Floretium

Floretium natural or dry flower arrangement for different occasions

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পের মেসেজটা কী? সাধারণ প্রতিশোধের গল্প হিসাবে পড়া হয়। জর্মন দেশের এক শহরের নাম হ্যামিলন। হ্য...
06/10/2024

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পের মেসেজটা কী? সাধারণ প্রতিশোধের গল্প হিসাবে পড়া হয়। জর্মন দেশের এক শহরের নাম হ্যামিলন। হ্যামিলনে অনেক ইঁদুর ছিল। মানুষ ইঁদুরের যন্ত্রণায় অস্থির। তখন আসল এক বাঁশিওয়ালা।

বাঁশি বাজিয়ে সে যেতে লাগল আর ইঁদুরেরা তার বাঁশি শুনে ঘরের কোনা কাঞ্চি থেকে বের হয়ে তার পিছু নিল।

এক পর্যায়ে বাশিওয়ালার নির্দেশে তারা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা গেল দলে বলে।

এরপর মেয়রের কাছে তার পাওনা টাকা চাইল বাঁশিওয়ালা, যে চুক্তিতে তাকে ইঁদুর তাড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যেহেতু কর্ম সমাধা হয়ে গেছে, তাই একজন পলিটিশিয়ানের মত কাজ করলেন মেয়র, টাকা দিলেন না।

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বাশিওয়ালা প্রতিশোধ নিবে জানাল।

সেইন্ট জন ও পল দিবসে যখন বড়রা চার্চে ব্যস্ত ছিল তখন আবার ফিরে এলো বাঁশিওয়ালা।

রাস্তায় নেমে সে তার আরেক রঙচঙা বাঁশি বের করে শুরু করল বাজানো। এই বাঁশির সূর্য শুনে মন্ত্রমুগ্ধের মত শিশুরা নাচতে নাচতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো। তারা বাঁশিওয়ালার পিছু নিল। আর বাঁশিওয়ালা তাদের নিয়ে হারিয়ে গেলো পাহাড়ের দিকে।

এই গল্প একটা পুরানো, বহুল প্রচলিত গল্প। সবচাইতে পুরান সোর্স ১৩০০ সালের। গল্পটি তারও আগের। বিভিন্ন তত্ত্ব আছে এই গল্পের ইতিহাস নিয়ে। এখনো গল্পটি মানব সমাজে বিরাজমান, সার্চ এঞ্জিন এনালিসিসের টুল এসইএমরাশ দ্বারা দেখলাম, এখনো প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার বার পৃথিবীর মানুষ সার্চ করেন ইন্টারনেটে হ্যামিলনের বাশিওয়ালাকে নিয়ে।

অকৃতজ্ঞের শাস্তি, এটা গল্পের ভাসমান মেসেজ। কিন্তু অন্য লেয়ারে গল্পটারে দেখলে, যদি দেখেন এই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ব্যক্তিটা কে তখন গল্পটা আরেক ভাবে বুঝার জায়গা তৈরি হয়। তার এই বাঁশিতে এত ক্ষমতা কীসের? কেন বাচ্চারা ও ইঁদুরেরা তারে অনুসরণ করেছিল?

ফ্রেঞ্চ আমেরিকান দার্শনিক রেনে জিরার্দের মিমেটিক তত্ত্ব দ্বারা বিশ্লেষণ করলে, হ্যামিলনের বাশিওয়ালাকে ধরতে হবে মডেল হিসেবে। মডেল হচ্ছে সে যাকে অন্য মানুষেরা অনুকরণ করছে। গল্পের বাচ্চারা অনুকারক।

জিরার্দের তত্ত্বের মূল ইনসাইট এমন, মানুষের নিজস্ব কোন ডেজায়ার নেই। সে অন্যের ডেজায়ার অনুকরণ করে।

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে বাচ্চারা যখন অনুসরণ করলো, তখন তাদের কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ছিল না। মডেল যা করেছে, তারা সেদিকে গেছে।

