02/01/2020
সাকরাইন
ঘুড়ি উৎসব
সাকরাইন উৎসব, মূলত পৌষসংক্রান্তি, ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত, বাংলাদেশে শীত মৌসুমের বাৎসরিক উদযাপন, ঘুড়ি উড়িয়ে পালন করা হয়। সংস্কৃত শব্দ 'সংক্রান্তি' ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ ও মাঘ মাসের সন্ধিক্ষণে, পৌষ মাসের শেষদিন সারা ভারতবর্ষে সংক্রান্তি হিসাবে উদযাপিত হয়। তবে পুরান ঢাকায় পৌষসংক্রান্তি বা সাকরাইন সার্বজনীন ঢাকাইয়া উৎসবের রূপ নিয়েছে। বর্তমানে দিনভর ঘুড়ি উড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি ও রঙবেরঙ ফানুশে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ। এক কথায় বলা যায় সাকরাইন হচ্ছে এক ধরনের ঘুড়ি উৎসব। বাংলা ক্যালেন্ডারের নবম মাস পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজিত হয় যা গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডারের হিসেবে জানুয়ারি মাসের ১৪ অথবা ১৫ তারিখে পড়ে। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসব সমূহের মধ্যে পুরান ঢাকার সাকরাইন উৎসব অন্যতম। যদিও এটা সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী পালিত হয় না কিন্তু খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশি সংস্কৃতি। এটাকে ঐক্য এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
অনুষ্ঠান
ঢাকা শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে সাকরাইন উৎসব পালন করা হয়। মূলত পুরান ঢাকার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাতে বেশি জমজমাট ভাবে উদযাপিত হয় পৌষসংক্রান্তি তথা সাকরাইন। নারিন্দা,শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে ছোট, বড় সকলেই মেতে উঠে এ উৎসবে। বিকেল বেলা এই সব এলাকায় আকাশে রঙ বেরঙের ঘুড়ি ওড়ে। ছাদে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয় । অধিকাংশ সময়ে ভোঁ কাট্টা'র (ঘুড়ি কাটাকাটি) প্রতিযোগীতা চলে। একজন অপরজনের ঘুড়ির সুতা কাটার কসরৎ করে ।
রাত নামলে পুরান ঢাকার আতশবাজির আলোয় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। আগুন মুখে নিয়ে খেলা দেখানো কসরৎবিদগণ ছাদে দাঁড়িয়ে দর্শকদের তাদের কারুকাজ দেখায়। সন্ধ্যার পর আকাশে ওড়ে রঙবেরঙা ফানুশ ও ঘরে ঘরে পিঠাপুলির আয়োজন l
ঠিক এভাবেই আলো আর আতশবাজির উৎসবে আপনার একান্ত প্রিয়
এবাবের মুহূর্তগুলো রাঙ্গিয়ে তোলার দায়িত্ব কাধে তুলে নিচ্ছি আমরা