বাংলাদেশ পাত্র-পাত্রী.com

  • Home
  • বাংলাদেশ পাত্র-পাত্রী.com

বাংলাদেশ পাত্র-পাত্রী.com Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from বাংলাদেশ পাত্র-পাত্রী.com, Bridal shop, .

বাংলাদেশ পাত্র পাত্রী ডট কম
Bangladesh patro patri dot kom
ইনবক্স করুন বর-বউ এর জন্য
inbox here for Bridegroom-Bride
girl,boy,male,female,man,women,Bangladesh

03/04/2022

বর্তমান সময়ে ডিভোর্স যেন একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। মানুষগুলো এখন শুধু এখন নিজ পরিবার থেকেই বিচ্ছন্ন হচ্ছে না, একে অপরের সাথে বিচ্ছন্ন হয়ে জীবন কাটাচ্ছে একাকীত্বে। এ যেন ডির্ভোস দেওয়ার এক প্রতিযোগীতায় নেমেছে সবাই।

শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন, বর্তমানে ঢাকায় প্রতি ঘন্টায় একটি করে ডিভোর্সের আবেদন হচ্ছে। যেখানে ২০১২ সালে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় দুই সিটি কর্পোরেমনের পরিসংখ্যান মতো ডিভোর্স হয়েছিল ৭৪০২টি সেখানে ২০১৭ সালে ডিভোর্সের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০,২৯১টি।

শুধু ঢাকা শহরই নয়, ডিভোর্সের প্রবণতা সারাদেশের ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের মতো। বিবিএস এর তথ্যমতে গত ৭ বছরে সারা দেশের ডিভোর্সের প্রবণতা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। আর এই ডিভোর্সের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় শিক্ষিত নারী-পুরুষের মধ্যে। তবে নারী-পুরুষের পরিসংখ্যান হিসেবে বেশ এগিয়ে আছে নারীরাই। ৭০% নারীদের বিপরীতে ৩০% পুরুষ ডিভোর্স দিয়ে থাকে।

03/04/2022

এখনকার সময়ে ডিভোর্সের মূল কারণ —অতিমাত্রায় প্রতাশ্যা। এবং বিবেকহীনতা! অধিকাংশ মেয়েদের সংসার ভাঙে বিয়ের পরে তার মায়ের অতিমাত্রায় কুটলামী আর পারিবারিক কুবুদ্ধি দিয়ে মেয়ের মাথা বিগড়ে দেওয়ার পরিনাম। ছেলেদের ভাঙে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আর চারিত্রিক কলুষতার জন্য।

02/04/2022

আমাদের কাজ ঢাকার ভিতরে বেসি
সকলের চাহিদা অনুসারে FB মাধ্যমে একে অন্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই, জাচাই বাছাই আপনাদের কাজ,
অনলাইনে সবাই ভালো না আবার সবাই খারাপ না
তাও আমরা ভালো করে যতটুকু পারি অনলাইনে জাচাই বাছাই করি ❤️
কেউ যদি খুসি হয়ে আমাদের কিছু দেয়, না দিলে কোনো আপত্তি নাই
ইনশাআল্লাহ মানুষ এর পাসে থাকবো ব্যবসা জন্য নয়
এর বিনিময়ে আল্লাহ কাছ থেকে মাফ পাওয়া যাবে

08/05/2020
22/04/2020

কাকে বিয়ে করবেন.....??
শতকরা ৫ জন মেয়ে এমন খুঁজে পাওয়া যাবে না.....
যারা বাসর রাত্রে স্বামীর বুকে হাত রেখে এই কথাটি স্বামীকে সত্যি করে বলতে পারবে যে,
আমি তোমাকে সেই (সতিত্ব) যৌবন আজ উপহার দিলাম,
যেই (সতিত্বে) যৌবনে কলংকের কোনো দাগ লাগে নাই।
আমি তোমাকে এমন একটি পবিত্র দেহ আজ উপহার দিলাম,
যেই দেহতে অতীত জীবনে কোনো পর- পুরুষের হাত লাগে নাই।।
তাই তো বলি!!
বর্তমান যুগে বউ পাওয়া সহজ, কিন্তু সতী একজন নারী পাওয়া বড়ই কঠিন...!!!
আর কারও খারাপ লাগলে ক্ষমা করবেন....!!!!
ধন্যবাদ
আমি মনে করি,
যারা রাইট বলছেন তারা সবাই ভূল বলছেন!!
কারন এখানে ছেলে মেয়ে দুজনের ভূল!!
তাই ভালো কিছু পাইতে হলে খারাপকে ছাড়তে হবে!!
আপনি কি বলেন ?

10/04/2020

#ছেলের_বাবাকে_বলছি ......
ছেলেদের অল্প বয়সে বিয়ে করান এতে ছেলে আপনার ইজ্জত নষ্ট করবেনা।
#মেয়ের_বাবাকে_বলছি ........
অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দেন নিজের সম্মান বাঁচান, গুনাহ থেকে বাঁচুন।
ছেলেমেয়ে দুজনকেই বলছি.....
অল্প বয়সে বিয়েতে রোমান্টিকতা থাকে বেশি,
থাকে রঙ্গিন চাওয়া-পাওয়া। যদি বুড়ো হয়ে করেন, দেখবেন আপনি প্রেম- ভালবাসার নামে হারামের মধ্যে এই আনন্দ
আপনি নিজেই নষ্ট করেছেন।
যারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করার চিন্তা করেছেন
তার উত্তর= মানুষ মরে যাওয়া ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হয়না।
যারা বউকে কী খাওয়াবেন বলে বিয়ে করেনা।
তার উত্তর = বউ কোন জানোয়ার বা ডাইনি না।
যারা বর্তমান সমাজের ব্যয়বহুল বিয়ে দেখে ভয় পাচ্ছেন
তারা অল্প খরচে বিয়ে করে দেখিয়ে দেন
কীভাবে সুন্নতি বিয়ে করে।
জীবন খুব অল্প.....
সব ঝামেলার মাঝেই আমাদের চাওয়া-পাওয়া আদায় করে নিতে হয়। না হয় আম ও যাবে, ছালাও যাবে।

03/04/2020

এমন বউ জান্নাতের টুকরা
⚂⚃⚅⚄⚀⚁⚂⚃⚄⚀⚄
বাসর ঘরে স্ত্রীর সালাম শুনে স্বামী অবাক চোখে তাকালো!

স্বামী সালামের উত্তর নিতেই স্ত্রী তারস্বামীর হাতে সুন্দর রঙ্গিণ
কাগজে মোড়ানো একটা প্যাকেট দিয়ে বললো

স্ত্রীঃ তোমার জন্যে এই গিফটা।

স্বামীঃ কি গিফট?

স্ত্রীঃ প্যাকেটটা খুলে দেখো।

স্বামী প্যাকেট খুলছে আর ভাবছে, কি আছে এর ভিতর!
প্যাকেটটা অনেক যত্ন করে মোড়ানো। মনে হয় স্ত্রী
তার নিজের হাতেই করেছে।

প্যাকেট থেকে একটা জায়নামায আর তাসবীহ্ পেলো।স্বামী অবাক চোখে স্ত্রীর দিকে তাকালো, চোখেপ্রশ্ন...

স্ত্রী তার স্বামীর ডান হাতটা ধরে, স্বামীর চোখে
তাকিয়ে বললো……

স্ত্রীঃ আমাকে সময় দাও আর না দাও ৫ ওয়াক্ত
নামাযে এই জায়নামায টাকে সময় দিতে হবে ।

আমি জান্নাতে যেতে চাই, আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে……

আমি তোমার কাছে টাকা, ধন, সম্পদ, গাড়ী বাড়ি , অলংকার কিছুই চাইনা। বাঁচার জন্য যতটুুকু দরকার ততটুকুই দিও।

তুমি আমাকে যা খাওয়াবে, যা পড়াবে, যেভাবেই রাখোনাকেন, আলহামদুলিল্লাহ্ আমি খুশি।

শুধু একটা চাওয়া,
আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।

স্ত্রীর কথা শুনে স্বামীর চোখে পানি এসে গেলো।
স্বামী স্ত্রীকে আলতো করে বুকে
টেনে নিয়ে বললো

স্বামীঃ হ্যাঁ আমি তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবো,
ইনশাআল্লাহ্।

এর বেশী কিছু আর বলতে পারলো না। চোখের পানি
চোখেও রাখতে পারলো না।

আজ থেকে তার নতুন জীবনশুরু। তার নতুন জীবন আর জীবন সঙ্গীনির
জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো।

হে আল্লাহ আমাদের মুসলিম নর-নারী সবাইকে এমন
মন-মানসিকতা ও হেদায়েত দান করুন

যাতে সবাই প্রতিটা
মুহুর্তে তার পালনকর্তা,
রিযিকদাতা সৃষ্টিকর্তাকে
স্বরণ করে মৃত্যূর ভয়ে ইবাদাত করে।

হে আল্লাহ জীবন সঙ্গিনী হিসাবে সবাইকে জান্নাতের টুকরা একটা বউ দান করিও
_আমীন_ ....
এখন পোষ্টটি কেমন লেগেছে জানান ??
ভাল লাগলে friend request দিয়ে সাথেই থাকুন।

