Gharoa

Gharoa Homely Event Catering & Cloud Kitchen: Delightful Dishes, Delivered.
(3)

ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ও যদি পান ঘরের ছোঁয়াকেমন হয় বলুন তো??একেবারেই ঠিক দেখছেন।এবার ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য একেবারে ঘরের তৈরি সুস্বাদু খাবার। বসন্ত হোক কিংবা পৌষ পর্যটকদের সব সময়ের পছন্দের জায়গা কিন্তু বোলপুর।কেউ আসেন এখানে শান্তিনিকেতন দেখতে আবার কেউ বা আসেন সোনাঝুরি। কিন্তু চেনা জানা না থাকলে পড়তে হয় সমস্যায়,কোথায় খাবেন আর খেলেও ঘরের তৈরি জিনিস কোথায় পাবেন?আসলে বাঙ্গালীদের একটা ব্য

াপার ই আলাদা বাইরে গেলেও ঘরের পরিবেশটাকে কোথাও যেনো মিস করে।এবার আপনি এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে, এখানে এসেও যদি নিজেকে রান্না করে খেতে হয় তাহলে ঘুরবেন কখন আর যদি বাইরে খান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুস্বাদু খাবার পাবেন কোথায়?আপনাদের এই সমস্যা দূর করতে বোলপুরে ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য ঘরের তৈরি হাতের বানানো সুস্বাদু খাবার। আর সব থেকে খুশির বিষয় হলো আপনি যেমন বা যে ধরনের পদ খেতে চান, সেই খাবার ই ঘরোয়া হাজির করবে আপনাদের সামনে।অল্প সংখ্যক অর্থাৎ ছোটো গ্রুপ গুলি যারা বেড়াতে আসেন বোলপুরে,তাদের চাহিদা অনুযায়ী একেবারে ঘরের মতন করে পরিবেশন করবে ঘরোয়া।এছাড়াও ঘরোয়া দিচ্ছে আরো এক সুবিধা, জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকীর মতন অনুষ্ঠানগুলিতেও আপনারা পাচ্ছেন ঘরে বসে ঘরোয়ার সুস্বাদু খাবার।তাহলে আর চিন্তা কিসের?এবার ঘর থেকে বাইরে এসেও উপভোগ করুন ঘরের ছোঁয়া।

বাঙালির খাওয়া মানেই সেখানে রসনা তৃপ্তি ও মনের শান্তি দুইই চাই। বাঙালি পারে অত্যন্ত সাধারণ রান্নাকে সাজিয়ে গুছিয়ে অসাধা...
09/04/2024

বাঙালির খাওয়া মানেই সেখানে রসনা তৃপ্তি ও মনের শান্তি দুইই চাই। বাঙালি পারে অত্যন্ত সাধারণ রান্নাকে সাজিয়ে গুছিয়ে অসাধারণ করে তুলতে। বাঙালি রান্নাঘরে যেমন সবজি বাহার থাকে, তেমন স্বমহিমায় বিরাজ করে হরেক রকমের শাক পাতা। অতি সাধারণ শাকপাতা রন্ধন গুনে হয়ে ওঠে অসামান্য।
বাঙালির খাদ্যভান্ডারে নানাবিধ শাকের আনাগোনা। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শাক ও পরিবর্তন হয়ে য়ায়। অবাঙালিদের তো হাতে গোনা ক'টা শাক: পালক(পালং শাক), সরষো কা শাক(সরষে শাক), মেথি শাক ইত্যাদি।
এদিকে বাঙালিদের শাক এবং শাকের রেসিপি রকমারি। অনেক জায়গায় কালি পুজোর আগের দিন অর্থাৎ ভূত চতুর্দশীর দিন ১৪ রকমের শাক খাবার রীতি প্রচলিত আছে। ভাবুন আমরা বাঙালিরা ২-৩ রকম নয়, একদম ১৪ রকম শাক একসাথে মিশিয়ে খাই।
কচুশাক বলতে কচুগাছকেই বলা য়ায়। সাধারনত: শাক বলতে সবজির পাতা বোঝায়, কিন্তু এক্ষেত্রে আলাদা। কচুর পাতা বাদ দিয়ে শুধু পাতার ডান্ডি গুলো রান্না করা হয়। ইহা খেতে খুবই সুস্বাদু। ডান্ডি গুলোর সঙ্গে সামান্য কচু অর্থাৎ মুলের অংশ ব্যাবহার করলে কচুশাক আরো আঠালো এবং সুস্বাদু হয়।
গরম ভাতের সঙ্গে সুস্বাদু কচুশাক পার করে এসেছে অনেক বছরের রসনার ইতিহাস। ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে সর্ষের তেলের ঝাঁজ মেশানো কচুশাকের স্বাদ যেন আনমনেই বলে দেয় 'আহা'! সামান্য নারকেল কোরার ছোঁয়ায় কচুশাক হয়ে ওঠে আরও অনবদ্য।
আবহমান কাল ধরে কচুশাক বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে এসেছে। এই রেসিপি এতই বিখ্যাত যে ঠাকুরবাড়ির রান্নার বইগুলোতেও ছোলা দেওয়া কচুশাকের বর্ননা আছে।
তবে কচুশাকের যে শুধুই স্বাদ রয়েছে তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু গুণ রয়েছে এই শাকের। যেমন, কচু শাক গাঁটের ব্যথা দূর করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সর্বোপরি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কচু শাক ফাইবার মেটাবলিজম এর প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে ‌ খাবার হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া পেটের সমস্যাতেও উপকার করে কচু শাক। নিয়মিত কচু শাক খাওয়া ব্যক্তিদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। সব মিলিয়ে স্বাদে ও গুনে অন্য হাজারো রান্নাকে টেক্কা দিতে পারে হেঁসেলে রাঁধা বাঙালি প্রিয় কচু শাক।

এবছরের মত বাঁধাকপিকে বিদায়...শীতের শেষের বাঁধাকপি বিস্বাদ হয়ে পড়ে। শীতের শুরুতে এই সবজি এতটাই সুস্বাদু থাকে যে স্যালাডের...
20/03/2024

এবছরের মত বাঁধাকপিকে বিদায়...

