Saat Rong Event Managment Pabna

  • Home
  • Saat Rong Event Managment Pabna

Saat Rong Event Managment Pabna Saat Rong Event Management Pabna.A Event planner And Wedding program spacialist.we do our job sence
(1)

ইনব্যাংকমেন্ট রোড (মেঠো সড়ক) জেল খানার পিছনে।Hot Line Number.01981020400. আমাদের পাবনা শহর কার্যালয় এ কে ফজলুল হক রোড বা মহিলা কলেজ রোড গোপালপুর পাবনা কল্পনায় মার্কেট লেভেল এ। যোগাযোগ
০১৭৮৮৯৩২৯৫০.

"এক দুপুরে শচীনদার মুখোমুখি আমি, ওঁরই মিউজিক রুমে। হালকা ধরনের গল্পগুজব হচ্ছে। এমন সময় সিঁড়ি দিয়ে ধুপধাপ করে একটা শব্...
01/07/2024

"এক দুপুরে শচীনদার মুখোমুখি আমি, ওঁরই মিউজিক রুমে। হালকা ধরনের গল্পগুজব হচ্ছে। এমন সময় সিঁড়ি দিয়ে ধুপধাপ করে একটা শব্দ। কে যেন উঠে আসছে। শচীনদা ভ্রু কুঁচকে তাকান। অপরাধী আর কেউ নয়। ওঁর নিজেরই পুত্র, পঞ্চম। সুরকার হিসেবে ক্রমশ সুনাম বাড়ছে তার। খানিক দূরে আলাদা একটা ফ্ল্যাটে ওর মিউজিক রুম। প্রত্যেকদিন একবার করে বউদির সঙ্গে দেখা করা তার চাইই। আজও সেই কারণেই আসা। বাবাকে অসম্ভব সমীহ করার ফলে চট্ করে তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষে না। অন্য দরজা দিয়ে সে ভেতরে ঢুকছিল, হঠাৎ আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসে।
—'আরে! তরুণদা, কবে এলেন?'
—'এই তো। দিন চারেক।'
—'উঠেছেন কোথায়?'
—'হোটেল অজন্তা প্যালেসে।'
—'রুম নাম্বার কত?'
বলি।
এবার পঞ্চম ওর স্বভাবসিদ্ধ ধরনে বলে, 'ঠিক আছে। আজ রাতে খাবার পাঠাব। হোটেলে আবার অর্ডার দেবেন না কিন্তু'।
—'আচ্ছা।'
পঞ্চম ঘুরে অন্য দরজা দিয়ে ভেতরবাড়িতে ঢুকে যায়। এতক্ষণ শচীনদা একটা কথাও বলেননি। পঞ্চমের পায়ের আওয়াজ একেবারে মিলিয়ে যাওয়ার বেশ খানিকটা পর আমার দিকে আড়চোখে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে গম্ভীর গলায় বলেন,
—'তুমি কি...অর লগে মেশো নাকি রে ভাই??
আমি কিছু বলবার আগেই নিচুগলায় সাবধানবাণী —
'মিশবা না, মিশবা না। বান্দর হইসে একডা।"
আজ রাহুল দেব বর্মনের জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি |
- অয়ন দত্তের সৌজন্যে
সিনেমাপাড়া দিয়ে
- তরুণ মজুমদার
সিনেমার অজানা গল্প যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন পরিচালক তরুণ মজুমদার মহাশয়ের বই সিনেমাপাড়া দিয়ে | এক অসাধারণ বই |
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MEGtm7"এক দুপুরে শচীনদার মুখোমুখি আমি, ওঁরই মিউজিক রুমে। হালকা ধরনের গল্পগুজব হচ্ছে। এমন সময় সিঁড়ি দিয়ে ধুপধাপ করে একটা শব্দ। কে যেন উঠে আসছে। শচীনদা ভ্রু কুঁচকে তাকান। অপরাধী আর কেউ নয়। ওঁর নিজেরই পুত্র, পঞ্চম। সুরকার হিসেবে ক্রমশ সুনাম বাড়ছে তার। খানিক দূরে আলাদা একটা ফ্ল্যাটে ওর মিউজিক রুম। প্রত্যেকদিন একবার করে বউদির সঙ্গে দেখা করা তার চাইই। আজও সেই কারণেই আসা। বাবাকে অসম্ভব সমীহ করার ফলে চট্ করে তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষে না। অন্য দরজা দিয়ে সে ভেতরে ঢুকছিল, হঠাৎ আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসে।
—'আরে! তরুণদা, কবে এলেন?'
—'এই তো। দিন চারেক।'
—'উঠেছেন কোথায়?'
—'হোটেল অজন্তা প্যালেসে।'
—'রুম নাম্বার কত?'
বলি।
এবার পঞ্চম ওর স্বভাবসিদ্ধ ধরনে বলে, 'ঠিক আছে। আজ রাতে খাবার পাঠাব। হোটেলে আবার অর্ডার দেবেন না কিন্তু'।
—'আচ্ছা।'
পঞ্চম ঘুরে অন্য দরজা দিয়ে ভেতরবাড়িতে ঢুকে যায়। এতক্ষণ শচীনদা একটা কথাও বলেননি। পঞ্চমের পায়ের আওয়াজ একেবারে মিলিয়ে যাওয়ার বেশ খানিকটা পর আমার দিকে আড়চোখে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে গম্ভীর গলায় বলেন,
—'তুমি কি...অর লগে মেশো নাকি রে ভাই??
আমি কিছু বলবার আগেই নিচুগলায় সাবধানবাণী —
'মিশবা না, মিশবা না। বান্দর হইসে একডা।"
আজ রাহুল দেব বর্মনের জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি |
- অয়ন দত্তের সৌজন্যে
সিনেমাপাড়া দিয়ে
- তরুণ মজুমদার
সিনেমার অজানা গল্প যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন পরিচালক তরুণ মজুমদার মহাশয়ের বই সিনেমাপাড়া দিয়ে | এক অসাধারণ বই |
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MEGtm7

