরা দেয়ার নিয়ম। ফিতরার উদ্দেশ্য, দারিদ্র্যের কারণে যাতে কেউ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়, তার নিশ্চয়তা বিধান করা। সচ্ছলরা সঠিক নিয়মে জাকাত-ফেতরা দান করলে দরিদ্ররাও ঈদের খুশির ভাগ পেতে পারে। রমজান সংযমের মাস হলেও অনেকে খাওয়া-দাওয়া ও কেনাকাটার পেছনে অঢেল অর্থ ব্যয় করেন। দরিদ্র স্বজন বা প্রতিবেশীর প্রতি অনেকে কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাসে ব্যস্ত থাকেন। এটি ইসলামের বিধানের পরিপন্থী।

ঈদ উদযাপনের সময় আমাদের এ কথাটিও মনে রাখতে হবে। ঈদের ছুটিতে হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ জরুরি সেবা কার্যক্রম, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি যেন স্থবির হয়ে না পড়ে, সরকারকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎসব-আনন্দে সংশ্লিষ্টরা যেন দায়িত্বের কথা ভুলে না যান।

ঈদ আসে সাম্যের দাওয়াত নিয়ে। অনেকে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতাকে বড় করে দেখেন। এর মর্ম অনুধাবন করেন না। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে আনন্দ ও সম্প্রীতির বড় অভাব। ঈদ উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

এ দৃষ্টান্ত কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি তারা রাজনীতিতেও শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারেন, তবে তা হবে সমগ্র জাতির জন্য আনন্দের সংবাদ। ঈদুল ফিতরের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেবে, এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

পকেটভর্তি ব্যাঙাচি ছানা, দারকিনা ঝাঁক,শাপলার ডাঁটা, শালুক, ঢ্যাঁপ,আর কলমি শাক।স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাহাদুরি,মৃদু হাওয়ায় উ...
23/05/2020

পকেটভর্তি ব্যাঙাচি ছানা, দারকিনা ঝাঁক,
শাপলার ডাঁটা, শালুক, ঢ্যাঁপ,
আর কলমি শাক।
স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাহাদুরি,
মৃদু হাওয়ায় উড়াতাম পলিথিনের ঘুড়ি,
বরষার জলে বড়শি লয়ে চন্ডিদাস।

সেই হারানো ধুলোমাখা দিন, বুকের ভেতর আজো রঙিন শৈশব ডাকে শুধু আয়, আয়, আয়। নাগরিক কোলাহলে সবাই কুড়িয়ে তোলে শৈশব। সার্বিকভাবে দুরন্তপনা শৈশবের সঙ্গে আজ হারাতে বসেছে আবহমান গ্রামবাংলার বেশকিছু খেলা। এক সময় গ্রামীণ লোকসমাজের শিশুরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করে সময় কাটাতো। পুরো শৈশবজুড়েই থাকতো দুরন্তপনা। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলীন হতে বসেছে বেশকিছু খেলা। চার দেয়ালের খাঁচায় আটকে যাচ্ছে শৈশব।

শিশুবিদরা বলছেন, গ্রামবাংলার খেলাধুলা যেমন হারিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে হারাচ্ছে শিশুদের মেধাবিকাশের উপকরণ। ইউটিউব বা ভিডিও গেমসে আটকে যাচ্ছে শৈশব।

শৈশবের ফেলে আসা কিছু খেলা আজো মনে দোলা দিয়ে যায় সবার প্রাণে। সেসব খেলা যেমন ছিল জনপ্রিয় তেমনি স্মৃতিমধুর।শৈশবের দুরন্তপনা ছিল শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মাধ্যম। গ্রামীণ খেলা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। এক সময় গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। গ্রামীণ খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ছেলেবেলার ছোটখাটো কিছু জিনিস, যা আপনাকে স্মৃতিকাতর করবে; সেসব নিয়ে এ আয়োজন-

ইচিং বিচিং :