31/03/2020

১. # বয়স্ক মহিলাকে বিবাহ করা সুন্নত
২. # ডিভোর্সী নারীকে বিবাহ করা সুন্নত
৩. # বিধবা নারীকে বিবাহ করা সুন্নত
৪. #স্ত্রী 'র সাথে রান্না করার কাজে,পরিস্কারের কাজে,
ধোয়া-মোছার কাজে সহায়তা করা সুন্নত
৫. # ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ত্রী 'কে মুখে হাত দিয়ে খাবার তুলে খাওয়ানো সুন্নত
৬. #স্ত্রী 'র প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সুন্নত
৭. #স্ত্রী 'র ভুল ক্ষমা করা সুন্নত
৮. #স্ত্রী'র জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নত
৯. #স্ত্রী 'র অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করা এবং
তাকে যখন প্রয়োজন হয় স্বান্তনা দেওয়া সুন্নত
১০. #স্ত্রী 'র সাথে খেলা করা,গল্প করা,ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সুন্নত
১১. #স্ত্রী 'র কোলে আবদ্ধ হওয়া এবং শিথিল করা সুন্নত
১২. #স্ত্রী 'কে সুন্দর নাম নিয়ে ডাকা সুন্নত
১৩. #পরিবারের ব্যক্তিগত সদস্য এবং
বন্ধুদের কাছে তার ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ না করা সুন্নত
১৪. # স্ত্রী 'র পিতা-মাতাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সুন্নত
১৫. #স্ত্রীর এটো খাবার খাওয়া সুন্নত
১৬. #স্ত্রীর অভিমান ভাংগানো সুন্নত
১৭. #স্ত্রীর কোলে শোয়ে কুর'আন তেলাওয়াত করা সুন্নত
১৮. #স্ত্রীকে সালাম দেওয়া সুন্নত
# ভেবে দেখুন আজ স্ত্রী নাই বলে কত গুলো সুন্নত পালন করা যায় না!! আল্লাহ পাক আপনি আমার বিয়ে টা তাড়াতাড়ি কবুল করুন আমিন

21/02/2020

আমাদের নবির কথা অনুযায়ী বিয়ে করা অবশ্যক
ছেলেরা ২৫ বছরের আগে বিয়ে করা উচিত
তাহলে আপনার লাইফ হবে সুখি শান্তিময় ❤❤

ছেলে মেয়ে বিয়ের ইন্টারেস্ট আমাদের ইনবক্স করুন
আপনার ভালোবাসা পাওয়াই আমাদের লক্ষ্য

30/08/2019

স্বামীঃ তুমি বোরকা ছাড়া আগামী শুক্রবার তোমার
চাচাতো বোনের বিবাহের অনুষ্ঠানে যেতে চাচ্ছো ?
স্ত্রীঃ হ্যাঁ, কেন নয়? বিশেষ একটা দিন!
স্বামীঃ তুমি বোরকা ছাড়া ঘর থেকে বের হতে
পারো না।
স্ত্রীঃ দেখো!! আমি বাহিরে বোরকা পরিধান
করে বের হয়ে থাকি এ জন্য সবর্দা বোরকা
পড়ে বের হতে হবে? আর তুমিতো আমার
সাথেই যাচ্ছো?? তুমি কি আমাকে সন্দেহ
করো??
স্বামীঃ সন্দেহ করবো কেন?? আচ্ছা আমি
বাজারে যাচ্ছি।
স্ত্রীঃ কেন?
স্বামীঃ একটা জিনিস আনতে।
(স্বামী বাজারে গিয়ে একটা বল কিনে আনলেন
যে বলটা দেখলে মনে হবেই এটা স্বর্ণের তৈরি
বল। অতঃপর স্বামী বলটি নিয়ে বাসায় গেলেন।)
স্ত্রীঃ এটা কি স্বর্ণের ?
স্বামীঃ হ্যাঁ এটা অনেক মূল্যবান। এটা ড্রইং রুমে
ঝুলিয়ে রাখতে পারো।
স্ত্রীঃ তুমি কি বোকা? কেউ যদি এটা দেখে
ফেলে এবং চুরি করে?
স্বামীঃ দুটো দিন ঝুলিয়ে রাখ, এরপরে না হয়
আলমারিতে রেখে দিও।
স্ত্রীঃ তোমার মাথায় কি গোবর ? যখন কেউ
যেনে যাবে আমাদের কাছে স্বর্ণের বল
আছে তখন সে নিশ্চয় অন্যকে বলে দিবে,
এরপর তারা সকলে মিলে ডাকাতি করতে আসতে
পারে।
স্বামীঃ (মুচকি হেসে বলল) তুমি তো ভীষণ
চালাক,, তুমি স্বর্ণের বল আলমারিতে সুরক্ষিত
করতে চাও অথচ বোরকার ভিতর নিজেকে
সুরক্ষিত করতে চাওনা। তুমি কি জানো তুমি আমার
কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ? সুতরাং
তোমাকেও আমি সুরক্ষিত করে রাখতে চাই। একটা
দিন যদি তুমি বোরাকা ছাড়া বের হও প্রথম দিন
তোমার উপর দুষ্টু লোকদের বদ নজরে পড়বে,
তারা তোমার সৌন্দর্যময় দেহের প্রতি লুভি হয়ে
উঠবে, তার একদিন সুযোগ বুঝে আমার শ্রেষ্ট
সম্পদের উপর আক্রোমন করে বসবে।
তখন কি হবে বুঝতে পারছো?
স্ত্রীঃ সত্যিই কি আমি তোমার কাছে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ সম্পদ??
স্বামীঃ অবশ্যই.. কেন নয়? ,,হাদীসে আছে
উত্তম স্ত্রী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
স্ত্রীঃ আজ থেকে আল্লাহর পর্দার বিধান সঠিক
রুপে পালন করবই। ইনশা আল্লাহ। আমি বুঝতে পারছি।
স্বামীঃ আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ কবুল করুন। তুমি
কেদনা,, বলে স্ত্রীর চোখের পানি মুছে
দিলেন স্বামী।
প্রিয় দ্বীনদার বোনেরা,, আপনারা আপনাদের
অর্থ ব্যাংকে আর স্বর্ণ সিন্দুকের সুরক্ষিত
করছেন অথচ আপনার রূপ সৌন্দর্য হিজাব দ্বারা
সুরক্ষিত করছেন না। আপরাদের কাছে কোনটা
বেশী মূল্যবান !!!!

18/08/2019

কিছু সত্য কথা
যে মেয়েটি আপনার সামনে গিয়ে বার বার উড়না ঠিক করবে,মনে করবেন সে মেয়েটির ভিতর টা অনেক সরল।
যে মেয়েটি আপনার সাথে দেখা করার সময়,দেরি করে আসবে মনে করবেন সেই আপনার কাছে নিজেকে গুছিয়ে পরিবেশন করতে চাই।
যে মেয়েটি আপনি কথা বললে অন্য দিকে তাকিয়ে উত্তর করবে মনে করবেন সেই মেয়েটি আপনাকে লজ্জা পায়।
যে মেয়েটি আপনার স্বাধীন জীবনে বাধা দেয়,মনে করবেন সেই মেয়েটি আপনার,অগছালো জীবনকে গুছাতে চাই।
যে মেয়েটি আপনার অপছন্দের কাজ টা লুকিয়ে করে মনে করবেন সেই কাজ টি মেয়েটির খুব পছন্দের,কিন্তূ সেই আপনাকে ভয় পায়।
যে মেয়েটিকে আপনি শাসন করার পর,আপনার পিঠের পিছন দিয়ে পিটে হাত হাতু হুতু দিয়ে বলবে হইছে,বললাম তো আর করবো না।সেই মেয়েটি আপনাকে হারাতে চাই না।
যে মেয়েটি আপনি ভুল করার সত্ত্বে ও নিজে কান্না কাটি করে নিজেই সরি বলার জন্য মরিয়া হয়ে যায়।সেই মেয়েটি আপনাকে অনেক মিস করে।আপনাকে ছাড়া থাকতে পারে না।
যে মেয়েটি আপনার পছন্দের কাজ গুলো আপনাকে না জানিয়ে করার চেষ্টা করে, সে মেয়েটি আপনাকে খুশি দেখতে চাই।
আর যে মেয়েটি আপনার সাথে কোন খুন সুটি হলেই বলে আমাকে আর ফোন দিবা না,তোমার সাথে আমার আর কিছু নেই,আমি তোমাকে অনেক পেইন দেই তাই না?ওকে আর দিবো তুমি তোমার মতো থাকো!সে মেয়েটি সত্যি আপনাকে ভালোবাসে।।।।এই রকম কোন মেয়ের সাথে যদি আপনার পরিচয় থাকে তাহলে থাকে কখন হারাতে দিয়েন না।
একদিন সত্যি মনে করবেন জিবনে চলার পথে যদি,মূল্যবান কিছু হারিয়ে থাকেন তা হলো সেই মেয়েটি।।
যেই মেয়েটি সত্যি আপনাকে ভালোবাসে
50

