Signet Communications Limited

  • Home
  • Signet Communications Limited

Signet Communications Limited Signet Communications Limited from December 1963 as a Private Limited Company.

Signet Communications Limited from December 1963 as a Private Limited Company to make a significant contribution in the digital integrated creative agency connecting human to human in meaningful modern ways with idea led, media neutral approach of the country.

May the eternal peace from heaven embrace your life on this Eid-ul-Adha and fill it with uncountable blessings. Eid Muba...
15/06/2024

May the eternal peace from heaven embrace your life on this Eid-ul-Adha and fill it with uncountable blessings. Eid Mubarak.

অভিনন্দন
03/06/2024

অভিনন্দন

Wishing a beautiful Mother's Day to the most amazing mum in the world. You deserve all the love and happiness today and ...
12/05/2024

Wishing a beautiful Mother's Day to the most amazing mum in the world. You deserve all the love and happiness today and every day!

মে দিবসের কবিতা✍ সুভাষ মুখোপাধ্যায়     প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্যধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্...
30/04/2024

মে দিবসের কবিতা

✍ সুভাষ মুখোপাধ্যায়


প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,
চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য
কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া।

চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,
গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে,
তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য
জীবনকে চায় ভালোবাসতে।

প্রণয়ের যৌতুক দাও প্রতিবন্ধে,
মরণের পণ নখদন্তে;
বন্ধন ঘুচে যাবে জাগবার ছন্দে,
উজ্জ্বল দিন দিক্-অন্তে।

শতাব্দী লাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিঃশ্বাসে আনে লজ্জা;
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না—
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।

প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা,
দুর্যোগে পথ হয় হোক দুর্বোধ্য
চিনে নেবে যৌবন-আত্মা।

“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক ॥যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাও...
12/04/2024

“এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।

তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক ॥

যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক ॥

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক ॥”

সেই একাত্তর থেকে বাঙালিকে আগলে রাখছে এই মেহেদী রাঙা রণাঙ্গনের হাত, বীর বাঙালি নারীর প্রতীক হয়ে উঠুক এই ছবি; সিগনেট কমিউ...
11/04/2024

সেই একাত্তর থেকে বাঙালিকে আগলে রাখছে এই মেহেদী রাঙা রণাঙ্গনের হাত, বীর বাঙালি নারীর প্রতীক হয়ে উঠুক এই ছবি; সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা নাম না জানা এই বোনকে।

Eid Mubarak! May the magic of Eid bring lots of happiness, peace, and prosperity into your life. Eid Mubarak to you and ...
09/04/2024

Eid Mubarak! May the magic of Eid bring lots of happiness, peace, and prosperity into your life. Eid Mubarak to you and your family! Wishing you and your family a blessed Eid filled with laughter, love, and sweet moments to cherish forever.

‘সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের...’
25/03/2024

‘সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের...’

Celebrate the vibrant festival of colors with joy and exuberance! Holi, the festival of love and happiness, is around th...
25/03/2024

Celebrate the vibrant festival of colors with joy and exuberance! Holi, the festival of love and happiness, is around the corner, bringing with it a kaleidoscope of hues and laughter. As we prepare to immerse ourselves in the spirit of this auspicious occasion, let us extend warm wishes to our loved ones. Holi transcends barriers, uniting hearts in a riot of colors and camaraderie.

এ ভূখণ্ডের আত্মপরিচয়ের ইতিহাসের কারিগরদের মধ্যে অন্যতম টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং, আজ তিনি চলে গেলেন; প্রয়াণের ম...
23/03/2024

এ ভূখণ্ডের আত্মপরিচয়ের ইতিহাসের কারিগরদের মধ্যে অন্যতম টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং, আজ তিনি চলে গেলেন; প্রয়াণের মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যায়নি তাঁর রচিত ইতিহাস। তিনি আমাদের সংগ্রামী জীবনের আলোকবর্তিকা। এ ভূখণ্ডের প্রতিটি সংগ্রামী নারীর অনুপ্রেরণা, আদিবাসীদের গর্বের প্রতীক তিনি। ‘সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড’ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে বীর সংগ্রামী কুমুদিনী হাজং’কে। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-গৌরী’র অববাহিকায় হাজার বছরের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রবাহমান গতির যে প্রবাহপৃষ্ঠ তার নাম বঙ্গভূমি আর বঙ্গভূ...
17/03/2024

পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-গৌরী’র অববাহিকায় হাজার বছরের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রবাহমান গতির যে প্রবাহপৃষ্ঠ তার নাম বঙ্গভূমি আর বঙ্গভূমির জনসাধারণের দীর্ঘকালের ভাষাকেন্দ্রিক নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের নাম বাঙালি। যে কোনো জাতির সংস্কৃতির বিকাশ ও অনুশীলনজাত শ্রেষ্ঠ যে মূল্যবোধ গড়ে ওঠে—তা গড়ে তোলে সেই জাতির রাজনীতি। রাজনীতিই যে কোনো জাতির প্রধান জাতিগত অর্জন। আর সেই জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় বিনির্মাণ হচ্ছে জাতিরাষ্ট্র।

বাঙালি হাজার বছর ধরে যাপিত জীবনের ভেতর দিয়ে যে জাতীয় ইতিহাস রচনা করেছে তার সেই ইতিহাস পরাধীনতার ইতিহাস, সেই ইতিহাস বঞ্চণার ইতিহাস, সেই ইতিহাস যেন শোষণের এক বিদীর্ণ উপাখ্যান। ইতিহাসের প্রবাহধারায় বাঙালি বহুবারই পরাধীনতা, বঞ্চণা ও শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে কিন্তু তাঁদের প্রচেষ্টা বাঙালির চূড়ান্ত মুক্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। সেইসব মুক্তি সংগ্রামের নায়কেরা নিঃসন্দেহে ত্যাগ ও মহিমায় ছিলেন অনন্য, কিন্তু নেতৃত্বের যোগ্যতায় তাঁরা সর্ববাঙালির নেতা হয়ে উঠতে পারেননি। সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঙালির রক্তস্রোতের ধারাবাহিকতায় সর্ববাঙালির একমাত্র নেতা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাঙালির সার্বজনীন নেতা, যিনি শ্রেণী ও পেশার দ্বন্দ্বকে মাড়িয়ে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে বন্ধুরূপে আসীন হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমেই সূচিত হয়েছিলো বাঙালির মুক্তির প্রেরণা আর রচিত হয়েছিলো মুক্তির লক্ষ্যে জাতিগত ঐক্য। তাই তো তিনি বঙ্গবন্ধু। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যের চূড়ান্ত ফলরূপে যখন আমরা স্বাধীনতাকে পেলাম তখন বাঙালি পেলো হাজার বছরের পরাধীনতা, বঞ্চণা ও শোষণ থেকে মুক্তি। পরিচয়হীন বঙ্গ-ভূখণ্ডবাসী পেলো ভাষাকেন্দ্রিক স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়। শোষিত বঙ্গ-ভূখণ্ডকে বঙ্গবন্ধু এনে দিলেন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবার অধিকার। আর সেই কারণেই তিনি বাঙালির পিতা; পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-গৌরী’র বিস্তীর্ণ ভূমির ঋষি।

On this occasion, let us convey our heartfelt appreciation to all the remarkable women who inspire us with their steadfa...
08/03/2024

On this occasion, let us convey our heartfelt appreciation to all the remarkable women who inspire us with their steadfast determination and dedication to excellence. Let us celebrate their successes, recognize their contributions, and reaffirm our commitment to promoting gender equality and empowering women.