জিরার্দ লেখেন, আমাদের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা নেই, মডেল আমাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। একজন ব্যক্তি তার মডেল দ্বারা সম্পূর্ণ বিনাশও হতে পারে, অনুকরণ সর্বদাই সেই জিনিশ যা আমাদের চিনতে ভুল করায়।

কাকে অনুকরণ করছেন, এই জিনিশ গুরুত্বপূর্ণ নিজের জীবনের জন্য, কারণ আপনি তারে আপনার হয়ে সিদ্ধান্ত নেবার জায়গায় বসিয়ে দিচ্ছেন। তাকে বানিয়ে দিচ্ছেন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। সে তৈরি করছে আপনার ডেজায়ার।

অন্য মানুষের প্রাপ্তি, সাফল্য, ভোগ, লাইফস্টাইল, জীবনাদর্শ, জীবন যাপনের তরিকা ইত্যাদি দেখে মানুষেরা নিজেদের জন্য ঐসব ডেজায়ার তৈরি করে। যারে সে ফলো করছে সে যদি এমন সব কাজকর্ম করে যা অনুকারকের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিকর, অনুকারক তা বুঝতে পারবে না।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পে আরেকটা ইন্টারেস্টিং অংশ আছে। ১৩০ জন শিশু বাঁশিওয়ালার পিছে পিছে গিয়েছিল যারা চিরতরে হারিয়ে যায়। তিন জন শিশু শুধু রয়ে যায়, যারা গল্পটি বলেছিল নগরবাসীর কাছে। এই তিনজনের মধ্যে, একজন ছিল পঙ্গু, একজন অন্ধ, একজন কানে শুনত না।

অর্থাৎ, এই তিনজন তাদের তিন শারীরিক অবস্থার জন্য বাঁশিওয়ালাকে অনুসরণ করতে পারে নি।

জিরার্দ লেখেন, যার যত বেশি মিমেটিক ডেজায়ার থাকবে, তত বেশি এই ডেজায়ার বাস্তব জীবনে প্রবেশ করবে, এবং তত বেশি এটা তার জীবনকে ধ্বংস করবে। ব্যক্তিটি হয়ে উঠবে তত বেশি অসুখী।

ভোগবাদ উৎসাহিত করতে, নিরন্তর চাহিদা তৈরি করতে মানুষের সমাজে যারা বিখ্যাত, যারা জনপ্রিয়, যাদেরকে মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মডেল হিশাবে দেখে, তাদেরকে দিয়ে নানাবিদ পণ্যের ডেজায়ার তৈরি করার কাজ করানো হয়। এর জন্য আছে ফিল্ম-বিনোদন ইন্ড্রাস্টি ও নানা ধরণের বিজ্ঞাপন।

অনুকরণ থেকে শতভাগ বাঁচার উপায় নাই যেহেতু এভাবেই সামাজিক মানুষ তৈরি হয়েছে। কিন্তু মানুষ কারে অনুকরণ করবে বা করছে, এ ব্যাপারে সচেতন হতে পারে। যদি না হয়, তাহলেও সে অনুকরণ করছে, না জেনে। সচেতন অনুকরণ তারে তার নিজের সাইকোলজিক্যাল অবস্থান বুঝতে সাহায্য করবে। সে কী করছে এবং কেন। এইজন্য প্রাচীন স্টয়িক দর্শন মডেল ঠিক করতে বলে। স্টয়িকদের জন্য মডেল ছিলেন সক্রেটিস, ক্যাটো দ্য ইয়াংগার, এবং মিথিক্যাল হারকিউলিস। বিভিন্ন ধর্মেও মডেল নির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ তাদের জানা ছিল সচেতনে না করলে অচেতনে মানুষ মডেল ঠিক করবে ও তাদের দ্বারা ডেজায়ার তৈরি করবে, প্রভাবিত হবে, কিন্তু মনে করবে প্রভাবিত হচ্ছে না, নিজেই কাজ করছে।