19/07/2019

মেয়ে তুমি সুন্দরী হলে স্বামী সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখবে তোমায়।
কুৎসিত হলে অন্য মেয়ের সনে মাতবে পরকীয়ায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।
মেয়ে তুমি উচ্চ শিক্ষিত হলে স্বামী সর্বদা থাকে হীনমন্যতায়।
অশিক্ষিত হলে সংসারে রাখবে অবহেলায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।
মেয়ে তুমি গরিব বাবার সন্তান হলে স্বামী সর্বদা তাচ্ছ্বিল্য খোটা দিবে কথায় কথায়।
ধনীর দুলালী হলে স্বামীর অধিকার খাটিয়ে রাখবে খুনঠাশায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।
মেয়ে তুমি হাউজওয়াইফ হলে স্বামী সর্বদা বলবে তুমি সেকেলে।
একটু মডার্ণ হতে চাইলে বলবে তুমি নষ্ট হয়ে গেছো আধুনিকতার ছোঁয়ায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।
মেয়ে তুমি লক্ষী সতী বৌ'র মত একটু সংকীর্ণতায় ঘরের কোণে থাকলে স্বামী সর্বদা বলবে মেয়েরাতো এমনই হয়।
সংকীর্ণতা কাটিয়ে খোলা আকাশ দেখতে চাইলে আটকাবে সতীত্বর খোটায়।
সত্যি মেয়ে তুমি বড় অসহায়।

08/07/2019

একটি মেয়ের ডিভোর্স হয়ে যা বললোঃ-
মেয়েটির কথা
আসসালামুআলাইকুম,
অবশেষে আমি
ডিভোর্স পেয়েছি..
1. এখন আমার একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলে শুনতে হয় না আমার বাবা মা আমাকে কিছু শেখায় নি।
2. এখন আমার জ্বর আসলে কেউ বলে না রোগ ধরা মেয়েকে বৌ করে ঘরে এনেছি৷
3. এখন আমি ভাত রান্না করতে গেলে কেউ এসে বলে না চাল কি আমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছি কিনা।
4. এখন আমি বারান্দায় একটু মন খারাপ করে দাঁড়ালে কেউ বলে না আমি বাইরের পুরুষ মানুষ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছি৷
5. এখন আমার মায়ের ফোন আসলেই কেউ বলে না এত বারবার মেয়ের খোঁজ নেওয়ার কি আছে?
6. এখন আমি না খেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করার পর কেউ বলে না এসব ঢং৷
7. এখন আমি কাঁদতে গেলে কেউ বলে না আমি নাটক করি৷
8. এখন আমি আমার পছন্দের একটা জামা কিনতে গেলে আমাকে ভাবতে হয় না এই রং টা আমার জন্য নিষিদ্ধ।
9. এখন আমি চুলটা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ বলে না আমি বেহায়া৷
10. এখন আমি রান্না করতে গিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে ফেললে আমাকে শুনতে হয় না আমি কোন কাজই পারি না।
11. এখন আমার মা আমাকে একটা জামা দিলে কেউই বলে না এত দেয়ার কি আছে?
12. এখন আমাকে আমার আশেপাশের মানুষ কেমন আছি জিজ্ঞেস করলে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না যে 'আমি ভাল আছি।'
13. এখন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আমার স্বামীর হাতের মার খেতে হয় না।
14. এখন আমি আমার অধিকার চাইলে গালি শুনতে হয় না।
15. এখন আমি ক্লান্ত থাকলেও আমার উপর কারো শরীরের খিদা মিটানোর অধিকার নাই।
16. এখন আমি চাকরি করতে গেলে আমাকে কেউ বলে না তার পরিবারের কোন মেয়ে বাইরে গিয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখায় না।
17. এখন কেউ আমাকে বলে না আমার সার্টিফিকেট গুলো শুধু মানুষকে বলার জন্য যে আমি শিক্ষিত।
18. এখন আমাকে শুনতে হয় না কারো ঘরের অশান্তির কারনটা আমি।
19. এখন আমাকে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেউ ঐখানের বৌ কে উদ্দেশ্য করে দেখায় না আমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে ভরিভরি গয়না দেয় নি।
20. এখন আমার মা অসুস্থ হলেও আমাকে দুদিন যাবৎ কাউকে বুঝিয়ে কাকুতি মিনতি করে আমার মা কে দেখতে আসতে হয় না।
21. এখন আমায় শুনতে হয় না 'ঐ মেয়েটার সাথে বিয়ে করলে আমি সুখী হতাম, তোমার সাথে আমি সুখী নই।'
22. এখন আমাকে রাতের পর রাত জেগে একটা ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হয় না এই মানুষটাকেই কি ভালবেসেছিলাম যে আজ আমাকে মেরেছে?
23. এখন আমি শ্বাস নেওয়ার সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
তবে আমাকে এখন শুনতে হয় অন্যকিছু।
# এক . আমি ভাল না তাই আমি সংসার করতে পারিনি, দোষটা আমারই৷
# দুই . আরো কিছুদিন নাকি আমার সহ্য করার দরকার ছিল।
# তিন . আমার নাকি চুপ করে সহ্য করা উচিত ছিল।
# চার . আমি এখন দুশ্চরিত্রা একটা মেয়ে৷
# পাঁচ . অনেক সিঙ্গেল ছেলে আমাকে দেখে বলে "ডিভোর্সী মাল, একটু পটালেই পাওয়া যাবে"৷
# ছয় . আমার আত্মীয়স্বজন আমার বাবা মাকে বলে "তোমাদের আল্লাদে মেয়ে খারাপ হয়েছে"৷
# সাত . বন্ধুবান্ধব বলে "মা তোর সাথে মিশতে মানা করছে, তুই ডিভোর্সী"৷
হাহাহাহা হা হা হা হা৷ আমার প্রশ্নঃ.........
# a . কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমি রাত জেগে কাঁদতাম।
# b . কোথায় ছিল আমাকে নিয়ে এত সমালোচনা যখন আমার চোখের নিচে এত কালি পরেছিল যে আমার চোখ গুলোই দেখা যেত না।
# c . কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমার স্বামী আমাকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করত৷
# d. কোথায় ছিল আপনাদের সম্মান যখন আমাকে আমার বাবা মা কে প্রতি মুহুর্তে অপমান করা হত৷
# e . কোথায় ছিল আমার বন্ধু বান্ধব দের চিন্তা যখন আমার বিয়ের পিড়িতে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ী আমার বাবা মা কে অপমান করছিল আর তারা ঐ মুহুর্তে সেলফি তুলায় ছিল ব্যস্ত।
# f . কোথায় ছিল সবার এই বিবেক যখন আমি শরীরের ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম।
# সত্যি করে বলুন তো কেউ কি ছিলেন? সংসার ছেড়েছি অন্যায় করেছি আর যেগুলো আমার সাথে হচ্ছিল সেগুলা কি ন্যায় হচ্ছিল? তখন তো কেউ এভাবে আমাকে নিয়ে একটু সচেতনতা দেখান নি.... এখন কেন আপনাদের গল্পের আসরের মূল বিষয় টা আমি? এই দুনিয়ার কোন মেয়ে ই চায় না তার সংসার ভাঙ্গুক। সবাই সুখের আশাতেই আরেকটা মানুষের হাত ধরে। আমিও তো তাই চাইতাম৷ ভুল কয়েকটা মানুষের মাঝে পরে গেছিলাম।
আপনার মেয়ে অথবা বোনের সাথে যদি এমনটা হত তাহলে ভেবে দেখেছেন আপনি কি করতেন! সে জায়গায় আমার এই অবস্থায় আমার বাবা মা আমাকে আশ্রয় দেওয়াতে আপনারা তাকে খারাপ বলছেন?
কোনটা ভাল হতো বলুন তো? আমি আত্মহত্যা করলে? তখন হয়তো সবার টনক নড়ত৷ বলতেন "আহারে মেয়েটা ভাল ছিল। অনেক সহ্য করছে ঈশ্বর ওর আত্মাকে শান্তি দিক"৷ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে তোলপাড় পড়ত "নিড জাস্টিস ফর অমুক/তমুক"৷ কিন্তু যারা জন্ম দিয়েছে তারা কি করত? আমি অন্তত বেঁচে আছি এতেই তারা খুশী।
আপনারা কিছু হলেই কেন মেয়েটার দোষ বের করেন? সম্পূর্ণ ঘটনাটা জেনেই কি সমালোচনা টা করছেন? আমি বেঁচে আছি। ভাল না থাকি অন্তত খারাপ নেই। কাঁদছি না৷ আমি মনে করি এটা আমার ব্যার্থতা না যে আমি সংসার ছেড়ে এসেছি....এটা তার ব্যার্থতা যে এটা বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে তার জন্য একটা পৃথিবী ছেড়ে শুধু মাত্র তার হাত ধরে সম্পূর্ণ জীবন পারি দেওয়ার আশা করেছিল। সম্মান, ভালবাসা, অধিকার ছিল আমার প্রাপ্য৷ যেটা সে দিতে পারে নি। সে পেরেছে আমাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিতে।
দয়া করে একটা মেয়ের সম্পর্কে আঙ্গুল তোলার আগে অন্তত সম্পূর্ণ ঘটনা টুকু জানুন। তারপর বিচার করুন!
কপি পোস্ট।

