28/09/2023
মহিষাদলের বিভিন্ন জনবহুল রাস্তার পাশে আমাদের অনুষ্ঠানের হোডিং
platform for cultural , educational and social communication .Infotainment window.
মহিষাদলের বিভিন্ন জনবহুল রাস্তার পাশে আমাদের অনুষ্ঠানের হোডিং
তোমাকে ওই আদরের চেয়ে বেশি কিছু বলা যায় কি?
✍তিতাস বন্দোপাধ্যায়
#শ্রুতিশৈলী #সকলের_কথা
ানে_পুরোনো_হয়_না_কোনোদিনই
রবিবার হলদিয়ার "খোলা আকাশ" -এ সকলের কথা পরিবারের আমন্ত্রণে টিম শ্রুতিশৈলীর আবৃত্তি প্রযোজনা "আদর এখানে পুরোনো হয়না কোনদিনই"
কিছুটা পথ অন্তত একসাথে হাঁট
পল্লব সেনগুপ্ত
সবটা না হোক, কিছুটা পথ অন্তত একসাথে হাঁট,
হাওয়ারা হাত ধরে চলুক পাশাপাশি,
চিনাও নিজের গন্ধ,
দূর কখনও কখনও ভুল তথ্য দেয়,
চলতে চলতে কিছুটা উষ্ণতা ভাগাভাগি করে দেখো,
কতটা আদুরে মনে হয় কাছের সময়, ভাল লাগে কিনা? ছেড়ে যদি যাও, যাও, সমন্বয় যদি লাগে করে নাও,
যদি মানানসই হয় পরিকল্পনা মাফিক নদীটা পেরোও,
সব কিছু কখনও পরিকল্পনা মাফিক হয় না
হাঁটতে হাঁটতে শিখে নাও ভালবাসা
চলতে চলতে জানো
অমিল মিলিয়ে নাও,
এক শ এক শ কিছুই মিলবে না
ছাড় দিয়ে দেখ উদারতা তোমাকে পথ দেখায় কিনা?
অন্যকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে নাও,
সবটা না হোক কিছুটা পথ অন্তত একসাথে হাঁটো
ভাগাভাগি করে দেখো কিছুটা সময়
তারপর না হয় ঠিক করে নাও কতটা এগুবে?
জানুয়ারি ১৫ ২০২৩
Regard to Respected D.M. PURBA MEDINIPUR
Anchoring on stage ....Mahishadal press corner Bosonto utsav
বড়দিনের বড় আশা
শিখা ঘোষ
আজ পঁচিশে ডিসেম্বর,
মহামানব যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন,
নতুনভাবে সেজে উঠেছে গির্জা সহ প্রাঙ্গণ।
আলো, ফুল ,পাতা আরও নানান সম্ভারে সাজানো,
নতুন করে রং করা গির্জা ঝকমক করছে যেন।
সামনের সাজানো মাঠে চলছে নানা রকম খেলাধুলা- মজা ,অনুষ্ঠানের আয়োজ ।
উপস্থিত সুসজ্জিত ঝলমলে নানা বয়সী মানুষজন।
গীর্জার সামনের রাস্তার দুধারে বসেছে নানান খাদ্য সামগ্রী ও জিনিসের মেলা।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি উজ্জ্বল উচ্ছল হয়ে ওঠে সমস্ত জায়গাটা।
তারই মাঝে গির্জার প্রধান ফটকের এক কোণে , কোনও রকমে একটু জায়গা জোগাড় করে ,বসে আছে ছেলেটি।
সামনে রাখা আছে কিছু টুপি,
যদি কেউ কেনে সেই আশায় ।
কনকনে ঠান্ডায় শতশ্চ্ছিন্ন চাদরে ঢাকা ছেলেটিকে এড়িয়ে,
উৎসব মুখরিত মানুষজন ঢুকে যায় গির্জায়
এক প্রায় নগ্ন মহাপুরুষের উদ্দেশ্যে।
ছেলেটির অনন্ত অপেক্ষা ,যদি কিছু টুপি বিক্রি হয়,
একটি মোমবাতি কিনে জ্বালবে সে,
মহাপুরুষের পায়ের কাছে,
বিশ্বের সকলের শান্তি কামনায়।
ছোট্ট ছেলের বড় আশা পূর্ন কর হে প্রভু ।
বড়দিন।
শুভ্রাশ্রী মাইতি।
আজ বড়দিন।
বিবর্ণ, ধূসর, কেজো দিনগুলোকে বাক্সবন্দী করে
আজ ব্যাগের ভেতর গুছিয়ে ভরেছি বেশ কিছু
আলোরঙা কেক, আনন্দগন্ধী মিষ্টি, খুশীমাখা দুষ্টু মিষ্টি চকোলেট
আর পাখিডানার মতো হালকা হাওয়া ভরা বেলুন...