মডেল খারাপ হতে পারে অনুকারকের জন্য। আবার সব যে সকল সময় হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত এমনো না।

মডেলকে অনুকরণের আরেকটা দিক আছে, মিমেটিক রাইভালরি, যা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছিল মিমেটিক তত্ত্বের জগত লেখায়, এখানে হালকা করে উল্লেখ করে যাই।

মানুষ যখন এমন একজনের অনুকরণ করে, যে তার সাথে একই তলে অবস্থান করে, তখন তাদের মধ্যে কনফ্লিক্ট শুরু হয়। একসময় দেখা যায়, তারে আগে লাইক করত কিন্তু এখন জানপ্রাণ দিয়ে শত্রুতা করে যাচ্ছে।

সে ওই ব্যক্তি নিয়া অবসেসড, তার মত হতে চায়। কিন্তু এই হতে গিয়ে দেখে, যারে দেখে তার এই চাওয়ার জন্ম নিল, সেই লোকটাই তার প্রতিদ্বন্ধী। আবার লোকটা যদি বহু আগের কেউ হয়, ধরা যাক সক্রেটিস, সেইক্ষেত্রে মিমেটিক রাইভালরির জায়গা থাকে না।

"পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ হয়েও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তীব্র ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা ফেরত পান নাই। বরং পেয়েছিলে...
01/10/2024

"পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ হয়েও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তীব্র ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা ফেরত পান নাই।

বরং পেয়েছিলেন অবহেলা আর নির্লিপ্ত প্রতারণা।

নেপোলিয়ান যে মেয়েরে পৃথিবীর পুরো সাম্রাজ্য দিয়ে দিতে চাইসিলো, সেই মেয়ে নেপোলিয়ানের জন্য বড় একটা চিঠিও লেখে নাই।

নেপোলিয়ান এই মেয়ের জন্য বিরাট বিরাট চিঠি লিখতো। এমনকি যুদ্ধের সময় ছবি রেখে দিতো পকেটে। সময়ে অসময়ে চুমু খাইতো সেই ছবিতে।

এতো ক্ষমতাধর একজন মানুষ, অথচ বৌ এর কাছে যাইয়া অসহায়ের মতো বলতো, আরেকটু বড় চিঠি লিখতে, যাতে এতো দ্রুত শেষ হয়ে না যায়।

বাট জোসেফাইন বোনাপার্ট কোনদিনও সেই বড় চিঠি লেখে নাই। অথচ এরে বিয়ে করার জন্য নেপোলিয়ন পরিবারের বিরুদ্ধে গেসে। হ্যান্ডসাম একজন মানুষ হয়ে বয়সে বড়, বিধবা এবং দুই বাচ্চার মারে সে বিয়ে করসিলো, পাগলের মতো ভালোবাসছিলো।

অথচ নেপোলিয়ন মিশরে থাকা অবস্থায় সেই জোসেফাইন নেপোলিয়নের সাথে চিট করে বসে। সেনাপতির সাথে অ্যাফেয়ারে জড়াইয়া পড়ে।

ফারেনহাইট ৪৫১ বইতে একটা লাইন ছিলো এমন, It was a pleasure to burn.

যদিও ভিন্ন কনটেক্সট, তারপরেও এই লাইনটা পড়ার সাথে সাথে ভালোবাসার কথা মাথায় আসতে বাধ্য। এই পৃথিবীতে ভালোবাসার যে বড় আনন্দ কিছু নাই, ভালোবাসার চে কষ্টেরও সম্ভবত কিছু নাই।

ভালোবাসার সবচে বড় ব্লাইন্ড স্পট হলো, আপনি কাকে ভালোবাসবেন বা বাসবেন না, সেইটা আপনার হাতে। কিন্তু আপনাকে কে ভালোবাসবে বা বাসবে না, ঐটা আপনার হাতে থাকবে না।

