Patro chai patri chai

Patro chai patri chai FULL Bangladesh ar patro and patri ra যোগাযোগ করুন। 01976453165
(1)

প্রতিটি মুহূর্ত ই স্বামী স্ত্রীর জন্য ভালোবাসার রঙ্গিন মুহূর্ত 🥰
16/11/2024

প্রতিটি মুহূর্ত ই স্বামী স্ত্রীর জন্য ভালোবাসার রঙ্গিন মুহূর্ত 🥰

Patro chai patri chai
12/11/2024

Patro chai patri chai

🥰
12/11/2024

🥰

urgent need
12/11/2024

urgent need

_"কারো মায়ায় জড়ানো'টা খুব সহজ কিন্তু তাকে ভুলে  যাওয়া'টা মৃত্যুর থেকেও কঠিন !!_"ইচ্ছে নেই আর কারো প্রতি মায়া বাড়ানোর থাক...
02/11/2024

_"কারো মায়ায় জড়ানো'টা খুব সহজ কিন্তু তাকে ভুলে যাওয়া'টা মৃত্যুর থেকেও কঠিন !!
_"ইচ্ছে নেই আর কারো প্রতি মায়া বাড়ানোর থাকুক না যে যার মতো আমায় ছেড়ে ভালো !!
_"পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দুইটা ভুল হচ্ছে প্রথমত কারো সাথে রাত জাগার অভ্যাস করে ফেলা
দ্বিতীয়ত নিজে সুন্দর না হয়েও কাউকে অতিরিক্ত ভালোবেসে ফেলা !!
_"পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় হলো সেই মানুষ যে নিজের রাগ অভিমান কষ্ট কাউকে দেখাতে পারে না চিৎ কার করে কান্না করতে পারে না শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে !!
_"হাসি দিয়ে হয় তো সবকিছু প্রকাশ করা যায় না কিন্তু অনেক কিছু আড়াল করা যায় !!
__যদি কমে যায় কথা বার্তা আর গল্প তবে বুঝে নিও সে ঠিকই পেয়েছে তেমার বিকল্প !!
_"অতিরিক্ত সরল হতে যেওনা এই স্বার্থপর সমাজ তোমাকে ঠকিয়ে দিবে !!
_"অল্পতে যার চোখে পানি আসে সবাই তাকেই কাঁদাতে ভালোবাসে !!
_"কাঁদতে নয় হাসতে শিখো কারণ মানুষ তোমাকে কাঁদতে সাহায্য করবে হাসতে নয় !!
_"মানুষের জীবন থেকেই গল্প সাজানো হয় কিন্তু গল্পের মতো করে কখনো সাজানো হয় না !!
_"সব কথার জবাব দিতে নেই কিছু কথা সময়ের জন্য রেখে দিতে হয় !!
_"এই পৃথিবীতে সেই বেশি ধোকা খায় যে নিঃসন্দেহে মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে।
ধন্যবাদ সেই মানুষ টাকে যে আমাকে নতুন করে চোখ খুলে দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে সবাই কথা রাখে না সবার মাঝে মনুষ্যত্ব বোধ থাকে না।
এই পৃথিবী দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু তার বাস্তবতা অকল্পনীয় কঠিন !!
_"দুরত্ব বাড়িয়েছো ভালো থাকবে বলে জানো আমার না খুবই জানবার মনে ধরে যেখানে থাকো সেখানে কি আসলেই ভালো থাকা মেলে !!
_"মৃত্যু শব্দটা কারো কাছে খুব ভয়ংকর আবার কারো কাছে মুক্তির উপায় !!
_"তোমাকে যতটুকু ভালেবেসেছি ততটুকু নিজেকে কখনো ভালোবাসিনি !!
_"তুমি মিথ্যা বলছো বলে আমার কষ্ট হচ্ছে না
আমার কষ্ট হচ্ছে এ কারণে যে এখন থেকে আমি আর তোমাকে বিশ্বাস করতে পারবো না !!
_"কিছু মানুষ এতটাই গভীরে ছুঁয়ে যায় যে মানুষটা ঠকিয়ে চলে যাবার পরও আমরা তার কাছেই ফিরতে চাই আবার ঠকার জন্য !!
_"ভালোবাসা কি তাকেই জিজ্ঞাসা করো যার রিদয় টা ভেঙে যাওয়ার পর ও দিনের পর দিন সেই নির্দিষ্ট মানুষটার জন্যই অপেক্ষা করে !!
_"চাওয়ার অধিকার সবার আছে কিন্ত পাওয়ার ভাগ্যটা সবার থাকে না !!
_"ভালোবাসা তখনই সুন্দর যখন দুজন দুজন কে মূল্য দিতে জানবে !!
_"অনুরোধ করে কাউকে ধরে রাখা যায় না যে ভালোবাসে সে কখনো ছেড়ে যায় না !!
_

