ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob

ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob amader shoishob ইহা সম্পুর্ন শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দিবে

13/10/2024

কে কে টক টক খেলেছেন?

একটা সময় ছিলো, যখন BTV তে কোরআন পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিত। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো। অতঃপর হাসিমুখে উপ...
27/01/2023

একটা সময় ছিলো, যখন BTV তে কোরআন পাঠ শুনলে বুকের ভেতরটা মোচড় দিত। এই বুঝি শেষ হলো, হার্টবিট বেড়ে যেতো। অতঃপর হাসিমুখে উপস্থিত হতেন সুন্দরী উপস্থাপিকা, আর বলতেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি..... ঠিক তখনই বুক ধকধক করতো উত্তেজনায়, প্রায়ই ভালোভাবে ছবির নাম শুনতে পেতাম না!!

শুক্রবার আসলেই সে কী ব্যস্ততা। চারপাশে সবাই ৩টার আগে কাজ শেষ করতেন। কারণ ৩টায় ছায়াছবি প্রচার করা হবে। আর ৮:৩০ টা বেজে উঠার আগেই সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলতো। কারণ, উত্তেজনা, ভয় আর আনন্দের মিশ্রণে আলিফ লায়লার অপেক্ষায়।

তারপর বিজ্ঞাপন হচ্ছেতো হচ্ছেই, আলিফ লায়লা শুরু হবার খবর নাই। ধৈর্য ধরতে ধরতে প্রায় ক্লান্ত হওয়ার পর শোনা যেতো সেই প্রিয় মিউজিক। শুরু হতে হতেই আবার বিজ্ঞাপন। মাত্রই কাহিনীতে মনোযোগ দিতে দিতেই শেষ হয়ে যেতো, লেখা উঠতো আগামী পর্বে দেখবেন...। এত অল্প সময় দেখাতো, তবুও আনন্দের শেষ নেই তখন।...

"আমি বাবা মায়ের শত আদরের মেয়ে" , আমরা নতুন আমরা কুড়ি, এসো গান শিখি সবাই মিলে"— আহ্ কি মিউজিক ছিলো এখনো কানে বাজে আর বিজ্ঞাপন গুলোতো একদম মুখস্ত ছিলো।

এখনও সব আছে, কিন্তু আর বুকে কাঁপন তুলে না। সেই উপস্থাপিকাও আছেন, হয়তো আজ তার লিপস্টিক আরো কড়া হয়েছে। তিনি এখনো আমন্ত্রণ জানান, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ কাউকে এখন আর মনোযোগী করে না। ছায়াছবি দেখার জন্যও এখন কেউ শুক্রবারের অপেক্ষা করে না। এখনকার পিচ্ছিরা হয়তো আলিফ লায়লার নামও জানেনা। একসাথে ২০/৩০ জন মিলে আগে যেভাবে আনন্দের সাথে টিভি দেখতাম। এখন তা কল্পনাও করা যায় না। ডিজিটাল যুগ এসেও আমাদের শৈশবের দিনগুলোকে ভুলাতে পারেনাই।আমরা এখনো শৈশবের দিনগুলোকে বড্ড মিস করি। কত সুন্দর ছিলো আমাদের শৈশবের সময় টা।

এই BTV নিয়ে আমাদের স্মৃতির শেষ নেই। আমাদের একটা কাল এই বিটিভি জুড়েই ছিলো।

বর্ষায় যখন নদীতে মাছ ধরতাম
08/01/2023

বর্ষায় যখন নদীতে মাছ ধরতাম

স্মৃতি কখনও হাসায়, কখনও বা কাঁদায়,কখনও নিয়ে যায় সেই অতীতে,কখনও ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাই খুঁজে ফিরি আগের ছোঁয়া যা আছে শৈ...
02/01/2023

স্মৃতি কখনও হাসায়, কখনও বা কাঁদায়,
কখনও নিয়ে যায় সেই অতীতে,
কখনও ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যাই
খুঁজে ফিরি আগের ছোঁয়া যা আছে শৈশব মনেতে