প্রশ্ন: স্বামী কাকে বলে? স্বামী কত প্রকার ও কি কি?   উত্তর:-দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ি বৈবাহিক সম্পর্কে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ন...
30/06/2024

প্রশ্ন: স্বামী কাকে বলে? স্বামী কত প্রকার ও কি কি? উত্তর:-দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ি বৈবাহিক সম্পর্কে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে দাম্পত্যের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক পুরষটিকে স্বামী বলে। একজন স্বামী তার স্ত্রী'র থাকা-খাওয়া, ভরণ-পোষণ, জৈবিক চাহিদা, মানবিক অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, প্রচলিত আইনের বিধি নিষেধ, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, সমসাময়িক ও যুগোপযোগী দায়-দায়িত্ব পালনকারী হলো স্বামী।

ভালো স্বামী' আর খারাপ স্বামী' হিসাবে দুই ভাবে প্রচলিত থাকলেও বারো প্রকার স্বামী বর্তমান সমাজে বিরাজ করে। যথা:

১. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):
এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নন। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে।

২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):
এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করে, গরম পানির মতো টগবগ করে, সব সময় রাগান্বিত, হিংস্র মেজাজ, আধিপত্যশীল ও খুব বিপজ্জনক। মধ্যরাত ছাড়া বউয়ের প্রয়োজন অনুভব করে না। গতি প্রকৃতি সাইক্লোনের মতো অনিশ্চিত।

৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband): শ্বশুর বাড়িতে লজিং থেকে পড়াশোনা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরী” কর্মসূচিসহ কিছু অজ্ঞাত দূর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোন ভাবেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

৪. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):
এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ নিরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে। তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband): নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের ন্যায় পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো ... পেয়েছো আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেতো” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।

৬. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):
এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। সয়ে সয়ে উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ারও সাহস করে না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেনো ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে।

৭. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):
এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা ও আগ্রহ মোটেও বিবেচনা করে না, রসবোধ নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো রেস্টুরেন্টে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। এরা রিলেশনকে আনন্দদায়ক করতে জানে না।

৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):
এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতে জানে।

৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):
এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রী'কে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।

১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband): এরা দায়িত্ব কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা মা বোন বা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু ভুল কিছু ঘটে গেলে দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়।

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband):
এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটর এর মতো আসে। যে ক'দিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউ অশ্রুজল উপেক্ষা করে বিদেয় নেয়।যেমন: চাকরিজীবী, প্রবাসী স্বামী।

১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):
এরা যত্নশীল, প্রেমময়; সকল মানসিক চাহিদা পুরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে অংশীদার বিবেচনা করে, সকল কাজে সাহায্যকারী হিসাবে পাশে থাকে। তবে এরা খুব Limited Edition ও বিলুপ্তপ্রায় বিপন্ন প্রজাতির।

আপনি কোন প্রকারের স্বামী বা আপনারটা কোন প্রকারের স্বামী দয়া করে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

রান্না করতে ভালবাসতেন | প্রায়ই মাংস রাঁধতেন | রাঁধতে রাঁধতেই সুর ভাজতেন। সুর মাথায় এলে ঢ়ুকে পড়তেন বাথরুমে। তারপর বাথরু...
29/06/2024

রান্না করতে ভালবাসতেন | প্রায়ই মাংস রাঁধতেন | রাঁধতে রাঁধতেই সুর ভাজতেন। সুর মাথায় এলে ঢ়ুকে পড়তেন বাথরুমে। তারপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে বসে পড়তেন পিয়ানোর সামনে | সুরটা এসে গিয়েছে মনে | তৈরী হত কালজয়ী বিভিন্ন সৃষ্টি |
মুম্বাই | পেডার রোডে। সাজানো ফ্ল্যাট। সে-ফ্ল্যাটেই সক্কালবেলা এসে হাজির কিশোরকুমার। ডেকে পাঠিয়েছিলেন গৃহকর্তা | ‘অন্নদাতা’ ছবির গান বেঁধেছেন। শোনাবেন বলে।
মুখ গম্ভীর করে গৃহকর্তার পাশেই সোফায় বসলেন কিশোরদা । খুব মন দিয়ে সুর শুনতেন উনি।
সোফায় বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান শোনাচ্ছেন, ‘গুজর গয়ে দিন দিন দিন কি/ হর পল গিন গিন গিন/ কিসিকি হায় ইয়াদোঁ মে’।
শেষ লাইনটি শুনেই ধপাস করে মাটিতে বসে পড়লেন কিশোরদা।।
‘‘কী হল, কী হল?’’ আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেন গৃহকর্তা। তখনও মাটিতে বসে কিশোরদা। মুখ নিচু। মাথা তুলে হাত জোড় করে বললেন, ‘‘আমাকে মাফ করুন দাদা, আপনার সমান উচ্চতায় বসে আমি এ গান শিখতে পারব না। কী সুর করেছেন!’’
এর পর বাকি সময়টা মাটিতে বসেই গান শিখেছিলেন কিশোরদা!
তাঁর মৃত্যুর পর নৌশাদসাব বলেছিলেন ‘‘ফ্রম আওয়ার সেভেন নোটস, ওয়ান ইজ নো মোর।’’
চিনতে পারলেন এই কিংবদন্তিকে ?
তিনি সলিল চৌধুরী |

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা - সলিল চৌধুরীর স্ত্রী-র সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখা
কৃতজ্ঞতা Ahonish

29/06/2024

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে কিছু মূল্যবান কথা

ভাতের মধ্যে সাড়ে তিন হাত লম্বা চুল দেখে গা শিউরে উঠলো।নতুন বউ, এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বলা উচিত হবে কি...
27/06/2024

ভাতের মধ্যে সাড়ে তিন হাত লম্বা চুল দেখে গা শিউরে উঠলো।
নতুন বউ, এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বলা উচিত হবে কি না বুঝতেছি না।
তবুও সাহস করে বলে ফেললাম, 'ভাতের মধ্যে একটা চুল পাইছি।'

বউ তখন, সরি, আমি বুঝতে পারিনি বলে চুলটা নিয়ে গেলো। মনে মনে বললাম, মেয়েটা লক্ষ্মী আছে, নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। এক মিনিট পর বেডরুম থেকে একগাদা চুল নিয়ে এসে তরকারীর মধ্যে চুবিয়ে দিয়ে বললো, 'এবার ঠিকাছে?'