ছোট ছোট টুং টাং সোনালী ঘন্টাও নিয়েছি বেশ কিছু মনে করে।
“আশ্রয়"-এর মরচেধরা বড় গেটের সামনে এসে দাঁড়াতেই
রঙচটা ছেঁড়া-ফাটা পুরানো জীবনটাকে পেছনে ফেলে
প্রতিবারের মতো হই হই করে ছুটে এল
সরলতা মাখা এক দল ছোট,ছোট মাটির যীশু...
ঘাম, নুন, রক্ত আর খিদের কালো কালো দাগ সারা শরীর জুড়ে,
অদৃশ্য ক্রুশের মতো তাদের শরীরে বেঁধানো
দারিদ্র্য, অবহেলা, ঘৃণা আর অবিচারের শক্ত কঠিন পেরেক।
তবু ভালোবাসা দিয়ে সেটুকু জয় করবে বলে
আলোর হাসিতে হেসে ওঠে তারা খিলখিলিয়ে...
মাটি যেভাবে ভিজে ওঠে আকাশের মেঘ দেখে
নদী যেভাবে নেচে ওঠে মোহনার ঢেউ দেখে
বৃক্ষ যেভাবে হেসে ওঠে ফলের সম্ভার দেখে...
ঠিক যেভাবে এক আলোর শিশু হেসে উঠেছিল
বেথেলহেমে আস্তাবলের মাটিতে মানুষকে ভালোবেসে...
এখন আমার চারপাশে শুধু রঙিন ফুলের মেলা
একরাশ প্রজাপতি ডানার আশ্চর্য ওড়াওড়ি
আনন্দ গড়িয়ে পড়ছে ফুল থেকে ফুলে ফোঁটায় ফোঁটায়
মধু যেভাবে গড়িয়ে পড়ে মৌচাক থেকে টপটপিয়ে...
খুশীরঙা বেলুনগুলো নীল আকাশে উড়িয়ে দিতেই
বাতাসে বাতাসে কাপাস তুলোর মতো ছড়িয়ে গেল
জিংগল বেলসের আশ্চর্য মায়াময় সুর...
"আশ্রয়"-এর মোরাম বিছানো লাল পথ জুড়ে
সাদা তুষারের নরম মাখন প্রলেপ।
স্বপ্নে দেখা সেই আশ্চর্য শ্লেজগাড়ীটা এগিয়ে আসছে ক্রমশঃ সাদা তুষারপথে
ক্রিসমাস ক্যারোল বেজে উঠল কোথাও আনন্দ সুরে...
গাড়ী থেকে নেমে আসছেন এক দীর্ঘদেহী, অনিন্দ্যসুন্দর আলোক পুরুষ
স্নেহ ঝরছে তাঁর শান্ত দু'চোখের পাড় ধরে
পরনে তাঁর সেই চিরপুরাতনী আনন্দঘন পোশাক
খুশির লাল রঙ লেগেছে আকাশের লাজুক গালেও...
বিরাট উপহারের থলি থেকে বেরোচ্ছে একের পর এক
আশ্চর্য সোনা মাখা উপহার---
প্রেম, ক্ষমা, আনন্দ, ভালোবাসা আর আবেগ...
পাখির মতো মেঘডানা মেলে তারা ঢেকে দিচ্ছে
আনাচে কানাচে জমে ওঠা সবটুকু অপমান আর অন্ধকারের আবর্জনা
বিবর্ণ ক্রুশের গায়ে এসে পড়ছে নরম তুলতুলে আলো,ভালোবাসার...
একটা উপহারের আশায় হাত পেতে বসে আছি আমিও।
চোখের জলের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে আমার নদীবুক
আসবেন... তিনি আসবেন...ঠিক...
তাঁর হাতের পাতায় স্পষ্ট দেখেছি
পেরেকের শুকিয়ে আসা প্রতিটি ক্ষতের উৎসমুখ...
আজ বড়দিন, তবু চার্চে যাওয়া হয়ে ওঠেনি আর
তাঁর অনন্ত ছায়াময় আশ্রয়ে এসে দাঁড়ালে
তেল-কালি-মাখা সমস্ত ছোট,ছোট দিন
বড়দিন হয়ে ওঠে, এভাবেই, বার বার...
____________________________________________
Song: Mera kuchh SamanSinger: Asha BhosleLyricist : GulzarMusic Director : RD BurmanMovie : Ijajat সবাই শুনবেন, প্রত্যেকের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে সামনের দিকে...