যদি চিনতে পারেন তাহলে বুঝবো আপনার শৈশব অনেক মধুর ও সুন্দর ছিল 🥰🥰
10/11/2022

যদি চিনতে পারেন তাহলে বুঝবো আপনার শৈশব অনেক মধুর ও সুন্দর ছিল 🥰🥰

সবার শৈশবেই একান্ত কিছু দিন ছিল ।মাথার উপর ঘোর বৃষ্টি । হাঁটুসমান পানি । মাঝখানে ফুটবল । দুইদিক থেকে সমানে লাথির গোলাগুল...
03/07/2022

সবার শৈশবেই একান্ত কিছু দিন ছিল ।

মাথার উপর ঘোর বৃষ্টি । হাঁটুসমান পানি । মাঝখানে ফুটবল । দুইদিক থেকে সমানে লাথির গোলাগুলি, গোল হইতো না কোনোদিকেই ।

হুদাই যেকোনো একদিকে দৌঁড়াইয়া পানির উপরে ঝাঁপ দেওয়া আর দিনশেষে সবারই কাদাভূত হয়ে ঘরে ফেরা।

একটা সময় ছিল যখন সব ছিল, ছিল ফসল ভরা মাঠ, গোয়াল ভরা গাই আর পুকুর ভরা মাছ, এখন সে সব আর নেই তেমন। মানুষ গুলোই শুধু আছে কি...
03/07/2022

একটা সময় ছিল যখন সব ছিল, ছিল ফসল ভরা মাঠ, গোয়াল ভরা গাই আর পুকুর ভরা মাছ, এখন সে সব আর নেই তেমন। মানুষ গুলোই শুধু আছে কিন্তু সেই সুন্দর দিনগুলো আর নেই। এখন সবাই বৈষয়িক। টাকা পয়সা, ব্যবসা বাণিজ্য, কেরয়িার নিয়ে ব্যস্ত সবাই। মানিসক বিকাশের কোনো সুযোগ আর নেই। নেতৃত্বের অভাবে সব বন্ধ হয়ে গেছে। খালে বিলে ঝাপ দেওয়া নেই, পুলের গোড়ায় ছোট্ট টং রেষ্টুরেন্টে সকালে পরোটা আর ভাজি খাওয়া নেই, দুপুরে ডুবা তেলে ভাজা গুলগুল্লা খাওয়া নেই। সেই জাম গাছ নেই। পুকুরে সাঁতার কাটা নাই, শেঁওলা জমে গেছে পুকুরে। খালগুলো মরে গেছে। সেই জোয়ারের ঘোলা পানির স্রোত নেই , খেলার মাঠে কেউ খেলতে নামে না, পাঠাগার বন্ধ হয়ে গেছে কবেই। এখন কেউ চিঠিও লেখে না। পত্রমিতালি নেই। ডাক পিয়নের সাইকেলের ঘন্টি বাজিয়ে চিঠি নিয়ে আসা নেই। নাটক নেই, ভলিবল খেলা নেই, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নেই, যাত্রাপালা নেই, নৈাকা বাইচ নেই। কারো হাতে বই নেই কিন্তু সবার হাতে আছে মোবাইল।

25/01/2021

"PTZ বনভোজন ২০২১"
লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্ক, জামালপুর।

পুরো দমে চলছে বনভোজনের আয়োজন, সবার জন্য থাকছে যাতায়াত সুবিধা। আমন্ত্রিত অতিথিদের পুরোপুরি বিনোদন দিতে থাকছে খেলাধুলা গান বাজনা সহ নানা আয়োজন।
এছাড়াও থাকবে লটারি সকালের নাশতা দুপুরে ভরপুর খাওয়া দাওয়া সহ দিন ভর আনন্দ বিনোদন। আপনিও শরিক হতে আজই যোগাযোগ করুন নিম্ন নাম্বারে।
মোবাইল নাম্বার- ০১৬১৫-৬০০৮০০
মোঃ সানোয়ার হোসেন, এডমিন ও সভাপতি
প্রিয় টাংগাইল জেলা ফেসবুক গ্রুপ।

♥PTZ বনভোজন ২০২১♥
১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার
লুইস ভিলেজ রিসোর্ট এন্ড পার্ক, জামালপুর।