শীতের শেষের বাঁধাকপি বিস্বাদ হয়ে পড়ে। শীতের শুরুতে এই সবজি এতটাই সুস্বাদু থাকে যে স্যালাডের সাথে কাঁচাই খাওয়া য়ায়।

এর কারন কি? বসন্তের বাঁধাকপিতে আপনি যতই তেল মশলা দিন- যতই কষে রান্না করুন, সে যেন কোনোকিছুর সাথেই মেশে না।

মানুষের সাথেও এমন হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ বড়ই কূপমণ্ডূক হয়ে পড়ে। জীবনের শেষ পর্ষায়ে এসে সে তার আচার বিচার নিয়ে এতটাই চরমপন্থী হয়ে যায় যে অন্য কোনো চিন্তা বা চেতনাকে তার চিত্তে প্রবেশঅধিকার দেয় না।

এর ফলে সেই মানুষটিও বসন্তের বাঁধাকপির মত বিস্বাদ হয়ে পড়ে। দুরের মানুষ তাকে এড়িয়ে চলে এবং কাছের মানুষের বিরক্ত হয়।

শুধুই মা করতেন, বা কোনো পুর্বপুরুষ করতেন বলে কোনো নিয়মকে আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। সময়, পরিস্থিতি সব বদলেছে। ইতিহাস সাক্ষী আছে সময়ের সঙ্গে আচার, বিচার ও নিয়ম সব বদলেছে। পরিবর্তন মেনে নিন- বা উদারমনস্ক হোন, ভারতর্ষের সংস্কৃতি সবত্র উদারতার শিক্ষা দেয়।

পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশগুলির বয়স্করা এমন নয়। তারা পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করে, নুতন সময়ের নতুন নিয়মকে উৎসাহ দেয়-তাইতো তারা উন্নয়নের পথে অগ্রগতির পথে।

যেসব বয়স্করা বসন্তের বাঁধাকপির মতন তাদের কাছে একান্ত অনুরোধ জানলা দরজা খুলে দিন, বসন্তকে আসতে দিন। বসন্তকে উপভোগ করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

অনেকেই মনে করেন ভারতবর্ষে প্রথম চাষ করা সবজী হল লাউ।  লাউতে আছে প্রচুর পরিমানে জল, প্রোটিন, ভিটামিন ইত্যাদি। কিন্তু আপনা...
11/03/2024

অনেকেই মনে করেন ভারতবর্ষে প্রথম চাষ করা সবজী হল লাউ। লাউতে আছে প্রচুর পরিমানে জল, প্রোটিন, ভিটামিন ইত্যাদি।
কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন লাউয়ের খোসায় আছে প্রচুর পরিমানে অ্যাসকারবিক অ্যাসিড (অর্থাৎ Vitamin C) এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থগুলো। আপনারা লাউয়ের খোসা বাদ না দিয়ে সেগুলো একটু সামান্য একটু সরষের তেলে ভেজে নিতে পারেন। শুধু লাউয়ের খোসা ভাজা-ই খেতে মন্দ হবে না।
লাউয়ের খোসার সাথে কটা উচ্ছে কেটে ভেজে নিন। তাহালে ওটা একাধারে সুস্বাদু একটা পদ ও হবে এবং একই সাথে ওটা আপনার ত্বকের জন্য হবে অনবদ্য পুষ্টিকর এক খাবার।
তাহলে ভেবে দেখুন লাউয়ের খোসা ফেলে দেবেন নাকি রান্না করে খাবেন?
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

কথায় আছে স্বাদে-আহ্লাদে বাঙালি। বাঙালির রান্না যেমন তেলে-ঝোলে -অম্বলে, তেমনই বাঙালির স্বাদ ভঞ্জন হালকা হাতের রান্নায়। বা...
09/03/2024

কথায় আছে স্বাদে-আহ্লাদে বাঙালি। বাঙালির রান্না যেমন তেলে-ঝোলে -অম্বলে, তেমনই বাঙালির স্বাদ ভঞ্জন হালকা হাতের রান্নায়। বাংলার খাদ্যসংস্কৃতির রূপ ময়ূরী মিশ্রিত। তার সঙ্গেই পাল্লা রেখে বাঙালির রান্না কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার মতোই। কি নেই হ্যাঁ বাঙালির মেনুতে! সকালের ফুলকো লুচি হোক কি দুপুরের ভাত পাত, বিকেলের সান্ধ্য স্বাদে বৈচিত্র্য হোক কি রাতের বেলার ভুঁড়িভোজ: বাংলার পাত কিন্তু পরিপূর্ণ। এই স্বাদ অতুলনীয় ও অন্যন্য। যতই বিদেশের খাবারে পাড়ি দেওয়া হোক না কেন! বাঙালি কিন্তু সেই ফিরবে বাংলার কোলে।
চোখ মেলে দেখুন এখন রেস্তোরাঁ মানেই চইনিজ খাবার: চাউমিন, এগরোল কিংবা চিলি চিকেন- খাঁটি বাঙালিয়ানা খাবার পাওয়া য়ায় এমন রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে৷ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় বাঙালি খাবারের নামে আছে ট্যাসটেসে মাছের ঝোল কিংবা বিস্বাদ একটা শুক্তো। আর কোন বাঙালি খাবার পাওয়া য়ায় বলুন রেস্তোরাঁয়? পোস্ত? থাক তার কথা আর না বললেই ভালো।
কিন্তু বাঙালি তো খাদ্যরসিক। ভালো বাঙালিয়ানা খাবার বিরল এবং উৎকৃষ্ট নয় বলেই হয়ত অন্যান্য জাতির খাবারকে এত বেশি আপন করছে।
এই আমুদে বাঙালির জীবন ও তাঁর রসনা তৃপ্তির জন্য আমরা নিয়ে আসছি 'খাঁটি বাঙালিয়ানা স্বাদ' নামে একটি Combo Series!
আমাদের এই Combo- গুলোয় সাজানো থাকছে পাত ভরা বিভিন্ন বাঙালিয়ানা পদের স্বাদ। লাউচিংড়ি, রুইপোস্ত, মাছের ঝাল, বিভিন্ন সব উপাদেয় ঘন্ট ও বাঁটাবাঁটি দিয়ে।
আশাকরি আমাদের ঐতিহ্যময়ী বাঙালিয়ানা খাবারগুলো আপনাদের ভালো লাগবে- তাই আমাদের সঙ্গে থাকুন আর উপভোগ করুন 'খাঁটি বাঙালিয়ানা স্বাদ'।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান,ভালো থাকুন।