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকা...
21/10/2024

স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।
বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার একদম-ই নেই। দরকার আপনার ভালোবাসার।
জীবন থেকে যে একটা সেকেন্ড চলে যায় সেটা আমরা আর কখনো ফিরে পাই না। আর আপনি বছরের পর বছর স্ত্রী, সন্তান রেখে বহুদূরে পরে আছেন!
এই কি জীবন? কোথায় সুখ? কোথায় আপনার স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা? কোথায় সন্তানের জন্য স্নেহ?
হ্যাঁ, টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার কিন্তু; ভেবে দেখেন তো সারাদিনে ৩০০ টাকা রোজগার করা মানুষটা যখন দিনশেষে বাসায় ফিরে তার সামনে পানি দেওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে, সে রাতে তার স্ত্রী, সন্তানদের পাশে ঘুমাতে পারে, তার অসুস্থতায় তার স্ত্রী তাকে সেবা করে, তার সন্তান দূর থেকে তাকে দেখে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে।
কোনো নারীর জীবন থেকে এমন সময় কেঁড়ে নিবেন না যে সময়টায় সে শুধু আপনাকে কাছে চায়।
বাইরে গেলে যখন তার চোখে পরে পাঞ্জাবি পরা কোনো এক ছেলে তার প্রিয়তমার হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, তখন আপনার স্ত্রীর ভেতর থেকে দীর্ঘস্বাস বের হওয়া ছাড়া আর কিছু-ই করার থাকে না।.
আপনি সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বউকে দামী শাড়ি আর গহনা-ই পরিয়ে গেলেন। কিন্তু যে সময়গুলো আপনারা হারিয়েছেন সেটা আর আসবে না কোনোদিন। উত্তপ্ত প্রেম টাকার তলায় চাপা দিয়ে দিলেন।
আপনার সন্তান যখন রাস্তায় দেখে কোনো বাবা তার ছেলেকে রঙিন বেলুন কিনে দিচ্ছে, তখন সে আপনাকে খোঁজে।
সন্তান যখন দেখে তার বয়সী বাচ্চা তার বাবার হাত ধরে মাদ্রাসাই যাচ্ছে তখন সে আপনাকে খুব মিস করে।
সন্তানের জন্য মাসে এতো হাজার টাকা না পাঠিয়ে হাত ধরে মাদ্রাসাই দিয়ে আসুন।
সে আপনার আদর্শে বড় হবে। তখন সে আপনার কাছে ৫ টাকার প্রয়োজনে ১০ টাকা চাইবে না। বরং ১০ টাকার কাজ টা ৫ টাকায় মিটমাট করার চেষ্টা করবে।
কাজের চাপে আপনি সারাদিনে বউকে মনে করার তেমন সময়ও পান না অনেক সময়। এদিকে দুপুরের নাওয়া-খাওয়া শেষ করার পর আপনার স্ত্রীর অলস বিকালে আর সন্ধ্যা নেমে আসতে চায় না।
জানালা দিয়ে সে বাইরে তাকিয়ে দূরের ঐ নীল আকাশে রং বেরঙের কত কী দেখে। দেখে না শুধু আপনাকে।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বাম পাশে আপনাকে না পেয়ে বুকে আকাশ সমান বোঝা নিয়ে আপনার স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। এভাবেই আপনার বয়স ৫০ পেড়িয়ে যাবে, স্ত্রীর চোখ ধূসর হয়ে আসবে।
হলো না আপনাদের কদম হাতে বৃষ্টিতে ভেজা।
আর হলো না আঁকাবাকা রাস্তায় পা মিলিয়ে সামনে হাটা। হলো না সন্তান বুকে নিয়ে ঘুমানো।
হলো টাকার পাহাড়, বিষের পাহাড়, বিষাদের পাহাড়। যার চাপায় পিষে যাবে কতগুলো রঙিন স্বপ্ন, পিষে যাবে স্ত্রীর প্রেম, খসে যাবে আপনার যৌবন।🍀🥀