29/11/2020

বাংলাদেশের কাঠবিড়ালি

ফিরে দেখা শৈশবের ইঁদুরের গর্ত খুড়ে ধান সংগ্রহ স্মৃতির পাতায় এখনো ভেসে ওঠে দিনগুলো
27/11/2020

ফিরে দেখা শৈশবের ইঁদুরের গর্ত খুড়ে ধান সংগ্রহ
স্মৃতির পাতায় এখনো ভেসে ওঠে দিনগুলো

"জোলাপাতি" খুব ছোটবেলায়, যখন আপনি টাকাই চেনেন না, তখন কি বাজার করেছিলেন? কিংবা যখন ভাত রান্না করতে পারার কথা নয়, তখন ভাত...
04/09/2020

"জোলাপাতি"

খুব ছোটবেলায়, যখন আপনি টাকাই চেনেন না, তখন কি বাজার করেছিলেন? কিংবা যখন ভাত রান্না করতে পারার কথা নয়, তখন ভাতের হাঁড়ি চুলায় তুলেছিলেন? কিংবা একদঙ্গল ছেলেমেয়েকে হাঁড়ি থেকে খাবার বেড়ে দিয়েছিলেন? এখন যখন আপনি নিজেই সংসারে ব্যস্ত, তখন হয়তো আপনার সেসব কথা ভেবে দেখার সময়ই নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, বাড়ির পেছনের ফাঁকা জায়গায়, ঘরের কোণে, গাছতলায় আপনি সেই শৈশবে আপনার সংসার সাজিয়েছিলেন খেলার ছলে! সে কী ব্যস্ততা আপনার! মনে পড়ে? হয়তো আপনার সন্তান সঙ্গীর অভাবে এখন সে খেলা আর খেলতে পারে না।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, বড়রা যা করে, ছোটরা তা–ই শেখে। জোলাপাতি খেলা ছোটদের ‘বড় খেলা’! জোলাপাতি বললে অনেকেই এই খেলাকে নাও চিনতে পারেন। কিন্তু ‘হাঁড়িপাতিল’ বা ‘বউ বউ’ বললে চিনতে পারবেন সহজেই। শিশুদের স্বপ্নের সংসার এই জোলাপাতি। ভবিষ্যতে সে যে সংসারে প্রবেশ করবে, এই খেলা যেন তারই ‘পাকা তালিম’।

‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’—ভরদুপুরের অবসরে এখনো কানে বাজে এই সুর। এক অলৌকিক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। সময়...
04/09/2020

‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’—
ভরদুপুরের অবসরে এখনো কানে বাজে এই সুর। এক অলৌকিক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে মস্তিষ্কে। সময় হয়তো কিছুটা আটকে যায়। অথবা আমরাই আটকে যাই ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ’র মাদকতায়। ফিরে যাই নির্মল শৈশবের দিনগুলোয়। বিকেলের চুরিয়ে যাওয়া আলোয় একদঙ্গল ছেলেমেয়ে চোখ–বাঁধা কানামাছিকে ‘টুকি’ দিতে দিতে সুর করে গলা ছেড়ে গাইছে ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে পাবি তাকে ছোঁ’। অথবা স্কুলের টিফিনের স্বল্প সময়ে একই দৃশ্যের পুনরাবর্তন। কানামাছি একজনকে ছুঁয়ে দিল, তো নতুন এক কানামাছির জন্ম হলো। এভাবে একের পর এক কানামাছির পরিবর্তন। কিন্তু সুর ও ছন্দ অপরিবর্তনীয়। আপনার বয়স যা–ই হোক না কেন, হারজিতের প্রশ্নহীন কানামাছি খেলার সেই ছন্দ ও সুর আপনাকে এখনো স্মৃতিকাতর করে তুলবেই।

ফিরে দেখা স্মৃতি গুলোঃশৈশব প্রত্যেকের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিন গুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোট...
30/08/2020

ফিরে দেখা স্মৃতি গুলোঃ

শৈশব প্রত্যেকের জীবনের মধুর একটি সময়। শৈশব জীবনের দিন গুলি ছিল দুরন্তপনা, দুষ্টুমি আর সারাদিন ছোটাছুটি করে দৌড়ে বেড়ানোর এক অন্যতম মুহূর্ত। আমার শৈশব যেন আজও আমাকে ডাকে বলে আয়-ফিরে আয়।