‘ইচিং বিচিং’ শৈশবের একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলায় বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠতো শিশুরা।

হা-ডু-ডু (কাবাডি) খেলা :

প্রতিটি দেশের একটি জাতীয় খেলা থাকে। ইংরেজদের জাতীয় খেলা ক্রিকেট, আমেরিকানদের জাতীয় খেলা বেসবল। আমাদের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। কিন্তু কালক্রমে এ খেলার কদর হারিয়ে যেতে বসেছে।

মার্বেল :

স্কুল ফাঁকি দিয়ে বা বিকেলে রাস্তার পাশে মার্বেল খেলার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? মুঠোভর্তি মার্বেল দাগের বাইরে ছুঁড়ে মেরে, নির্দিষ্ট আরেকটি মার্বেলে লাগানোর সে কী চেষ্টাই না করেছেন এককালে!

লাটিম :

ডিম্বাকৃতির কাঠের টুকরোর মধ্যে ছোট্ট একটা পেরেক ঠোকা। যেটার বাইরে রশি পেঁচিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে মারলেই ঘুরতে শুরু করে বনবন। এ লাটিম খেলেই অনেকে পার করে দিয়েছেন ছেলেবেলার পুরো দিন।

কুতকুত খেলা:

কুতকুত খেলা গ্রামবাংলার মেয়েদের খুবই প্রিয় খেলা। স্কুল থেকে আসতে না আসতে দল বেধে মেয়েরা খেলতো এ খেলা। ঘর কেটে মাটির চাড়া দিয়ে লাফানো দিনগুলো মনে পড়লে শৈশবে ফিরতে বাধ্য হন নারীরা।

গুলতি :

গাছের ডাল কেটে তৈরি করা হতো ইংরেজি ‘ওয়াই’ আকৃতির একটা কাঠামো। ওপরের দুদিকে বেঁকে থাকা ডালের মাথায় শক্ত করে বেঁধে নেয়া হতো ইলাস্টিক। এবার ইলাস্টিকের ঠিক মাঝ বরাবর একটা মার্বেল, শক্ত মাটি বা খোয়া রেখে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুঁড়ে মারলেই ঠুস! লেগে গেলে সে কী আনন্দ!

সুপারিপাতার গাড়ি :

সুপারি বা নারকেল গাছের শুকনা পাতার গাড়িতে বসে আছেন আপনি। আর সামনে ধুলো উড়িয়ে সেটা টেনে নিয়ে ছুটছে আপনার বন্ধু। হালের ঝাঁ-চকচকে গাড়িতে বসে সেসব দিনের কথা ভাবলে শিহরিত হবেন কি না?

চোর-পুলিশ খেলা :

চার টুকরো কাগজ। একেকটিতে নম্বরসহ লেখা ‘চোর’, ‘পুলিশ’, ‘ডাকাত’ আর ‘বাবু’। মামুলি সেই কাগজগুলো নিয়েই কেটে যেতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কে চোর হচ্ছে আর কেই-বা বাবু, সেটা নিয়ে অনেক সময় ঝগড়া বেধে যেতো।

কানামাছি :

কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছোঁ...এ লাইনটি কানে আসা মাত্র মনে পড়ে যায় শৈশবের দুরন্তপনার কথা। এ খেলার নাম শুনে নাই, এমন লোক পাওয়া যাবে খুব কম। বাংলাদেশের সব অঞ্চলের ছোট ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে এ খেলায় মেতে উঠতো।

ক্রিকেট :

শৈশবের কথা মনে পড়লেই এমনি এমনি এসে যায় ক্রিকেট খেলার কথা। গ্রামবাংলায় স্কুল ছুটি বা টিফিনের ফাঁকে জমতো এ খেলা। নারকেল গাছের ডাল বা কাঠ দিয়ে ব্যাট বানিয়ে খেলার চিত্র এখনো গ্রামবাংলায় চলমান।

দড়ি লাফ :