08/05/2019

২০৫০সালের বিয়ে!!
কাজী : তুমি কি তোমার ফেসবুক স্ট্যাটাস সিংগেল থেকে ম্যারিড করতে রাজি আছো?? বলো একসেপ্ট।
ছেলে : একসেপ্ট!
মেয়ে : একসেপ্ট।
কাজী : অভিনন্দন !!
কাজী : স্টাইলিশ বয় ওরফে হাতভাঙ্গা মনু
। ৩০০০ ফলোয়ার, আর ৩৭ জন ফ্যামিলি মেম্বার, ৯৭৫ লাইক প্রোফাইল পিকচারে পাওয়া আইডি নিয়ে তোমার সহিত ম্যারিড স্ট্যাটাসশীপ করিবার রিকোয়েস্ট করিয়াছে
, রাজি থাকলে মা বলো Accept..
মেয়ে : Accept।
কাজী : এঞ্জেল রোজ ওরফে রোজিনা বানু Accept করেছে !!
এবার বাবা তুমি বলো Confirm....!!
ছেলে : Confirm।
কাজী: Congratulations! !
Your Profile has been Updated Successfully as married
তোমরাএখন থেকে স্বামী স্ত্রী।

13/01/2019

Timeline Photos

07/01/2019

★যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী এক সাথে তাহাজ্জুদ এর নামায পড়বে, সে ঘরে জীবনে কোনো দিন অশান্তি হবেনা"-- বুখারী ও মুসলিম।
★"যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে, আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১০০০ নেকি উভয়ের আমলনামায় দান করবেন। -- মুসলিম শরীফ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়).
★ যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী একই প্লেটে খাবার খাবে যতক্ষণ খাবার খেতে থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।-- তিরমিজি।
★ স্বামী ও স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা গল্প করে অথবা হাসি খুশি কথা বলে তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা সেকেন্ডে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে নেকি লিখা হয়। আবু দাউদ ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)
★ যে স্ত্রী তার স্বামীকে সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে পবিত্র করে ফজরের সালাতে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়, ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে ভালোবাসার নুর পয়দা হয়"-- বুখারী শরিফ।
★যে স্বামী তার স্ত্রীকে একবার চুমু দিবে এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে একবার চুমু দিবে, প্রতিটা চুমুর বিনিময়ে ১০০ টা নেকি তাদের আমলনামায় লিখা হয়। ---মুসনাদে আহমদ (স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)..
★ যে স্বামী তার স্ত্রীর নিকট গমন করে এবং শারীরিক মিলনের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয় ও রাসুল সঃ এর সুন্নত মতো স্ত্রীর সাথে শারীরিক মিলন করে তাদের প্রতিবার মিলনে একটি উট কুরবানি করার সওয়াব তাদের উভয়ের আমল নামায় লিখা হয়--
বায়হাকী ( স্বামী স্ত্রী ও পারিবারিক অধ্যায়)..
★ যে স্বামী তার স্ত্রীকে কোরঅানের এলেম শিখাবে এবং নিজেও শিখবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে আল্লাহপাক মৃত্যুর পর তাদেরকে জান্নাত দান করবেন।
★ যে সন্তান তার পিতামাতার ভরণ পোষন করবে বা সেবা করবে এবং নিজ স্ত্রীর ইজ্জতের হেফাজত করবে তাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। -- মুসলিম শরীফ।
★ যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া সেবা করবে সে স্ত্রীর নিজের শরীরের ওজনের সমান সোনা ছদকা দান করার সওয়াব তার আমল নামায় প্রতিদিন লিখা হয় ৷ আর যে স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তার সেবা করবে সে স্বামীর শরীরের ওজনের সমান সোনা দান করার সওয়াব তার আমল নামায় লিখা হয়। - আবু দাউদ শরীফ
★ যে স্বামী স্ত্রী উভয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিবে, তাদের প্রতিটা হাসিতে তাদের আমলনামায় ১০ টা করে নেকি দেওয়া হয় - আবু দাউদ
★যে স্বামী বাহিরে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে সালাম করে বাসা থেকে বের হয় এবং যখন বাহির থেকে এসে আবার সালাম করে অথবা স্বামী বাসায় আসলে বা বাহিরে যাওয়ার সময় স্ত্রী তার স্বামীকে সালাম করে সে ঘরে কখনো শয়তান প্রবেশ করতে পারেনা এবং সব সময় রহমত ও বরকত নাজিল হতে থাকে, কখনো ঝগড়া বিবাদ হবে না সে ঘরে। - আবু দাউদ,তিরমিজি।
★ যখন কোন পুরুষ বিয়ের সময় তার স্ত্রীকে কালেমা পড়ে কবুল বলে দোয়া করলো তখন সেই সময় হতে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়। -মুসলিম।
হে আল্লাহ্ "সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি মুসলিম
পরিবারকে এভাবে কবুল করুন।
(আমিন)

28/12/2018

বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না ।

19/11/2018

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস!
বিশ্ব পুরুষ দিবস কোন পত্রিকায় হেডলাইন হয়ে বের হবে না বিশ্ব নারী দিবসের মতো। বিশ্ব পুরুষ দিবস কোন টিভি চ্যানেলে হাইলাইট করে প্রচার করা হবে না বিশ্ব নারী দিবসের মতো। নারী দিবস যেভাবে জাকজমকভাবে পালন করা হয় পুরুষ দিবস সেভাবে পালন করা হয় না। এমনকি ফেসবুকে পোষ্ট করতে সেলিব্রেটিং অপশনে গেলাম সেখানে International Woman's Day লেখা এড করা আছে। কিন্তু International Men's Day এড করা নাই। তাই নিজে লিখে এড করলাম।
দিবস পালনের ক্ষেত্রে যেমন পার্থক্য তেমনি বাস্তবেও অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য বিদ্যামান।
যেকোন জায়গায় যেকোন নারী বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করার জন্য অসংখ্য নারী পুরুষ এগিয়ে আসে। কিন্তু একজন পুরুষ বিপদে পড়লে সাহায্য করার জন্য মানুষ তেমন পাওয়া যায় না।
পুরুষদের প্রতি এ অবহেলা কেন?
নারীকে নিয়ে কোন লেখা পোষ্ট করলে অনেক লাইক কমেন্ট পাওয়া যায় কিন্তু পুরুষদের নিয়ে লিখলে লাইক কমেন্ট পাওয়া যায় না।
কোন পুরুষ সম্পর্কে কোন নারী মিথ্যে কথা বললেও সবাই তা সত্য বলে বিশ্বাস করে। ঐ একই ক্ষেত্রে পুরুষ সত্যি কথা বললেও সবাই তা মিথ্যে বলে বিশ্বাস করে।
এসব দিক বিবেচনা করলে নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি নির্যাতিত হচ্ছে।

19/11/2018

Never cry for that person who doesn't know the value of your tears

05/11/2018

একজন শখের কবি একবার ফুলকপি নিয়ে একটা কবিতা ফেসবুকে লেখেন !! এরপর যা যা হয়েছিল সেটা ওনার বয়ানেই শুনুন .....

“মানুষের মাথায় ভূত চাপে , আমার মাথায় চেপেছিলো ফুলকপি !! কোন দুঃখে আমি সেদিন ফুলকপি নিয়ে একটা ছড়া লিখেছিলাম ,

"শীতের দিনে,
তোমার কাছে,
ফুল চাইনি প্রিয়;
সময় পেলে,
রান্না করে,
ভাজা ফুলকপি দিও !!"

ফেসবুকে এই ছড়া পোস্ট করার পর , আমার জীবন এবং যৌবণ ''ভাজা ভাজা, তিলের খাজা'' হয়ে গেছে !!

বউ আমাকে বললো :- এই কবিতা কার উদ্দেশ্যে লিখেছো ??

আমি সরল গলায় বললাম , "কার উদ্দেশ্যে মানে ??"

এরপর একদমে অনেকগুলো প্রশ্ন করলো !! সবমিলিয়ে প্রায় শ পাঁচেক প্রশ্ন ; সব কটা প্রশ্ন আমার মনে নেই ; অল্প কয়েকটা মনে আছে যেমন :-

১. প্রথম লাইনে একটা শব্দটা আছে , "প্রিয়" !! কে তোমার প্রিয় ??

২. কে তোমাকে ফুল দেয় ??

৩. কেন দেয় ??

৪. কীভাবে দেয় ??

৪. কোথায় দেয় ??

৫. দিনে কয় বার দেয় ??

৬. কি ফুল দেয় ??

৭. আর কি কি দেয় ??

৮. কি কি দিতে বাকি রাখছে ??

৯. তাজা ফুল না প্ল্যাস্টিকের ফুল ??

১০. কার কাছে তুমি এই শীতে ফুলের বদলে ফুলকপি চাইছো ??

১১. এত কিছু থাকতে ফুলকপি চাইতে গেলে কেন ??

১২. কাঁচাফুলকপি না চেয়ে রান্না করা ফুলকপি কেন চাইলে ??