বাঙালির মানেই কি শুধু মাছ ভাত? না মশাই- বাঙালির খাদ্যভান্ডারে আছে অজস্র রতন। পোলাও থেকে কষা মাংস, ঘন্ট থেকে ঝোল, পোস্ত থ...
08/03/2024

বাঙালির মানেই কি শুধু মাছ ভাত? না মশাই- বাঙালির খাদ্যভান্ডারে আছে অজস্র রতন।

পোলাও থেকে কষা মাংস, ঘন্ট থেকে ঝোল, পোস্ত থেকে শুক্তো, ফুলুরি থেকে পিঠে সবই বাঙালির নিজস্ব খাবার, সবেতেই বাঙালির বাঙালিয়ানা, বনেদিআনা।
আমরা বিভিন্ন দেশের খাবার খেয়ে খেয়ে নিজেদের খাবারগুলোর গুলোর স্বাদ এবং তাদের আভিজাত্য ভুলতে বসেছি, তাইতো রেস্তোরাঁগুলোতে বাঙালিয়ানা খাবারগুলোর তেমন চল নেই।

আচ্ছা আপনি হরফ করে বলুন তো কোন রেস্তোরাঁয় শেষবার মোচার তরকারি খেয়েছেন? কোথাও কি লাউ ঘন্ট বা সুন্দর একটা বড়ার তরকারি খাবার কথা মনে পড়ে?

আচ্ছা রেস্তোরাঁর কথা ছেড়েই দিলাম: এতবড় একটা বিয়ের Season গেল, হরফ করে বলুন তো- কোনো বিয়েবাড়িতে কি কোনো খাঁটি বাঙালিয়ানা তরকারি ছিল? থাকলেও ব্যতিক্রমী চরিত্রে। এখন বাঙালিয়ানা পদ হিসাবে থাকে শুধু মুগডাল- সেটিও ভেজডাল হয়ে গেছে যা আদতে একটি অবাঙালী পদ।

আমরা এখানে বাঙালি বা অবাঙালি পদ নিয়ে বিবাদ করতে চাইনা- আমরা শুধু বলছি আমাদের এত উপাদেয় বাঙালিয়ানা পদগুলো কি হারিয়ে যাবে? তাদের আর কোথাও দেখা যাবে না? রেস্তোরাঁয়, ভোজে বা বনভোজনে কোথাও না?

কয়েকটি পদ আছে যেগুলো কিছু কিছু অনুষ্ঠানবাড়িতে মানুষ এখনও খাদ্যতালিকায় রাখছে-তার মধ্যে একটি হল এঁচোর চিংড়ি। যদিও শুধু গ্রাম ও মফঃস্বল গুলোতে এখনও এঁচোর চিংড়ি পরিবেশন করা হয়, শহরতলিতে এসবের রেওয়াজ তুলনামূলকভাবে বিরল।

এঁচোর এমনিতেই খুবই সুস্বাদু পদ এবং এতে চিংড়ি দিলে এর স্বাদ হয় আরও অনবদ্য। আসুন আমরা আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা এই ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো মেনুতে রাখি এবং খাঁটি বাঙলিয়ানার স্বাদ গ্রহন করি, অতিথি অভ্যাগতদেরও অনুভব করাই একদম নিজস্ব কিছু বঙ্গরসনা।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

মার্চের শুরুতে বৃষ্টি৷ মানা য়ায় বলুন তো? আজকাল বৃষ্টির কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। যখন তখন- কখনও ঝিরিঝিরি করে পড়তে থাকছে, তো কখ...
05/03/2024

মার্চের শুরুতে বৃষ্টি৷ মানা য়ায় বলুন তো? আজকাল বৃষ্টির কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। যখন তখন- কখনও ঝিরিঝিরি করে পড়তে থাকছে, তো কখনো ঝমঝম করে পড়ছে। বসন্তকে ঠিকঠাক করে উপভোগই করতে দেয়না।

হয়ত ভাবলেন বসেই বিশেষ মানুষটার সাথে বেরোবেন- 'হাতে হাত রেখে, চোখে চোখ রেখে' দুদন্ড কাটাবেন; ওমা বৃষ্টি নেমে গেল, ব্যাস সব গেল ভেস্তে। কিংবা ভাবলেন বন্ধুরা কয়েকজন মিলে একটু দেখা করবেন, এটকু আড্ডা মেরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফিরবেন: সেগুড়ে বালি।

এদিকে শীত যেন যেতেই চায়না- আর একদিকে গ্রীষ্ম ও আসতে চাইছে; এখন দুজনের মধ্যে চলছে বিস্তর ঠেলাঠেলি। তাই দেখুন না: দুপুরে গরম আর রাত্রে ঠান্ডা। দুই ঋতুর রেষারেষি কি আমাদের শরীরে সহ্য হয়? তাই সবার ঠান্ডা, জ্বর, কাশি লেগেই আছে।

এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার।

ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে ধান, গম-সহ বিভিন্ন খাদ্যশস্য উৎপাদনের অফুরান ভাণ্ডার রয়েছে। ভারতে ধান জাতীয় খাদ্যের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনই গম থেকে উৎপাদিত খাবারগুলোও বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন অঞ্চলের মানুষেরা খুবই পছন্দ করেন।

কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার কি কি আছে? তার মধ্যে সহজলভ্য এবং সহজেই বানানো য়ায় কি কি?

গম থেকে তৈরি হয় আটা, ময়দা যেগুলোর সঙ্গে আমরা পরিচিত। কিন্তু এই গমকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে এক পুষ্টিকর ও উপাদেয় খাবার তৈরি হয়- 'ডালিয়া'! না না ডালিয়া ফুল নয়, ডালিয়া হল গম থেকে তৈরি এক বিশেষ ধরনের খাবার। 'ডালিয়া' হল গমের পরিবর্তিত একটি রূপ।

একটা সময় এই খাদ্যের তেমন চল না থাকলেও বর্তমানে ঘরে ঘরে 'ডালিয়ার খিচুড়ি' প্রসিদ্ধ। মেয়েদের বিভিন্ন পুজায়, ব্রতে যখন অন্ন খাওয়া বারণ থাকে অনেকেই তারা বিকল্প হিসাবে 'ডালিয়ার খিচুড়ি' খান।

