Uniworld Agro Ltd.

Uniworld Agro Ltd. 100% Organic Farm & an EXPORT-IMPORT Company.

বর্তমানে বহু মানুষ ছোটখাটো ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সকলেই চাইছেন এমন একটি ব্যবসা যেখানে বিনিয়োগ কম, কিন্তু লাভ বেশি।...
04/01/2025

বর্তমানে বহু মানুষ ছোটখাটো ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সকলেই চাইছেন এমন একটি ব্যবসা যেখানে বিনিয়োগ কম, কিন্তু লাভ বেশি। বিশেষ করে শহরের পাশাপাশি মফস্বল ও গ্রামীণ এলাকাতেও ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন বহু মানুষ। এখানে এমনই একটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে কম বিনিয়োগে বেশি লাভ করা সম্ভব। এখানে বলা হচ্ছে পোলট্রি ফার্মের বিষয়ে। এটি এমন একটি ব্যবসা যা বর্তমানে মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায়ও এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।

30000 টাকা থেকে 40000 টাকার মধ্যে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেই এই ব্যবসা করা সম্ভব। যদি কোনও খালি জায়গা বা খামার থাকে, তাহলে ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে কোনও বাধাই থাকবে না। সবচেয়ে বিশেষ তথ্য হল, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলিও যারা এই ব্যবসা শুরু করতে ইচ্ছুক তাদের ঋণ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আগ্রহী। তাই যারা ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ।

50 হাজার টাকায় শুরু করুন মেয়েদের পছন্দের আইটেমের ব্যবসা, হু হু করে বাড়বে লাভ

অর্থনীতিতে হাঁস-মুরগি পালনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে এই ব্যবসাকে প্রচার করছে। উদাহরণস্বরূপ, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের আওতায় মুরগি পালনের জন্য 50 শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করা হয়। যার ফলে আরও বেশি সংখ্যক ব্যক্তি এই চাষে ভূমিকা রাখেন। একইভাবে এরাজ্যেও মুরগি প্রতিপালনে উন্নতি করার জন্য পোলট্রি চাষিদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়। খুব কম দামে পোলট্রি ছানা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট বিভাগের তরফে।

পোলট্রি চাষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক জাত নির্বাচন করা। পোল্ট্রি ব্যবসার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করে খামারের জন্য বেছে নেওয়া মুরগির ধরনের ওপর। কড়কনাথ, কেরি শ্যামা, নির্ভীক, শ্রীনিধি, বনরাজা এবং কারির মতো জাতগুলি চাষের জন্য সুপারিশ করা হয়। এই পোলট্রির জাতগুলির মধ্যে অনেকগুলোতেই বেশি ডিম পাওয়া যায়।

হাঁস-মুরগির খামার থেকে আয় বেশ লাভজনক হতে পারে। 20 থেকে 25টি মুরগি দিয়ে শুরু করে একজন ব্যবসায়ী প্রায় 50,000 টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এই মুরগিগুলি তখন বাজারে বিক্রি করা যেতে পারে। এটি প্রাথমিক বিনিয়োগকে দ্বিগুণ করে তুলতে পারে।

একটি দেশি মুরগি বছরে 160 থেকে 180টি ডিম দিতে পারে। বৃহৎ পরিসরে, এই ব্যবসায় লাখের বেশি টাকা লাভও হতে পারে। যারা পোলট্রি ব্যবসায় নামতে ইচ্ছুক, তাঁদের প্রথমে ছোট আকারে শুরু করে, তবেই বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে হবে।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

 #মাত্র ১০ লাখ টাকায় গরুর খামারএকটি ছোট কিংবা মাঝারি ধরনের উন্নত জাতের গরু সমৃদ্ধ খামার, একজন যুবকের কর্মসংস্থানের ভালো ...
01/01/2025

#মাত্র ১০ লাখ টাকায় গরুর খামার

একটি ছোট কিংবা মাঝারি ধরনের উন্নত জাতের গরু সমৃদ্ধ খামার, একজন যুবকের কর্মসংস্থানের ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে এজন্য খামার ব্যাবস্থাপনা ভালো হতে হবে। সাধারণত একটা লাভজনক স্থায়ী খামার করতে হলে ১০০ থেকে ২০০ গরু নিয়ে শুরু করাই ভালো। কারণ তখন আধুনিক সব টেকনোলজির ব্যবহার করতে পারবেন। আসলে সেরকম একটা খামারে সনাতন পদ্ধতি খুব একটা কাজে দেবে না। মেকানিক্যাল ইন্টারভেনশন ছাড়া গরু পালন রিস্কি। আপনাকে আধুনিক বিশে^র সঙ্গে তাল দিয়ে চলতে হবে। আর তখনই আপনার খামার সাস্টেইনেবল হবে। যেমন,আপনি যখন সনাতন পদ্ধতিতে দুধ দোয়াতে যাবেন তখন একটার পর একটা গরু দোয়ানোর সময়, গরুর ওলানে ইনজুরি হবার সম্ভাবনা থাকে। আর তখন দুধ উৎপাদন অর্ধেক কমে যাবে। এ জন্য রোবোটিক সিস্টেমে দুধ দোয়ানোর ব্যবস্থা থাকলে আপনি পরিপূর্ণভাবে দুধ পাবেন, শ্রমিকের পরিমাণ কমে আসবে, নিরাপদ ও জীবানুমূক্ত দুধ পাবেন। তাছাড়া গরুকে আপনি সহজেই সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারবেন। খামারে যত মানুষের সংখ্যা কম হবে তত জীবানু সংক্রমণের সংখ্যাও কমে আসবে। এতে করে আপনার খামার থাকবে জীবানু ও রোগমুক্ত। আসলে ৫০ থেকে ১০০ বা ২০০ গরু নিয়ে আপনি আধুনিকভাবে একটা খামার স্থাপন করতে পারেন। এতে করে সারা দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। ফলে মানুষ দুধ পাবে, মাংস পাবে, সার পাবে। এই মডেলটি কিন্ত তখন ভালো একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারবে।