ভালোবাসাই এই পৃথিবীর এমন এক ব্যবসা, যেখানে আপনার সকল ইমোশনাল ইনভেস্টমেন্ট বিফলে যাবে জাইনাও আপনি ওখানে ঢালতেই থাকবেন, ঢালতেই থাকবেন।

ভালোবাসাই পৃথিবীর একমাত্র খেলা, যে খেলাতে নিশ্চিত হার জাইনাও মাঠ থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। বরং নির্লজ্জের মতো আরেকটু খেইলা যাইতে ইচ্ছা করে।

আফ্রিকান একটা প্রোভার্ব বলতেসে, ভালোবাসা এমন এক অত্যাচারী শাসক, যে শাসকের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায় না।

ভালোবাসা নিয়ে এরচে সত্যি কথা আমি আর একটাও শুনি নাই, বিশ্বাস করেন।"

©

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কী ক্ষতি করেছেন, বলতে পারেন?উনি বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক লুট করিয়েছেন উনার অনুগতদের দ...
16/08/2024

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কী ক্ষতি করেছেন, বলতে পারেন?

উনি বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক লুট করিয়েছেন উনার অনুগতদের দিয়ে। এইটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতির ক্ষত বাংলাদেশকে বয়ে বেড়াতে হবে বহু বছর।

আজকের প্রথম আলো'র খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম একাই নিয়ে গেছেন ৫০,০০০ কোটি টাকা; প্রায় ৫০০ কোটি ডলার।

ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক আর ন্যাশনাল ব্যাংক- মোট আটটা ব্যাংক একাই দখল করে বসে ছিলেন এস আলম।

এক ব্যাংক থেকেই যদি ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে থাকেন (এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, নিয়েছেন আরো বেশি), ৮ ব্যাংক থেকে কতো নিয়েছেন, ধারণা করেন।

এই লুটপাট এস আলম একা একা করতে পারেননি। এস আলমকে সহায়তা করেছে শেখ হাসিনার সরকারের অনেকগুলো অঙ্গ।

আপনি শিশু কিংবা পাগল না হলে এতোটুকু বুঝবেন, এই টাকাগুলো এস আলম একাই ভোগ করেননি। শেখ হাসিনা এবং তার বোনকেও ভাগ দিয়েছেন নিশ্চয়ই।

সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, লুট করা টাকাগুলো দেশে নেই। ডলারে রুপান্তর হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বেশিরভাগ টাকা। সেই লুটপাট এর অনুসন্ধান বন্ধ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।

বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক- এরকম আরো অনেক ব্যাংকও লুটেছেন শেখ হাসিনার অন্যান্য লোকজন। অনেকগুলো লিজিং কোম্পানি লুট হয়েছে, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে। লুটপাট এমন মাত্রায় হয়েছে যে, সঠিক চিত্র তুলে আনাই মুশকিল।

এই লুটপাটের কারণে এখন দেশের ব্যাংকগুলো খালি। আমাদের টাকার পারচেজিং পাওয়ার দিনদিন কমছে। আমাদের সামনে কঠিন দিন, কঠিন রাত।

চাইলেই এই লুট করা টাকা ফিরিয়ে আনা যাবেনা। ডলার পাচার করা হয়ে গেলে সেগুলো ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব কাজ।

লুটপাট করে আমাদের ভবিষ্যতকে কেমন করে অনিশ্চিত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনার লোকেরা, তার একটা উদাহরণ দিই।

৩০.০৬.২০২৪ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের মোট সম্পদ ছিলো ২১৮,০৮৩ কোটি টাকা, মোট দায়ও তাই।

মোট আমানত ছিলো ১৫৯,৪৬৮ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগ ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা। আমানতের চেয়ে ঋণ ১২,৭৬৭ কোটি টাকা বেশি!