স্কুল ছুটি হলেই দড়ি লাফ। আর এ খেলাটি বেশি খেলতো মেয়েরা। পায়ে দড়ি বেধে গেলে দিতে হতো পাশে দাড়ানো সঙ্গীকে। সবাই তখন হা করে থাকতো যে লাফাচ্ছে তার দিকে। আর পাশ থেকে একজন গুণতে থাকতো। সবচেয়ে বেশিক্ষণ লাফাতে পারতো, তাকে প্রথম ধরা হতো।

টায়ার দৌড়:

সাইকেল কিংবা গাড়ির টায়ারকে লাঠি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার সঙ্গে ছুটে যাওয়া শৈশব সবার হৃদয়ে আঁচড় দিয়ে যায়।

বিয়ারিং গাড়ি:

সাইকেল বা রিকশার বিয়ারিং ও কাঠ দিয়ে বানানো গাড়ির কথা কখনো ভুলার নয়। দলে বেধে ঘুরে বেড়ানো। গাড়িতে ওঠার জন্য লাইন ধরা। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটে বেড়ানো দিনগুলো এখনো শৈশব মনে করিয়ে দেয়।

দোকানপাট:

ছোটবেলায় আরেকটি মজার খেলা ছিল মুদি দোকান। লাঠি ও নারকেল কিংবা গাছের পাতার ছাউনি দিয়ে বানানো হতো এ দোকান। বাবার কাছ থেকে চকলেট কেনার জমানো টাকায় পুঁজি ছিল এ ব্যবসার। পরে নানারকম মুদিপণ্য বন্ধুদের কাছে একটু বেশি দামে বিক্রি করাই ছিল এ খেলার মাজেজা।

চড়ুইভাতি :

চড়ুইভাতি বলতে পিকনিক বোঝায়। এ খেলায় চাঁদা দেয়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছুটিকালীন যার যার বাড়ি থেকে রান্নাবান্নার জিনিস এনে এ পিকনিকের আয়োজন করা হতো। এখন আর তা দেখা যায় না।

বাঁদর ঝোলা :

শৈশব মানে দুরন্তপনা। তাই মন চাইলেই দল বেধে গাছের ডালে বাঁদর ঝোলা হয়ে ঝুলেনি আবহমান বাংলায় সেরকম মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

ঘুড়ি :

ঘুড়ি শৈশবের সবচেয়ে বড় নিত্যসঙ্গী। পলিথিন কিংবা কাগজের সঙ্গে নারকেলের ডালের সলা দিয়ে বানানো হতো সেসব ঘুড়ি। বোতল আর লাটিম দিয়ে নাটাই বানিয়ে মায়ের কাঁথা সেলাই করার সুতা চুরি করে ঘুড়ি উড়ানোর দিনগুলো সত্যিই স্বপ্নের মতো।

ফুটবল:

স্কুল ফাঁকি দিয়ে গায়ে কাদাপানি মেখে ফুটবল খেলা শৈশবের নিত্যদিনের আয়োজন। কাদা জড়িয়ে চুপি চুপি বাড়ি ফিরে বাবার বকুনি খায়নি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সেসব দিনগুলো আজও মনে দাগ কেটে যায়।

বউ জামাই:

চুলা বানিয়ে ছেলেমেয়ে স্বামী-স্ত্রী সেজে সংসারের যাবতীয় কিছুর মিছেমিছি রান্নাবান্না খেলাকে বলা হতো বউজামাই খেলা।

ডাংগুলি খেলা :

এটি শৈশবের প্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে একটি। ২০ গজে ১ শাল। আর ১ গজে গণনা করা হতো যথাক্রমে বাড়ি, দুড়ী, থেড়ী, চাকল, চরব, ঝেক, মেক। এগুলো সবই আঞ্চলিক কথা।

ওপেন-টু-বায়োস্কোপ :