গরুর খামার করতে কেমন বিনিয়োগ প্রয়োজন : ৫০ থেকে ২০০ গরু নিয়ে একটা ফার্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য খুব বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে না। লাখ দশেক টাকা হলেই যে কেউ এমন ফার্ম স্টার্ট করতে পারবে। আমরা যে কাজটা করি সেটা হলো ,গরুর ঘর বানাতেই ২০ লাখ টাকা খরচ করে ফেলি। পিছন ফিরে তাকালে কি দেখবেন একসময় প্রাণীরা থাকত জঙ্গলে। এখন বাসাবাড়িতে রাখা হয়। তাও আবার দালানকোঠায়। এটা ঠিক না। যখন আপনি পশুকে ঘরের মধ্যে রাখবেন, তখন তো সেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসবে না। তাহলে কী করা ? সে জন্য শুধু উপরে একটা কিছু দিয়ে কভার করলেই হবে। যাতে রোদ, বৃষ্টি, ঠান্ডা এসে সরাসরি গরুর উপর না পরে; এটুকুই যথেষ্ঠ। তাহলে চারপাশে বাতাস আসবে, বৃষ্টিতে গরু ভিজলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তাহলে কী হবে, তাদের শরীর পরিষ্কার থাকবে, বাতাস পরিষ্কার থাকবে এবং গরুর বৃদ্ধি দ্রুত হবে। শুধু মশার একটা সমস্যা আছে, তবে তার সমাধানও আছে। আজকাল বাজারে নেট পাওয়া যায়, ঘরের চারপাশে নেট লাগিয়ে দিলে মশা আর লাগবে না, মারা যাবে। তাহলে সহজেই আপনি গরু লালন পালন করতে পারবেন। একজন শক্ত সমর্থ যুবক মাত্র ১০ লাখ টাকা খরচ করলেই এরকম একটা খামার স্থাপন করতে পারে। তাহলে তার ব্যবসাটাও ভালো হবে। যেখান থেকে প্রায় ৩০ ভাগ মুনাফা পাওয়া সম্ভব।

অন্যরকমভাবে একটা হিসাব দিই । একজন গরীব মানুষ একটা গরু পালন করলো। সে দুধ পাবে দেড়-দুই লিটার। সে দুই লিটারের দাম পাবে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সে জায়গায় একজন শিক্ষিত যুবক যে কি না সবধরনের আধুনিক জ্ঞানে হাইব্রিডের গরু পালন করেছে। সে দুধ পেল ১৫ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত। এখানে ১৫ লিটার দুধের মূল্য ৬০০ টাকা, প্রতিদিনের খাবার ও মেইনটেনেন্স বাবদ খরচ ৪৫০ টাকা। তাহলে থাকছে ১৫০ টাকা। তাহলে দাঁড়ালো, একজন টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে আর আরেকজন আয়েস করে ১৫০ টাকা গুনছে প্রতিটা গরু থেকে। এভাবে ৫০টি গরু থেকে আপনি দুধ পাবেন না। কোন গরু দুধ দেবে, কোনটা প্র্যাগনেন্ট হবে। এভাবে সার্বিকভাবে আপনি ৫০ভাগ গরুর কাছ থেকে চক্রাকারে দুধ পাবেন।

এ জন্য আপনার আধা একর জায়গার প্রয়োজন হবে। আপনাকে যে জায়গা কিনতে হবে তা কিন্ত না। চাইলে আপনার পাশের জমিটা দুই-তিন বছরের জন্য ভাড়া হিসেবেও নিতে পারেন। কারণ দেখেন, যেখানে ধান বা ফসল করে হয়তো বছরে আপনি ৮০০০ টাকাও পান না। সেখানে যদি এর বেশি টাকা পাওয়া তাহলে কেন ভাড়া দেবে না? তাছাড়া ভাড়া করা জায়গায় আজকাল অনেকেই অনেক কিছু করছে। সুতরাং এটা করাই যায়। এভাবে সম্ভব। শুধু ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রোগমুক্ত পরিবেশ, আর সুন্দর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কি রকম সহযোগিতা আছে : বাংলাদেশ সরকারের পর একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসিআই-ই সবচেয়ে বড় কোম্পানি, যারা সারা দেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য ভেটেরিনারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে অবিরত। প্রায় ৯০ জনের বেশি পশু চিকিৎসক আমাদের এখানে কাজ করেন। তারা প্রতিনিয়ত প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে কাজ করছেন। এটা কিন্ত কম কথা না। আমরা যেকোনো সময়, তাদের কাছাকাছি থেকে পুরোপুরি সুপারভাইজ করে, তাদের দিয়ে কাজ করাতে পারব। আমরা যদি এভাবে তিন চারটা ফার্মকে সুপারভাইজ করে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমাদের কাজটা আরো সহজ হয়ে গেল। এ কারণেই আমরা এটা করি। তাছাড়া আমাদের তো একটা মিশন আছে যে ‘ক্রিয়েট ওয়েলফেয়ার অব ফার্মার’। সে উদ্দেশ্য সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। যতটা না মানুষ আশা করছে তার চাইতেও বেশি আমরা করতে চাই।

ঋণের ব্যাপারে আমাদের ভাবনা : আসলে আমরা লোন নিয়ে কাজ করছি না। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের অন্যান্য অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান এসব কাজে লোনের ব্যবস্থা করে থাকে। তাছাড়া সারা দেশের সবাই তো আর এ মাধ্যমে আসবে না। গ্রামের মোটামুটি শিক্ষিত মানুষ এগিয়ে আসছে এবং তারা তাদের অর্থের সংস্থান করেই আসছে। আমি মনে করি, কোন গ্রামে যদি কেউ খামার করার জন্য এগিয়ে আসে তাহলে সে তার আশেপাশের সবার কাছ থেকে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে, অবশ্যই সাপোর্ট পাবে এবং এভাবেই সবাই আসছে ।

ড. এফ এইচ আনসারী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
এসিআই এগ্রিবিজনেস। (Collected)

“Cheers to 2025! May this year bring you endless happiness, success, and cherished moments with loved ones. Happy New Ye...
31/12/2024

“Cheers to 2025! May this year bring you endless happiness, success, and cherished moments with loved ones. Happy New Year!”