সত্যিই আজও বার বার ফিরে যেতে মন চায় ফেলে আসা সেই শৈশবের দিন গুলিতে। মনে পড়ে অবাধে ঘোরা ফেরা আর খেলে বেড়ানো সেই সব দিনগুলির কথা। আপনিও হয়তবা শৈশব শব্দটি পড়েই স্মৃতির পাতায় হাতড়াতে শুরু করেছেন ফেলে আসা সোনালি দিনগুলোকে।

আমাদের বাড়ি গ্রামে। আমার ছেলেবেলা কেটেছে গ্রামেই। গ্ৰামের সোঁদা মাটির গন্ধ। পিয়ারা গাছের সাথে মোটা দড়ি দিয়ে বাঁধা দোলনা, বর্ষাকালে সোনা ব্যাঙের, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পুকুরের স্বচ্ছ টলমল জলে তাজা কই, শিঙি ও মাগুর মাছ প্রভৃতির মত সুন্দর প্রকৃতি আজও আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

শহরের এই ইট কাঠ পাথরের চার দেয়ালের মধ্যে থেকে যখন হতাশাটা গভীর হয়ে আসে তখন আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই সেই আমার ছেলেবেলার কাটানো মুহূর্তগুলো। দিগন্তজোড়া সবুজ খোলা মাঠ, নীল আকাশে মুক্ত বলাকার দল, সোনালী ধানের শীষ।

বাতাসে ভেসে আসে রাখালের বাঁশির সুর, মাঝির কণ্ঠে গাওয়া ভাটিয়ালি গান, শৈশবে চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। গ্রামের জীবনকে আমি পথের বাঁকে ফেলে এসে শহরের জীবনে যতই খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করি ততই ফিরে আসি সেই আমার শিকড়ে। আমার শৈশব, কৈশোর তাড়িত করে আমি এখন মৌলিক জীবনের পথে। আমি আধুনিকতা আর শিকড়ের টানাটানিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।

স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সুখের তা হলো আমার স্কুল জীবন আর শৈশব।আরো ২০ বছর আগে প্রাইমারি স্কুল পার করে এসেছি। ...
21/07/2020

স্মৃতির যে অধ্যায়টি আমার কাছে সবচেয়ে সুখের তা হলো আমার স্কুল জীবন আর শৈশব।

আরো ২০ বছর আগে প্রাইমারি স্কুল পার করে এসেছি। তারপরও সেসব স্মৃতি আমার জীবনের অনেকখানি জায়গা জুড়ে আছে। আমার দুরন্ত শৈশব আর স্কুলের কথা মনে পড়লে মাঝে মাঝে মনে হয় কেন বড় হলাম। ছোট থাকাই ভালো ছিল।

আমি পড়তাম গোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে হাই স্কুল তারপর ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি বড়দের বরাবর সম্মান করে চলি। শিক্ষক আর বন্ধুদের স্নেহ- ভালোবাসায় আমার স্কুল জীবন হয়ে উঠেছিল আনন্দের ও গৌরবময়।

স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন ছিল আমার জন্য বেশ আনন্দের। সারাবছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করতাম। সেদিনটা হৈ-হুল্লোড়, আনন্দ-কোলাহল, আমোদ-কৌতুকে কেটে যেত। এ দিনে বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হতো। আমি ভালো ফলের জন্য পুরস্কার না পেলেও এই দিনটা খুব উপভোগ করতাম।

শৈশব আর স্কুলের গল্প করতে গেলে বন্ধুদের কথা আগে বলা দরকার। বন্ধু ছাড়া স্কুল আর শৈশব আমি চিন্তা করতে পারি না বন্ধুগুলোকে আমার অস্তিত্ব মনে হতো। কে বেশি কাছের তা আলাদা করা কঠিন।

তবে একজন আছে যার কথা একটু আলাদা করে লিখতেই হয়। ওর নাম রেদোয়ান। ওর সঙ্গে বন্ধুত্বের শুরুটা হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে।

রেদোয়ান সব সময় লুকিয়ে আমার ক্লাসের খাতা ছিঁড়ে ফেলত। ও চাইতো না আমি ওর চেয়ে ভালো ফল করি। কেন এমন করতো জানি না। টের পেয়ে আমিও লুকিয়ে ওর খাতা ছিঁড়ে রাখতাম।

