অনেক অনেক দিন আগের কথা। স্কুল জীবনে যখন দেখলাম বড় ভাইয়েরা সুন্দর সুন্দর টিশার্ট পরে ঘুরে বেড়ায়, তখনই বাসায় আবদার করি কিন্তু বাসায় বলে বড় হও তারপর পরিও। বড় তো হলাম কিন্তু পরার সময় টা কই।
সলিড কালারের টিশার্ট এর মধ্যে কেমন যেনো একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে, বড় বড় ফিল্ম স্টারদের এক কালারের গেঞ্জি আর সাথে নীল রঙের জিন্স প্যান্ট বাহ এক সুন্দর কম্বিনেশন। পড়াশোনা শেষ করে চাক্রি-বাকরি করতে করতে শখটা যে কোথায়
যেনো হারিয়ে গেছে। তাই একটু পরিনত বয়সে আসার পর চিন্তা করলাম এই গেঞ্জি নিয়াই কিছু না কিছু করবো।
ফেসবুকে তো হাজার হাজার পেজ গেঞ্জি বেঁচে...আমারটাই ক্যানো নিবে মানুষ এই প্রশ্ন তো মাথায় ঘুরপাক খাইতে থাকেই, সেই চিন্তা মাথায় নিয়েই নিজের পেজ "Dhakabong" শুরু করি। নামটা হুদাই মাথায় আসছিলো, ঢাকার এই ছোট্ট পোলাটার স্বপ্ন ছড়ায় পরবো সব জায়গায় এই চিন্তাই করি।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল জায়গায় যাইয়া এখন Dhakabong প্রতিটা গেঞ্জি প্রডাকশান হয় শুরু থিকা শেষ পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কারখানায়... যদি জিজ্ঞাস করেন, "ফ্যেক্ট্রি পাইলি কৈ ? তাইলে বলা দরকার, ভাই স্বপ্ন যখন দেখছি, হেইডা পূরনের ট্যাকাও পেকেটে আছে। আপনার গায়ে দেওয়া Dhakabong এর গেঞ্জি যেই ফ্যাক্টরি বানায় ওই একি ফ্যাক্টরি বিশ্বের সব নাম করা ব্র্যান্ডের পোশাক বানায়। কনফিউশনে ভোগার দরকার নাই। জাতেই আছেন।
যারা এখন পর্যন্ত দুই-একটা গেঞ্জি কিনছেন তারা জানেন আমাদের কোয়ালিটি সম্পর্কে একেবারে ডেডিকেটেড একটা টিম কাজ করে। আপাতত সলিড দিতাছি, একেবারে কোয়ালিটির দিক দিয়ে পিউর। এখানে কোনো কম্প্রমাইজ নাই, দাম নিমু জিনিস দিমু একের।
আপনাদের পাশে থাকাই আমাদের সাহস আর প্রেরনা। আমি ছোট্ট একটা শহরের ছোট্ট একটা মানুষ স্বপ্ন দেহি বিশাল বড়। তাই গেঞ্জি টা গায়ে দিয়া দেইখেন, একবার হইলেই কইবেন, ওরা জিনিসটা ভালো দেয়।
দোয়া কইরেন।