ওপেন-টু-বায়োস্কোপ, নাইন টেন তেইশ কোপ, সুলতানা বিবিয়ানা, সাহেব-বাবুর বৈঠকখানা, সাহেব বলেছে যেতে পান সুপারি খেতে, পানের আগায় মরিচ বাটা, স্প্রিংয়ের চাবি আঁটা যার নাম মণিমালা, তাকে দিবো মুক্তার মালা। এ লাইনগুলো শোনার পরেই সবার মনে পড়ে যাই ফেলে আসার দিনগুলোর কথা।

রসচুরি :

চুরি করে খেজুরের রস খাওয়ার ঘটনা ডানপিটে সবার জীবনে রয়েছে। খেজুরের গাছের সঙ্গে লাগানো রসের কাঠিতে মুখ দিয়ে খাওয়া যেনো ছিল অমৃত।

মোরগ লড়াই:

মোরগ লড়াই খেলেনি গ্রামের স্কুলে পড়েছে এমন সংখ্যা খুবই কম। এক পায়ে হাত দিয়ে আরেক পা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হাঁটু দিয়ে ধাক্কা দেয়ায় মোরগ লড়াই।

মাছধরা:

শৈশবে কাদাপানিতে মাছ ধরাও ছিল একটি খেলা। দল বেধে হাত দিয়ে মাছ ধরা আর দিন শেষে কয়েকটা মাছ নিয়ে বাড়িতে দে দৌড় ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এছাড়া শৈশবে বৌ-তোলা, লুকোচুরি, সাতগুটি, চোর-পুলিশসহ নাম না জানা আরো অনেক মজার খেলা অনেকেই খেলেছেন। যা মনে পড়লে স্মৃতিকাতর না হয়ে থাকা যায় না

ছোটবেলার স্মৃতিআজ আমি সেই ছোট শিশু নয়। আজ আমি একজন যুবক। জীবনের এতটা সময় যা যা করে পেরিয়ে এসেছি তা কখনও ভুলতে পারব না । ...
23/05/2020

ছোটবেলার স্মৃতি
আজ আমি সেই ছোট শিশু নয়। আজ আমি একজন যুবক। জীবনের এতটা সময় যা যা করে পেরিয়ে এসেছি তা কখনও ভুলতে পারব না । আজও একলা বসলে মনে পরে আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতি। সেই ছোটবেলায় প্রতিদিনটাই যে কত আনন্দ আর কত সুখে কাটিয়েছি তা ভুলার নয় । ছোটবেলায় যখন বৃষ্টি আসত তখন কত আনন্দ করে বৃষ্টিতে ভিজতাম ।মা দেখলে বকবে বলে মাকে লুকিয়ে আসতাম । আর গায়ের বন্ধুদের সাথে নিয়ে বৃষ্টি ভিজে হা-ডু-ডু খেলতাম । কত রকমের বুলি ছিল এই খেলার । আর যখন আম গাছে আমগুলো একটু বড় হয়ে আসত । তখন সেই আম পাকার আগেই কাঁচা আম নিয়ে আসতাম গাছ থেকে । আর প্রতিদিন বিকাল খেলা ছাড়াত কল্পনাই করা যায় । সেই ফুটবল খেলা আজও খুব মিস করি । আমার সাথের প্রায় সকল বন্ধুই পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে । তারা আজ পরিবারে দিকে মন দিয়েছে । তাদের সাথে এখন দেখাশুনাও খুব কম হয় । আর আমি আজও পড়ালেখায়া আছি । এখন আর আগের মত বন্ধুরা সব মিলে একসাথে আড্ডা দিতে পারি না । এখন হা-ডু-ডু আর ফুটবল কোন খেলাই হয় না । এখন সময় কাটাই ইন্টারনেটে । আর আগে আগে সময় পেলেই বন্ধুরা সব বের হয়ে যেতাম বেড়াতে । আমাদের বেড়ানোর সবচেয়ে প্রিয় স্থান ছিল আমাদের গ্রামের পাশে এক জমিদার বাড়ি । সেখানে যাওয়া মানেই বরই খাওয়ার দুম । বরই কাঁচা থাকা অবস্থায়ই খেয়ে নিতাম । আর শীতকালের প্রতি রাতেই আমাদের গ্রাম গরম হয়ে উঠত ওরস মোবারকে । ওরসে গিয়ে গান শুনা ছিল আমাদের এক ধরনের নেশা । মা এর কাছে ওরসে যাব বললে বকবে বলে বন্ধুদের নিয়ে যেতাম মার কাছে ।সবাই মিলে অনুরোদ করে ছাড়া পেয়ে আসতাম । আর গ্রামের ছোটদের সবছেয়ে সুন্দর খেলা হচ্ছে মার্বেল খেলা । এটা ছিল আমাদের নিত্যদিনের সাথি । এই খেলাতে আমিই ছিলাম খুব দুর্বল । এই খেলাগুলো এখন আর খেলা হয় না , এখন অনেক বড় হয়ে গেছি । জীবনটা যেন একবারে পাল্টে গেছে । আর ছোটবেলায় আমাদের সেরা আনন্দের দিন ছিল দুর্গাপূজার দিন । তখন প্রায় অনেক বাড়িতে বেড়াতে যেতাম পূজা দেখার জন্য। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু যে সে এখনও আমার সাথে পড়তেছে । শুধু সেই পাশে আছে আর অন্যরা কাজ কর্মে অনেক দূর চলে গেছে । আমি আজও একা বসলে এই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে । খুব মিস করছি বন্ধুদের আর সেই শৈশব কে । বিশেষ করে বৃষ্টির দিন।