একজন আরেকজনের পেছনে বসে শার্টে কালি লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা তো ডাল ভাত হয়ে গিয়েছিল। এখন এসব কথা মনে হলে হাসি পায় আবার কখনও চোখ ছলছল করে ওঠে।

এমন ঠাণ্ডা যুদ্ধ করতে করতে আমরা কখন ভালো বন্ধু হয়ে গেছি টের পাইনি।

স্কুল, বন্ধু, শৈশব সবকিছুই আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা তো হওয়ার নয়। সময়ের স্রোত অতীত ফিরিয়ে দেয় না। তাই স্মৃতি হাতড়ে বেঁচে থাকতে হয় জীবনভর।

ঘুড়ি উৎসব, গগন জুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি
27/06/2020

ঘুড়ি উৎসব, গগন জুড়ে ঘুড়ি আর ঘুড়ি

27/06/2020

নৌকা ঘুড়ি

26/06/2020

ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা ২০২০

আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য! অন্য সময় তাদের দেখা মেলা ভার। হালের নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়া তর...
08/06/2020

আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য! অন্য সময় তাদের দেখা মেলা ভার। হালের নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়া তরুণ প্রজন্মকে মাঠে ফেরাতে দারুণ কাজ করছে ঘুড়ি। গ্রাম বা শহরে এখন ঘুড়ি ওড়ানো খেলা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। শিশুরা বড় হচ্ছে খাঁচার মধ্যে। ঘরে বসে শহুরে শিশুরা কম্পিউটার বা ভিডিও গেইম খেলে সময় কাটায়। যারা মাঠে যায়; তারা ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। গ্রামীণ শিশুদের মধ্যেও ক্রিকেট খেলার জোয়ার বয়ে গেছে। তবে ঘুড়ি ওড়ানো খেলা একেবারে হারিয়ে গেছে। একসময় এ দেশের ছেলেপুলেরা প্রচুর ঘুড়ি ওড়াতো। শরৎ, হেমন্তের বিকেলের আকাশ ছেয়ে যেত ঘুড়িতে। আকাশজুড়ে উড়ে বেড়াত নানা রঙের ঘুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি কত রঙের ঘুড়িতে আকাশ ছেয়ে যেত! দেখে মনে হতো, নানা রঙের মেলা বসেছে আকাশজুড়ে। কোনো ঘুড়ি কাটা গেলে মনে হতো রঙের মেলা থেকে যেন একটি রং খসে পড়ল। একসময় ঘুড়ি ওড়ানো আর ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতার রেওয়াজ ছিল। যা এখন প্রায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে পৌষ সংক্রান্তিতে এখনো কোথাও কোথাও ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব হয়ে থাকে।
‘আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা, তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা। আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি, তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি।’ সুফিয়া কামালের লেখা ‘আজিকার শিশু’ কবিতা মনে করিয়ে দেয় শৈশবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দময় স্মৃতি। করোনাভাইরাসের লকডাউনে অনেকটাই ফিরেছে ঘুড়ি ওড়ানো সেই বিকেল। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা যেমন ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তেমনই অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড়রাও ঘুড়ি উড়ানোর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এখন বিকেল হলেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ ভবনের ছাদ এবং গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ময়দানে দেখা মিলছে ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব।

ঘুড়ি এক প্রকারের হাল্কা খেলনা, যা সুতা টেনে আকাশে ওড়ানো হয়। পাতলা কাগজের সঙ্গে বাঁশ থেকে বানানো চিকন কঞ্চি লাগিয়ে সাধারণত ঘুড়ি তৈরি করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপাদান ও নকশার ঘুড়ি রয়েছে। বিশ্বজুড়েই ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। বহু দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো একটি অবসর বিনোদন। বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বকর্মা পূজার দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা রয়েছে।