পাকিস্তানি সেনারা আবার আগুন দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। আবার গুলি চালাচ্ছে। তবে আশপাশে কোথাও বলে মনে হচ্ছে না। একটু দূর...
07/03/2024

পাকিস্তানি সেনারা আবার আগুন দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। আবার গুলি চালাচ্ছে। তবে আশপাশে কোথাও বলে মনে হচ্ছে না। একটু দূরে দূরে। বোধ হয়, গতকাল তাঁদের এলাকার কাজ শেষ করে আজ অন্য এলাকা ধরেছে। এমনি চলতেই থাকবে নাকি! আচ্ছা জাঁতাকলে ফেলেছে রে বাবা! সারা শহরে কারফিউ দিয়ে রেখে দিব্যি এখন একটা একটা করে ধরে সাবাড় করবে সবাইকে। মানে, সব বাঙালিকে? এত ঔদ্ধত্য ওই পশ্চিম পাকিস্তানিদের!

পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্ধত কণ্ঠস্বর রেডিওতে বেজে উঠল-শেখ মুজিবুর রহমান দেশের শত্রু, বিশ্বাসঘাতক...। কে বলছে এ কথা? স্বয়ং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান। কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ছেলেবুড়ো জানে, শেখ মুজিবুর রহমান তাদের বন্ধু। বাংলার বন্ধু শেখ মুজিব। কিন্তু বাংলার শত্রুরা কী বলে শোনো। ...দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে জন্য তাঁর শাস্তি না হয়ে যায় না। ...শেখ মুজিবুর রহমানের শাস্তি! দেবে ইয়াহিয়া খান! অভিযোগ? পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। এ কথা শুনে এখন মুখ খিস্তি করতে ইচ্ছে করে,-ওরে খবিশের বাচ্চারা, পাকিস্তান বানিয়েছিল কারা? তোরা তখন তো ইংরেজ সরকারের বন্দুকের নল সাফ করতিস। আর শেখ মুজিব তখন তরুণদের মধ্যে পাকিস্তান আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হলো? শেখ মুজিবের পেছনে আজ সাড়ে সাত কোটি মানুষের সমর্থন আর তোর পেছনে? কয়েকটা বন্দুক আর গোলাবারুদ। কিন্তু বন্দুক মানুষেই বানিয়েছে না? মানুষের চেয়ে সেই বন্ধুকের ক্ষমতা কখনো বেশি হয় নাকি। নিশ্চয়ই মানুষের জয় হবে। জয় হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের। কত রক্ত নেবে পিশাচেরা! বঙ্গবন্ধু তো বলেই দিয়েছেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি প্রয়োজন হলে আরও রক্ত দেব। দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ ...বঙ্গবন্ধুর সেই সাতই মার্চের কণ্ঠস্বর। একবার তা যে বাঙালির কানে গেছে জীবনের মতো সে হয়ে গেছে অন্য মানুষ। কিন্তু হয়নি যারা? তারা মানুষ নয়। তারা ওই রক্তলোভী পিশাচের দলে। রক্তপায়ী জীবটা এখন বলে কী! পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ...আবার মুখে গাল এসে গেল সুদীপ্তর। অমন যে নিরীহ অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন, তিনিও ক্রোধে প্রায় দিশেহারা হলেন-ওরে হারামের হাড়, সংহতি মানে কী? বিনা বাধায় পশ্চিম পাকিস্তানকে রক্ত চুষতে দেওয়ার নাম সংহতি? তোদের ওই সংহতির নিকুচি করি। রাগে রেডিওটাকেই এখন তুলে আছাড় মারতে ইচ্ছে করছে। নাহ্ রেডিওর কাছ থেকে এখন সরে যাওয়াই ভালো। ঘরের অন্য কোণে চলে গেলেন সুদীপ্ত। খাটের একাংশ পুড়ে গেছে, শুতে গেলে ভেঙে পড়তে পারে। অতএব মেঝেতে সপ বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন-ঘুমোনোর উদ্দেশ্য নয়। সাতই মার্চের রেসকোর্স মাঠে এখন ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে। অতীতের কোনো আনন্দক্ষণে আত্মনিমজ্জনের মধ্যে বেঁচে ওঠার কোনো রসদ যদি মেলে। হ্যাঁ বেঁচে ওঠার একটি মন্ত্রই আজ বাঙালি জপ করতে পারে সেই অগ্নিমন্ত্রের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। না, নাম জপ নয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশকে জপমন্ত্রের মতো সারাক্ষণ মনের মধ্যে জাগ্রত রেখে কর্মের পথ বেছে নিতে হবে... ‘আর যদি আমার মানুষের উপর একটি গুলি চলে, তোমাদের উপর নির্দেশ রইল, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।’ ...আমরা যদি প্রত্যেকে নিজের ঘরকে এক একটি দুর্গ করে তুলতে পারতাম। মুজিব ভাই, তোমার বাংলাদেশ একদিন ওদের জন্য দুর্ভেদ্য দুর্গ হবেই। কিন্তু তার আগে একটি নয়, বহু গুলি তারা চালাবে তোমার দেশের মানুষের ওপর।