১৩. অন্য কোনো মেয়ে কেন তোমার জন্য ফুলকপি রাঁধবে ??

১৪. ঘরের রান্না মুখে রোচে না ??

১৫. ফুলকপি মানে কি সবজি ফুলকপি না এর অন্য কোনো গোপন অর্থ আছে ??

১৬. সারাজীবন ফুলকপি খেয়েও শখ মেটেনি ??

১৭. আর কত ফুলকপি চাও ??

১৮. কবে তোমার পেট ভরবে ??

১৯. বুড়ো হচ্ছো আর ক্ষিধে বাড়ছে তোমার না ??

২০. পেয়েছো কি তুমি ??

২১. তোমাকে কি আমি খেতে দিই না ??

২২. রাস্তা ঘাটে ফুলকপি চেয়ে বেড়াও ??

২৩. আজ ফেসবুকে চাইছ , কাল কি থালা নিয়ে রাস্তায় বসবে ??

১৪. পরশু কি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেবে ??

২৫. আমার কাছে চাইলে কি আর আমি ফুলকপি দিতাম না ??

সর্বশেষ প্রশ্নটা বড়ই নির্মম :-

২৬. তোমার এত নোলা কেন ??

আমি কোনও প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে দিতে পারিনি ফলে আমার জীবন হয়ে গেছে ফুলকপিময় !!

সকালে রুটির সাথে ফুলকপি ভাজা , দুপুরে রান্না করা ফুলকপি , রাত্রে ফুলকপি দিয়ে মাছ !! মাঝে বেলায় বেলায় ফুলকপি আর ফুলকপি ; মাঝখানে ফুলকপির স্যুপ পর্যন্ত খেতে হয়েছে !! গত এক সপ্তাহে আমি যে পরিমাণ ফুলকপি খেয়েছি, মাটি ও মানুষের উপস্থাপকও তার গোটা জীবনে এতগুলি ফুলকপি দেখেননি !!

আজ সন্ধ্যায় বললাম , আদা দিয়ে একটু লাল চা করে দাও , একটু সর্দি লেগেছে !! ও পাথর মুখ করে চা বানাতে গেলো ; অার আমি ভয়ে ভয়ে রইলাম !! চায়ে আদার বদলে ফুলকপি দিয়ে ফেলে কিনা কে জানে ??!! অশেষ কৃপায় খানিকবাদে ও আদা চা নিয়ে এলো ; গলাটা একটু কোমল করে বলল , খালি পেটে চা খাবে না। ফুলকপির বড়া ভেজেছি। ওটা খেয়ে তারপর চা খাও !!

পুনশ্চ :- আরেকটা প্রশ্ন ছিলো এখন মনে পড়েছে !! "কি আছে ফুলকপিতে, যা আমার নেই ?? (বলে কান্না)

পুনশ্চ ২ :- আরেকটা প্রশ্নও ছিল ; এক্ষুনি মনে পড়লো :- "সত্যি করে বলো তো, আমাকে না জানিয়ে তুমি এ পর্যন্ত কতগুলি ফুলকপি খেয়েছো ?? লুকিয়ে লুকিয়ে !!”

27/08/2018


#বাংলাদেশ #পাত্র #পাত্রী #ডট #কম

অনেক বছর পর সে এই চেনা নগরীতে,
অনেক বছর আগের একটা চেনা ফোন নম্বর থেকে কল..!
রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে
হ্যালো...! হুম কে বলছেন ?
আমি
হুম বলো আজকে তোমার সাথে দেখা করবো, তোমার বাসার সামনে আসব । ইচ্ছা...! আসতে পারো...!
সকালে ফোন করে ছিল, সকাল গড়িয়ে বিকেলে বিকেল গড়িয়ে রাত..!
রাত হবার পর ভাবলাম সে আর আসবে না, তাই তাকে কথা শুনানোর জন্য কল দিলাম.! ও রিসিভ করলো,
তিরস্কার করে বললাম, কি তুমি নাকি আসবা..?
ও ভারী কন্ঠে বলল, হ্যাঁ এখনি আসছি ।
রাত ১১ টা বাসা থেকে বেড় হলাম, বেড় হবার সময় মা জিজ্ঞেস করছিল কিরে এই সময় কোথায় যাচ্ছিস..? -সে আসছে তাই নিচে যাচ্ছি, মা ঠিক বুঝলোনা, কে আসছে ৷
নিচে নেম আমাদের পুরোনো বাড়িটির সামনে দাড়ালাম, হঠাৎ বা দিকে দেখলাম দূর থেকে সে হেটে আসছে, পরনে লাল পাড়ের বেগুনী রঙের জামদানী, খোলা চুল, হাতে একটা বড় ব্যাগ, ছোট্ট দুইটা বাচ্চাদের খেলনা বেলুন আর মুখ ভরা গভীর গাম্ভীর্য্য । সে আসলো আমার থেকে কিছু দূরে দাড়িয়ে রইলো ৷ দু'জনই চুপ কোনো কথা নেই! একটা সময় তার হাত ফস্কে তার ব্যাগটা পড়ে গেলো, ব্যাগ থেকে একটা আকাশী রঙের ব্লেজার বেড় হলো । মনে মনে বলছিলাম, কেন জানি মনে হহচ্ছিল ও ব্লেজার আনবে আমার জন্য। আমি কাছে এগিয়ে গেলাম সে হাত দিয়ে ব্লেজারটি থেকে মাটি ঝাড়ছিল । একটা সময় কাদতে শুরু করলো, আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম, সে একটু অস্বস্তিবোধ করছিল, তবুও একটা সময় এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে ধলে বললো, বিশ্বাস করো, I have feeling for you, I have emotion for you. But আমার কিছু করার ছিল না, আমি তোমাকে ঠেকাতে চাইনি কষ্ট দিতে চাইনি । আমি চেয়েছিলাম তুমি যেনো ভালো থাকো আর আমাকে ভুলে যাও..! আমার কোন রকম অসৎ ইচ্ছা ছিল না..! আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম কান্না থামাও, আমি জানি সব,
না তুমি কিছুই জানো না..! জানলে আমাকে নিয়ে এই ভাবে কথা বলতে না..!
আচ্ছা, sorry...! এবার কান্না থামাও..! পাশ থেকে হঠাৎ বেলুন ওয়ালা হাজির আপা আমার বাকি ১৪ টাকা দেন, আপা আমার বাকি ১৪ টাকা দেন,
ও বললো, কেন ভাই আবার টাকা দিবো কেন ?
এই মামা কিসের টাকা চাও..?
উনি বেলুন নিছে, আমাকে ১৬ টাকা ধরায় দিছে এ বেলুনের দাম কত দুইটা? ৩০ টাকা -এই দুইটা ২০ টাকা, কবে থেকে ৩০ হলো..?
এই নেও বাকি ৪ টাকা।
বেলুন ওয়ালা কে ম্যানিব্যাগ থেকে ৪ টা দিচ্ছিলাম আর সে আমার ম্যানি ব্যাগে ১০ টাকা ভরে দিচ্ছিল। আরে দূর তুমি টাকা দিচ্ছো কেন আমাকে..! কিন্তু ও জর করে দিয়ে দিলো..!
তারপর একটু সামনে আগালাম, হাটছিলাম কাধে হাত রাখার চেষ্টা করলাম, চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলো হাত নামাতে..! আর স্বপ্নটা ভেঙে গেলো,
৪ টায় ঘুমিয়ে, স্বপ্ন দেখে ৮ টায় ঘুম ভেঙে গেলো..! অনেক অনেক দিন পর কোনো স্বপ্ন দেখলাম..!
জানিনা কি দেখলাম..!
হয়তো কোনো জায়গায় একটা ভুল করছিলাম..!