***বিয়ের প্রথম বছর পুরুষেরা এই কাজগুলি করতে ভুলে গেলেই চরম বিপদ! জেনে আগে থাকতেই সাবধান হন।বিয়ে করার পরই শুরু হয় পুরুষের...
20/10/2024

***বিয়ের প্রথম বছর পুরুষেরা এই কাজগুলি করতে ভুলে গেলেই চরম বিপদ! জেনে আগে থাকতেই সাবধান হন।

বিয়ে করার পরই শুরু হয় পুরুষের দ্বিতীয় জীবন। তাঁদের নতুন করে সব হিসেবনিকেশ চালু করতে হয়। সেক্ষেত্রে বিয়ের প্রথম বছর এই ৫টি কাজ না করলে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। আসুন জানা যাক।

বিয়ের পর পুরুষের মনে একরাশ ঠান্ডা বাতাস খেলে যায়। মনে হয় স্ত্রীকে ছাড়া যেন জীবন কাটানোই অসম্ভব। ভালোবাসার উথালপাতাল ঢেউ বয়ে যায় হৃদয়ের সমুদ্রে। তবে প্রেমের রূপসাগরে দাঁড়িয়েও পুরুষেরা কিছু অতি প্রয়োজনীয় কাজ করতে ভুলে যান। আর এর থেকেই দাম্পত্যে জন্ম নেয় নিম্নচাপ।

অনেকেই ভীষণ ভুলো স্বভাবের হয়ে থাকেন। তাঁরা নানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন। ফলে স্ত্রীকে ভালোবাসলেও, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার কথা মাথা থেকে উড়িয়ে ফেলেন। আর সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয় দাম্পত্যে। এমনকী এই জটিলতা অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

স্বামীদের মনে রাখতে হবে যে মহিলারা খুব চাপা স্বভাবের হন। তাঁদের মুখ থেকে আপনি সমস্যার কথা সহজে বের করে আনতে পারবেন না। কিন্তু ভিতরে একটা চাপা হতাশা তাঁদের গ্রাস করে নেয়। তাই এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা দরকার।

মুশকিল হল, বেশিরভাগ পুরুষেরাই জানেন না যে বিয়ের প্রথম বছর কোন কাজগুলি করা আবশ্যক?

এই পোস্টে সেই উত্তরই দেওয়া হল। আপনি এই তালিকা মিলিয়ে চলতে পারলেই আগামীদিন হবে সুখের।

১. সময় কথা বলে...
-------------------------
আপনাকে অবশ্যই স্ত্রীকে সময় দিতে হবে। সময়ের ঘাত-প্রতিঘাতেই একটি সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপ পায়। এমনকী গড়ে ওঠে ভরসা, ভালোবাসার বন্ধন। তাই বিবাহের পরবর্তী একবছর স্ত্রীকে যেন তেন প্রকারেণ সময় দিন। চেষ্টা করুন এই বছরটায় অফিসে কম সময় কাটানোর। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসুন। আপনি স্ত্রীকে সময় দিলেই তিনি খুশি থাকবেন। দাম্পত্য রসায়ন হবে জমে ক্ষীর।

২. ভালোবাসার বার্তা…
-------------------------
অনেকেই স্ত্রীকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন। তবে তাঁরা মুখে এই কথাটা আনতে চান না। এমনকী কোনওদিনই মুখ ফুটে ভালোবাসার কথা বলেন না। এই কারণে স্ত্রীর মনে জমে কুয়াশা। তাঁরা বুঝতে পারেন না স্বামীর মনে কী চলছে! এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন প্রায়শই স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বলার। রোজ সকালে উঠে একবার 'তোমায় ভালোবাসি' বললে আপনার টাকা খরচ হবে না নিশ্চয়ই।