কালেক্টেড

শৈশব - shoishob সময়গুলো চলে যায় বায়োস্কোপের ছবির মত শুধু পিছনে ফেলে যায় স্মৃতি কত শত । আনমনে ভাবি , সোনা রঙ্গের দিনগুলো ...
22/05/2020

শৈশব - shoishob সময়গুলো চলে যায় বায়োস্কোপের ছবির মত শুধু পিছনে ফেলে যায় স্মৃতি কত শত । আনমনে ভাবি , সোনা রঙ্গের দিনগুলো গেল কইসব আজ সবই দূসর ! স্মৃতি জুড়ে শুধু শৈশব ! উদাসী মন শিহরিত হচ্ছে - অতীত স্মৃতির মধুর সুরে গোধূলী আলোয় সন্ধ্যা নামে বসে আছি নদীর তীরে । মনে পড়ে - পেন্সিলে আঁকা সাদা-কালো শৈশব শূন্য মাঠে উদ্দেশ্যহীন ছুটেচলা শৈশব মনে পড়ে আরও ....আরও কত সব । পেন্সিলে আঁকা দৃশ্যটাকে রং পেন্সিলে রঙ্গীন করানোতেই আটকে ছিল জীবন সীমার ওপারে - ছোটবেলার মুঠো বন্দি দিগন্ত দু-তিন-চার চাকায় ছুটে চলি তবুও বাধন হারা দিন গুলো মনে পড়ে মনে পড়ে একচাকার সেই দুরন্ত । রাতের আধারে হাতে নিয়ে জোনাকি সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় খেলতাম লোকালুকি কিছু নেই - তাকাতেই পিছু ভাবি কই সব ফেলে আসা ভাসা ভাসা স্মৃতি জুড়ে শুধু শৈশব পুতুল খেলায় বানাতাম পুতুলদের বর কনে কানামাছি -লাফ ঝাঁপ - আরও কত কি ঘুম যেতাম মনে লাল নীল স্বপ্ন বুনে ফেলে আসা দিনগুলো পিছু ডাকে পিষ্পাপ বোকা শৈশব মনে পড়ে তোকে লিখতে গিয়ে মনে পড়ল ছোটবেলার বন্ধুদের সময়ের নির্মম স্রোতে হারিয়ে ফেলেছি তোদের রাস্তাটা আগের মত ই আছে নেই শৈশবের হেটে চলা সেই সময়গুলো মানুষগুলো ও অনেক বদলে গেছে মধুর স্মৃতি বলতে গিয়ে ...শৈশবের কথাই বলি কই গেল লাটিম খেলা - গোলাছুট - ডাংগুলি খেলার দিনগুলি ! কিছু নেই তাকাতেই পিছু ভাবি কই সব ভাসা বাসা - স্মৃতি জুড়ে শৈশব