আমি হা করে তার দিকে তাকিয়ে তাকলাম। এমন অষ্টম আশ্চর্য মেয়ে আমার বংশের কেউ দেখেনি! একটু অভিমান নিয়ে বেডরুমে চলে গেলাম। রাতের খাবার আর হলো না। বেডরুম থেকে থালা বাসনের মিউজিক শুনতে পাচ্ছি। বোঝাই যাচ্ছে সে রেগে আছে। অথচ রাগ করার মতো আমি কি কিছু বলেছি? কী এক বিপদে পড়লাম!

বিয়ে তো নয়, এ যেন এক মধুর জ্বালা !

হঠাৎ বাসন ভাঙার আওয়াজ কানে এলো। পা পিছলে পড়ে গেলো না কি? দৌঁড়ে কিচেনে গেলাম। দিয়ে দেখি সত্যি সত্যি আছাড় খেয়ে পড়ে গেছে। হাত ধরে টেনে তুললাম। প্রশ্ন করা উচিত হবে কি না ভাবছি। অতোশতো না ভেবে জিগাইলাম, 'কেমনে পড়লা?'

সে পাঁচটা প্লেট ও দুইটা গ্লাস হাতে নিয়ে খাড়া থেকে ধুমধাড়াক্কা ফ্লোরে পড়ে গেলো! সব প্লেট ভেঙেচুরে গুড়ো হয়ে গেলো। সে লজ্জিত স্বরে বললো, 'এভাবে পড়ে গিয়েছিলাম। আপনি না বুঝলে স্লো-মোশনে আরেকবার পড়ি? দেন, আরও পাঁচটা প্লেট দেন।'

আমি তব্ধা মেরে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে মুচকি হেসে বললো, 'প্লেট-ই তো ভাঙছি, হৃদয় তো আর ভাঙিনি! এতো চিন্তার কিছু নেই। আর হ্যাঁ, আমার মাথার চুল মাথায় থাকলে আপনি যতটা পছন্দ করেন, ভাতে গেলেও ততটা করতে হবে। আমারই তো চুল, ঘৃণার কী আছে!'

চুপচাপ শুয়ে পড়লাম। মাথা ঝিম মেরে আছে। বোধহয় ব্লাড প্রেসার বাড়ছে। মশারি টাঙিয়ে নেবো কি না ভাবছি। যদি না টাঙাই আরেকটা ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। আড়মোড়া দিয়ে উঠে মশারি টাঙিয়ে নিলাম। সে এসে ফোঁসফোঁস করে ফুলতে লাগলো। তার তালগোল বাঁধানো ভাবসাব দেখে বললাম, 'আবার কী হয়েছে?'

'সব কাজই যদি তোমাকে করতে হয়, তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? আমি কি সামান্য মশারিও টাঙাতে পারি না!'

তার ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পল্টি মারা দেখে আমার যারপরনাই অবস্থা হলো। সে আজ থেকে আর আমার সঙ্গে শুবে না। কিছুতেই না। এক ঘণ্টা আধ্যাত্মিক তেল মারালাম। তারপর পর কিছুটা শান্ত হলো। কী যেন কী মনে করে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়লো। নতুন বউ, পাশে শুয়ে আছে। অথচ আমার মাথার মধ্যে কোনোপ্রকার আদর-সোহাগ, ভালোবাসার চিহ্ন-ই নাই, গতকালই মাথা থেকে এসব ঝেড়ে ফেলেছি। তারমতে শাড়ির কুচি যেহেতু খুলছি আমি, পরিয়েও আমাকে দিতে হবে। কী মুসিবত! রাত তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কুচিই ধরে গেলাম, কাজের কাজ কিছুই হলো না। আমি অপারগ হয়ে বললাম—

'দেখো, কুচি ভালোভাবে ধরতে না পারা আমার জিন গত সমস্যা। আমার বাপেরও ছিল। তিনিও কুচি ধরতে পারতেন না, আম্মুর বকা খেতে হতো। শুনেছি আমার দাদারও একই সমস্যা ছিল। সমস্যা বেশ পুরনো, বংশগত, আমাকে এবারের মতো ছেড়ে দাও। আর জীবনেও শাড়ি টানাটানি করবো না।'

সকাল ৭টায় ঘুম ভাঙলো। একটু পরে রেডি হবো, অফিসে যাবো। নাস্তার কথা বউকে বলবো কি না ভাবছি। সে দেখি বড়ো ভাবির ছোটো পোলাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করে দিচ্ছে। বাহ, কী সুন্দর দৃশ্য। কত না লক্ষ্মী বউ আমার। হুদাই তাকে ভুল বুঝি।

বউর কাছে গিয়ে দেখি পোলাটায় চোখ বুজে কাঁদছে। সে-ও হাঁটু গেড়ে কী যেন কী করছে। আমি বললাম, 'কী সমস্যা? ও কাঁদছে কেন?'

বউ আমায় আমতা আমতা করে বললো, 'ইয়ে, না মানে প্যান্টের চেইনে তার ইয়েটা আটকে গেছে।'

আমিও মুখ ফস্কে বলে ফেললাম, 'কীভাবে?'