অনাবাদী পরিত্যক্ত পাহাড়ি জমিতে পেঁপে চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে নিপুণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যার (৩২)। তিনি রাঙামাটি জেলার কাপ্...
31/12/2024

অনাবাদী পরিত্যক্ত পাহাড়ি জমিতে পেঁপে চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে নিপুণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যার (৩২)। তিনি রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা। কৃষি ডিপ্লোমাধারী এই নিপুণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা পেঁপে চাষ করে এখন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাম্প্রতিক মৌসুমে কেবল নিপুণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা নয়, তার সাফল্য দেখে আশেপাশে পেঁপে চাষ করে ইতোমধ্যে আরও অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বিদেশি জাতের হাইব্রিড পেঁপের উচ্চফলনে পাহাড়ি এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁপে চাষ। উচ্চফলন আর লাভজনক হওয়ায় রাঙামাটিসহ পার্বত্যাঞ্চলে ব্যাপকহারে বেড়েছে পেঁপের আবাদ। রাঙামাটির পেঁপে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে জেলার বাইরেও।

এদিকে অন্যতম সবজি কাঁচা পেঁপের চাহিদা পাকা পেঁপের চেয়েও অধিক। ফলে স্থানীয়সহ বিভিন্ন বাজারে কাঁচা বা পাকা পেঁপে দামে সব সময় ভালো। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে ওজন ও আকার ভেদে প্রতিটি পাকা পেঁপের দাম ৩০-১০০ টাকা। আর সবজি হিসেবে কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকায়।

সফল পেঁপে চাষি নিপুণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে দুই বছর আগে কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গায় নিজের পাহাড়ের ঢালু জমিতে ২শ চারা লাগিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন পেঁপে চাষ। এতে তার ব্যাপক সাফল্য আসে। এরপর গত বছর ৯শ পেঁপে চারা লাগান। এতে অভাবণীয় পেঁপের ফলন আসে তার। খেতে উৎপাদিত পেঁপে বিক্রি করে উপার্জন করেছেন প্রায় ৮-৯ লাখ।

তিনি বলেন কৃষিতে ডিপ্লোমা শেষ করেও তার চাকরি মেলেনি। থাকতে হয়েছে অভিশপ্ত বেকার জীবন নিয়ে। শেষে বেকারত্বের অভিশাপ দূর করতেই বেছে নিই পেঁপে চাষ। এতেই আসে সাফল্য। এখন খুব ভালো আছি। স্বচ্ছলভাবে চলছে পরিবার। সংসারে আর অভাব অনটন নেই। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে খুচরা দরে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। পেঁপে চাষে নির্দিষ্ট কোনো মৌসুম লাগে না। সব মৌসুমেই অর্থ্যাৎ বারো মাস পেঁপের চাষ হয়।

আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, নিপুণের সফলতা পেঁপে চাষে উৎসাহী করেছে তাদের। বর্তমানে এলাকার অনেকে ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে। হচ্ছেন স্বাবলম্বী। দূর হচ্ছে বেকারত্ব। তাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁপে চাষ। পাশের পাহাড়ি ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করে পেঁপে চাষ করছেন চাষিরা।

এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলাা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুস্মিতা চাকমা বলেন, পেঁপে চাষ লাভজনক, স্বল্পপূঁজির ও স্বল্প পরিশ্রমের। পাহাড়ের ঢালু জমি পেঁপে চাষের জন্য উপযোগী। কাপ্তাইয়ে পেঁপে চাষ দিন দিন বাড়ছে। এ বছর উপজেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। পেঁপের দাম আগের তুলনায় এখন বেশি। চাহিদাও অনেক। এসব কারণে স্থানীয়ভাবে পেঁপে চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। আমরা আগ্রহী চাষিদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছি।

করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
তিনি আরও জানান, অধিক ফলনে স্থানীয় বাজার ছাড়াও প্রতিদিন রাঙামাটির পেঁপে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাইরে বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে। শুধু পেঁপে নয়- কৃষি পরামর্শসহ প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিক চাষাবাদে পাহাড়ের মাটিতে যেকোনো ফসলের উচ্চফলন সম্ভব

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

বরবটিVigna sesquipedalisবরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রায় সারা বছরই এটি ফলানো যায়। তবে খরিপ তথা গ্রীষ্মকালে ভাল হয়। খুব...
30/12/2024

বরবটি
Vigna sesquipedalis

বরবটি আমিষ সমৃদ্ধ একটি সবজি। প্রায় সারা বছরই এটি ফলানো যায়। তবে খরিপ তথা গ্রীষ্মকালে ভাল হয়। খুব শীতে ভাল হয় না।

মাটিঃ
দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী।

জাতঃ
কেগরনাটকীই অনেকদিন পর্যন্ত বরবটি একটি উন্নত জাত হিসেবে চাষ হয়ে আসছে। এখন অবশ্য বেশ কয়েকটি জাত চলে এসেছে। লাল বেণী, তকি, ১০৭০, বনলতা, ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং, গ্রীন ফলস এফ১, সামুরাই এফ১ ইত্যাদি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জাত। কেগরনাটকী জাতটি পৌষ-মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। মধ্য মাঘ থেকে মধ্য আশ্বিনে চাষ করা যায় ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য আশ্বিন পর্যন্ত চাষ করা যায় ১০৭০ জাতটি। উল্লেখিত জাতগুলোর রমধ্যে কেগরনাটকী ও লাল বেণী জাতের ফলন সবচেয়ে বেশি। তবে খেতে ভাল ঘৃতসুন্দরী।

সময়ঃ
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সাধারণতঃ বীজবপন করা হয়। তাছাড়া আশ্বিন-অগ্রাহায়ণ মাসেও বীপবপন কর হয়। অন্যান্য সময়ও বোনা যেতে পারে।
বীজের পরিমাণঃ
প্রতি শতকে ১০০-১২৫ গ্রাম, হেক্টর প্রতি ৮-১০ কেজি।

জমি তৈরিঃ
৪ - ৫ টি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করতে হয়।

সারের মাত্রাঃ

সারের নাম সারের পরিমাণ
প্রতি শতকে প্রতি হেক্টরে
ইউরিয়া ১০০ গ্রাম ২৫০ কেজি
টি এস পি ৯০ গ্রাম ২২৫ কেজি
এমওপি ৭৫ গ্রাম ১৮৫ কেজি
গোবর ২০ কেজি ৫ টন

সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
গোবর, টিএসপি সম্পূর্ণ পরিমাণ ও অর্ধেক এমওপি সার শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হয়। পরে বীজ বোনার ২০ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি সার জমিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

বীজ বপনঃ
২ মিটার দূরত্বে সারি করে ২৫-৩০ সেমি. দূরে দূরে বীজ বুনতে হয়। জাত হিসেবে সারির দূরত্ব ১ মিটার বাড়ানো বা কমানো যায়।

পারিচর্যাঃ
চারা বড় হলে মাচা বা বাউনি দিতে হবে। জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সে জন্য প্রয়োজন অনুসারে সবসময় সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনা শিমের মতই। জাব পোকা, ফল ছিদ্রকারী পোকা ও মোজেইক রোগ বরবটি চাষের বড় সমস্যা।

ফসল সংগ্রহ ও ফলনঃ
বীজ বোনার ৫০ - ৬০ দিন পর থেকেই বরবটি সংগ্রহ করা যায়। শতক প্রতি ফলন ৩০ - ৬০ কেজি, হেক্টর প্রতি১০ - ১২ টন।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

কাঁকরোল খাওয়ার উপকারিতাবর্ষা মৌসুমের জনপ্রিয় সবজি কাঁকরোল। রঙিন এই সবজি খেতেও মজা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ ছাড়া বর্ষাকালে...
29/12/2024

কাঁকরোল খাওয়ার উপকারিতা
বর্ষা মৌসুমের জনপ্রিয় সবজি কাঁকরোল। রঙিন এই সবজি খেতেও মজা এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এ ছাড়া বর্ষাকালে আপনি যদি রোগমুক্ত থাকতে চান, তাহলে প্রতিদিন কাঁকরোল রাখুন পাতে।
কাঁকরোল।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, কাঁকরোল ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভান্ডার। এ ছাড়া এ সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবারও আছে। তাই একাধিক ছোট-বড় রোগ দূরে রাখার কাজে এর জুড়ি মেলা ভার।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক
কাঁকরোলে বিটা ক্যারোটিন থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। আর এ উপাদানগুলো আপনার চোখ ভালো রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া নিয়মিত এ সবজি খেলে বয়সজনিত চোখের সমস্যাও এড়িয়ে যাওয়া যাবে।

ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
আপনার প্রতিদিনের খাবারে কাঁকরোল রাখুন। এ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কিন্তু দেহে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দিতে পারে। এতে সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।

কোলেস্টেরল কমায়
রক্তে জমে থাকা মোমজাতীয় পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। রক্তে এ উপাদানের মাত্রা বাড়লে একাধিক জটিল অসুখ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন পাতে রাখুন কাঁকরোল।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কাঁকরোল খেলে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বহুগুণে কমে যায়।

অ্যানিমিয়া দূর করে
কাঁকরোলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফোলিক অ্যাসিড। আর এ দুই উপাদান কিন্তু হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়াতে সিদ্ধহস্ত। ফলে নিয়মিত কাঁকরোল খেলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমবে।

মন ভালো রাখে কাঁকরোল
অত্যধিক চাপের মধ্যে থাকতে থাকতে আমাদের মনে বাসা বাঁধছে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা এবং অবসাদ। আর এ ধরনের মানসিক অসুখ কিন্তু একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই মনের খেয়াল রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে কাঁকরোল। আসলে এতে এমন কিছু উপাদান উপস্থিত রয়েছে, যা মস্তিষ্কে খুশির হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

 #লাউলাউ বা কদু (বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফল...
26/12/2024

#লাউ

লাউ বা কদু (বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়, যা কিনা কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে Bottle gourd। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো চাষ হওয়া সবজি, এর জন্ম আফ্রিকায়। লাউ একটি ধ্বনি পরিবর্তিত শব্দ, যার মূল শব্দ 'অলাবু'। লাউকে কোন কোন স্থানে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের বাকল, লতা, এমনকি পাতাও খাওয়া যায়।

চারা তৈরির পদ্ধতি : ছোট ছোট পলিথিন ব্যাগে ১ ভাগ পচা গোবর, ১ ভাগ দোঁআশ মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে হালকা ইউরিয়া মিশ্রিত পানি দিয়ে পাঁচদিন রেখে দিতে হবে। এরপর প্রতি পলিথিনে একটি করে বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের আগে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

চাষ প্রণালি: একটি হাফ ড্রামে তিনটি ছিদ্র করতে হবে ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি করে। তারপর ছিদ্রের ওপর ইটের সুরকি বসাতে হবে। ২ ভাগ বেলে দো-অাঁশ মাটির সঙ্গে ১ ভাগ গোবর, শূন্য দশমিক ৫ কেজি সরিষার খৈল, ৫ কেজি কচুরিপানা পচা, ৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫ গ্রাম ইউরিয়া একসঙ্গে মিশিয়ে সাতদিন রাখতে হবে। তারপর চারা রোপণ করতে হবে। লাউ গাছ যাতে ঠিকমতো বাইতে পারে সে জন্য একটি মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কেউ লাউ ছাদের মেঝেতে শুইয়ে দিতে চায় তাহলে নারকেলের ছোবড়া বিছিয়ে তার ওপর শুইয়ে দিতে পারেন। লাউ পানিপ্রিয় গাছ। মাছ-মাংস ধোয়া পানি মাঝে মধ্যে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও প্রতিদিন সকাল-বিকালে পানি দিতে হবে। কারণ ছাদের গাছে পানি একটু বেশি প্রয়োজন হয়। প্রতিটি হাফ ড্রামে একটি করে চারা রোপণ করা যাবে। লাউয়ের ভালো জাতগুলোর মধ্যে : হাইব্রিড_ মার্টিনা, ডায়না, বর্ষা ও তাফসি। উফশীর মধ্যে_ গ্রিন ডায়মন্ড, বারি লাউ ও ক্ষেত লাউ। এগুলো ছাড়াও বাড়ির ছাদে শিম, পেঁপে, টমেটো, ঢেঁড়শ, পুঁই শাক চাষ করা সম্ভব।