সাধারণত গম থেকেই ডালিয়ার সৃষ্টি। গমকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে ডালিয়া প্রস্তুত করা হয়। বলা ভালো, গম থেকে তৈরি হওয়া ডালিয়ার প্রচুর পুষ্টিগুণ। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, গমের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হল ডালিয়া। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের জন্য স্বাদ ও পুষ্টির মেলবন্ধন হল 'ডালিয়ার খিচুড়ি'। ডালিয়ায় রয়েছে লো কার্বহাইড্রেট, লো ফ্যাট, অথচ পরিপূর্ন ফাইবার। ডালিয়াকে স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার হিসেবে ধরা হয়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, থায়ামিন, ফোলেট, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, জিঙ্ক, মিনারেল, ভিটামিন, আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান।
ব্রেকফাস্টে 'ডালিয়ার খিচুড়ি' খেলে আপনি সারাদিন চনমনে থাকতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এটি আপনার হজম শক্তির উন্নতি ঘটাবে ও ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। বলাইবাহুল্য, এক নয় একাধিক গুণ রয়েছে এই খাদ্যের।

ডায়াবেটিস ও কোলেস্টরলের সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্যও ডালিয়া দুর্দান্ত একটি খাদ্য। ব্রেকফাস্টে ডালিয়া খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকার পেতে পারেন। পাশাপাশি, যাঁরা নিত্য কোলেস্টরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ডালিয়াকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। কারণ ডালিয়া মানব দেহে ভালো ও খারাপ কোলেস্টরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডালিয়ার সঙ্গে আরও কিছু পুষ্টিকর জিনিস মিলিয়ে খেলে বাড়তি উপকার মেলে।

যেহেতু ডালিয়া এনার্জি সহায়ক একটি খাদ্য, তাই মানবদেহে শক্তির অভাব পূরণ হয় এই খাদ্যের মাধ্যমে। একদিকে যেমন শক্তি বাড়ায়, তেমনই ওজন কমাতে সাহায্য করে এই খাদ্য। এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে বলে, ওজন কম কমানোর জন্য ভালো একটি ব্রেকফাস্ট রূপে বিবেচিত হয় এটি। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিন ও আয়রনের উপস্থিতি যা ডালিয়াকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায় খাওয়ার হজম করতে সাহায্য করে এই খাদ্য।

ডালিয়াকে সাধারণত মিষ্টি ও নোনতা উভয় হিসেবেই খাওয়া যায়। ডালিয়ার সঙ্গে আরও সবজি ও মশলা যুক্ত করে বানিয়ে নিন 'ডালিয়ার খিচুড়ি'। দিনের শুরুতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট পেতে হলে 'ডালিয়ার খিচুড়ির' জুড়ি মেলা ভার।

কিছুু কিছু খাবার আছে যার আদ্যপান্ত বিভিন্ন রঙে রঙিন- না, লাল, নীল,সাদা কালো নয়: বৈচিত্রের রঙ, সংস্কৃতির রঙ আর তার সাথে স...
01/03/2024

কিছুু কিছু খাবার আছে যার আদ্যপান্ত বিভিন্ন রঙে রঙিন- না, লাল, নীল,সাদা কালো নয়: বৈচিত্রের রঙ, সংস্কৃতির রঙ আর তার সাথে স্বাদের রঙ তো আছেই।
খাবারগুলো যে বিশ্ববিখ্যাত এমন নয়, তবে বিশ্বের যেকেনো প্রান্তের মানুষ খেলেই তার মন আনন্দে ভরে যাবে।
এরকমই একটা খাবার হল ফুলকপির রোস্ট। আজ অবদি বুঝতে পারলাম না রেসিপিটার নাম ফুলকপির রোস্ট কেন হলো? ফুলকপির রোস্ট বানানোর সময় তো ফুলকপিটাকে সেইভাবে রোস্ট ও করা হয় না।
তারপর দেখুন ফুলকপির রোস্ট নামটা শুনে মনে হচ্ছে ইংরেজদের খাবার, কিন্তু রেসিপিটা দেখুন রান্নাটা মুগলাই রন্ধনশৈলিতে করা হয়।
তাহলে ভাবুন একটা রেসিপি য়ার নাম ইংরেজি, পদ্ধতিতে মুগলাই সেটা খাচ্ছি আমরা বাঙালীরা। ভাবা য়ায়?
এহেন খাবার স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয় হবে সেই তো স্বাভাবিক। ফুলকপির রোস্ট বাঙালির খাদ্যতালিকায় এরকম একমাত্র খাদ্য।
বাসন্তী পোলাও এর দোসর৷ শুধু খেতেও বেশ লাগে। সব মিলে ফুলকপির রোস্ট স্বাদে অতুলনীয় একটি পদ।

আার হ্যাঁ, এরকম নামের সঙ্গে পদ্ধতি মেলেনা এরকম আরও কোনো খাবার থাকলে কমেন্টে জানান৷

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

লাউশাক নাকি বাঙালদের খাবার! ঘটিরা খায় না। আবার অন্যদিকে আলুপোস্ত নাকি ঘটিদের খাবার বাঙালরা খায় না। কি তাজ্জব ব্যপার! রান...
29/02/2024

লাউশাক নাকি বাঙালদের খাবার! ঘটিরা খায় না। আবার অন্যদিকে আলুপোস্ত নাকি ঘটিদের খাবার বাঙালরা খায় না। কি তাজ্জব ব্যপার!

রান্নায় ঘটি বাঙাল নিয়ে পার্থক্য না করে, সুস্বাদু খাবারকে উপভোগ করাই বুদ্ধিদীপ্ত কাজ। আমাদের কাছে তো খাবার দু রকম: সুস্বাদু এবং অখাদ্য। সুস্বাদু খাবারগুলো চিরকালই অমলিন এবং তারা গোষ্ঠী, জাতি বা দেশের গন্ডীর বাইরে গিয়ে পুরো পৃথিবীতে সমাদৃত।

খাদ্যরসিক বাঙালিদের খাদ্যাভাসে যেমন নিজস্বতা আছে সেরকমই আছে অনান্য জাতির খাবারকে আপন করে নেওয়ার উদারতা। মোগলাই বিরিয়ানি, চিনা নুডলস্, আমেরিকার পিজা, ব্রিটেনের কেক পেস্টি, তিব্বতের মোমো- বাঙালি কি না খায়? তারপরও নিজেদের খাবার নিয়েই বিভেদ?