সে তখন আমার প্যান্টের চেইন নিচের দিকে এক টানে খুলে আবার উপর দিকে আরেক হেঁচকা টান দিয়ে বললো, 'এভাবে।'

জিহবা বের করে দিলাম এক ভয়ংকর চিৎকার। চোখ খুলে দেখি হাসপাতালে ভর্তি। বংশের বাতিঘরে অনেকগুলো ব্যান্ডেজ মারা। অসহ্য ব্যথায় কাতরাচ্ছি। একটু আগে আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ ডক্টর কবজ এ হুদা আমাকে দেখতে এসেছেন। মনের দুঃখে ওস্তাদকে জড়িয়ে ধরে অনেক্ষণ কাঁদলাম। কাঁদতে কাঁদতে বললাম, 'ওস্তাদ, মানুষ বিয়ে করে কেন?'

ডক্টর হুদা লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, 'মানুষ বিয়ে কেন করে, এটা জানার জন্য আমিও একবার বিয়ে করছিলাম। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরে ভুলে গেছি, বিয়ে কেন করছিলাম!'

বি.দ্র: আপনি কি শাড়ির আঁচল ঠিকমত ধরতে পারেন 🤓?

সমাপ্ত following Saat Rong

জাপানিরা সবচেয়ে পছন্দ করে যে ভাত সেটা স্টিকি। মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে। আমার ধারণা ছিল স্টিকি ভাত কা...
25/06/2024

জাপানিরা সবচেয়ে পছন্দ করে যে ভাত সেটা স্টিকি। মানে ভাতের দানা একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে। আমার ধারণা ছিল স্টিকি ভাত কাঠি দিয়ে সহজে খাওয়া যায় বলেই জাপানিরা এটা পছন্দ করে।

সাত বছরের জাপান জীবনের শুরুর দিকে আমি এই ভাত খেতে একদমই পছন্দ করতাম না। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো জাপানের বাজারে জাপানি কৃষকদের উৎপাদিত এই বিশেষ চালের দামই সবচেয়ে বেশি।

বাজার থেকে কয়েকবার বিভিন্ন ধরণের চাল কেনার পর বুঝলাম এই চাল যদি জাপানিরা নিজেরা উৎপাদন না করে আশেপাশের কোন এক দেশ থেকে আমদানি করতো তাহলে এর দাম অনেক কম পড়তো। আমি কৌতুহলী হয়ে আমার সুপারভাইজার প্রফেসর কামিজিমাকে একবার জিজ্ঞেসই করে ফেললাম

আমিঃ আচ্ছা প্রফেসর, তোমরা এই চাল বিদেশ থেকে আমদানি করো না কেন? আমদানি করলেতো এর দাম অনেক কম পড়তো!

কামিজিমাঃ তা হয়তো পড়তো!

আমিঃ তাহলে?

কামিজিমাঃ সরকার ইচ্ছে করেই কৃষকদের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের অনেক বেশি দাম দিয়ে এই চাল কেনে।

আমিঃ কেন?

কামিজিমাঃ কৃষকদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

আমিঃ মানে?

কামিজিমাঃ কৃষক যদি ভালো দাম না পায় তাহলে কি ওরা আর কৃষিকাজ করবে? পেশা বদলে ফেলবে না?

আমিঃ তাই বলে সরকার এত বেশি দামে চাল কিনবে কৃষকদের কাছ থেকে?

কামিজিমাঃ শোনো, আমরা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা ভুলিনি। জাপান একটা দ্বীপরাষ্ট্র। ঐরকম একটা যুদ্ধ যদি আবার কখনো লাগে আর শত্রুরা যদি আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে! তখন কী হবে ভেবেছ?

আমিঃ বুঝলাম না!

কামিজিমাঃ বাইরে থেকে কোন খাবার জাপানে আসতে পারবে? আমরা কি তখন এই ধরো টয়োটা গাড়ি খাব? কৃষক যদি না বেঁচে থাকে তাহলে ঐসময় আমরা বাঁচব?

আমি অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম কামিজিমার কথা শুনে।

আমরা কী অবলীলায়ই না আমাদের কৃষকদেরকে মেরে ফেলার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করছি!

Collected post.

শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম শ্বাশুড়ির মন বিস্মিত এবং দুঃখিত।মুখে হাসি নেই,কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।ব্যাপার কি?স্ত্রীকে ডেকে নি...
24/06/2024

শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম শ্বাশুড়ির মন বিস্মিত এবং দুঃখিত।মুখে হাসি নেই,কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।ব্যাপার কি?

স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাশুড়ি মা বিড়বিড় করে কি যেন বলছে।ওনার কথায় স্ত্রী একটু রাগান্বিত হলো মনে হলো।কিছু কি ঘটেছে গেছে এই বাড়িতে?

স্ত্রী ফিরলো মুখ ভার করে।জিগ্যেস করলাম " কিছু হয়েছে? "

স্ত্রী মুখে মিথ্যা হাসি এনে বললো " না,কি আবার হবে।তুমি রাতে কি খাবে? "

" তুমি তো জানো আমি বাছবিচারহীন।তাহলে জিগ্যেস করছো কেন? "

" না এমনি।তুমি বসো আমি রান্না ঘরে মায়ের সাথে আছি "

এটা বলে স্ত্রী চলে গেলো।মনের খটকা আরো বাড়তে লাগলো।কথা বলার ভঙ্গিতে ফোনটা কানে রেখে রান্না ঘরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।স্ত্রী বললো

" এতোদিন পর লোকটা আসলো,আর বাড়িতে রান্নার কিচ্ছুই নেই! কি ভাববে লোকটা? "

মা দুঃখীত স্বরে বললো " তোর ভাইয়ের কলেজে টাকা দিয়ে খুব হাত টানের উপর আছি রে মা।কি করি বল তো "

স্ত্রী বললো " আচ্ছা,ডাল আর ডিম ভাজাই করো।ওর খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নাই "

মা চাপা স্বরে বললো " নতুন জামাই আসলো বাড়িতে।অথচ ভালোমন্দ খাওয়ানোর সামর্থও নাই আমাদের! "