❤❤❤
Bangla Kabita | Office Time | অফিস টাইম | Chandrima Kundu Dutta | Santanu Dey PoemsPoem - Office Time | অফিস টাইমRecited By - Chandrima Kundu DuttaPoet - Sa...
It's a Bharatnatyam recital, combination of two small pieces. 1st is Ganesh Mantra..Lyrics:-Vakratunda mahakaayaSuryakoti samaprabhaNirvighnam kuru me devaSa...
Original song creditSong: Sivuni anaAlbum/Movie: Bahubali-The beginningArtist name: Prabhash, Anushka, Tamannaah, Rana Daggubat, Satya Raj, Ramya Krishnan, N...
Song-Mono mor meghero sangiSinger-Ankita BhattacharjoDance cover-Swatilekha Maiti
✍প্রশান্ত বোস
রাস্তার ধারে ফুলের দোকান। দোকানের নাম ফ্রাগরেন্স। লোকটা একাই চালায়। নানা জায়গার নানা ফুল। যেমন দেখতে তেমন তার গন্ধ। মনে হয় ফুলের মধ্যে শুয়ে পড়ি। কতো কে নিয়ে যায় তার কাছ থেকে তার ভালোবাসার মানুষের জন্যে!
ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দারুণ লাগে। কোনোদিন নিয়ে হেঁটে দেখো। তোমার দিকে হাঁ করে লোকে তাকিয়ে থাকবে। কার জন্যে নিয়ে যাচ্ছ কেউ বুঝবে না, কিন্তু বুঝবে তোমার কেউ একজন আছে। লোকটিকে বললে সে ছোট করে দু লাইন লিখেও দিতে পারে তোমার সেই মানুষটার জন্যে। কোনো অসাধারণ কোট বা ছোট্ট একটা কবিতা। ফুলের তোড়ার মধ্যে চিরকুট আটকে থাকবে।
ভাবতো, তুমি শীতের বিকেলে এক নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছো। হাতে ফুলের তোড়া আর তার মধ্যে ছোট্ট চিরকুট।
সে অপেক্ষা করছে।
উল্টোটাও হতে পারে।
তাই তাকেও দোকানটা দেখিয়ে দিয়ো।
নদীর সঙ্গে কথোপকথন
প্রিয় নদীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন কবিতায় উদ্ধৃত। হলদির জলতরঙ্গ তাঁর আনন্দ, বেদনা, নিভৃত কান্না কিংবা দ্বন্দ্বের সাক্ষী। কোনও এক গোধূলি অথবা সন্ধেয় সেসব কথা হয়েছিল একদিন। জল, মাটি, বৃক্ষ, আকাশকে ভালবেসে। জন্মভূমির প্রতি মায়া-টান তাঁকে আচ্ছন্ন করে রাখত সারাসময়। তিনি অসম্ভব ভালবাসতেন হলদিয়াকে। এ শহরের নিজস্ব জীবনবোধ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন প্রাণের পরশে। যে হলদিয়া শিল্পশহর হয়েও নিজেকে ‘অযান্ত্রিক’ সরলতায় বিশ্বাসী রাখবে। সেখানে গ্রামের পুঁইমাচা থাকবে নিজের আঙ্গিকে। নদীর কলতানে মিশবে গিটারে রবীন্দ্রগান। প্রথাগত রীতির মাঝেই ছকভাঙা মেজাজ প্রোথিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন আজীবন। সেই মিলমিশে যেন কোনও ফাঁক না থাকে। লাল রাজনীতির বিশ্বাস, প্রবল শাসকের বেশে নিজেকে আটকে না রেখে, মন ও হৃদয়ের স্পর্শে শহর সাজিয়েছেন জীবনের গল্প গেঁথে।
গল্পের বই পড়তে ভীষণ ভালবাসতেন। তমালিকা পণ্ডাশেঠ। পার্টি অফিস থেকে বাড়ি, আপনজন থেকে পুরসভা, সব জায়গাতেই ছিল তাঁর লাইব্রেরি গড়ার শখ। অনেক বই থাকবে চারপাশে। চেয়ার, টেবিল, বুকসেল্ফ, বিছানা উপচে পড়বে নানা ধরনের বই। সেই বই পড়তে পড়তেই হয়তো একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন, প্যারিসের মতো যদি হতো হলদিয়া। হলদিয়ার হলদি তো প্যারিসের স্যেন নদীর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। হলদি নদী তাঁকে অধিকার করে থাকত। মৎস্যজীবীদের এক গ্রাম বদলে যেদিন তাঁর চোখের সামনে শিল্পনগরীর পথে হেঁটে গেল, সেদিন তিনি বৃহৎ এক বটের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক স্কুল-কিশোরী। তাঁর চোখের সামনে কীভাবে বদলে যেতে গেল তাঁর দেভোগের প্রিয় বাসভূমি একদিন, কতবার নিভৃত আলাপচারিতায় উঠে এসেছে সেসব কথা।