উপকারিতা

পোস্ত দিয়ে লাউয়ের খোসা ভাজা
লাউয়ে প্রচুর জল থাকে, যা দেহের জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া জনিত জলশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি।
এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে।
ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়।
চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে লাউয়ের রয়েছে সহায়ক গুণাবলি।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

ড্রাগন ফলড্রাগন ফল (যা পিতায়া নামেও পরিচিত, চীনা: বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus) এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা...
23/12/2024

ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফল (যা পিতায়া নামেও পরিচিত, চীনা: বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus) এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্‌টাস) প্রজাতির ফল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস (মিষ্টি পিতায়া)। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত। গণচীন-এর লোকেরা এটিকে আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মুক্তার ফল বলে, ভিয়েতনামে মিষ্টি ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল , থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত। অন্যান্য স্বদেশীয় নাম হলো স্ট্রবেরি নাশপাতি বা নানেট্টিকাফল। এই ফলটি একাধিক রঙের হয়ে থাকে। তবে লাল রঙের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায়।

যদিও অন্যথায় নিদিষ্ট না, এই প্রবন্ধের বিষয়বস্তু হায়লোসিরিয়াস প্রজাতির পিতায়া, অথবা "ড্রাগন ফল" নির্দিষ্টভাবে বোঝায়।

ড্রাগন ফলের চাষ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া , মেসোআমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে.

এই মহাজাতির হায়লোসিরিয়াস এর দ্রাক্ষালতা মত পিতায়য়া প্রথমে আসত স্থানীয় মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে। বর্তমানে এগুলো পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দেশগুলোতে যেমন ইন্দোনেশিয়া'র হিসাবে (বিশেষ করে পশ্চিমা জাভা), তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, এবং আরও সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে চাষ হয়। এছাড়াও ওকিনাওয়া, হাওয়াই, ইসরায়েল, প্যালেস্টাইন, উত্তর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ গণচীন পাওয়া যায়।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

বর্তমানে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে। তবে এখনও আলুকে আমাদের দেশে সবজি হিসেবে চিন্তা করা হয়। যদিও আলুর বহুবি...
21/12/2024

বর্তমানে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে। তবে এখনও আলুকে আমাদের দেশে সবজি হিসেবে চিন্তা করা হয়। যদিও আলুর বহুবিধ ব্যবহার ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। রপ্তানির মাধ্যমে আলুর নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। আলুর গুরুত্ব অনেক গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলু উৎপাদনের আধুনিক দিকগুলো আলোচনা করা হলো।

মাটি নির্বাচন:

যে কোনো মাটিতে আলু চাষ করা যায়। তবে বেলে দোআঁশ থেকে দোআঁশ মাটি আলু চাষের জন্য উত্তম। উঁচু থেকে মাঝারি উচুঁ জমি যেখানে সেচ ও নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা আছে সে সকল জমি নির্বাচন করতে হবে। জমিটি অবশ্যই রৌদ্র উজ্জ্বল হতে হবে। মাটিতে জো আসার পর আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে প্রস্তুত করতে হবে।

আড়াআড়িভাবে কমপক্ষে ৪টি চাষ দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন জমিতে বড় মাটির ঢেলা না থাকে এবং মাটি ঝুরঝুরে অবস্থায় আসে। কারণ বড় মাটির ঢেলা আলুর সঠিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে এবং অনেক সময় অসম ও বিকৃত আকার তৈরি করে। জমি তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে জমিতে সুষম সেচ প্রয়োগ করা যায়। সে জন্য জমির উপরিভাগ সমতল করতে হবে।

জাত পরিচিতি:

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত আলুর মোট ৮৩টি জাত অবমুক্ত করেছে যার মধ্যে খাবার আলু, প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী আলু, রপ্তানিযোগ্য আলু, আগাম আলু ও সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায় এমন আলুর জাত আছে।

খাবার আলুর জন্য ডায়মন্ট, কার্ডিনাল (ফলন: ২৫-৩৫টন/হেক্টর); আগাম জাত হিসেবে গ্রানোলা, বারি আলু-৭৪, ৭৫ (ফলন: ২০-৪০টন/হেক্টর); রপ্তানি উপযোগী গ্রানোলা, বারি আলু-৪৬ (ফলন: ২০-৩৫ টন/হেক্টর); প্রক্রিয়াজাতকরণ উপযোগী এসটেরিক্স, লেডি রোসেটা, কারেজ, মেরিডিয়ান (ফলন: ২০-৩৫ টন/হেক্টর); মড়ক রোগ প্রতিরোধী বারি আলু-৪৬, ৫৩, ৭৭, এ্যালোটি, ক্যারোলাস (ফলন: ৩০-৪০ টন/হেক্টর); দীর্ঘ সময় দেশীয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায় আইলসা, প্রোভেন্টো, বারি আলু-৬২, ৭৬ (ফলন: ৩০-৪০টন/হেক্টর); তাপ সহিষ্ণু বা দেরিতে রোপণ উপযোগী বারি আলু-৭২ বা ৭৩ (ফলন: ২০-২৪টন/হেক্টর)।

বীজআলু শোধন:

কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজআলু বের করার পর ৪৮ ঘণ্টা প্রি হিটিং কক্ষে রাখতে হবে। বীজআলু বাড়িতে আনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বস্তা খুলে ছড়িয়ে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য স্বাভাবিকভাবে বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। কারণ বীজ কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করে বস্তা বন্ধ অবস্থায় রাখলে ঘেমে পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোল্ড স্টোরেজে রাখার আগে বীজ শোধন না হয়ে থাকলে অঙ্কুর গজানোর আগে বীজআলু দাদ বা স্ক্যাব এবং বস্ন্যাক স্কার্ফ রোগ প্রতিরোধের জন্য ৩% বরিক এসিড দিয়ে শোধন করে নিতে হয়। এ জন্য ১ লিটার পানিতে ৩০ গ্রাম হারে বরিক এসিড মিশিয়ে বীজআলু ১০-১৫ মিনিট চুবিয়ে পরে ছায়ায় শুকাতে হবে। পলিথিন সিটের উপর আলু ছড়িয়ে স্প্রে করেও কাজটি করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আলুর সব অংশ ভিজে যায়। সাধারণত বিঘা প্রতি অর্থাৎ ৩৩ শতকে ২শ থেকে ২শ ১০ কেজি বীজআলু প্রয়োজন হয়।