ঘুড়ি উদ্ভাবন এবং ওড়ানোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন। কিংবদন্তি আছে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়। গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এরও বহু যুগ পূর্বে এশিয়া মহাদেশের লোকেরা ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যাপারে দক্ষ ছিল। চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে। উইকিপিডিয়ার তথ্যে, প্রায় ২,৮০০ বছর পূর্বে চীন দেশে ঘুড়ির সর্বপ্রথম উৎপত্তি ঘটেছে। পরবর্তীকালে এটি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও ইউরোপে ঘুড়ি খেলাটির প্রচলন ঘটে প্রায় ১,৬০০ বছর পূর্বে।
প্রথম দিকে ঘুড়ি কাগজ অথবা হাল্কা তন্তুজাতীয় সিল্কের কাপড় দিয়ে উড়ানো হতো। ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানের অংশ হিসেবে ঘুড়িতে বাঁশের কঞ্চি কিংবা অন্যান্য শক্ত অথচ নমনীয় কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। সুতা কিংবা পাতলা দড়ি ব্যবহৃত হয়। আধুনিককালের ঘুড়িগুলোয় সিনথেটিকজাতীয় পদার্থের প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত। কোনোটি আকারে খুব বড় ও দেখতে মনোহর। আবার কোনোটি আকারে খুবই ছোট যা দ্রুত উড়তে পারে। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ব্রিস্টল ঘুড়ি উৎসব শেষে সবচেয়ে বড় ঘুড়িটি প্রায় ২০ মিনিট আকাশে অবস্থান করে। এটি ভূমির প্রায় ১০,৯৭১ বর্গফুট জায়গা দখল করেছিল। বিভিন্ন দেশে ঘুড়ির বিভিন্ন রকম নামকরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ঘুড়ির নামগুলো হচ্ছে- চারকোণা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, আগুন পাখি, প্যাঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি লেজ, চিলঘুড়ি, বেত, ডাক, মানুষ ও তারাঘুড়ি, পাল তোলা জাহাজ প্রভৃতি।

ঘুড়িপ্রেমীদের তথ্যমতে, শীতের শেষে বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন জেগে উঠতো, তখন গ্রামের বিলগুলোতে চলতো ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক কিশোরের হাতে থাকতো লাটাই ও সুতা। আকাশে উড়তো বিচিত্র নামের রঙিন ঘুড়ি। তার সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা থেকে তোলা পাতলা সুতা কিংবা বেত ও বাঁশের পাতলা চ্যাটা একটি ধনুকের মতো ছড়ের সঙ্গে বিশেষভাবে বেঁধে ঘুড়িতে জুড়ে দিলে উড়ন্ত ঘুড়ি থেকে সুরেলা শব্দ শোনা যেতো। একে ডাক ঘুড়ি বা বেনা ঘুড়ি বলা হতো। ইদানিং অনেকেই বাড়ির ছাদে নিজেদের ঘুড়ি উড়ানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন। এসব ছবি দেখে অনেকেই ফিরে যাচ্ছে সেই পুরোনো স্মৃতির দিকে। এখনকার চিত্র দেখলে মনে হচ্ছে, সেই ঘুড়ি ওড়ানো বিকেলগুলো হয়তো আজ আবারও ফিরে এসেছে। গ্রামে-গঞ্জে এখন ঘুড়ি উড়ানোর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শিশু-কিশোররা উড়াচ্ছে ঘুড়ি। বাতাসে দুলতে দুলতে ভূপাতিতও হয় ঘুড়িগুলো।

শিশু-কিশোররা রাতে উড়ানোর জন্য ঘুড়িতে যুক্ত করেছে ব্যাটারি চালিত বাতি, যা রাতে উড়ানো ঘুড়িতে জ্বলছে। বড়দের কেউ কেউ ঘুড়ি বানাতে পারলেও শিশু-কিশোররা বেশিরভাগই ঘুড়ি কিনে উড়িয়ে থাকে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। এ কারণে গ্রামের ঘুড়ি তৈরিতে যুবকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তাদের কাছেই এখন মিলছে ঘুড়ি। সাধারণত যেকোনো ডিজাইনের একটি ঘুড়ির দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তারা জানান, এখন প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, করোনাভাইরাসে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। তাই বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে।

Address

Gazipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ফিরে দেখা শৈশব - FiRe DekHa Shoishob:

Videos

Share

Nearby event planning services