01/08/2018

মেঘের ভালোবাসা

এই শীতের সকালে কে যেন রিহান এর
গায়ে এক জগ পানি ঢেলে দিল।সে ঘুম
থেকে উঠে গেল।
-আমার গায়ে পানি দিল কে রে?
-আমি দিয়েছি।
এই বলে মেঘ শুভ দিকে চোখ বড়
করে তাকালো।
শুভ বুঝতে পারলো আজ কিছু একটা হয়েছে।
মহারানী রেগে আছে।আল্লাহ ই জানেন
কি আছে কপালে।
-পানি দিলি কেন?
-আবার জিগায় পানি দিলি কেন?আমার
ইচ্ছা হইছে দিছি।
-ইচ্ছা হলেই দিবি?
-আজ যে আমার বার্থ ডে মনে আছে তর?
আমাকে উইস করিস নি কেন?
রিহান এর মনে ছিল না আজ যে মেঘের
বার্থ ডে।উইস ত করে নি।বাট কিছু
একটা বলে ত কাটাতে হবে।তাই সে বললো
-আমি ত জানি ই আজ আপনার জন্মদিন।
-তাহলে উইস করিস নি কেন?জানিস না তুই
সবার আগে উইস না করলে আমার খারাপ
লাগে?
বলতে বলতেই চোখে জল এসে গেল মেঘ এর।
-হুম জানি ত।কিন্তু ভাবছিলাম এবার অন্য
কিছু করবো।
-কি করবি?
-সবার শেষে উইস করবো।প্রতিবার ত সবার
আগে করি।।তাই ভাবছিলাম এবার সবার
পরে উইস করবো।
-হইছে হইছে এত মিথ্যা আর বলতে হবে না।
রেডি হয়ে আসেন,বাইরে ঘুরতে যাব।
রিহান আর মেঘ ছোট কালের বন্ধু।
তারা একসাথে সেই স্কুল কলেজ
থেকে পড়তেছে।তাদের মাঝে রয়েছে গভীর
বন্ধুত্ব ও।তবে কেউ জানে না এর বেশি কিছু
আছে নাকি।রিহান
রেডি হয়ে এলে তারা বের হয়ে ঘুরতে।
একটা পার্কে বসে আছে দুজনে।
-আমাকে গিফট দিলি না রিহান?
-হুম।দিব।কি চাস বল?
-তুই যা দেবার দে।
-না তুই যা চাইবি তাই দিব।বল কি চাস?
-সত্যিই যা চাইবো দিবি?
-হ্যা রে পাগলি।
-আমি তকে চাই,
-আমাকে দিয়ে কি করবি তুই?
-বেধে রাখবো মনের মাঝে
-না হবে না তাহলে,,,
-কেন দিবি না তকে?
-বেধে রাখলে দিব না
-তাহলে
-আমাকে তর
কোলে মাথা রেখে থাকতে দিলে সারা জীবন
তাহলে দিব।
-তাহলে নিব না আমি
-কেন নিবেন না?
-আমি আরো ভাবলাম আমি তর
বুকে মাথা রাখবো তা না তুই তুই আমার
কোলে মাথা থাকবি।তাহলে আমার কি হবে।
-তর কিছুই হবে না।
এই কথা শুনে মেঘ কান্না শুরু করলো।
রিহান তাকে একটা থাপ্পড়
দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো।এখন ত
হ্যাপি পাগলী।
-হ্যা সারা জীবন রাখবি ত?
-হুম।রাখবো।
রিহান এর বুকে মাথা রেখে মেঘ
ভাবতে লাগলো সে তার সেরা গিফট
পেয়ে গেছে।আর কিচ্ছু চায় না সে।

01/08/2018

‘সে কি আমাকে ভালোবাসে ?’

‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’-এ তিনটি শব্দে কেউ আপনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলেও তা কি সত্যিকার ভালোবাসা ? অনেকেই অভিযোগ করেন, ‘এ পৃথিবীতে কেউ আমাকে ভালোবাসে না’। সত্যিকার অর্থেই সে আপনাকে ভালোবাসে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ? তাহলে এ লেখায় দেওয়া সাতটি পয়েন্ট মিলিয়ে নিন। বুঝে নিন, সে আপনাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে কি না।

১. অসুস্থ হলে আপনার খবর রাখে

আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আছে, এ বিষয়টি বোঝার অন্যতম উপায় হলো আপনি অসুস্থ হলে সে আপনার খবর নেবে। এ সময় আপনার যে কোনো প্রয়োজনে তাকে ডাকলে কাছে পাবেন। আপনার দুঃসময়ে তার এগিয়ে আসা দেখেই বুঝে নেবেন, সে আপনাকে ভালোবাসে।

২. আপনাকে রক্ষা করে

যে আপনাকে ভালোবাসে সে সব সময় আপনাকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে নিয়ে কেউ হাসাহাসি করলে সে তাতে অংশ নেবে না, বরং তাদের বিরুদ্ধেই থাকবে। এমনকি আপনি তার কাছ থেকে সাহায্য না চাইলেও সে আপনার সাহায্যে এগিয়ে আসবে।

৩. আপনার পরিবারকে সম্মান করে

আপনার পরিবার আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার পরিবারকেও সম্মান করবে। আপনার বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনকে সে সম্মান করবে। তাদের সঙ্গে যদি কথা বলতে হয় তাহলে সে অতি সম্মানের সঙ্গে তা করবে।

৪. আপনাকে উৎসাহ দেয়

আপনাকে যে ভালোবাসে সে আপনার নানা অর্জন দেখে খুশি হবে এবং আরও অর্জনে আপনাকে উৎসাহিত করবে। আপনি তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন, এ জন্য সে মোটেও দুঃখ পাবে না। তার বদলে সে আপনার অর্জনে সহায়তা দিতে এগিয়ে আসবে এবং সে জন্য গর্ববোধ করবে।

৫. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে

আপনার সঙ্গে জড়িয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে কেউ কি এগিয়ে এসেছে? যদি এগিয়ে আসে তাহলে বুঝে নিন, সে আপনার প্রতি দুর্বল, আপনাকে ভালোবাসে এবং আপনার সঙ্গে জীবন অতিবাহিত করতে চায়।

৬. আপনার মতামতের মূল্য দেয়

যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার মতামতেরও মূল্য দেয়। আপনার কথা সে সময় নিয়ে শুনবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। যদি কেউ আপনার মতামতকে মূল্য না দেয় তাহলে এর বিপরীত অবস্থা হবে। কিন্তু আপনাকে যদি ভালোবাসে তাহলে সে আপনাকে একজন বুদ্ধিমান বলেই মনে করবে।

৭. মনে রাখে

যে আপনাকে ভালোবাসে সে আপনার জন্মদিনসহ নানা তারিখের কথা খেয়াল রাখবে। এ ছাড়া অন্য নানা উপলক্ষেও সে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে ভুলবে না। (ইত্যাদি)