রোপণ পদ্ধতি:

অঙ্কুর গজানোর পর ১ম কুঁড়িটি ভেঙে দিতে হবে। কারণ ১ম কুঁড়ি ভেঙে দেয়ার পর অন্যান্য কুঁড়ি সমানভাবে বৃদ্ধির সুযোগ পায়। ৩০-৪০ গ্রাম ওজনের আস্ত আলু বীজ হিসেবে ব্যবহার করা উত্তম। কেটেও বীজ লাগানো যেতে পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন প্রতিটি কাটা অংশে কমপক্ষে ২টি চোখ বা কুঁড়ি থাকে। বীজ লাগানোর ২-৩ দিন আগে আলু কেটে ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিলে কাটা অংশের ওপর একটা প্রলেপ পড়ে। ফলে মাটি বাহিত রোগ জীবাণু সহজে বীজে প্রবেশ করতে পারে না। অন্যভাবে ছাই মেখেও কাজটি করা যেতে পারে। এতে আলুর পচন অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। প্রতিটি আলু কাটার পর সাবান পানি দ্বারা ছুরি বা বটি পরিষ্কার করা উচিত যাতে রোগ জীবাণু এক বীজ থেকে অন্য বীজে না ছড়ায়। বীজআলু আড়াআড়িভাবে না কেটে লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫ কার্তিক থেকে ১৫ অগ্রহায়ণ অর্থাৎ নভেম্বর মাস আলু রোপণের উপযুক্ত সময়।

সার ব্যবস্থাপনা:

দেশের বিভিন্ন স্থানে মাটির উর্বরতা বিভিন্ন রকমের, এ জন্য সারের চাহিদা সকল জমির জন্য সমান নয়। স্থান ভেদে বিঘা (৩৩ শতক) প্রতি ইউরিয়া ৪৪-৪৮ কেজি, টিএসপি ২৭-৩০ কেজি, এমওপি ৩৩-৪০ কেজি, জিপসাম ১৩-১৬ কেজি, জিংক সালফেট ১ কেজি-১ কেজি ৩শ গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (যে মাটিতে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি আছে) ১৮-২০ কেজি, বোরন ৮শ গ্রাম-১ কেজি, গোবর ১২শ-১৩শ কেজি দিতে হবে।

গোবর ও জিংক সালফেট শেষ চাষের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। অর্ধেক ইউরিয়া, সম্পূর্ণ টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও বোরন সার রোপণের সময় সারির দুই পার্শ্বে বা জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয়বার মাটি তোলার সময় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পর সঙ্গে সঙ্গে সার ও বীজ মাটি দিয়ে ভেলি তুলে ঢেকে দিতে হবে।

আন্তঃপরিচর্যা :

বীজ রোপণের পর জমিতে ভালো রস না থাকলে সেচ দেয়া উত্তম, তবে খেয়াল রাখতে হবে ক্ষেতে কোনোভাবেই পানি না দাঁড়ায়। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পানিতে ভেলির ২/৩ অংশ পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। ২-৩টি সেচ প্রয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে (২০-২৫ দিনের মধ্যে স্টোলন বের হওয়ার সময়, ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে গুটি বের হওয়া পর্যন্ত এবং পরে আলু বৃদ্ধির সময়)। জমি থেকে আলু উঠানোর ৭-১০ দিন আগে মাটি ভেদে সেচ প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। উলেস্নখ্য যে, দাদ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলু রোপণের পর ৩০-৫০ দিনের সময়ে জমিতে কোনো অবস্থায় রসের ঘাটতি এবং ৬০-৬৫ দিনের পর রসের আধিক্য হতে দেয়া যাবে না।

আলুর জমি সর্বদা আগাছা মুক্ত রাখা উচিত। আলু লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে আগাছা পরিষ্কার করে দুই সারির মধ্যবর্তী স্থান কুপিয়ে উপরি সার প্রয়োগ করতে হবে। সার মিশ্রিত মাটি গাছের গোড়ায় তুলে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোপানোর সময় যাতে আলুর শিকড় বা স্টোলন না কাটে এবং মাটি দেয়ার সময় গাছের পাতা মাটি চাপা না পড়ে। ৫৫-৬০ দিন পর প্রয়োজন হলে পুনরায় আগাছা পরিষ্কার করে মাটি তুলে দিতে হবে।

বীজআলুর জমিতে বিজাত বাছাই:

মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদনে রগিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিকভাবে রগিং করা না হলে বীজআলুর গুণাগুণ কমে যায়। এ জন্য গাছের বয়স ৩০-৩৫ দিন থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত নিয়মিত আলুর জমিতে বিভিন্ন জাতের মিশ্রিত গাছ, অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। ভাইরাস রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আলু গাছ আলুসহ তুলে অন্যত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। সকাল এবং বিকাল রগিংয়ের জন্য উপযুক্ত সময়। সূর্যের বিপরীত দিকে মুখ করে রগিং করতে হবে যেন পাতায় সব লক্ষণ স্পষ্ট বুঝা যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন রোগাক্রান্ত গাছ কোনোক্রমেই কোনো সুস্থ গাছের সঙ্গে না লাগে এবং শ্রমিকের হাতের স্পর্শ দ্বারাও যেন সুস্থ গাছে রোগ সংক্রমণ না হয়।

হামপুলিং:

হামপুলিং হলো গাছ টেনে উপড়ে ফেলা। হামপুলিংয়ের ৭-১০ দিন আগে থেকে সেচ বন্ধ করতে হবে। তবে বালি মাটি হলে ৫-৭ দিন আগে সেচ বন্ধ করা ভালো। বেশি দিন আগে সেচ বন্ধ করলে বালি মাটির আলুতে হিট ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হামপুলিং করার সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকলে গাছ ক্ষেত থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি পর্যাপ্ত রস না থাকে তবে গাছ দ্বারা পিলি ঢেকে দিতে হবে। ফলে হিট ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