লাউ তো সকলেই খায়:লাউচিংড়ি,লাউঘন্ট তো সবার প্রিয়। কিন্তু লাউশাকের তরকারি বানিয়ে খেতে এখানকার মানুষকে তেমন দেখিনি।

এখন বাজারেও লাউশাক কিনতে পাওয়া যায়, তাই অন্যান্য শাকের মত এটাও একটা শাক, বাজার থেকে কিনে আনুন- ক'টা বড়ি দিয়ে সুন্দর করে রান্না করুন। খেলেই মন ভরে যাবে।

"আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি
তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী!"
সত্যি পূর্ব বা পশ্চিম বঙ্গের খাদ্যের কোনো তুলনা নেই। বঙ্গজননীর সব পদই উপাদেয়। তাই বিভেদ না করে খাবারগুলো উপভোগ করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন!

পাটিসাপটাপাটিসাপটা এক ধরনের পিঠা। বঙ্গজননীর একদম নিজস্ব খাবারগুলোর একটা হলো পাটিসাপটা পিঠে।  নবান্নের পর শীতকালে পৌষপার্...
22/02/2024

পাটিসাপটা

পাটিসাপটা এক ধরনের পিঠা। বঙ্গজননীর একদম নিজস্ব খাবারগুলোর একটা হলো পাটিসাপটা পিঠে। নবান্নের পর শীতকালে পৌষপার্বণ! এই পৌষপার্বণেই হয় পিঠাপুলি।
প্রতিটি জাতিরই নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস আাছে। বাঙালিরও আছে। বঙালির সেই খাদ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে বিরাজমান বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পদ। পাটিসাপটা তাদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত মিষ্টি।
বাঙালি তো আবার ভোজনরসিক! তাই নিজস্ব খাদ্যাভ্যাসের তালিকায় তারা আবার যোগ করে নিয়েছে বিভিন্ন জাতির খাদ্য ও রন্ধনশৈলী।
তাই বলে কি বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতি কখনো হারিয়ে যেতে পারে? কখনোই না। তবে সেই পুরনো সংস্কৃতি থাকলেও বদলেছে অনেক কিছু।
একটা সময় পৌষ মাস যেন ছিল বাঙালির পিঠে পুলি উৎসবের মাস। গ্রাম হোক বা শহর, এই উৎসবের রেশ ছড়িয়ে পড়ত সর্বত্র।
যৌথ পরিবারগুলি তখনও ছিল সমাজে বুকে। বেশিরভাগ মানুষের ৩-৪ জন করে ভাই থাকতো, এবং তারা একই পরিবারে একসাথে বসবাস করত। বাড়ির মহিলারাও তখনও অন্দরমহল ছেড়ে পা বাড়াননি চাকরির দুনিয়ায়। ঠিক সেরকম সময় শীতের রোদ গায়ে মেখে বাড়িতেই হতো পিঠার যাবতীয় প্রস্তুতি।
পিঠে পুলি উৎসবের আয়োজন করতে গিয়ে বেছে নেওয়া হয়েছে একটি দিন, পৌষ সংক্রান্তি। এই দিন প্রতিটি বাড়ি ম ম করতো নতুন গুড়, পিঠে পুলি আর পায়েসের গন্ধে।
সে এক উৎসব- কেজি কেজি চাল গুড়ো করা হত বাড়িতে। তখন কিন্তু MIXI গুলোও ছিল না। হামাল দিস্তা দিয়ে চাল গুড়ো করা হতো। পৌষ পার্বনের দিন সবাই একসঙ্গে বসে কেউ চাল গুড়ো করতো- তো, তো কেউ চাল মাখতো, কেউ পিঠা তৈরি করত , আর কেউ সেগুলো রান্না করত। সেসব এক বিরাট কর্মযজ্ঞ।
বাড়ির ছেলেরা সন্ধে হলে শুধু বাটি নিয়ে বসা কাজ। পুলিপিঠে ও পাটিসাপটা খেয়েই পেট এবং মন ভরে যেত সবার। বলা যায় বাড়িতেই পিকনিক।
খাদ্যরসিক বাঙালি পৌষ সংক্রান্তি ছাড়া অন্য কোনো দিন পিঠে খাবেন না? তাই কি হয়? তাই সারা শীত কাল জুড়েই বাঙালির পাতে চলতে থাকতো নানান পিঠের আনাগোনা।

কি ছিল না সেই তালিকায়? মুগের পুলি, ভাজা পুলি, দুধ পুলি, চন্দ্র পুলি, সেদ্ধ পুলি, গোকুল পিঠে, পোস্তর পিঠে, নারকেল পিঠে, সরুচাকলি আর পাটিসাপটা। তবে বাঙালির ঝুলিতে পিঠের সংখ্যা মাত্র এইকটা ভেবে ভুল করার কোনো কারণ নেই। পিঠে আছে আরো অনেক রকম, তবে চিরাচরিত ভাবে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে এই ধরনের পিঠে গুলি।
আজকের দিনেও বাড়ি বাড়ি হয় পিঠে পুলি। তবে সেই যৌথ পরিবার আর নেই বললেই চলে। সেই যৌথ পরিবার গুলির যেন একটি আলাদা আমেজ ছিল।মা কাকিমাদের একসঙ্গে বসে পিঠে তৈরি, সে সব আর নেই বললেই চলে। আজকালকার আধুনিকা নারীরা নিয়ম রক্ষার্থে হয়তো বা দু এক রকম জনপ্রিয় পিঠে বানান কখনো কখনো। এখন কেবল পরিবার বলতে? মা বাবা ও তাদের একটি বা দুটি সন্তান। তাই একান্নবর্তী পরিবারের সেই আমেজ থেকে আজ বঞ্চিত আজকালকার শিশুরাও।
তবে পিঠের জনপ্রিয়তার কথা যদি বলতেই হয় তবে পাটিসাপটার কথা একবার স্মরণ করে নেওয়া ভালো। চালের গুঁড়ো, সুজি, দুধ, শীতের খেজুর গুড়, নারকেল আর ক্ষীরের পুর এই হলো পাটিসাপটার উপকরণ। সেই ষোলো শতকের কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চন্ডীমঙ্গল কাব্যের সময় থেকেই দুই বাংলায় চলছে এই পিঠের জনপ্রিয়তা। আজকের সমাজের আধুনিকতার ছোঁয়ায় তার গায়েও নানা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বটে, নারকেল আর ক্ষীরের পুর এর বদলে ডিম, ছানার পুরও এসেছে। তবে সেই নতুন গুড়ের গন্ধে ভরা পাটিসাপটা কিন্তু বাঙালির হৃদয়ে আজও অমলিন।