এসব শুনে ভীষণ ব্যথিত হলাম।আমাকে খাওয়ানো নিয়ে কেউ যে এতোটা ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারে সেটা আমার ধারণাও ছিলো না।

রাতেই বেড় হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে।বাজার থেকে মাছ,তরিতরকারি, রান্নার উপকরণ যা লাগে সব কিনে বাড়ি ফিরলাম।হাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ দেখে স্ত্রী বললো

" তুমি কি বাজার করলে? "

" হ্যা।আসার সময় দেখলাম বড় মাছটা রেখেছে, দেখে ভিষণ লোভ হলো।তাই নিয়ে এলাম "

ব্যাগ থেকে মাছটা বেড় করে উঠোনে রেখে বললাম " মা,কোথায় গেলেন "

মা এসে বাজার ভর্তি ব্যাগ দেখে বললো " ওমা,এসব বাজার কে আনলো? "

স্ত্রী বললো " কে আবার,তোমার জামাই আনছে "

মা বোধহয় লজ্জা পেলেন।কিছু বললেন না।আমি বললাম " মা আমি মাছটা কে'টে দিচ্ছি,আপনি ঝটপট রেঁধে ফেলুন তো।আপনার হাতের রান্না বহুদিন খাইনা "
মা উৎসুক হয়ে বাজার ভর্তি ব্যাগ নিয়ে রান্না ঘরে যেতে যেতে বললো " কি বোকা ছেলে দেখো তো,শ্বশুর বাড়িতে এসে বাজার করতে গেছে! "

রাতে সবাই মিলে হৈচৈ করে খাবার খেয়ে কিছুক্ষন গল্প করে শুতে গেলাম।

ঘরে এসে স্ত্রী টলমলে জল চোখে বললো " তুমি লুকিয়ে আমার আর মায়ের কথা শুনে এসব বাজার করে নিয়ে এসছো তাই না? "

হেসে বললাম " তো কি করবো?শ্বশুড়ি মা তো আমায় বাইরের মানুষ ভাবে।তাই লুকিয়েই শুনতে হলো "

" এসব কি বলো তুমি? মা শুনলে ভিষণ কষ্ট পাবে।এতো ভালোবাসে তোমায়! "

" ঠিকি বলছি।ভালোবাসলে আমার খাওয়া নিয়ে কেন এতো ব্যস্ত হতে হবে? আমি কি বাইরের লোক? কই তোমার খাওয়া নিয়ে তো ব্যস্ততা,মন খারাপ নিয়ে থাকেনি।খাওয়ার জন্য তো এখানে আসিনি।হাসি, আনন্দ একটু ভালো থাকার জন্য এসছি।বাবা মা তাদের সাধ্য মতো যা রান্না করে খাওয়াবে তাই খাবো "

স্ত্রীর চোখ ভর্তি জল,ঠোঁ'টে মিষ্টি হাসি।এ হাসি আমার ভিষণ প্রিয়।

ও চাষী ভাই কাঁদছ কেন গোমরা কালো মুখেফসল তোমার খাইছে বুঝি রোগ বালাই আর পোকে?কত সময় আল*সেমি আর হেলায় খাটাও তবুতোমরা তো ভ...
24/06/2024

ও চাষী ভাই কাঁদছ কেন গোমরা কালো মুখে
ফসল তোমার খাইছে বুঝি রোগ বালাই আর পোকে?

কত সময় আল*সেমি আর হেলায় খাটাও তবু
তোমরা তো ভাই কেউ কখনো বই পড় না তবু।

একটু যদি বই পড়িতে পাইতে রে ভাই পার
বই হতো তোর সোনার ক্ষেতের কীটনাশক আর সার।

চাষাবাদের নিয়ম কানুন বইয়ের মাঝে পেতে
তাহার জ্ঞানে সোনার ফসল ফলত তোমার ক্ষেতে।

ক্ষেতের কাজের পাশাপাশি
লইলে হাতে বই
আজকে তোমার পাকা ধানে পরতো না আর মই।

কৃষান শ্রমিক তোমরা যদি বই নিতে ভাই হাতে
হাসতে তুমি সোনার ফসল হাসত তোমার সাথে।

কি দোকানি ,কাঁদছ কেন !কি গো তোমার ব্যথা?
দোকানে তোর নাই বুঝি মাল নাই বুঝি তোর ক্রেতা!

তোমরা তো ভাই অনেক সময় কাটাও হেলা করে
সময় পেলেও কেউ কখনো দেখনা বই পড়ে।

মাঝে মাঝে বই পড়িলে পাইতে সুফল তার
বইয়ের গন্ধে তোর দোকানে আসত খরিদ্দার।

বইয়ের মাঝে পাইতে তুমি ব্যবসা করার নীতি
কোনকালেও দোকানে তোর জ্বলত না লাল বাতি।

ছোট্ট বড় সব দোকানি বই যদি নাও হাতে
হাসবে তুমি ব্যবসা তোমার হাসবে সাথে সাথে।

কি হলো গো বেকার যুবক কাঁদছ কেন ভাই
লেখাপড়া করেও তোমার আজ বুঝি কাজ নাই?

তোমরা যদি বইয়ের থেকে শিক্ষা নিতে দাদা
অন্য কারো চা*কর হতে শিক্ষা দিতো বাঁধা।

মন লাগিয়ে পড়তে যদি উচ্চমানের বই
বই হত তোর নিজের পায়ে ঊর্ধ্বে উঠার মই।

বইয়ের মাঝে পাইতে তুমি নতুন পথের দিশা
বইয়ের আলোয় উঠত জেগে কর্ম করার নিশা।

বইয়ের আলো সত্যি যদি পড়তো তোমার মনে
বেকার থেকে পারতে না আর ঘুরতে বনে বনে।

বেকাররা সব বই জড়িয়ে ধরলে বুকের মাঝে
নিজের গুনে বই তাহাদের নামিয়ে দিত কাজে।

কি হলো গো মা জননী কাঁদছো কি বা শোকে
কুলের শিশু উপোস বুঝি দু"ধ আসে না বু*কে।

তোমরা তো মা টিভি দেখে সময় কাটাও তবু
ইচ্ছে করে কেউ কোনদিন বই পড় না তবু।

কাজের ফাঁকে তোমরা মাগো বই পড়িতে যদি
বই হত তোর শিশুর মুখের দুধ সুজি আর দধি।

বই দিয়ে সেই নীতির সাথে হয়ত পরিচয়
কেমন করে মা ও শিশুর যত্ন নিতে হয়।

শিশুর সাথে বই যদি আজ থাকত মায়ের কোলে
সকল শিশু উঠত বেড়ে বইয়ের দোলায় দোলে।

কি হলো গো বিশ্ব মাতা তোমার চোখে পানি
বাসিন্দা তোর করছে বুঝি দা*ঙ্গা হানা হানি?