26/07/2018

#না #পড়লে #চরম #মিস

জেনিয়ার সাথে আামর কিছুক্ষন আগে যখন ব্রেকআপ হলো আমার কেন যেন একটুও খারাপ লাগেনি। সব বিষণ্ণতার কল্পনা গুলো আমার অনুভূতির জানালায় জমা হয়। এই ব্যস্ত শহরে এরকম অনুভূতি নিয়ে ভাবতেও মনের ভিতর বিষাদের আবছায়াটা জাগ্রত হয়ে ওঠে। এই বিষাদের আবছায়ার চারপাশে আমার অনুভূতি গুলো যখন ঘুরপাক খায় তখন জেনিয়া বললো “তুমি আমাকে একটু হলেও কি মিস করবে? সত্যটা বলবে।” আমি চুপ করে থাকি। আমার এলামেলো ইচ্ছে গুলো কেন যেন এই নীল আলোয় প্রকাশ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ইচ্ছে করে এই ফ্যাকাশে অনুভূতি গুলো অবিরাম আকাশে ছড়িয়ে দিতে। কিন্তু আমাকে দিয়ে কেন যেন হয় না। আমি তাকে মাথা নেড়ে না সূচক ইশারা দিয়ে বুঝাই “একটু মিস করবো না” সে আমার দিকে উদ্ভেগপূর্ণের সহিত তাকিয়ে থাকে। তার চেহারায় একটা মন খারাপের আভা ছড়িয়ে যায়। সেই আভার মাঝে দুরুত্ব হওয়ার শব্দ গুলো আমার বিষাদ ছায়ায় আশ্রয় হয়। আমার এমন ইশারা বুঝে আস্তে আস্তে আমার কাছে এসে ছলছল চোখ নিয়ে তাকিয়ে থেকে বলে “তাহলে মিস করবে না?” আমি তাকে পুনরায় জানাই “একটু মিস করবো না। তবে অনেক করবো।” তার ছলছল চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো “এই নিয়ে তোমার সাথে আমার কতবার ব্রেকআপ হয়েছে জানো? একুশ বার।” আমি চুপ করে থাকি। মাঝে মাঝে চুপ করে থাকতে হয়। জীবনকে মায়ার মাঝে আবদ্ধ করে মানুষ গুলো কষ্টকে আমন্ত্রন জানায়। কিন্তু আমি এমনটা করি না। জীবনের তীর যেদিকে যায় আমি সেদিকেই অগ্রসর হতে থাকি। মিথ্যে কল্পনা দিয়ে জীবনের মায়ায় কষ্টকে আমন্ত্রন করে কি পায় মানুষ গুলা এই ব্যাপারটা অনুধাবন করে বুঝতে পারি না। আমার বাহুডোর থেকে সে নিজেকে ছাড়িয়ে কান্না করতে থাকে। কান্না করলে ওর নাকটা লাল হয়ে যায়। আমি ওকে অনেক জিজ্ঞেস করেছিলাম “কান্নার সাথে তোমার নাকের সম্পর্ক কি? মানুষ কান্না করলে চোখ লাল হয় আর তোমার নাক লাল হয় কেন? এর উত্তর সে আমাকে আজও দিতে পারেনি। আমি তাকে বলি “নিজের যত্ন নিবে। ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করবে। যদি মনে বিষণ্নতা ছুয়ে যায় আকাশ দেখবে, ছবি আঁকবে।” সে বলে “আমি ছবি আঁকতে পারি না” এই শহরের আলোর মাঝে আমাদের কত স্মৃতি তৈরি হয়ে আছে। আমি তার চোখের জল মুছে দিয়ে বলি “তাহলে আমরা সত্যি সত্যি ব্রেকআপ করছি?” সে মাথা দিয়ে হ্যাঁ সূচক ইশারা দেয়। কেন যেন আমার আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। এই ধূসর রঙ্গিন পৃথিবীতে শূণ্যতা ভর করে আমার দেয়ালে। সেই দেয়ালের কোনায় কোনায় আধাঁর জমা হয়। সেই আধাঁরে আমার ছায়াটা খুঁজে পাওয়া যায় না।
পৃথিবী যখন ঘুমিয়ে থাকে আমি তখন জেগে থাকি। আকাশের তারা গুনি। আমি জানি এটা পাগলের কাজ ছাড়া কিছু হতে পারে না। তারা গুনা যায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে পাগল হতে ইচ্ছে করে এই শহরের নিক্রপলিসে। প্রিয় পাঠক জেনিয়ার সাথে আমার ব্রেকআপ হয়েছে আজ দুদিন পার হয়ে গিয়েছে। আজ বিকেলে যখন ও আমাকে ফোন দিয়ে বললো “খুব একা লাগছে” আমার সময়টা যেন থমেকে গিয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম “আমার শহরে এই দুটো দিন ভোর বেলায় কাকেরা কা কা করে ঘুরে বেড়ায়নি। শহরটা রাতের মতই ঘুমিয়ে ছিল। তবুও দেখো আমি জেগে উঠি শহরের সাথে তাল মিলিয়ে চলি। আমার কিন্তু একদম একা লাগে না।” সে চুপ করে থাকে। তার বড় বড় নিশ্বাসের শব্দ আমাকে বুঝিয়ে দেয় এই ব্যস্ত শহরের মানুষ গুলা এক একটা স্বার্থপর। একটুপর সে ইতস্তত হয়ে বললো “সে কেমন আছে?” কেন যেন আমার হাসি পেল। তারপর বললাম “ভালো আছে আমি তাকে নিয়ে দিব্যি ভালো আছি। তুমি কতবার আমাকে ছেড়ে চলে গেলে অথচ দেখো সে আমাকে আজও ছেড়ে যায়নি। একটা ব্যাপার কি জানো তোমার অপূর্ণতা সে পূরণ করতে না পারলেও আমার বেলা শেষে সে আমাকে হতাশ হতে দেয় না।” তারপর সে ফোনটা রেখে দেয়। আমি আবার আকাশের তাকিয়ে থাকি। তারা গুনি। পাগল সাজি। মাঝে মাঝে পাগল সাজতে ভালো লাগে। জেনিয়ার সাথে আমার এই ঘনো ঘনো ব্রেকআপ হওয়ার মাঝে একটা ব্যাপার আছে। জেনিয়া হচ্ছে আমার বিয়ে করা বউ। প্রিয় পাঠক নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন বউ এর সাথে এতো ঘনো ঘনো ব্রেকআপ কি জন্য? আসলে বিয়ের আগে আমার জীবনের একাকীত্ব এই শহরে নীল খামে আমার জমানো অনুভূতি গুলো বন্ধি করতাম। স্বপ্ন দেখতাম উদ্দেশ্যহীন অনুভূতি নিয়ে। এই অনুভূতিটা ছিল আমার কোলবালিশ নিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর এই কোলবালিশকে ত্যাগ করা আমার প্রয়োজন ছিল। কেন যেন আমি তা ত্যাগ করতে পারিনি। বাসর রাতে আমি যখন কোলবালিশ নিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম তখন তার চেহারা দেখে বুঝেছিলাম সে আমায় নিশ্চয় বলেছিল আমি একটা অদ্ভুত চিড়িয়া। বাসর রাতে যুগল বন্ধিরা কত অনুভূতিতে ডুব দেয়। একে অপরের কাছে আসে। নিজের ইচ্ছে গুলো একে অপরের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমি তা না করে ওকে বলেছিলাম “ঘুমিয়ে পড়ো মেয়ে” বিয়ের কয়েকদিন অতিক্রম হওয়ার পর একদিন আমায় বললো “তুমি কি কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারো না।” আমি তাকে মাথা দিয়ে না সূচক ইশারা দেই। সে আমাকে বলে “কেন? এখন তো আমি আছি।” আমি কেন যেন একটু হাসলাম। তারপর একটু ইতস্তত হয়ে বললাম “আসলে আমি ব্যাপারটা নিয়ে অনেক নার্ভাস। কিভাবে কি বলে শুরু করবো বুঝতে পারি না। না মানে কি বলে তোমাকে স্পর্শ করবো বা তোমার নয়নে চোখ রেখে কথা বলবো বুঝতে পারি না। এই অনুভূতিতে কখনো জড়ায়নি তো তাই। বাসর রাত থেকে শুরু করে যত গুলো দিন পার হয়েছে আমার কতবার ইচ্ছে করেছে তোমাকে স্পর্শ করতে জড়িয়ে ধরতে। আমার সকল উষ্ণতা, মনের অব্যক্ত কথা গুলা, তোমার শূণ্য চোখে প্রকাশ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমি পারি না। ভয় করে” জেনিয়া হাসতে থাকে। তার হাসির মাঝে পাগল করা গন্ধ পেয়েছিলাম। সে হাসতে হাসতেই রুমের ভিতর যেতে বলেছিল “আজকে আমাকে জড়িয়ে ধরে তোমার সকল উষ্ণতা আমার চোখে প্রকাশ করবে ঠিকাছে?” আমার মনের ভিতর তখন একটা অদ্ভুত ভালো লাগা ছুয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস করবেন কিনা পাঠক আমি জানি না। ওকে স্পর্শ করলে কিংবা জড়িয়ে ধরতে গেলেই আমার পুরো শরীরটা শীতল হয়ে যেত। আমার পুরো শরীরটায় কম্পন সৃষ্টি হতো। তার নরম হাতের ছোয়ায় আমি হারিয়ে যেতাম অন্য জগতে। যতবার ওকে জড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করেছি ঠিক ততবার আমি ব্যার্থ হয়েছি। এই নিয়ে ওর মন মালিন্য অভিমান আমার কাব্যের মাঝে প্রকাশ করে আর আমি নির্বাক হয়ে থাকি। আমার কিছু করার থাকে না। আর এই নিয়ে ওর সাথে আমার একুশ বার ব্রেকআপ হয়েছে। শ্বশুর বাড়ি কাছে হওয়া একটা ঝামেলা আছে এই ব্যাপারটা বেশ উপলব্দি করতে পেরেছি। কিছু হলেই বউ শ্বশুর বাড়ি পারি দেই আমার এক ফালি সুখ ছিন্ন করে। অবশ্য আমি এই চলে যাওয়ার ব্যাপারটায় তাকে বাধা দেই না। কেন যেন পৃথিবীর কোলাহলে তাকে বাধা দিতে আমার ইচ্ছে করে না।
