01/05/2016
১৮৮৬ সালের ১ মে, সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। পুলিশ গুলি করে ৯ জন শ্রমিককে হত্যা করে কিন্তু সবচাইতে নারকীয় ও কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে দুদিন পর ৩ মে শিকাগো শহরে। কত জন শ্রমিক ওইদিন মারা যায় এর কোন পরিসংখান আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
পুঁজির সঙ্গে এই সংঘর্ষ পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্যতম নারকীয় হত্যাকান্ড হিসেবে কুখ্যাত হয়ে আছে।
শ্রমিক হত্যা করা হলো, গ্রেফতার করা হলো নেতাদের। এদের মধ্যে অকুতোভয় শ্রমিক নেতা সায়েস, পারসান এবং জর্জ এনজেলস বিচার কক্ষে বিচারকের সামনে যে তেজোদীপ্ত বক্তব্য রাখেন যা শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
সায়েস দীপ্তকণ্ঠে বিচার কক্ষে বলেন "তোমাদের শোষণের অভিযোগই আামার আত্মপক্ষ সমর্থন করে। তোমাদের শোষণের ইতিহাসই আমার বিরুদ্ধে কথিত অপরাধের কাহিনী'। তোমাদের যে সমাজ ব্যবস্থা একজনকে করে কোটিপতি আরেকজনকে করে নিঃস্ব, সেই সমাজ ব্যবস্থাকে আমরা ধিক্কার জানাই।"
অসীম সাহসী শ্রমিক নেতা জর্জ এনজেলস তেজোদীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন "আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন পুঁজিপতিকে ঘৃণা করি না, আমি ঘৃণা করি সেই সমাজ ব্যবস্থাকে যা এসব পুঁজিপতি ও শোষক সৃষ্টি করে এবং তাদের সুযোগ করে দেয় শোষণ করতে।"
ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে যে তিনজন অসম্ভব সাহসী শ্রমিক নেতা তার উত্তরসূরিদের জন্য রেখে গেছেন এক গৌরবোজ্জ্বল মহিমান্বিত ইতিহাস, আজ মে দিবসে "বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্ম পালেরমো, ইতালী" সেই সংসপ্তকদের জানায় লাল সালাম।