উহ্, আবার সেই কালরাতের মতো গুলি-গোলা শুরু হলো। বকশীবাজারের দিকেই আগুনের শিখাটা যেন বেশি দেখা যাচ্ছে। আগুন আর গুলি-গোলার আওয়াজ। সেই রাতও গুলি-গোলার বিচিত্র শব্দ শুনে কাটল। কারফিউ উঠল সকালে একটু বেলা হওয়ার পর। ...সুদীপ্ত বেরিয়ে গেলেন। প্রথমেই গেলেন তিনতলায়। ড. ফজলুর রহমানেরও ড্রয়িংরুম খোলা। লোকটি ড্রয়িংরুমেই পড়েছিল। ড. রহমানের বৃদ্ধ বাবুর্চি। মুখভরা দাড়ি, পরহেজগার মানুষ। রহমান সাহেবদের গ্রামেই বাড়ি। ছেলেবেলায় এর কোলে-পিঠে চড়ে রহমান সাহেব মানুষ হয়েছেন। এবং তখনই মনে হলো ড. ফজলুর রহমানের ভাগ্যেও কি তবে...? না, তা না হতেও পারে। তাঁদের মতোই তিনিও লুকিয়ে বাঁচতে পারেন না? হ্যাঁ, বেঁচেই আছেন হয়তো। আশাটাকে দুহাতে বুকে চেপে সুদীপ্ত ভেতরে গেলেন। হায় হায়, কাঞ্চন যে! শয়নকক্ষের সামনে বারান্দায় কাঞ্চনের লাশ পড়ে আছে। ড. ফজলুর রহমানের ভাগনে কাঞ্চন। মামার কাছে থেকে কলেজে পড়ত। কলেজে? ব্যস, তবে আর কথা নেই। এ ছেলে রাষ্ট্রদ্রোহী না হয়ে যায় না। রাষ্ট্রদ্রোহী যে, তার আরও প্রমাণ আছে। স্বাস্থ্য ভালো ছিল কাঞ্চনের। খেলাধুলা করা সবল-সুস্থ একজন বাঙালি যুবক। ওরে বাবা। তা হলে তো একে বাঁচতে দেওয়া যায় না। ভাগনে কাঞ্চনকে মেরে শোবার ঘরে ঢুকে মামাকে মেরেছে। দেয়াল-আলমারির পাশে কাত হয়ে পড়ে আছেন ড. ফজলুর রহমান। ...বনের পশুকেও তো কেউ এমন করে মারে না। দুমাসের শিশুকে বনের বাঘও তো আক্রমণ করবে না। ক্ষুদ্র মানবশিশু রমুলাসকে লালন করেনি বনের এক বাঘিনী? হ্যাঁ, মানুষ পশুরও অধম কখনো হয়। কিন্তু সব মানুষ হয় না। যারা হয় তাদের সঙ্গে কি একত্র থাকা চলে? না, আর ওদের সঙ্গে নয়। ফিরোজ ঠিকই বলে। ফিরোজ বলে, ব্রিটিশ রাজত্বে বাংলাদেশের অবস্থা যেমন ছিল এখনো ঠিক তেমনি আছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম এখনো তাই শেষ হয়নি। শেষ কী? শুরুই তো হয়নি এতকাল। শুরু হয়েছে গত সাতই মার্চ থেকে। মুজিবুর রহমান গণ-আন্দোলন শুরু করলেন। ...এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতা? প্রশ্ন তুলেছিলেন সুদীপ্ত। বন্ধুর সঙ্গে তর্ক করেছিলেন। কিন্তু আর তো তর্কের অবকাশ নেই। পাকিস্তান নামে কোনো দেশ পাঞ্জাবসিন্ধু অঞ্চলে থাকতে পারে, বাংলায় নেই। থাকলে তো ওরা-আমরা মিলেমিশে একই দেশের অধিবাসী হতাম। এবং তা হলে এমনি করে নির্বিচার নারী-শিশু-বৃদ্ধ সবাইকে ওরা হত্যা করতে পারে? নিজের দেশের লোক হলে এমনি করে নিরপরাধ জনসাধারণকে মারতে পারে কেউ? পরের দেশেও এমন ঢালাও গণহত্যার কথা ক্বচিৎ শোনা গেছে!