শৈশবের ঈদ-স্মৃতি খুব মনে পড়ে। এখন কেমন যেন সব আনন্দেই ভাটার টান। আগের মতো করে আর আনন্দ হয় না ঈদে। বাস্তবতার চাপে সবই যেন...
22/05/2020

শৈশবের ঈদ-স্মৃতি খুব মনে পড়ে। এখন কেমন যেন সব আনন্দেই ভাটার টান। আগের মতো করে আর আনন্দ হয় না ঈদে। বাস্তবতার চাপে সবই যেন হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে....

শৈশবের ঈদে রোজা ২৯ হবে নাকি ৩০, তা নিয়ে চলতে থাকে নানা ভাবনা। বিশেষত শিশু-কিশোরদের মধ্যে থাকে দারুণ উত্তেজনা। সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ দেখার সে কী আনন্দ, বলে বোঝানো যাবে না। বাড়ির ছাদে, মাঠে-ঘাটে সবাই ঈদের বাঁকা চাঁদ দেখার জন্য মশগুল হয়ে পড়ে। চাঁদের দেখা মিলল তো শুরু হয়ে গেল ঈদের উৎসব–আমেজ। লুকিয়ে রাখা নতুন কাপড় ঈদের দিন কখন বের করে পরবে, তা নিয়ে উদ্‌গ্রীব হয়ে পড়ে শিশুরা। মেয়েরা হাতে মেহেদি লাগানো শুরু করে দেয়। আর ছেলেদের ব্যস্ততা থাকে কোন সময়ের জামাতে নামাজ পড়বে, তা নিয়ে। বাড়ির মা-খালারা তখন ব্যস্ত ঈদের দিনে অতিথি আপ্যায়নের জন্য খাবারের আয়োজন নিয়ে। গরিব–দুঃখীরাও কম যায় না। এই ঈদের সময়ই তারা সদকা, জাকাত, ফিতরার টাকা পায়। অনেকে নতুন কাপড়ও পায়।

আমার মনে আছে, যারা রাস্তা পরিষ্কার করত, ঈদের আগে আগে তারাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বকশিশ চাইত। এই যে গরিব–দুঃখী সবাই মিলে আনন্দ করা—এর নামই ঈদ। বাচ্চাদের মধ্যে থাকে আরেক উত্তেজনা; সালামি। বন্ধু-প্রতিবেশী আত্মীয় কার বাসায় কখন যাবে, নতুন কাপড় পরে সালাম করে কে–কত সালামি পাবে—এ নিয়ে জল্পনা ছিল নির্মল আনন্দের অংশ। আর কোলাকুলি তো আছেই। সবাই যেন উৎসব আনন্দে মুখরিত। সারা দিন পর বাড়ি ফিরলে তখন খুব কষ্ট হতো এই ভেবে যে, ঈদের দিন কেন শেষ হয়। আর টেলিভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠান বাড়তি রসদ জোগাত, এখনো জোগায়।

দেশে ঈদের আনন্দই আলাদা। বিশেষত শৈশবের ঈদ-স্মৃতি খুব মনে পড়ে। এখন কেমন যেন সব আনন্দেই ভাটার টান। আগের মতো করে আর আনন্দ হয় না ঈদে। বাস্তবতার চাপে সবই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। মনে হয়, বড় ভালো ছিল আমাদের ছোটবেলা! এখন আর ছোটবেলার মতো আবেগ নেই। সবকিছুই মনে হয় যান্ত্রিক, আবেগহীন ও অনুভূতিশূন্য।