এই ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ এর মধ্যে অন্তত: ৫০,০০০ কোটি টাকা আর ফিরে আসবে না।

এখন, ইসলামী ব্যাংক চলতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা রাখতে হয় মোট আমানতের ৯.৫%। সেইটা রাখতে পারছে না।

আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসেবের ব্যালান্স -৭,১২৮ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকে ইচ্ছেমতো টাকা স্থানান্তর করতে পারছেন না। চেক ডিজঅনার হচ্ছে।

এখন, ইসলামী ব্যাংকের ৫% আমানতকারীও যদি নিজেদের টাকা তোলার জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যান, ব্যাংক টাকা দিতে পারবেনা।

ইসলামী ব্যাংক তাহলে কী করবেন? বন্ধ করে দিবেন? সব আমানত ফেরত না দিয়ে তো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া যাবেনা।

ইসলামী ব্যাংক কি অন্য ব্যাংকের সাথে মার্জ করে দেবেন? কে নেবে এই দায়?

ব্যাংকের লাভ থেকে এই ৫০,০০০ কোটি টাকা পুরিয়ে দেবেন? ইসলামী ব্যাংক বছরে ৩,০০০ কোটি টাকা লাভ করে। ট্যাক্স দেবার পরে ১,৫০০ কোটিও টেকে না। কতো বছর লাগবে?

দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা।

ব্যাংক লুট করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে লোন এনে উন্নয়নের নামে লুটপাটও করেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর স্যাঙাতেরা।

এখন, আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অন্ধকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন বটে, কিন্তু উনাদের হাতে জাদুর কাঠি নেই। ঋণ পরিশোধ না করলে বিদেশীরা ছাড় দেবে না। এলসির ডলার না পাঠালে পণ্যও আসবে না।

আগামীতে কেমন করে চলবে দেশ, এই চিন্তা বাংলাদেশের ১% মানুষও করছেন না। এমন সংকটেও মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, দলবাজি, অনুভূতি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি - এইগুলা এদেশের মানুষের প্রধান সমস্যা।

যেদিন বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের কিস্তি দিতে পারবেনা, আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারবে না- সেইদিন খুব দূরে নয়।

শেখ হাসিনা দেশের এই পরিমাণ ক্ষতি করার পরেও যারা চেতনার বুলি আওড়াচ্ছেন, শেখ হাসিনাকে আকারে ইঙ্গিতে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছেন, 'এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম' বলে ভেংচি কাটছেন- তাদের জন্য করুণা। আপনারা একটু বিবেকের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিয়েন।

ভিন্নমতকে সম্মান করি। একই সাথে আশা করি- বিবেক জাগ্রত হউক।

Collected!

আপনার শোক হচ্ছে আপনি অবশ্যই পালন করবেন।ইচ্ছে হলে নিজের টাকা দিয়ে একটা মূর্তি বানায়ে গ্যান্ধ্যা ফুলের মালা পরায়ে অঞ্জলি দ...
15/08/2024

আপনার শোক হচ্ছে আপনি অবশ্যই পালন করবেন।
ইচ্ছে হলে নিজের টাকা দিয়ে একটা মূর্তি বানায়ে গ্যান্ধ্যা ফুলের মালা পরায়ে অঞ্জলি দিবেন।

কিন্তু দেশের মানুষের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে ৪০০ কোটি টাকার মূর্তি আর ১০০ কোটি টাকার মুজিব বর্ষ পালন করে শোক করতে বাধ্য করার অধিকার তো আপনার নাই!

আমি কোনরকম ব্যাকস্পেস না চেপে এই কথা বলতে পারছি আর আপনি ও মোমবাতি জ্বালায়ে ধানমন্ডি ৩২ এ শোকাভিভূত হচ্ছেন অথচ কেউ এখনো আপনাকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায় নাই-
আপনার দরজায় এখনো "ঠক ঠক" শব্দ হয় নাই স্বাধীনতা বলতে আমি অন্তত এটাই বুঝি।

আপনি বিগত ১৫ বছরে সকল পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক কি ইতিহাস গেলাইলেন যে মানুষের মনে শ্রদ্ধা টুকু পর্যন্ত বিতর্কিত হয়ে যায়?