ফসল কর্তন (ঈৎড়ঢ় ঈঁঃঃরহম) করে আলুর আকার ও ফলন দেখে হামপুলিংয়ের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। হামপুলিংয়ের পর মাটি ও আলুর অবস্থার ওপর নির্ভর করে ৭-১০ দিন পর্যন্ত মাটির নিচে রেখে আলুর ত্বক শক্ত করতে হবে। আলুর ত্বক শক্ত হয়েছে কি না তা দেখার জন্য আলু তুলে বৃদ্ধাঙুলি দ্বারা আলুর ত্বকে চাপ দিতে হবে। চামড়া না উঠলে বুঝা যাবে কিউরিং হয়েছে। অথবা চটের বস্তায় ২/৩ কেজি নমুনা আলু উঠিয়ে ঝাকুনি দিতে হবে। যদি চামড়া না উঠে তবে বুঝা যাবে কিউরিং হয়েছে।

সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা:

শুষ্ক, উজ্জ্বল ও ভালো আবহাওয়াতে আলু উত্তোলন করতে হবে। এক সারির পর এক সারি কোদাল বা লাঙ্গল দিয়ে আলু উঠাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আলু আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। আলু উঠানোর পর প্রখর রৌদ্রে রাখা যাবে না। মাঠে প্রাথমিক বাছাইয়ের মাধ্যমে কাটা, ফাটা, ক্ষতিগ্রস্ত, আংশিক পঁচা আলু বাতিল হিসেবে পৃথক করতে হবে- যেন ভালো আলুর গাদার সঙ্গে মিশ্রিত হতে না পারে।

বস্তায় অথবা চট দ্বারা আবৃত ঝুড়িতে করে সতর্কতার সঙ্গে আলু অস্থায়ী শেডে আনতে হবে। আলুর বস্তা বা ঝুড়ি আছড়িয়ে ফেলা যাবে না, কারণ তাতে আলুর চামড়া উঠে যেতে পারে বা থেতলে যেতে পারে। আলু উৎপাদন মাঠ বা বস্নকের কাছাকাছি ছায়াযুক্ত ঠান্ডা ও সহজে বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে অস্থায়ী শেড তৈরি করতে হবে। মাঠ থেকে কেবল মাত্র প্রাথমিক বাছাইকৃত আলু শেডের মেঝেতে বিছিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আলুর স্তূপ ৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি উঁচু না হয়। এ অবস্থায় কমপক্ষে ৩-৫ দিন কিউরিং করতে হবে।

সংরক্ষণ করার জন্য আলু অবশ্যই ভালোভাবে বাছাই করা দরকার। বাছাই ভালো হলে সংরক্ষণ/রপ্তানিযোগ্য আলুর মান ভালো হবে। রোগাক্রান্ত, আঘাতপ্রাপ্ত, আংশিক কাটা, ফাটা, অসম আকৃতির ও অতীব সবুজায়নকৃত আলু সঠিকভাবে বাছাই করে পৃথক করতে হবে।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

কাঁচা গাজর, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও খাওয়া যায়। চোখ, ত্বক, চুল ও শরীরের নানা অঙ্গের জন্য গাজরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে...
18/12/2024

কাঁচা গাজর, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও খাওয়া যায়। চোখ, ত্বক, চুল ও শরীরের নানা অঙ্গের জন্য গাজরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

১. গাজরে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি হওয়া বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরে কোথাও ক্ষত হলে তা দ্রুত ভালো হয়। এ ছাড়া গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২. গাজর আঁশে পরিপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী– ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা বেশি পরিমাণে ফাইবার খেলে গ্লুকজ মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের গাজর খাওয়া আবশ্যক।

৩. গর্ভাবস্থায়ও খেতে পারেন গাজর। গর্ভাবস্থায় গাজরের রস পান খুবই উপকারী। এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মা শিশুকে দুধপান করান, তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত।

৪. গাজর হজম ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম ইত্যাদি নিরাময় হয়। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর গাজরের রস, গাজরের স্যুপ পান করলে উপকার হয়।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

১৬ই  ডিসেম্বর ২০২৪ ইংমহান বিজয় দিবস.. ❤️🇧🇩বিজয়ের এই ৫৩ বছর পূর্তিতে আমরা স্বরণ করি সেই সকল শ`হী`দ`দের। যাদের মহান আ`ত্ম...
16/12/2024

১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং
মহান বিজয় দিবস.. ❤️🇧🇩
বিজয়ের এই ৫৩ বছর পূর্তিতে আমরা স্বরণ করি সেই সকল শ`হী`দ`দের। যাদের মহান আ`ত্ম`ত্যাগ ও র`ক্তে`র বিনিময়ে আজকের আমাদের স্বাধীনতা..!

 #টবে মরিচ চাষ – ছাদে ও বারান্দায় মরিচ চাষ পদ্ধতিআপনার বাসার বারান্দায় বা ছাদে ছোট্ট টবে চাষ করতে পারেন মরিচ। ঘরের এক কো...
15/12/2024

#টবে মরিচ চাষ – ছাদে ও বারান্দায় মরিচ চাষ পদ্ধতি

আপনার বাসার বারান্দায় বা ছাদে ছোট্ট টবে চাষ করতে পারেন মরিচ। ঘরের এক কোনে টবে মরিচের চাষ আপনার গৃহের শোভা বর্ধনের পাশাপাশি পুরন করতে পারে আপনার সারা বছরের মরিচের চাহিদা। কেননা মরিচ আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় খুব অল্প পরিমানেই লাগে আর মাত্র ৫ থেকে ৬ টি টবে মরিচের চারা লাগালে তা দিয়ে দিব্যি সারা বছরেই চলে যাবার কথা। রোদ যুক্ত স্থানে রেখে নিয়মিত অল্প পরিচর্যা করলেই টবে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। এক পলকে দেখে নিন টবে মরিচ চাষ করার কৌশল, গাছ লাগানোর পদ্ধতি ও যত্ন নেয়ার নিয়ম কানুন।