এখানে অনেক সময় ঈদের দিনেও কাজে যেতে হয়। ব্যস্ততা ও কাজের ফাঁকে সময় বের করে ঈদের নতুন কাপড় কেনা হলেও তা কখনো কখনো ঈদের দিন পরাই হয় না। নিজেদের মতো করে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর খাওয়া—এটুকুতেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে ঈদের আনন্দ। তারপরও ঈদ মানে আনন্দ। আসছে ঈদ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক—এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে ঈদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শৈশবের ঈদ ছিল অনেক আনন্দের। আমার কাছে তখন মনে হতো চাঁন্দের রাতটা শেষ হয় না, অনেক লম্বা। আজ বুঝি সকাল আর হবে না। অপেক্ষা...
22/05/2020

শৈশবের ঈদ ছিল অনেক আনন্দের। আমার কাছে তখন মনে হতো চাঁন্দের রাতটা শেষ হয় না, অনেক লম্বা। আজ বুঝি সকাল আর হবে না। অপেক্ষা করতাম সুন্দর সকালের জন্য। মোরগ ডাকা ভোরে ঘুম ভাঙত। ছোটবেলায় আমি ছিলাম পানিচোরা। সহজে গোসল করতে চাইতাম না। কিন্তু ঈদের দিন সকালে যত শীতই হোক আর গরমই হোক ঠিকই সবার আগে গোসল করে নতুন জামা পরতাম। আহা কি আনন্দ! তখনকার সেই আনন্দছিল চোখে-মুখে, পুরো শরীরজুড়ে।
১৯৯৯। এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা পাড়ি। ২০১৪। কেটে গেছে ১৫ বছর। ঢাকায় আসার পর প্রথম পাঁচবছর বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করার জন্য ছুঁটে যেতাম গ্রামের বাড়ি। এরপরের ১০ বছরের ২০ ঈদের মধ্যে হয়তো ৭-৮ ঈদ করা হয়েছে গ্রামে। এখন আমি কর্মব্যস্ত এক যুবক। এরমধ্যে হয়েছে স্ত্রী, পুত্র, কন্যা। দায়িত্বের বোঝা মাথার ওপর। হারিয়েগেছে চঞ্চলা শৈশব। আবার ইচ্ছে করে শৈশবে ফিরে যেতে, ইচ্ছে করে আমার সবুজ গাঁয়ের মেঠোপথ, ধুলোমাখা শরীরে খেলা করতে...তার আর উপায় আছে? সময় গড়ানোর সাথে সাথে সব ইচ্ছাই হারিয়ে যায়, এটা মানতেই হবে।এবার যাচ্ছি না গ্রামের বাড়ি, ঈদ কাটবে কংক্রিটের নগরীতে... ভালো থেকো গ্রামের বন্ধুরা। sobai k eid mubarak... যদি বেঁচে থাকি দেখা হবে কোরবানীর ঈদে...

জামাতে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ে সরকারি নির্দেশনা :১। জামাতে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের সময় কোনো অবস্থাতেই মসজিদের কার্পেট ব...
22/05/2020

জামাতে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ে সরকারি নির্দেশনা :
১। জামাতে ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের সময় কোনো অবস্থাতেই মসজিদের কার্পেট বিছানো যাবে না।
২। সালাতের আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৩। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে জায়নামাজ সাথে করে নিয়ে আসতে হবে।
৪। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা নতুবা মসজিদের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা।
৫। প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৬। ঈদের সালাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
৭। কোনো অবস্থাতেই মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮। ঈদের সালাত আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর কাতার করতে হবে।
৯। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের সালাত আদায়ের জন্য জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
১০। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১২। জামায়াত শেষে মসজিদে অথবা মসজিদের বাহিরে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে অবশ্যই বিরত হবে।
© স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিজ্ঞপ্তি!