আপনার ইতিহাসে ৭২ থেকে ৭৫ এর টাইমজাম্প কেন?
কি হয়েছিল সে সময়ে যে আপনার অপছন্দের সকল লেখক এবং তাদের লেখা বই ব্যান করে দিতে হয়!

কি লেখা ছিল সেখানে যে ইতিহাস মুছে দিতে হয়?

সবকিছু তা'ও না হয় বাদই দিলাম -

আপনার স্বজন হারানোর বেদনাতে আমিও ব্যাথিত হতে চাই তার আগে,
আমার মায়ের সন্তান হারানোর যে দগদগে ঘা সেটা তো শুকাতে দিন...
আমার যে স্বজন এখনো আপনার আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো না তার তো সন্ধান দিন-

আর যদি সেটা না পারেন তবে যতদিন না সেটার বিচার হচ্ছে সে অব্ধি না হয় আপনার শোক rejected থাকুক 🚫

"হামাগুড়ি" --শঙ্খ ঘোষঘুমটা ভেঙ্গে গেল হঠাৎ।বাইরে কি ঝড় হচ্ছে?দাপাদাপি করছে জানলার পাল্লাদুটো,মাঝে মাঝে বিজলি ঝলকাচ্ছে।ফে...
15/08/2024

"হামাগুড়ি"
--শঙ্খ ঘোষ

ঘুমটা ভেঙ্গে গেল হঠাৎ।
বাইরে কি ঝড় হচ্ছে?
দাপাদাপি করছে জানলার পাল্লাদুটো,
মাঝে মাঝে বিজলি ঝলকাচ্ছে।
ফের শুয়ে পড়তে গিয়ে সেই বিদ্যুতের ছটফটে আলোয় মনে হল ঘরের মধ্যে যেন হামা দিচ্ছে কেউ।

-'কে ওখানে? কে?'
হামা কোনো শব্দই করে না।
উঠে আসি কাছে, আবারও জিজ্ঞেস করিঃ
-'কে আপনি? কী চান?'
সে তবু নিশ্চুপ থেকে এ - কোণে ও -কোণে ঘুরছে
মাথা তুলছে না কিছুতেই, চোখে চোখ নয়।
-'কিছু কি খুঁজছেন আপনি?'
শুনতে পাচ্ছিঃ
-'খুঁজছি ঠিকই, খুঁজতে তো হবেই -
পেলেই বেরিয়ে যাব, নিজে নিজে হেঁটে।'
-'কি খুঁজছেন?'
মিহি স্বরে বললেন তিনি :
-'মেরুদণ্ডখানা।'
সেই মুহুর্তে বিদ্যুৎ ঝলকালো ফের। চমকে উঠে দেখিঃ
একা নয়, বহু বহু জন
একই খোঁজে হামা দিচ্ছে এ-কোণে ও কোণে ঘর জুড়ে।

26/01/2024

Process of dry flower 😊😊😊

🥰🥰🥰🥰🥰
04/11/2022

🥰🥰🥰🥰🥰

Alhumdhulilah  allready sent to 9 div(savar cantonment)🥰🥰🥰🥰
25/10/2022

Alhumdhulilah
allready sent to 9 div
(savar cantonment)
🥰🥰🥰🥰

🌺🌺🌺🌺
12/10/2022

🌺🌺🌺🌺

11/10/2022
Some of my dry flower arrangements....💕💕💕Which were delivered different places with lot of love🌺🌺🌺Alhumdhulilah ☺️
11/10/2022

Some of my dry flower arrangements....💕💕💕
Which were delivered different places with lot of love🌺🌺🌺
Alhumdhulilah ☺️

My creation
27/10/2020

My creation

15/09/2020

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Floretium posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Event Planning Service?

Share