কোথায় এলেন তিনি। এখানে শহীদ মিনার ছিল না? সেটা কোথায়? কোনো চিহ্নই নেই। তবু চিহ্ন আছে। পড়ে আছে বালু-সিমেন্টের স্তূপ। ডিনামাইট দিয়ে গোড়াসুদ্ধ নির্মূল করে দিয়েছে বাঙালির মর্যাদার প্রতীক সেই প্রাণপ্রিয় শহীদ মিনার। এই তো কদিন আগে এইখানে শপথ নিয়েছিলেন তাঁরা-ঢাকার শিল্পী-সাহিত্যিকেরা। কবিবন্ধু শামসুর রাহমানের কণ্ঠে সুদীপ্তদের সবার দৃপ্ত শপথ বেজে উঠেছিল-আমরা লেখনীকে আজ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের হাতিয়ার করব। তা করতেই হবে যে।

এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাতদুপুরের অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত এখানে এসেছিলেন। কেননা শুনেছিলেন, স্বয়ং শেখ সাহেব ওই সময় আসবেন। এসেছিলেনও শালপ্রাংশু বজ্রমানব শেখ মুজিবুর রহমান। কেমন যেন ম্লান দেখাচ্ছিল না মুজিব ভাইকে? ওকে ম্লান বলে নাকি! ঠিক কেমন যে দেখাচ্ছিল কোনো শব্দ দিয়ে তা যেন প্রকাশ করা যায় না। দুর্জয় সেনাপতির প্রতিজ্ঞা, জননীর মমতা এবং ষড়যন্ত্রসংকুল ভবিষ্যতের আশঙ্কা-সবকে এক পাত্রে ঢেলে মিশালে যা দাঁড়ায় মুজিব ভাইয়ের মুখে-চোখে ছিল সেই ভাবের অভিব্যক্তি। বাইরের শত্রুর কাছে এত কঠোর এত দুর্দমনীয় যে ব্যক্তিত্ব, ঘরের লোকের কাছে তার একি রূপ! সুদীপ্ত তাঁর চোখের দিকে তাকালেন। সেখানে তো কই সেই আগুন নেই! তবু আগুন আছে। আগুন চাপা দেওয়া আছে এবং চারপাশে আপনজনের উদ্দেশে উৎসারিত হচ্ছে-বন্ধুর প্রীতি, শিশুর সারল্য আর বয়স্ক হৃদয়ের বাৎসল্য। এখন তিনি অকঠোর, কিন্তু সেই সঙ্গে অনমনীয় শপথে আকীর্ণ। সেই আত্মপ্রত্যয়বিদ্ধ দুর্দমনীয়তার সঙ্গে কী একটা এসে মিশেছে যেন। কী তার নাম? অপার্থিব দীপ্তি? স্বর্গীয় আভা? নাম যা-ই হোক, তিনি যে তখন ঐশীবাণীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত ছিলেন, তাতে তো কোনোই ভুল নেই। তা না হলে কী করে তখন উচ্চারণ করেছিলেন সেই অমোঘ বাণী!-‘এই শহীদ মিনারে আপনাদের সাথে এই বোধ হয় আমার শেষ দেখা।’ শহীদ মিনারের সামনে থেকে একমুঠো মাটি নিয়ে কপালে ঠেকিয়ে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন-‘আমি যদি না-ও থাকি, আপনারা থাকবেন। এই শহীদ মিনারকে ওরা যদি গুঁড়িয়ে দেয়, তবু থাকবে আপনার দেশের ধুলো-কাদা-মাটি। কখনো এই দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।’