বিশ্ববাসী কান্দে আজি বিশ্ব মা তোর ভূলে
বিশ্ববাসীর হাতে তুমি দাওনি কিতাব তুলে।

সবার মনে ফেলতে যদি বই কিতাবের ছায়া
সবার মনে সবার প্রতি উঠত জেগে মায়া।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিলে বই কিতাবের ফুল
বইয়ের আলোয় স্বর্গ হতো বিশ্ব মা তোর কূল।

শিরোনাম :- বইয়ের গুরুত্ব
লেখায়:-ফেরদৌস আহমেদ।

গল্পের শেষ লাইন

জীবন নিয়ে কিছু উক্তি : 1. “জীবন হতে পারে চমৎকার, যদি আপনি একে ভয় না পান। এজন্য প্রয়োজন সাহস, কল্পনা শক্তি ও অল্প কিছু...
24/06/2024

জীবন নিয়ে কিছু উক্তি :

1. “জীবন হতে পারে চমৎকার, যদি আপনি একে ভয় না পান। এজন্য প্রয়োজন সাহস, কল্পনা শক্তি ও অল্প কিছু টাকাকড়ি।” – চার্লি চ্যাপলিন

2. “জীবন বাই সাইকেল চালানোর মতো একটা ব্যাপার, পড়ে যেতে না চাইলে তোমাকে সামনে চলতে হবে।” – আইনস্টাইন

3. “জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।” – স্টিফেন হকিং

4. “জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়, জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।” – হুমায়ূন আহমেদ

5. “জীবন বিস্ময়কর হতে পারে, যদি মানুষ একা আপনাকে ছেড়ে দেয়।” – চার্লি চ্যাপলিন

6. “ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা না পেলে তার জীবন দুঃখের ও জড়তার।” – কাজী নজরুল ইসলাম

7. “জীবনটা খুবই ছন্দহীন হয়ে যেত যদি জীবনে কোন হাসি ঠাট্টা না থাকতো।” – স্টিফেন হকিং

8. “মধ্যবিত্ত পরিবার গুলি জানে, জন্মের সময় থেকেই শিক্ষা শুরু হয়ে যায়।” – জেফ্রি কানাডা

9. “সৎ মানুষ মাত্রই নিঃসঙ্গ, আর সকলের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু।” – হুমায়ূন আজাদ

10. “শত শত আঘাতের পরেও মুখে হাসি রেখে পথ চলার নামই জীবন।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

23/06/2024

one

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জ...
21/06/2024

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!

🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!

🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।

🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’

🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!

🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।

🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’

🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!

🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’

🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!

🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।

🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।

🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’

🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।

🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।

🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।

🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।

🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।

🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।

এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

___ নজরুল অঞ্জলি ツ
(সংগৃহীত)

একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন,অমন রাগতে তাঁর ঘনিষ্ঠরা অতীতে কোনওদিন দেখেন নি। কবির চিকিৎসার জন্য ডাক...
19/06/2024

একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন,অমন রাগতে তাঁর ঘনিষ্ঠরা অতীতে কোনওদিন দেখেন নি। কবির চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা রবীন্দ্রনাথের গালের কাছে কিছু অংশের দাড়ি কেটে দিয়েছিলেন। গোটা ঘটনা ঘটে রবীন্দ্রনাথের অগোচরে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাড়িতে হাত দিয়ে তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর দাড়িতে কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। আয়নাতে মুখ দেখে কবি রাগে অগ্নিশর্মা।

রবীন্দ্রনাথ মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত যন্ত্রনা অনুভব করছিলেন। কলকাতা থেকে স্বনামধন্য চিকিৎসকের দল আসে। ডাঃ নীলরতন সরকার,ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখ। তারা কবিকে দিনের বেলায় ভালভাবে পরীক্ষা করে শারীরিক যন্ত্রনার কারণ শনাক্ত করতে পারলেন না। সিদ্ধান্ত হল ঘুমের ওষুধ দিয়ে কবিকে ঘুম পাড়িয়ে তাঁর দাড়ির ভেতরটা দেখতে হবে। সেইমত রবীন্দ্রনাথের রাতের খাবারের সঙ্গে গোপনে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। কবি তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ডাক্তাররা তাঁর কানের কাছের চুল ও গালের কিছু অংশের দাড়ি কেটে তাঁকে ভালকরে পরীক্ষা করলেন এবং ওষুধপত্র দেওয়া হল।