21/05/2020

ঝড়ের পুর্বাস

সর্বশেষ করোনা আপডেটঃআক্রান্তঃ ১৭৭৩নমুনা পরিক্ষাঃ ১০২৬২মৃত্যুঃ ২২ জন
21/05/2020

সর্বশেষ করোনা আপডেটঃ

আক্রান্তঃ ১৭৭৩
নমুনা পরিক্ষাঃ ১০২৬২
মৃত্যুঃ ২২ জন

20/05/2020

Amphan Cyclone Live

শৈশবের স্মৃতিমনে হয় এইতো সেদিন পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম, গাছে গাছে ছড়তাম, বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠ মাসে ঝড়ে আম কুড়োতাম,বিকেল ব...
19/05/2020

শৈশবের স্মৃতি

মনে হয় এইতো সেদিন পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম, গাছে গাছে ছড়তাম, বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠ মাসে ঝড়ে আম কুড়োতাম,বিকেল বেলায় মাঠে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বউচি, ক্রিকেট খেলতাম,আর ঘরে এসে মায়ের বকুনি খেতাম। সন্ধ্যার পর হারিকেন জ্বালিয়ে পড়তে বসতাম,আহা সেই দিনগুলো কতোই না মধুর ছিলো। পুকুরে কতো হৈচৈ করে গোসল করতাম,সাঁতার কাটতাম। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদায় গড়াগড়ি করতাম। ভোরবেলা হলে মক্তবে যেতাম আরবি পড়তে। শীতের সকালের সেই পিঠেফুলি আর খেঁজুর রস যেনো এখনো মুখে লেগে আছে।সেই দিনগুলো শৈশবের স্মৃতি সত্যি কখনো ভুলা যায়না,সারাক্ষণ মনের অন্তরালে গেঁথে থাকে আর চোখের কোণে ভাসে,প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে আমরা সবাই বড় হয়ে যাই,নিজ নিজ প্রয়োজনে সংগ্রাম করে যাই,তবুও কি শৈশবের স্মৃতিগুলো কখনো ভুলতে পারি? না পারিনা।

শৈশব এমন একটা সময় ছিলো,যখন ছিলো না কোনো চিন্তা,ছিলোনা কোনো সংগ্রাম, ছিলোনা পরিবার আর সমাজের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখার লড়াই! শুধু ছিলো খেলাধুলা, মা বাবার আদর শাসন, খুনসুটি আর বেহায়াপানা। সত্যি আজ বারবার মনে হয় ছেলেবেলা টাই বুঝি জীবনের সুন্দর সময়! যতো বড় হচ্ছি ততই টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে। শৈশবকালই ছিলো রূপকথার ঠাকুরমার ঝুলির গল্পের মতো। সেই দিন আর কখনোই ফিরে আসবেনা। চাইলেও সেই সময়ে আর যেতে পারবো না,তবুও সেই স্মৃতি মনে করে মাঝে মাঝে আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। কখনো মিটমিটে হাসি আবার কখনো চোখের কোণে আপনা আপনি জল আসে। জীবন সংগ্রামে যখন খুব ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন মানবমন শৈশবে ফিরে যেতে চায়।

এমন কোনো মানুষ নেই যে শৈশবকে ভালোবাসে না। সবাই শৈশবের দিনগুলোকে ভালোবাসে,মিস করে, আর সেই দিনে ফিরে যেতে চায়। ছেলেবেলা অন্তরে গেঁথে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত। আর মানুষের শৈশবের স্মৃতিগুলোই বেশি মনে থাকে এবং মনে পড়ে। তাইতো গ্রামের শৈশবের স্মৃতিগুলো মনকে কাঁদিয়ে দেয় আজও। আজও সেই স্মৃতিগুলো চোখে,ভাসে।

Address

Gazipur
Tangail

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob:

Videos

Share

Nearby event planning services


Other Party Entertainment Services in Tangail

Show All

You may also like