বীজ বা চারা বপনের সময়
মরিচ সাধারনত সারা বছরেই জন্মে তাই বছরের যে কোনো সময়েই আপনি মরিচের চারা লাগাতে পারবেন। তবে মে থেকে জুন অথবা শীতের শুরুতে অক্টোবর মাসে মরিচের বীজ বপন করলে ফলন বেশি হয়।

টব, মাটি ও চারা প্রস্তত করন
মরিচ গাছ খুব বেশি বড় হয়না তাই মাঝারী আকারের টবেই রোপন করতে পারেন। মরিচের জন্য দোআঁশ মাটি উৎকৃষ্ট। টবের আকারের অর্ধেক পরিমান দোআঁশ মাটি আর তার সম পরিমান শুকনো গোবর, দশ গ্রাম পটাশ, দশ গ্রাম টি,এস,পি ও এক চামচ পরিমান ইউরিয়া ভালোভাবে মিশিয়ে টব পূর্ণ করুন। আপনি গোবরের পরিবর্তে কম্পোস্ট সার ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে টবের মাটি প্রস্তুত করে ৮ থেকে ১০ দিন রেখে দিন। আপনি নার্সারি থেকে মরিচের চারা কিনে বা বীজ সংগ্রহ করে টবে লাগাতে পারেন। তবে টবে লাগানোর পূর্বে এর মাটি নিড়ানি দিয়ে নরম করে নিবেন। মরিচের চারা তৈরি করা খুব সহজ। আপনি শুকনো মরিচের বীজ থেকেও চারা তৈরি করে নিতে পারেন। কয়েকটি শুকনো মরিচের বীজ সংগ্রহ করে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর বীজ গুলো পানি থেকে তুলে অল্প শুকিয়ে নিয়ে টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিন। কিছুদিন পরেই দেখবেন যে চারা গজিয়ে যাবে।

সার প্রয়োগ
মরিচ গাছের জন্য খুবই উপকারী সার আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন আপনার ঘরেই। প্রতিদিনের রান্না করার জন্য তরিতরকারি কাটার পর উচ্ছিষ্ট খোসা, ছাল, শাক সবজির আবর্জনা ইত্যাদি পচিয়ে জৈব সার বানিয়ে মরিচ গাছের টবে দিলে টবের মাটি উর্বর হবে এবং ফলন অনেক ভালো হবে।

টবের মরিচ গাছের যত্ন
মরিচ গাছে নিয়ম করে পানি দেয়া খুব জরুরী। টবের মাটি কখনই খুব শুকিয়ে যেতে দেয়া যাবেনা। ভালো ফলন পেতে পর্যাপ্ত রোদ আছে এমন জায়গায় মরিচ গাছের টব টাকে স্থাপন করতে হবে। মরিচের টবে পিঁপড়ার আক্রমণ ঠেকাতে টবের চারদিকে হালকা সাবান গুড়ো ছিটিয়ে রাখতে পারেন। মরিচের চারা বাড়ন্ত অবস্থায় টবে একটি কাঠি পুতে গাছের জন্য সাপোর্টের ব্যাবস্থা করুন। ভালো করে যত্ন নিলে একটি টবের মরিচ গাছ থেকে দুই দফায় প্রায় অনেক মরিচ সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারন জাতের মরিচের একটি গাছে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭৫টি মরিচ জন্মানো সম্ভব আর তা থেকে দুই দফায় আপনি প্রায় ১০০ থেকে ১৫০টি মরিচ আহরন করতে পারবেন।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

পেয়ারা বর্ষা মৌসুমের ফল হলেও প্রায় সারাবছরই এটি বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য ফলের তুলনায় এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। বি...
14/12/2024

পেয়ারা বর্ষা মৌসুমের ফল হলেও প্রায় সারাবছরই এটি বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য ফলের তুলনায় এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ এত বেশি যে আমলকী বাদে অন্য কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায় না।

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।

পেয়ারার পুষ্টি গুনাগুণ:

এটি একটি পুষ্টিকর ফল। ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি । অন্যান্য সাইট্রাস ফল, যেমন—কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে।

রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন। সেইসঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড।পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সও পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ক্যালরি ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহ:

অনেকে পেয়ারাকে একটি সাধারণ ফল মনে করে অবহেলা করে খেতে চাননা। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও ওষধি গুণাগুণ জানার পর তারাও ফলটি খেতে উৎসাহিত হবেন। নিম্নে ফলটির কিছু উপকারী দিকসমুহ আলোচনা করা হলো।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে হার্টকে সুস্থ রাখতে: গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে আসে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেয়ারার রসে ও পেয়ারা পাতায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উপাদান থাকায় ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই এটি খুবই কার্যকর।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে: বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে পেয়ারার ভূমিকা রয়েছে । ফলটিতে উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়।
দৃষ্টিশক্তিবাড়ায়: কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস। আর এই ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
মাসিকেরব্যথা দ্রুত উপসম করতে: অনেক নারীরই মাসিক চলাকালিন পেট অনেক ব্যথা হয় এবংব্যাথার ঔষধ খেয়ে থাকেন। এ সময় যদি কেউ পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস খায় তাহলে তাঁর মাসিককালিন ব্যথা অধিকতর দ্রুত সময়ে উপসম হতে পারে।
ক্যান্সারেরঝুঁকি হ্রাস করে: পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
শুধু ফলেই নয় এর গাছের পাতায়ও রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ১টি করে আর না হলে সপ্তাহে অন্তত একটি করে হলেও প্রতিটি মানুষের পেয়ারা খাওয়া উচিত।

✉ যোগাযোগের জন্য আমাদের Facebook পেইজ এ সরাসরি টেক্সট
করুন।
📞 কল করুনঃ +8801676887581,+88 01611817824
[email protected]

Address

Rupsha Tower, Kamal Ataturk Avenue, Banai
Dhaka
1213

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
Tuesday 10:00 - 18:00
Wednesday 10:00 - 18:00
Thursday 10:00 - 18:00
Saturday 11:00 - 17:00
Sunday 10:00 - 18:00

Telephone

+8801676887581

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uniworld Agro Ltd. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uniworld Agro Ltd.:

Videos

Share

Category