রবীন্দ্রনাথের দাড়ির ওই দশা করে বিধান রায়, নীলরতন সরকার শান্তিনিকেতনে থাকার ভরসা পেলেন না। সেই রাতেই তারা কলকাতা পাড়ি দিলেন। ভোরবেলায় কবির ঘুম ভাঙলে তিনি দাড়িতে হাত দিয়েই অনুভব করলেন কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। এরপর আয়নাতে নিজের মুখ দেখে রাগে অগ্নিশর্মা। বনমালীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁর দাড়ির এমন দশা কিভাবে হল। বনমালী কাঁদতে, কাঁদতে বললেন তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এসব কিছুই জানে না। কবি নিয়মমত কফি খেতেন, কিন্তু সেদিন রাগে কফি খেলেন না। রবীন্দ্রনাথ এরপর বনমালী কে বললেন রথীন্দ্রনাথ কে ডেকে আনতে। বনমালী ঘুরে এসে খবর দিল জরুরি কাজে ভোরবেলায় রথীন্দ্রনাথ শ্রীনিকেতন গিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ আরও গুম হয়ে গেলেন, বনমালী যতবার খাবারের কথা বলে ততবার কবির কাছে ধমক খায়। কেউ রবীন্দ্রনাথের কাছে যেতে সাহস পান না। শেষ পর্যন্ত পুত্রবধূ প্রতিমাদেবী কবির সামনে গিয়ে বললেন তিনি না খেলে বাড়ির অন্যরা কেউ যে খাবার মুখে তুলবে না। তবুও যেন কবির রাগ কমে না। আবার রবীন্দ্রনাথ কে খাওয়ার অনুরোধ করলেন রথীন্দ্রনাথ জায়া। প্রচণ্ড ক্ষোভের সঙ্গে কবি জানালেন তাঁর দাড়িতে হাত দেওয়ার আগে তাঁকে কি একবার জিজ্ঞেস করার দরকার ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কবি খেয়েছিলেন। কিন্তু বাবার সামনে ভয়ে কয়েকদিন যান নি রথীন্দ্রনাথ।

কবির জীবনের ভিন্ন ধরনের অনবদ্য এই কাহিনী লিখেছেন নন্দিনী অর্থাৎ পুপে। ঠাকুরবাড়ির মেয়ে না হলেও তাঁকে বুকে টেনে প্রতিমা মিটিয়েছিলেন মাতৃত্বের সাধ। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নাম নন্দিনী, তাঁর শিশুমনে ঘটনাটি এমন দাগ কাটে পরিণত বয়সে দাদামশাইয়ের কথা লিখতে গিয়ে অনবদ্য ছবিটি উপহার দিয়েছেন। 'পিতা পুত্রী' - তে নন্দিনী , রথীন্দ্রনাথ ছাড়াও লিখেছেন দাদামশাই রবীন্দ্রনাথের কথা। নন্দিনী আত্মপ্রকাশে বিমুখ ছিলেন, লিখেছেন কম। যদি আরও একটু বেশি লিখতেন, তাহলে আরও অনেক দুর্লভ ছবি উপহার দিত,

(পুস্তক ঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার, ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব),@ধ্রুব তারাদের খোঁজে সংকলনে অরুণাভ সেন

#সংগৃহীত

মাত্র দেড় কোটি জনসংখ্যার একটি গোষ্ঠীর কাছে পৃথিবীর ৫৬ টি দেশ ও ১৯০ কোটির উপরে মানুষ বিদ্রোহ করেও টিকতে পারছেনা শুধু জ্ঞ...
15/06/2024

মাত্র দেড় কোটি জনসংখ্যার একটি গোষ্ঠীর কাছে পৃথিবীর ৫৬ টি দেশ ও ১৯০ কোটির উপরে মানুষ বিদ্রোহ করেও টিকতে পারছেনা শুধু জ্ঞানের কারণে।
দ্বীপ রাষ্ট্র নাউরুর ও সম্পদ ছিল, পৃথিবীর ২য় ধনী রাষ্ট্র ও হইছিলো কিন্তু এখন আর নাই।আরব বিশ্বের সম্পদও চিরকাল থাকবেনা। কিন্তু ওই দেড় কোটি মানুষের জ্ঞানের ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম রক্তের মাধ্যমে বইতে থাকবে।

কোকাকোলা বয়কট করেন তাতে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু লিস্ট শুধু কোক না লিস্টটা অনেক লম্বা।পড়তে পড়তে আপনার দাঁত ভেঙ্গে যেতে পারে।শুরুটা ইনটেল , মাইক্রোসফট , উইকিপিডিয়া , গুগল ও ফেসবুক দিয়ে শুরু করা যাক।আপনি যে কম্পিউটার ব্যবহার করছেন তার প্রসেসরটা ইহুদীদের তৈরী।একটা ১৪ ইনটেল প্রসেসরের দাম প্রায় ৬৯০০০ টাকা।ওটা নিশ্চয়ই আপনার দুই লিটার কোকের দাম নয় যে চাইলেই ফেলে দিবেন।এতবড় আত্মা এখনো এই দেশে কম্পিউটার ব্যাবহারকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের হয় নাই।ডেল, লেনোবা যাই ব্যাবহার করুন ওদের কাছে আপনি না চাইলেও খত দিতে হবে।সবার ঘরে ঘরে তো আর কম্পিউটার নাই!! আপনার হাতের যে মোবাইলটা তার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এই ইহুদিদের তৈরী। ফেসবুক , গুগল , ইউটিউব এসব ব্যাবহার করতে করতে যারা হাতের আঙ্গুল ব্যাথা করে ফেলছেন তারা বড়জোর নির্লজ্জের মত ফেসবুক ভিউ পেতে পোস্ট করেই শেষ। আমাদের দেশের বিভিন্ন বুলডোজার ইহুদিদের তৈরি। ওদের তৈরি Dell, GE , HP এগুলো আপনারা ছাড়বেন না তাতো বহু আগে থেকেই জানা।
আরব বিশ্বে ইহুদীদের ম্যাকডোনাল্ড এর সংখ্যা কেন দিন দিন বাড়তেছে সেই প্রশ্ন কখনো নিজেকে করছেন?
ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি এসব দেখলেই যাদের জিহ্বা লিকলিক করে তারা শুধু ফেসবুকে বয়কট লিখেই জিহ্বা চাটতে চাটতে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন সেটাও আমি জানি।যে নোকিয়া মোবাইল দিয়ে আপনার মোবাইল ব্যাবহার শুরু করেছিলেন সেটাও তাদের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্ববিখ্যাত মোটোরোলাও তাদের।
আপনি হয়তো ভাবছেন আজ থেকে পাকিস্তানি মোবাইল ব্যবহার শুরু করবেন কিন্তু সেই মোবাইলের ভেতরের যন্ত্রাংশ ও তাদের। আপনাদের শুধু আছে মুখ আর মুখোশ।

