
21/01/2024
" ঋণ করে হলেও ঘি খান "
প্রাচীন চার্বাক দর্শনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই উক্তি থেকে বোঝা যায় উপমহাদেশের খাদ্য তালিকার ঘির উপস্থিত অনেক পুরোনা।
হাজার বছর তো হবেই, ঘির সঙ্গে এখানকার মানুষের পরিচয়ের। আদর্শ খাদ্য দুধের শুদ্ধতম রূপ মনে করা হয় একে। নিরামিষ বা আমিষ, উভয় ক্ষেত্রেই রন্ধনের সেরা উপকরণ ঘি।
আশির দশকে ভোজ্য তেলকে রান্নাঘরে প্রতিষ্ঠিত করতে বিপুল প্রচারণা চালায় কোম্পানিগুলো। প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয় ঘি কে।
অতিরিক্তি ফ্যাটের অজুহাতে মানুষকে অনুৎসাহিত করা হয়। দাবি করা হয়,এর ফ্যাট শরীর ও হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এরপর বিস্ময়করভাবে ভাটা পড়ে ঘি খাওয়ার রীতিতে।
তার স্থান দখল করে ভোজ্য তেল। এভাবে সারা আশির দশক ছিল সম্পৃক্ত চর্বিকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপনের যুগ। সঙ্গে সঙ্গে ঘিয়ের জনপ্রিয়তা হ্রাসের যুগ।
ইদানিং ঘি নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও ঘিয়ের ব্যবহার সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী, বাঙালি সংস্কৃতিতে এই খাদ্যাভ্যাস এখনো ক্ষয়িষ্ণু সময় পার করছে। তবে আজকাল অরগানিক উদ্যোগের ভিড়ে নতুন করে ‘খাঁটি ঘি’ খুঁজছেন ভোজনরসিকরা।
তাহলে আর চিন্তা না করে খাটি ঘি খান নিশ্চিন্তে রসুইঘরের নতুন আয়োজন নিজস্ব খামারের উৎপাদিত দুধ হতে শতভাগ অর্গানিক পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত ঘি !! বিস্তারিত জানতে ইনবক্স করুন।