অফিস শেষে এই বিকেলের আবাছায়া নিজের অনুভূতির ক্যানবাসে বন্ধি করে বাসার দিকে পারি দেই ক্লান্ত শরীরটাকে অবসর সময় দিতে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আমার অনুভূতি গুলো অবশ করে এই জরাজীর্ণ শহরের দেয়ালে আবদ্ধ করতে। অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ফয়সাল ভাই যখন বললো “ভালোবাসা ব্যাপারটা কেমন জানি তাই না জাহেদ ভাই?” আমি কিছু বুঝতে পারি না। আমি বললাম “যেমন? আপনি কি বলেছেন আমি কিছু বুঝিনি।” সে একটা মৃদু হাসি দেয়। তারপর বলতে থাকে “তেমন কিছু না। আমার স্ত্রী সব সময় বলে আমার সাথে তার ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সে আমার সাথে কি নিয়ে ঝগড়া করবে তা ভেবে পায়না। আমি তাকে বললাম তোমার এতো ঝগড়ার ইচ্ছা কেন? সে বলে আমি যখন ঝগড়া করে অভিমান করে থাকবো তুমি আমার অভিমান ভাঙ্গাবে বিষয়টা মজা না? আমি হাসতে থাকি। ভাবছি আজকে বাসায় গিয়ে ঝগড়া করবো।” আমি ফয়সাল ভাই এর কথা শুনে একটু অবাক হলাম বটে। এই শহরের মানুষ গুলার ইচ্ছার কোন শেষ নেই। এই ইচ্ছের আকাশে কত স্বপ্ন ঘুরে বেড়ায় তার প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে। আমি ফয়সাল ভাইকে বলি “তা কি নিয়ে ঝগড়া করবেন?” ফয়সাল ভাই হাসতে হাসতে বলে “রাতের বেলা যখন খেতে বসবো তখন বলবো তুমি এইগুলা কি রান্না করছো মুখেই দেওয়া যায় না। এই ব্যাপারটা নিয়ে তার ঝগড়ার অনুভূতিতে বৃষ্টি ঝড়াবো। তার চোখে জলের আভাস নিয়ে আসবো। তারপর তাকে বুঝাবো প্রিয় মানুষটার সাথে পথ অতিক্রম করতে এই রকম পাগলামোর ইচ্ছার কোন প্রয়োজন পড়ে না।” আমি ফয়সাল ভাইকে কিছু বলি না। ইদানিং প্রায় বৃষ্টি নামে আকাশ ভেঙ্গে। আমি তখন চুপ করে এই বৃষ্টিকে অনুভব করি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় এসে যখন দরজাটা খুলতে যাব তখন দেখি দরজাটা খোলা। সাথে সাথে আমার মনের ভিতর একটা বৃষ্টি ঝড়ে যায়। আষাঢ়ের ঝুম বৃষ্টি। বুঝতে পারলাম জেনিয়া বাসায় আসছে। আমাকে দেখে সে বলে “বাসার তো বারোটা বাজায় ফেলছো। আমি কিছু বলি না। একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে অফিস ব্যাগটা কাধঁ থেকে রেখে সোফার মাঝে শরীরটা তলিয়ে দেই। তারপর তাকে বলি “কখন আসছো? ফোন করোনি যে?” সে আমার কাছে এসে আমার পায়ের জুতোটা খুলে দিতে দিতেই বললো “তোমাকে প্রতিবার বলি বাসায় এসেই জুতোটা খুলে ফেলতে আমার কথা কি তোমার কানে যায় না। পরিষ্কার তো আমাকেই করতে হয় নাকি?” আমি তার এই কথার কি উত্তর দিব ভেবে পাই না। তাকে বললাম “শ্বাশুড়ি আম্মা কিছু বলে নাই এই যে তুমি ঘনো ঘনো আমাকে একা করে চলে যাও” জেনিয়া চুপ করে থাকে। অবশ্য বলার প্রয়োজন পড়ে না। জেনিয়া এই নিয়ে কাউকে কিছু বলে না। আমার জুতো গুলো জায়গায় রেখে বলে “আম্মা তোমার জন্য পাঞ্জাবী কিনে দিতে চেয়েছিল আমি বারণ করেছি।” আমি বললাম “ভালো করেছো। না হয় দুদিন পর পর আমাকে খোটা দিবে।” জেনিয়া আবার আমার কাছে এসে তার শাড়ির আচল কোমড়ে গেথে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে বলে “পাঞ্জাবী না কিনে তোমার জন্য কোলবালিশ কিনে এনেছি। এই ঈদে এটাই তোমার পাওনা।” আমি কোলবালিশের কথা শুনে সোফা থেকে দাঁড়িয়ে যাই। কি অদ্ভুত ঈদে কেউ বুঝি কোলবালিশ দেয়? আমি কোলবালিশ দেখতে রুমের ভিতর যাই। নতুন কোলবালিশ দেখে আমার ভিতরটা ধক করে উঠে। আমি তাকে বললাম “কিনছো ঠিকাছে। সাইজটা একটু ছোট হয়ে গিয়েছে। কিনার সময় আমাকে ফোন দিলেই পারতা।” আমার এই কথা শুনে জেনিয়া কি এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে আমাকে দৌড়ানি দেয়। আমি তাড়া খেয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওয়াশরুমে গিয়ে আশ্রয় নেই। জেনিয়া ওপাশ থেকেই বলতে লাগলো “আজকে তোমার একদিন কি আমার একদিন। আমার থেকেও কোলবালিশ তোমার কাছে বড় হয়ে গিয়েছে? আমাকে বিয়ে না করে কোলবালিশকে বিয়ে করলেই পারতে। বিয়ের পর বউ হচ্ছে কোলবালিশ এটা তোমার মাথায় ঢুকে না? আমি চুপ করে আমার অজস্র শব্দকে শান্তনা দিতে থাকি। কেন যেন শান্তনার শব্দকে বড্ড বেমানান লাগে।
রাতের আকাশের দৃশ্যপট আমার নয়নে ছড়িয়ে গেলে আমার চোখে এক বিশাল ঘুম এসে হাজির হয়। আমার এই ঘুম ঘুম চোখে এক অদ্ভুত ইচ্ছে জাগে। তাকে একটা শাড়ি কিনে দেওয়ার ইচ্ছে। ঈদের দিন আমি নিজ হাতে সাজিয়ে সকাল সন্ধ্যা সারাদিন তাকে দেখবো। তার চোখে আমার অনুভূতি গুলো ছড়িয়ে দিব। এসব ভাবতে ভাবতেই রুমে যখন ঘুমাতে গেলাম দেখি জেনিয়া বিছানার মাঝখানে বসে আছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। আমি চুপ করে রইলাম। আমার চুপ থাকা দেখে সে বলে “আজকেই ফাইনাল বুঝছো। হয় আমার সাথে সংসার করবে না হয় তুমি তোমার কোলবালিশের সাথে সংসার করবে।” আমি দিদ্ধায় পড়ে যাই। একবার জেনিয়ার দিকে তাকাই আর একবার কোলবালিশের দিকে তাকাই। নতুন কোলবালিশের জন্য আমার মায়া হয়। আমি ওর কাছে গিয়ে বলি “কিন্তু আমি তোমাকে স্পর্শ করলে আমি আর নিজের মাঝে থাকতে পারি না। আমার ভিতরে একটা কম্পন সৃষ্টি হয়। তখন চারপাশে কি হচ্ছে আমার কিছুই খেয়াল থাকে না।” জেনিয়া হাসতে থাকে তারপর আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে “আমার আঙ্গুলের ভাজে আঙ্গুল রাখো তো।” আমার মনের ভিতরের আলপনা গুলা জেগে ওঠে। যেই আমি ওর হাত স্পর্শ করলাম আমার মনের ভিতরে কি যেন একটা বয়ে গেল। আমি হাতটা সরিয়ে ফেলি। তারপর হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। আমার অনুভূতির দেয়ালে অজস্র শব্দ ঘুরপাক খায়। এক একটা শব্দ আমাকে ভেসে নিয়ে যায় অন্যরকম ভালো লাগাতে। আমার চোখের ঘুমেরা হারিয়ে যায় নিমিশেই। জানালা দিয়ে বাতাসের শো শো শব্দ ধেয়ে আসে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়। সে মোমবাতি জ্বালিয়ে আমার দিকে মায়া মায়া চোখ নিয়ে তাকায়। আমি তার চোখের মাঝে মাতাল হওয়ার ছাপটা দেখতে পাই। মোমবাতির হলুদ আলোয় তার চেহারার আলোকচ্ছটা আমার নয়নে নয়নে খেলা করে। তার আলোকচ্ছটা আমার ঘরের দেয়ালে ছড়িয়ে যায়। আমি আস্তে আস্তে ওর কাছে গিয়ে চুপ করে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। সেও আমার দিকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। নিজের ভিতরের অনুভূতি গুলো জাগ্রত করে সাহসের বাহবা দিয়ে তার হাত থেকে মোমবাতিটা নিয়ে ফেলি। কি মনে করে যেন আমি তার চুলের খোপা খুলে দেই। সে আমার দিকে এক অদ্ভুত চোখ নিয়ে থাকে। সে চোখ আমাকে বলে দেয় ছন্নছড়া হয়েছো? আমি গুন গুন করে তাকে বলতে লাগলাম….
এই ভালো এই খারাপ, প্রেম মানে মিষ্টি পাপ
চলো মানে মানে দিয়ে ফেলি ডুব, তুমি আমি মিলে।
দুজনেই মনটাকে বেঁধে ফেলি সাত পাকে
চলো ছোটখাটো করি ভুল চুক, তুমি আমি মিলে
সাজিয়েছি ছোট্ট একফালি সুখ, রাজি আছি আজকে বৃষ্টি নামুক
তুমি আমি ভিজবো দুজনে খুব ভরসা দিলে।
জেনিয়া হাসতে থাকে। আমি ওর আরো কাছে গিয়ে তাকিয়ে থাকি মগ্ন হয়ে। আমার এমন তাকানো দেখে সে লজ্জায় পড়ে যায়। লজ্জায় নিচেরে দিকে তাকিয়ে কানে চুল গুজে বলে “কি দেখো হ্যাঁ? তুমি তোমার কোলবালিশের কাছে যাও” আমি তার লজ্জা মাখা মুখের আলোকচ্ছটা দু চোখ ভরে দেখতে থাকি। আমি কিছু না বলে আস্তে করে মোমবাতিটা নিভিয়ে দেই। আমি ওর আরো কাছে যেতেই ওর নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাই। আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকালো জেনিয়া আমাকে আলিঙ্গন করে নেয়। তার স্পর্শ পেয়ে আমার অনুভূতির শহরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই আলোড়নেরে মাঝে আমি হারিয়ে যাই নীল দিগন্তে যেন কত হতাশার মাঝ থেকে অর্জন করে নেওয়া এই ভালো লাগা। পুরো পৃথিবী থমকে যায় তার উষ্ণতার ছোয়ায়। আমি এই উষ্ণতার মাঝে নির্গাত সারাটাদিন কাটিয়ে দিতে পারবো, কোন ক্লান্তি আমার আকাশকে অবশ করতে পারবে না। এই অন্ধকার বৃষ্টি ঝড়া রাতে আমার জানালা দিয়ে বাতাস ধেয়ে আসে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় আমার জানালা দিয়ে আজ ভালোবাসা ধেয়ে আসছে। যে ভালোবাসায় মনের ইন্দ্রজাল পর্যন্ত আমাদের পৌছে দিবে...

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ পাত্র-পাত্রী.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Event Planning Service?

Share