17/02/2022
মেলবোর্নে ফাল্গুন উদযাপন - ২০২১
প্রশান্ত পাড়ের বাঙালীর জীবনে বসন্ত আসে বছরে দুইবার।
এবং তা ছয় মাসের ব্যবধানে। এই গোলার্ধের হিসাবে বসন্ত আসে পয়লা সেপ্টেম্বর।
শীতের আড়মোড়া ভেঙে প্রকৃতি সাজে ফুল আর পাতায়।
কিন্তু আমরা যারা প্রবাসী বাংলাদেশী, তারা তো আসলে মাথায় দুই গোলার্ধের দুটো ক্যালেন্ডার নিয়ে ঘুরি! ভূগোলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হেমন্তে "এসো হে বৈশাখে" মেতে উঠি!
পৃথিবী বদলে গেছে - এতদিন গান ছিল, এখন তো আর তা গান নেই! পৃথিবী আসলেই বদলেছে! এর ধাক্কা গোটা অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে মেলবোর্ন বাসীদের চেয়ে ভালো আর কে জানে!
জানুয়ারীর মাঝামাঝি থেকে জনজীবন একটু স্বাভাবিক হতেই শুরু হয় বসন্ত বরণের পরিকল্পনা। বাঁধ সাধে বাহিরে জনসমাগমের সংখ্যাসীমা, যা ছিলো মাত্র ১০০ জন। বিষয়টি মাথায় রেখে ঠিক হয় একই দিনে দুই ধাপে অর্থাৎ দুপুর ও বিকেলে ১০০ জন করে সমাগমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে।
১২ ফেব্রুয়ারী নতুন কোভিড ১৯ কেইসের কারণে আকস্মিক সার্কিট ব্রেকার লকডাউনে যায় মেলবোর্ন। অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে পরবর্তীতে ২০ শে মার্চ করা হয়।
সেদিন উইন্ধ্যাম পার্কে সাত সকাল থেকে শুরু হয় সাজানোর কাজ। আয়োজকদের নিজ হাতে করা বিভিন্ন উপকরণে সেজে ওঠে পার্ক । ভিনদেশী অনেক দর্শনার্থী বিষয়টি দেখেন এবং আগ্রহভরে আয়োজকদের কাছে জানতে চান অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে।
ঝলমলে রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে শুরু হয় আপ্যায়ন পর্ব এবং এর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আপ্যায়নে ছিল পিঠা, মিষ্টি, ঝালমুড়ি, সিঙ্গারা, চটপটি, হাওয়াই মিঠাই, খিচুড়ি , মুরগি, ভর্তা, ডিম্ ভুনা, টমেটোর চাটনি,কোমল পানীয় ও কেক ।
দম ফেলার অবসর ছিলো না আয়োজকদের কেননা প্রথম পর্ব শেষ হতেই শুরু হয়ে যায় পরের পর্বের ব্যস্ততা।
বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে যোগ দেন বিকেলের অতিথিরা। সম্পুর্ন ভিন্ন আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সবাইকে মুগ্ধ করে রাখেন অনন্য চক্রবর্তী, ইশমে , রোদেলা, উর্মি ভট্টাচার্য, সানি সঞ্জয়, পিনাকী ভট্টাচার্য , মুনী, রুমা, ঝুমুর , পার্থ, সিদ্ধার্থ ব্যানার্জী, কৃষ্ণা ব্যানার্জী, রিমন প্রমুখ ।
দুই পর্বে চমৎকার দুটি থিম বেইজড কেক করেন বিন্দু আরশিয়া ।
অংশগ্রহণ কারীদের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে ছিল স্মারক উপহার ও ফেইস পেইন্টিং ।
ফটোগ্রাফি করেছে ফটোগ্ৰাফিয়া ।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিলেন
জিয়াউন নাহার বিথী
জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা
ফারিহা সালাউদ্দিন
মিথিলা রহমান
রুমানা ইসলাম
ফারিনা মাহমুদ
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন নুসরাত ইসলাম বর্ষা।