সরস্বতী পূজা নিয়ে আমাদের প্রতেকেরই অনেক স্মৃতি। একটা সারাদিন বই খাতা থেকে নিস্তার লাভ হোক কিংবা 'প্যার তেরি পেহলি নজর কো...
15/02/2024

সরস্বতী পূজা নিয়ে আমাদের প্রতেকেরই অনেক স্মৃতি। একটা সারাদিন বই খাতা থেকে নিস্তার লাভ হোক কিংবা 'প্যার তেরি পেহলি নজর কো সলাম' হোক, এটা একটা সম্পুর্নভাবে মেতে ওঠার দিন।
যদি ভেবে দেখি: আমরা এক একটা বয়েসে এই সরস্বতী পুজোয় এক এক ভাবে মেতেছি ঠিক যেমনটা রবি ঠাকুরের একই গান বিভিন্ন বয়সে দাঁড়িয়ে বারবার নতুন নতুন রঙে প্রকাশিত হয়: ঠিক তেমন।
একদম ছোটতে আমরা শুধুই পুজোর যোগাড়ে মত্ত থাকতাম। সে এক আলাদা মত্ততা। তখন এখনকার মত রাস্তায় মোড়ে মোড়ে পূজার সামগ্রী একসঙ্গে প্যকেটে করে পাওয়া যেত না। কোথায় খাগের কলম পাওয়া যাবে, কোথায় দোয়াত পাওয়া যাবে,কোথায় আমের শাখা পাওয়া যাবে: একটা একটা করে সামগ্রী যোগাড় করতে হত। সে আনন্দের, সে মত্ততার কোন সীমা ছিল না।
"গাঁথা হয়ে যাক এক গীতরবে
ছোটো জগতের ছোটোবড়ো সবে,
সুখে প’ড়ে রবে পদপল্লবে
যেন মালা একখানি।
তুমি মানসের মাঝখানে আসি
দাঁড়াও মধুর মুরতি বিকাশি,
কুন্দবরণ-সুন্দর-হাসি
বীণা হাতে বীণাপাণি।"
আর একটু বড় হবার পর স্কুল। স্কুলের সরস্বতী পুজোর যে অজস্র কাজ তার দায়িত্ব থাকতো। কোথা থেকে মূর্তি আনা হবে, কে আলপনা দেবে, কে কি সাজাবে, আরও কত কি! তারপর পুজোর পর বিসর্জন এবং খিচুড়ি ভোগ এবং তার ব্যবস্থাপনা। লম্বা করে শতরঞ্জি পেতে খিচুড়ি বিতরণ। সেই উল্লসিত দিনগুলো আজও মশাল হয়ে জ্বলে আমাদের দুঃখের অন্ধকারে, কিংবা গান হয়ে বাজে কষ্টের মধ্যে।
"যে রাগিণী সদা গগন ছাপিয়া
হোমশিখাসম উঠিছে কাঁপিয়া,
অনাদি অসীমে পড়িছে ঝাঁপিয়া
বিশ্বতন্ত্রী হতে।
যে রাগিণী চিরজন্ম ধরিয়া
চিত্তকুহরে উঠে কুহরিয়া—
অশ্রুহাসিতে জীবন ভরিয়া
ছুটে সহস্র স্রোতে।"
এরপর অনান্য স্কুলে ঘুরে বেড়ানো। কোথাও কারও সাজে, কারও কথায়, কারও সাথে নতুন হওয়া বন্ধুত্বে, কারও আলাপে আনন্দ-মুখরতা।
"কে আছে কোথায়,
কে আসে কে যায়,
নিমেষে প্রকাশে, নিমেষে মিলায়—
বালুকার’পরে কালের বেলায়
ছায়া-আলোকের খেলা।"
সত্যি তো! মা সরস্বতী কি শুধু পড়াশোনার দেবী নাকি? মা হলো কথার দেবী- যা বন্ধু বানায়: সুখ, আনন্দ ও প্রেমকে কাছে টানে।
মনে রাখবেন সৌন্দর্যে সাময়িক আকর্ষন হতে পারে, কিন্তু হৃদয়হরন কথায় কথায় হয়।

Ghaoa Caterer-এ আপনদের স্বাগত। আপনাদের জন্য আজকের Special Combo!যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২, ০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯
11/02/2024

Ghaoa Caterer-এ আপনদের স্বাগত। আপনাদের জন্য আজকের Special Combo!

যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২, ০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯

||আফগানি মূর্গ ||পাহাড় ও মরুভূমি অধ্যুষিত রুক্ষ আবহাওয়ার শুষ্ক দেশ আফগানিস্তান। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ছোঁয়া এই দেশটির ...
07/02/2024

||আফগানি মূর্গ ||

পাহাড় ও মরুভূমি অধ্যুষিত রুক্ষ আবহাওয়ার শুষ্ক দেশ আফগানিস্তান। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ছোঁয়া এই দেশটির বাসিন্দাদের একটা সময় নিত্য যাতায়াত ছিল আমাদের ভারতভূমিতে। ফলে বিভিন্ন দেশের মতো আফগানিস্তানের ছোঁয়াও রয়ে গিয়েছে ভারতে।

আমাদের দেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে আপন করেছে। রয়ে গিয়েছে বিভিন্ন দেশের খাদ্যাভাস, সাজসজ্জা, উৎসবের অবিচ্ছেদ্য রেশ। আফগানদের হাত ধরে মশলার মিশ্রণে ভারতবাসী পেয়েছে আফগানি রান্নার স্বাদ।

আফগানিদের রন্ধন প্রণালীতেও ভারতের ছোঁয়া ছিল। একসময় ভারত থেকে গরম মশলা যেত সুদূর আফগানদের ঘরে। এছাড়াও ভারত বিখ্যাত দারুচিনি ও জিরাও পাড়ি দিত আফগানিস্তানে। বিশ্বের সবকটি দেশ নিজেদের মধ্যে এই আদান প্রদানেই গড়ে তুলেছে বন্ধুত্ব।