কী কোমল প্রীতিস্নিগ্ধ কণ্ঠস্বর! ইনিই কি সেই দুই সপ্তাহ পরের বজ্রমানব শেখ মুজিব! একুশে ফেব্রুয়ারির ঠিক দুই সপ্তাহ পর। রমনা রেসকোর্সে সাতই মার্চের সেই বজ্রকণ্ঠ। সেই কণ্ঠ বিধ্বস্ত শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আবার স্মরণ করলেন সুদীপ্ত। কাল থেকে কতবারই তো স্মরণ করলেন। সেই কণ্ঠ ইতিপূর্বে কখনো কোনো বাঙালি শুনেছে? হয়তো কখনো শুনেছে শশাঙ্কের কণ্ঠে, হুসেন শাহের কণ্ঠে কিংবা সিরাজের সেনাপতি মোহনলালের কণ্ঠে। অতঃপর এই সেদিন নেতাজি সুভাষের কণ্ঠে। নেতাজির প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু! তোমার প্রয়াস ব্যর্থ হবে না। আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। সাতই মার্চের রমনা রেসকোর্সে যারা গিয়েছিল তারা কি জীবনের মতো অন্য মানুষ হয়ে যায়নি? অন্তত সুদীপ্ত হয়েছিলেন। রাজনীতির ডামাডোলে সুদীপ্ত কখনো ছায়া মাড়ান না। কিন্তু সাতই মার্চের রমনা রেসকোর্সের দৃশ্য দেখার পর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতায়, তাঁর সমস্ত চিত্ত ও দেহের প্রতি রক্তকণা একটি দৃঢ়প্রত্যয়ের বৃন্তে সংহত সূর্যমুখী হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা-উন্মুখ অনির্বাণ সূর্যমুখী। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

✍️
শহীদ বুদ্ধিজীবী আনোয়ার পাশা রচিত ‘রাইফেল, রোটি, আওরাত’ উপন্যাসের অংশবিশেষ। রুদ্র সাইফুল সম্পাদিত ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।

ফাগুনের এই দিনে আজ কোথায় তাঁরা?চঞ্চল মৌমাছি, উত্তরের শীতল হাওয়াঅথবা সালাম, রফিক!স্মৃতির অ্যালবামে রাখা কতোগুলো ছবিই শুধু...
21/02/2024

ফাগুনের এই দিনে আজ কোথায় তাঁরা?
চঞ্চল মৌমাছি, উত্তরের শীতল হাওয়া
অথবা সালাম, রফিক!
স্মৃতির অ্যালবামে রাখা কতোগুলো ছবিই শুধু...
—ঝাপসা হয়ে এসেছে।

জব্বার, বরকত... শুধুই কী কয়েকটি নাম?
মস্তিষ্কে মরিচা; তবুও কপোতাক্ষ তীর, বড় চেনা।

একদিন তাঁরা সব বাঙলায় ফিরে আসে
ফাগুন, শর্ষেক্ষেত, কৃষ্ণচূড়ার আহবানে...।

ফাগুনরঙা দিনে বিদ্যাদেবী বাঙলায় এসেছে। আমাদের সকল সনাতন সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই স্বরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা। সিগন...
14/02/2024

ফাগুনরঙা দিনে বিদ্যাদেবী বাঙলায় এসেছে। আমাদের সকল সনাতন সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই স্বরস্বতী পূজার শুভেচ্ছা। সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড বিশ্বাস করে ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাঙলায়।

আপনার প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বহুমুখী প্রচারের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ‘সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড’ হতে পারে আপনার প্রতি...
05/02/2024

আপনার প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের বহুমুখী প্রচারের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ‘সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড’ হতে পারে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বস্ত প্রচার সহযোগী।

Before we bid farewell to this year, I want to express my gratitude for making it special. I send you lots of love and w...
30/12/2023

Before we bid farewell to this year, I want to express my gratitude for making it special. I send you lots of love and warm wishes for a more wonderful, exciting, and fun-filled New Year. Happy New Year in advance to you.