যেন স্বপ্নের মতো। সেই কিশোরী মেয়েটিই একদিন তার চোখের সামনে গড়ে ওঠা শহরের প্রশাসক। শহরের এক নম্বর নাগরিক। অবাক বিস্ময়ে তাই অফিস যাওয়ার পথে থমকে দাঁড়াত তাঁর গাড়ি। সেই বট গাছ, ক্ষয়ে যাওয়া মাটির বাড়িটার পাশে। বলতেন, জানিস এখানে একটা পদ্মপুকুর ছিল। ছোটবেলায় আমরা শালুক তুলতে আসতাম। মা কত বকত। লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত বড়দা। সেই পদ্মপুকরের উপর দিয়েই আজকের সিটিসেন্টার সড়ক। এখন মাথা তুলছে মহকুমা শাসকের অফিস। প্রশাসকের আড়ালে থাকা এক কবি খুঁজে বেড়াতেন তাঁর শৈশব। হৃদয়ে জারিত স্মৃতির শব্দমালা কবিতার নম্রতায় ঝরে পড়ত নিভৃত কোনও টেবিলে। সবুজ কালির অক্ষরগুলি লিপিবদ্ধ হত ডায়েরির পাতা জুড়ে।@ শ্যামল সেন
৬ আগস্ট তমালিকা পণ্ডাশেঠের জন্মদিন। স্মৃতিকথায় শ্রদ্ধা।
চিমনি মানব – আরিফ ইকবাল খান
গাছের সাথে গিয়ে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে
অন্ধকারের সাথে গিয়ে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে।
জ্যোৎস্নার আলোতে ভেসে যেতে যেতে জ্যোৎস্না হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ।
আর কোন লোভ নেই , নেই লাভও ।
তবু টিকে থাকার জান্য টিকে থাকা আর কি ।
বন্ধুদের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে আমার ছায়া
বন্ধুদের কাছ থেকে মরে যাচ্ছে আমার মায়া ।
মায়া কমে গেলে মানুষ একখানা আস্ত চিমনি হয়ে যায়
টন টন ঘৃণা উদগীরণ করে
এলিয়ে পড়ে থাকে চিমনি –
নানা প্রজাতির পাখি বাসা বাধে –
প্রেম ও অপত্য স্নেহ বাধা পড়ে সেই চিমনির মত মনুষ্য জীবনে ।
সারা জীবনই শুধু ঘৃণা ঝরেছে ।
আগুন সারা শরীরের লোমকূপ পুড়িয়ে দিলেও
কখনও কখনও চিমনি জীবনে জ্যোৎস্না এলিয়ে পড়ে
ফিনিক ফোঁটা জ্যোৎস্নায় চিমনিকে মহামানব মনে হয় ।
শেষ
🔸আয়না
🔸জয়তী ধর পাল
------------
'পার্ল একাডেমি'তে আজ সাজোসাজো রব। নামিদামি এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটির আজ বিশেষ একটি দিন , 'ডে অফ প্যারেন্টস'। 'পার্ল একাডেমি' প্রতিবছর একটি দিনে তাদের স্টুডেন্টদের বাবা-মাদের জন্য বিশেষ আয়োজন করে থাকে। বাবা-মা'দের বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা । বিভিন্ন ধরনের খেলা থেকে শুরু করে নাচ , গান , কবিতা , আঁকা , ক্যুইজ , হাতের লেখা , অংক ... এইরকম একান্নটি বিষয় থাকে প্রতিযোগিতায়। খুবই প্রেস্টিজিয়াস কম্পিটিশন। কার বাবা-মা কোন বিভাগে কেমন করলেন , কে সর্বোচ্চ স্কোর পেলেন , তাই নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে সারা বছর।
সারাদিন ধরে চলল খাওয়া-দাওয়া-আড্ডা-মজা আর প্রতিযোগিতা। হাসি আর কোলাহলমুখর 'পার্ল একাডেমি' , কিন্তু কোথায় যেন একটা চাপা টেনশন ছায়া ফেলে রাখলো । সন্ধ্যেবেলায় আলোকোজ্জ্বল মঞ্চে হলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। তারপর রাতের অন্ধকার নামল। শুধু রাতজাগা তারারা দেখল 'পার্ল একাডেমি'র স্টুডেন্টদের ঘরে ঘরে এক মজার দৃশ্য ।