বহু আফগানি রান্নার স্বাদ এখনও প্রাণ ভরে গ্রহণ করেছে ভারতবাসী। যেমন কাবাব, কোরমা, কোফতা ইত্যাদি। আফগানদের পাতে মাংসের আনাগোনা থাকে রোজ। মাংস দিয়ে নানান রকমারি পদ রাঁধতে ভালোবাসেন তাঁরা। সেই রান্না যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে আসে পার্শ্ববর্তী দেশেও। বলাইবাহুল্য, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারত। ফলে প্রতিবেশী দেশের সুস্বাদু রান্না এখন নিত্য ঘোরাফেরা করে ভারতীয়দের পাতে। সান্ধ্য আড্ডা হোক কী রাতের ডিনার, আফগানি রান্নার মায়ায় জড়ায় খাদ্যরসিকরা। বাংলাতেও এখন চিরাচরিত খাবারের পাশাপাশি অন্য দেশের রকমারি পদ বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়েছে। বাঙালিরা চেখে বুঝেছে এ স্বাদের ভাগ হবে না। তাই ইতিহাসের হাত ধরে ক্রমে বাঙালিদের খাদ্য তালিকায় একে একে জায়গা করে নিল আফগানি রান্না। তারই মধ্যে একটি হল 'আফগানি মুর্গ'। মুরগির মাংসের সঙ্গে মশলার মিশ্রণ মিশে সে এক অনবদ্য রান্নার প্রস্তুতি। 'আফগানি মুর্গকে' অন্যভাবে 'মুর্গ আফগানি'-ও বলা হয়।

এই রান্নার বিশেষত্ব হল এখানে মাংসের ধারগুলিকে একটু পোড়াতে লাগে। অর্থাৎ রোস্ট, গ্রিল এই রান্নার স্বাদ বাড়ায়। আগে হরেক মশলার গ্রেভি বানিয়ে তাতে গ্রিল মাংসগুলিকে ডুবিয়ে দিতে হয়। তবে শেষে কিন্তু একটু কাঠকয়লা রাখবেন কিন্তু। একটি ছোট বাটিতে কাঠ কয়লা, লবঙ্গ, ঘি, দিয়ে জ্বালিয়ে ওদের মুরগির সঙ্গে গল্প করতে দিতে হবে। কড়ার মাংসের মাঝখানে বসিয়ে দিয়ে দিন ঢাকা চাপা। একটুক্ষণ সময় নিলেই রেডি হয়ে যায় আফগানি মুর্গ। রুটি, নানের সঙ্গে এই রান্না দারুন যুগলবন্দী। রাতের ডিনারে মুড চেঞ্জ করতে, 'আফগানি মূর্গের' জুড়ি মেলা ভার।

আপনারা কি পিকনিক যাবার কথা ভাবছেন?যদি বোলপুুরের আশেপাশে পিকনিক করেন তাহালে আমরা আপনাদের Picnic -এর খাওয়াদাওয়ার সমস্ত দায়...
30/01/2024

আপনারা কি পিকনিক যাবার কথা ভাবছেন?
যদি বোলপুুরের আশেপাশে পিকনিক করেন তাহালে আমরা আপনাদের Picnic -এর খাওয়াদাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে আপনার Picnic- এর আনন্দকে আরও অনেক বাড়িয়ে দেব।

দায়িত্ব দিন আমাদের আর আপনার সানন্দে উপভোগ করুন আপনাদের Picnic!

যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২, ০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯

আমাদের রবিবারের বিশেষ নিবেদন,চিকেন বিরিয়ানিআমরা ঘরোয়া ক্যাটারার বাঙালিয়ানা খাবারগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা ত...
27/01/2024

আমাদের রবিবারের বিশেষ নিবেদন,

চিকেন বিরিয়ানি

আমরা ঘরোয়া ক্যাটারার বাঙালিয়ানা খাবারগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা তাই পোলাও গুলোর ওপর বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমরা অনেক রকম পোলাও আপনাদের সামনে বিভিন্ন Combo-এর মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
বাঙালির খাদ্যরসিকতা তুঙ্গে এবং বাঙালি সব খায়। বিরিয়নির নাম বললে তো কথাই নেই। আমাদের বিরিয়ানি আগে যারা খেয়েছেন তারা খুবই প্রশংসা করেছেন এবং অনেকেই চাইছেন আমরা একদিন বিরিয়ানি বানাই।
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের খাবার ভালবাসার জন্য। আপনাদের জন্য রইল এই বিরিয়ানি।

যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২, ০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯

|চিংড়ি মালাই কারি।চিংড়িকে সবাই মাছ বলতে নারাজ,অনেকেই বলে চিংড়ি জলের হল জলের পোকা। সে যাই হোক না কেন: যখন চিংড়ি রান্না হয়...
26/01/2024

|চিংড়ি মালাই কারি।

চিংড়িকে সবাই মাছ বলতে নারাজ,অনেকেই বলে চিংড়ি জলের হল জলের পোকা। সে যাই হোক না কেন: যখন চিংড়ি রান্না হয়ে খাবার টেবিলে আসে তখন সে সবার আকর্ষনের কেন্দ্রস্থল। বলা বাহুল্য চিংড়ির বিচরন সর্বত্র। সারা দুনিয়ার মানুষ একইরকম ভাবে চিংড়ি পছন্দ করে। আপনি যেকেনো মহাদেশের খাবারগুলো দেখুন, সব জায়গায় চিংড়ির কোনো না কোনো পদ পাবেনই।
আমার চিংড়ির সঙ্গে পরিচয় অনেক ছোটোবেলায়: বেশ কিছুটা পোকার মতো দেখতে, তাই কেমন একটা লাগতো। তখন কুচোচিংড়ি গুলোই পাওয়া যেত এবং সেগুলো দিয়ে হয় লাউ চিংড়ি হত কিংবা বাঁধাকপি চিংড়ি। এরপর সময় পরিবর্তন হল। বাজারে এখন কত বড়ো বড়ো চিংড়ি আমদানি হয়: বাগদা চিংড়ি এবং গলদা চিংড়ি দুটোই।
এখন চিংড়ি দিয়ে শুধুমাত্র বাঙালি পদ যেমন মালাইকারি বা ডাব চিংড়ি হয়না, ব্রিটিশদের প্রন কারি, চিনারা তো নুডলসেও চিংড়ি ব্যাবহার করে। এছাড়াও Chilli Garlic Prawn, Crispy Prawn এসবেরও তুলনা নেই।
অনেকেই বলেন, মালয়েশিয়া থেকে কিছু মানুষ চেন্নাইয়ের চেটিনার্ড অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন এবং তারাই এই অনবদ্য রেসিপিটি তাদের সাথে ভারতে নিয়ে আসেন, তাই চিংড়ি মালয় কারি থেকে চিংড়ি মালাই কারি হয়েছে।

যাইহোক চিংড়ি মালাইকরি বাঙালির খাদ্যতালিকায় এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

আমাদের পৌষ সংক্রান্তির নিবেদন...
15/01/2024

আমাদের পৌষ সংক্রান্তির নিবেদন...