Our journey commenced on the 28th of December, 1963. Today, we stand as a mature entity, marking 60 years of growth and ...
28/12/2023

Our journey commenced on the 28th of December, 1963. Today, we stand as a mature entity, marking 60 years of growth and experience.

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আমাদের সকল সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সতীর্থদের জানাই বড়দিনের শুভেচ্ছা।
24/12/2023

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আমাদের সকল সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সতীর্থদের জানাই বড়দিনের শুভেচ্ছা।

১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ার পর সন্ধ্যায় ঢাকা টিভি স্টেশন চালু করেন গেরিলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসি...
16/12/2023

১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ার পর সন্ধ্যায় ঢাকা টিভি স্টেশন চালু করেন গেরিলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, স্টেনগান কাঁধে নিয়ে বিজয়ী বীরের বেশে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে গেরিলা কমান্ডার নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ঘোষণা করলেন, সেই বহুল কাঙ্খিত নাম, “বাংলাদেশ টেলিভিশন”; সেই থেকে আজও বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙলার এই বীর সন্তানের নাম।

সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে বাঙলার এই বীর সন্তানের চরণে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ডাকে অর্জিত আমাদের আজকের বাংলাদেশ। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর...
16/12/2023

বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ডাকে অর্জিত আমাদের আজকের বাংলাদেশ। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরে আমরা অর্জন করেছি লাল-সবুজে আচ্ছাদিত এই বাংলাদেশ। সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি মহান বিজয় দিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি...
14/12/2023

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি...

ভাষা-সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ...
05/12/2023

ভাষা-সংগ্রামী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের ১নং সদস্য, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা; বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর ডাক্তার এস এ মালেক। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ এ সন্তানের প্রথম প্রয়াণ দিবসে সিগনেট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

দীর্ঘ রক্তস্নাত সংগ্রামের পরে বিজয় এসেছিলো ডিসেম্বরে, একাত্তরের সেই কাঙ্খিত ডিসেম্বর বাঙালির গর্বিত অধ্যায় হয়ে হাজার বছর...
01/12/2023

দীর্ঘ রক্তস্নাত সংগ্রামের পরে বিজয় এসেছিলো ডিসেম্বরে, একাত্তরের সেই কাঙ্খিত ডিসেম্বর বাঙালির গর্বিত অধ্যায় হয়ে হাজার বছর ধরে আত্মপরিচয়ের ইতিহাসের চূড়ান্ত অর্জনের মাস হিসাবে বিরাজমান থাকবে। বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের ইতিহাসের সকল শহীদ, বীরাঙ্গনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার চরণে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

Congratulations
19/11/2023

Congratulations

আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও সহকর্মীদের জানাই দীপাবলি’র শুভেচ্ছা। অন্ধকার কেটে আলোকিত হয়ে উঠুক পৃথিবী,...
11/11/2023

আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ও সহকর্মীদের জানাই দীপাবলি’র শুভেচ্ছা। অন্ধকার কেটে আলোকিত হয়ে উঠুক পৃথিবী, মানুষের আলোকিত মন দীপাবলি’র মতো আলো জ্বেলে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুক মানবিক সভ্যতা। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, আলোর মধ্যে বাঁচতে চাই।

আমাদের বাঙালি সনাতন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই দুর্গাপূজা’র শুভেচ্ছা; অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে দুর্গতিনাশিনী দুর্গা নির...
21/10/2023

আমাদের বাঙালি সনাতন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই দুর্গাপূজা’র শুভেচ্ছা; অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে দুর্গতিনাশিনী দুর্গা নির্মল পৃথিবী গড়ে তুলুক।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Signet Communications Limited posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Signet Communications Limited:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Event Planning Service?

Share