দৃশ্য : ১
সায়নের বাবা-মা খাবার টেবিলে মাথা নীচু করে বসে আছেন আর সায়ন বিশ্রীভাবে চিৎকার করছে , " একটাও প্রাইজ তোমরা আনতে পারলে না ! কি পারো কি তোমরা ? আজকের পর থেকে তোমাদের বাবা-মা বলে পরিচয় দিতে আমার লজ্জা লাগবে । "
দৃশ্য : ২
অঙ্কিতার বাবা-মা ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছেন। অঙ্কিতা বসে বসে কাঁদছে আর বলছে , " আমি কি করে কালকে ক্লাসে সবাইকে মুখ দেখাবো ? রিমির বাবা-মা'ও প্রাইজ পেল , আর আমার ... আমার ... " কান্নায় বুজে আসে তার গলা ।
দৃশ্য : ৩
হতভম্ব বাবা-মা'র সামনে কৌশিক দেওয়ালে মাথা ঠুকছে আর বলছে , " এত করে শেখালাম তবু পারলে না তোমরা ? আমি বিকালে খেলতে না গিয়ে তোমাদের ক্যুইজের প্রশ্ন-উত্তর মুখস্থ করালাম , লাইব্রেরী থেকে ক্যুইজের বই এনে দিলাম। কত আশা করেছিলাম তোমাদের নিয়ে , আমার পাপা মাম্মা ক্যুইজে হাইয়েস্ট স্কোর করবে । আমার সব আশা সব চেষ্টা ব্যর্থ করে এত পুওর স্কোর তোমাদের ! "
এরকম আরো আরো অনেক দৃশ্য তখন 'পার্ল একাডেমি'র স্টুডেন্টদের ঘরে ঘরে । তবে কিছু ব্যতিক্রম দৃশ্যও আছে। সেরকম একটা দৃশ্যের কথা বলে এ গল্প শেষ করি।
দৃশ্য : ৪
মৃত্তিকা দেখছে মা মন খারাপ করে বসে আছেন। ওর মা সুমনা একসময় খুব ভালো অ্যাথালেট ছিলেন। এখনো প্রতিবছর 'পার্ল অ্যাকাডেমি'র 'ডে অফ প্যারেন্টস' এর দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার তাঁর হাতেই ওঠে। কিন্তু এবার কয়েকদিন ধরেই পা'টা ব্যথা। মৃত্তিকা অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও , তিনি দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন । তবু শেষ রক্ষা হলো না। হাসিখুশি মায়ের মুখ কখনো আঁধার হয়ে থাকলে , মৃত্তিকার বুকের ভেতর খুব কষ্ট হয় । ও মা'কে জড়িয়ে ধরে বলে , " মন খারাপ করে না আমার সোনামা । তুমি তো চেষ্টা করেছিলে । তুমি তো আমাকে বলো , জেতাটা বড় কথা নয় , চেষ্টাটাই বড় । তুমি তো আমাকে শিখিয়েছো, হারটাকেও মেনে নিতে হয় , তবেই সত্তিকারের মানুষ হওয়া যায়। মা ... ও মা ... এবার হাসো ! আচ্ছা স্কুল দেয়নি তো কি হয়েছে ? আমি তোমাকে প্রাইজ দেবো । তুমি চুপটি করে বসে থাকো , আজ আমি ডিনার তৈরি করব , ডিনারে হবে তোমার ফেভারিট চাওমিন । আর কাল সকালেই বাবা তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। পায়ের ব্যথাটা তো সারাতে হবে । আমি জানি পরের বছর আমার মা খুব খুব খুব জোরে দৌড়াবে ! " মা'কে চকাস করে একটা চুমু খেয়ে মৃত্তিকা রান্নাঘরে যায় চাউমিন বানাতে ।
রাতের অন্ধকারে নিয়ন আলো জ্বলা ঘরে ঘরে আয়না তৈরি হচ্ছে একেক রকম।
চৌকাঠ পেরিয়েঅহনা বিশ্বাসসৃজন পাবলিশার্সNovel : https://bit.ly/3ksxZBdHistorical : https://bit.ly/3oZHHhCThriller : https://bit.ly/308SifWDetective : https...
স্থির ও গতি
Clicked by...Chandrabhanu Bijali
Be the first to know and let us send you an email when Arijit Basu Creative window posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Want your business to be the top-listed Event Planning Service?