মাত্র ৬০ লক্ষ জনসংখ্যার একটি দেশ আপনাদের পুতুলের মত নাচাচ্ছে আর আপনারা নেচে নেচে তাদেরই ফেসবুকে এসে পোস্ট দিচ্ছেন ' বয়কট !!
আপনার এই পোস্টেও লাভ তাদেরই হচ্ছে । ইসরাইলের পণ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করছেন এতেও লাভ তাদের হচ্ছে।আপনারা যত বেশি নাচানাচি করবেন তাদের লাভ ততবেশি ।।

আপনি খাইলেও তাদের লাভ।না খেয়ে সিএনএন, বিবিসি,ডিজনি ও খেলার চ্যানেল সহ ডিসকভারি দেখলেও তাদের লাভ।ভলবো বাসে করে আপনি ঘুরতে গেলেও তাদেরই লাভ।

ব্রান্ড স্টার কফিতে চুমুক দিয়ে উদাসী হবেন এতেও তাদের লাভ।বিশ্বকে জানতে নামিদামি পত্রিকা পড়বেন তাতেও তাদের লাভ। আপনি খালি পায়ে থাকলেও তাদের লাভ আবার ফ্যাশন করে দামী জুতা পরলেও তাদের লাভ।

আরেকটা কথা ম্যাগি, বাটা, আটা, ময়দা ও সুজি এসব কোনটাই তাদের পণ্য নয়।তারা আটা, ময়দা ও সুজি বিক্রি করে রাষ্ট্র চালায়না। তাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯০ ভাগ আপনাদের ছাড়াই হয়। লরিয়াল, প্রেসিডেন্ট এসব আপনি কিনলেও তাদের লাভ আর না কিনলেও তাদের লাভ । আমেরিকা ও ইউরোপের মত দেশ যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রপ্তানি করে সেখানে আপনি আমি চোখ খুললেও কিছু যায় আসেনা।আর চোখ বন্ধ করে তেল মেখে ফেসবুক গুতালেও তাদের কিছু যায় আসেনা ।।

কথায় কথায় বয়কট বয়কট না করে নিজেদের চরিত্র সংশোধন করুন। নিজেদের সর্বজ্ঞানী না ভেবে, আগামী ইউটিউব ও ফেসবুক বিজ্ঞানী না বানিয়ে জ্ঞান অর্জন করার শিক্ষা দিন।নিজ দেশে জ্ঞানী মানুষকে সম্মান দিবেননা আর বলবেন প্রতিবেশীরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।বলি নিজের চরকায় তেল দিতে শিখুন।চুরি ও দূর্নীতি, সুদ, ঘুষ, পরনিন্দা এসব ছেড়ে মানুষ ও দেশপ্রেমিক হতে শিখুন। আমাদের মতো হিন্দু, মুসলিম , আস্তিক, নাস্তিক , ধনী ও গরীব এতো ভেদাভেদ ৬০ লক্ষ মানুষের ছোট দেশ ইসরায়েলে নেই।
আপনারাও জাতি ভেদাভেদ ভূলে জ্ঞান ও জ্ঞানীকে সম্মান করতে শিখুন। আইনস্টাইনকে হিংসা না করে নিজের সন্তানকে জ্ঞান অর্জন করার শিক্ষা দিন।
কোকাকোলা যখন শুরু হয় তখন ইসরায়েল নামক দেশটি পৃথিবীতে ছিলোনা। কিন্তু জাতি হিসেবে তারা একতাবদ্ধ বিধায় তারা এর সুফল পেয়েছে। আমাদের মধ্যে শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি , মাজার পুজারি , হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান কত ভাগ।এই দেশ উন্নতি করবে কেমনে?
যে দেশে দূর্নীতিবাজদের গলায় ফুলের মালা দেওয়া হয় , ঘুষখোর ও রাজাকারকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয় সেই দেশটা ফেসবুক আর ইউটিউব বিজ্ঞানীরাই শেষ করে দিবে এবং দিচ্ছে।ফেসবুক ও ইউটিউব ভিউ ও টাকা কামানোর ধান্দায় এরা দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
যে দেশে সৎ মানুষের সম্মান নাই , জ্ঞানী লোকের সম্মান নাই, দেশ প্রেমিকদের সম্মান নাই সেই দেশের মানুষের মুখে বয়কট শুনলেই হাসি পায়। কাউকে বয়কট করার আগে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করুন , নিজেদের পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলুন নয়তো আফগানিস্তান ও ইরাকের মত অথবা পাকিস্তানের মত আম ও ছালা দুটোই হারাতে হবে।।লোটা হাতে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ হয়ে বিশ্ব শাসন করা যায়না।এই বিশ্বকে শাসন করতে হলে ধর্মান্ধতা ও উগ্রতা পরিহার করে এবং গাছে ভূত আছে এই জাতীয় কুসংস্কার কবর দিয়ে জ্ঞানে ও বিজ্ঞানে উন্নত জাতি হতে হবে।তাহলে এক ঢাকা শহরের মানুষকে দিয়েই পুরো বিশ্ব শাসন করতে পারবেন।আর লোটা বিজ্ঞান পড়লে দেশ ও জাতি দুটোই ধ্বংস হবে আজ নয়তো কাল।

-সংগৃহীত

Address


Opening Hours

Monday 10:00 - 21:00
Tuesday 10:00 - 21:00
Wednesday 10:00 - 21:00
Thursday 10:00 - 22:00
Saturday 10:00 - 21:00
Sunday 10:00 - 21:00

Telephone

+8801302236777

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saat Rong Event Managment Pabna posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Saat Rong Event Managment Pabna:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Event Planning Service?

Share