01/01/2024

New Year Offer From Gharoa Caterer!!

Happy New year 2024! নতুন বছরে আমাদের নতুন Logo, নতুন Offer!যেকেনো সামাজিক অনুষ্ঠানের কাজে আমরা দিচ্ছি 5%  Plates Free!
01/01/2024

Happy New year 2024!
নতুন বছরে আমাদের নতুন Logo, নতুন Offer!
যেকেনো সামাজিক অনুষ্ঠানের কাজে আমরা দিচ্ছি 5% Plates Free!

Wish you all a very Happy New Year 2024!আমাদের New Year Special Combo!  বাসন্তী পোলাও+ মটন কষা+ নলেন গুরের রসগোল্লা যোগা...
31/12/2023

Wish you all a very Happy New Year 2024!

আমাদের New Year Special Combo!
বাসন্তী পোলাও+ মটন কষা+ নলেন গুরের রসগোল্লা

যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২

আমাদের ৩১ ডিসেম্বরের Combo! খুশকা পোলাও,চিকেন চাপ ও রায়তা খুশকা পোলাও এক বিশেষ ধরনের মোগলাই পোলাও, আশাকরি এই পোলাও আপনার...
30/12/2023

আমাদের ৩১ ডিসেম্বরের Combo!
খুশকা পোলাও,চিকেন চাপ ও রায়তা
খুশকা পোলাও এক বিশেষ ধরনের মোগলাই পোলাও, আশাকরি এই পোলাও আপনার মন আনন্দে ভরে দেবে।
যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২, ০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯

।।খুশকা পোলাও।।মোটামুটিভাবে পোলাও এর উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে পোলাওকে দুইভাগে ভাগ করা য়ায়। একটা হল বাঙালিয়ানা পোলাও আর এক...
29/12/2023

।।খুশকা পোলাও।।

মোটামুটিভাবে পোলাও এর উৎপত্তির উপর ভিত্তি করে পোলাওকে দুইভাগে ভাগ করা য়ায়। একটা হল বাঙালিয়ানা পোলাও আর একটা হল মোগলাই পোলাও।

বাঙালিয়ানা পোলাও-এর বিশেষত্ব হল এটা সাধারনত আতপচাল বা গোবিন্দভোগ চালের হয় এবং এই পোলাও-এর প্রস্তুতিতে সাধারণত 'ঘি' -এর ব্যাবহার হয়। অন্যদিকে মোগলাই পোলাওগুলির ব্যাপারটা সম্পুর্ন আালাদা। মোগলাই পোলাওগুলি সাধারণত বাসমতী চালের এবং এতে ব্যাবহার করা হয় মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন মশলা, যেমন: ক্যাওড়াজল, গোলাপজল এইসব।

ভাবতে আশ্চর্য লাগে কিভাবে মোঙ্গলীয় পাকপ্রণালী ভারতীয় স্বাদকোরকের সাথে মিশে গেছে।

যাইহোক খুশকা পোলাও হল একটি মোগলাই রন্ধনপ্রনালীতে তৈরি পোলাও৷ পোলাও-টি বাসমতী চালের তৈরী এবং এতে ব্যাবহার হয় গোলাপজল,ক্যওড়াজল, মিঠা আতর এবং জাফরান। অন্যবদ্য স্বাদের এই পোলাওটি মধ্যপ্রাচের রন্ধনশৈলীর এক জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে।

আমরা আপনাদের বাড়ির যেকোনো অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করি। ছোটোখাটো ঘরোয়া  অনুষ্ঠানেও আমরা খাবার সর...
28/12/2023

আমরা আপনাদের বাড়ির যেকোনো অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করি। ছোটোখাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও আমরা খাবার সরবরাহ করি। আমাদের যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২,০৩৪৬৩-৩৫৯১৫৯

26/12/2023

Afgani Murg!!

Christmas উপলক্ষে আমাদের বাঙালিয়ানা নিবেদন: বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা এবং নলেন গুরের পায়েস। আমাদের এই বিশেষ Combo পেতে যো...
24/12/2023

Christmas উপলক্ষে আমাদের বাঙালিয়ানা নিবেদন: বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা এবং নলেন গুরের পায়েস।

আমাদের এই বিশেষ Combo পেতে যোগাযোগ করুন ৯৬৭৪০০৮২৬২ নম্বরে।

আপনাদের সবাইকে জানাই Merry Christmas! স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

23/12/2023

আমাদের শীত উৎসবে আপনাদের স্বাগত!
মরসুমি শাক সবজি ও ফল দিয়ে সাজানো আমাদের এই শীত উৎসব।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

রাজনন্দিনী পোলাও নামটা শুনলেই মনে হয় এর মধ্যে একটা রাজকীয়তা আছে। আছেই তো। গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি হয় এই অভিজাত বাঙালিআা...
23/12/2023

রাজনন্দিনী পোলাও নামটা শুনলেই মনে হয় এর মধ্যে একটা রাজকীয়তা আছে। আছেই তো।
গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি হয় এই অভিজাত বাঙালিআানা পোলাও। ফুলকপি আর মটরশুঁটি দিয়ে সাজানো এই পোলাও শীতকালীন বিস্ময়৷

আফগানি মুর্গের রাজকীয়তা তো বলাই বাহুল্য।
সাথে থাকছে যদি এই শীতে কোন খেজুর গাছ থেকে আনা টাটকা রসের থেকে তৈরি নলেন গুরের রসগোল্লা।

এই Combo আপনাকে এক রাজকীয় অনুভূতি দেবে, আর তার সাথে দেবে এক সুস্বাদু খাবারের সুখস্মৃতি।

রবিবার Lunch এবং Dinner দুটোতেই এই Combo পাওয়া যাবে৷
যোগাযোগ: ৯৬৭৪০০৮২৬২

Address

Bolpur
731204

Telephone

+919674008262

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gharoa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Gharoa:

Videos

Share

Category