৩. ঘনিষ্ঠতা থাকা চাই
-------------------------
বিয়ের প্রথম বছরেই দাম্পত্যে সুখী হওয়ার বীজ বপন করতে হয়। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করুন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা যে কোনও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। বিজ্ঞান জানাচ্ছে, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় মস্তিষ্কে ফিল গুড হরমোন বের হয়। ফলে সম্পর্ক মজবুত হয়। তাই নিয়মিত ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠুক আপনাদের মধ্যে।

​৪. শুধু দুজনে…​
-------------------------
প্রথম বছরেই একটু ঘোরাঘুরির দিকে মন দিন। চলে যান দূরে কোথাও। পাহাড়, সমুদ্র যা পছন্দ হয়- একবার বেরিয়ে পড়ুন। বিয়ের প্রথম বছর বহু মহিলাই দূরে বেড়াতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আর আপনাকে সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। অপরদিকে বিয়ের প্রারম্ভিক বছরে বাড়ির বাইরে পা না রাখলে আগামীদিনে একঘেয়েমি গ্রাস করবে সম্পর্ককে। তখন স্ত্রীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

৫. পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া​
-------------------------
এই পয়েন্টটা শেষে বললেও, এর গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। আসলে এখনও ভারতীয় সমাজে মহিলারা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে ওঠেন। এই বাড়িতে সবাই নতুন। এই পরিস্থিতিতে স্বামীর উচিত দায়িত্ব নিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে স্ত্রীকে মিলিয়ে দেওয়া। তবেই সুখে সংসার করতে পারবেন। আর এই কাজটা গুরুত্ব দিয়ে না করতে পারলে আগামীদিনে দুঃখ রয়েছে কপালে।

~~~~~সংগৃহীত ~~~~~

পোস্ট ভাল লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না। ফলো করে রাখুন Patro chai patri chai প্রোফাইলটি নিত্য নতুন আপডেট সর্বপ্রথম পাওয়ার জন্য। পাশে থাকবেন❤️ অগ্রিম ধন্যবাদ 🙏❤️

নারীর কাছেই একজন পুরুষের মানসিক শান্তি থাকে।নারী চাইলেই একজন পুরুষকে দুনিয়ায় জান্নাতের সুখ দিতে পারে। আবার চাইলেই একজন প...
18/10/2024

নারীর কাছেই একজন পুরুষের মানসিক শান্তি থাকে।
নারী চাইলেই একজন পুরুষকে দুনিয়ায় জান্নাতের সুখ দিতে পারে।

আবার চাইলেই একজন পুরুষের জীবন নরক করে দিতে পারে।

নারীকে তুমি যতবেশি ভালোবাসবে নারী তার চেয়ে শতাধিক ভালোবাসা ফিরিয়ে দিবে। আর নারীকে অবহেলা করলেই নারী পথরের চেয়েও কঠিন রূপ ধারণ করবে।

নারী হলো কাদা যুক্ত মাটির মতো।
কাদা মাটি দিয়ে যেমন নানা রকম
আসবাবপত্র তৈরি করা যায়।
নারীকে ঠিক ভালোবেসে যেমন ভাবে
গড়বে, নারী ঠিক সেভাবেই তৈরি হবে।
Patro chai patri chai

পাত্র হিসেবে স্বয়ং নিজের মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর উমায়ের হোসেন শুভ্রকে দেখে রীতিমত ভড়কে গেলো তুলি। নাক বে...
17/10/2024

পাত্র হিসেবে স্বয়ং নিজের মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর উমায়ের হোসেন শুভ্রকে দেখে রীতিমত ভড়কে গেলো তুলি। নাক বেয়ে ঘাম ছুটে গেলো তার।তুলি আড়চোখে শুভ্রর দিকে তাকালো। শুভ্রর মুখ দেখে বোঝা গেলো, সে নিজেও কিছুটা বিব্রত। যতই মায়ের বান্ধুবির মেয়ে হোক। তুলি তার ছাত্রী। সেদিন তুলিকে ভাইভা টেবিলে যাচ্ছেতাই বলে অ পমান করার পর আজকে এমন একটা অবস্থায় দুজন মুখোমুখি হবে, শুভ্রর নিজেরও সেটা কল্পনার বাইরে ছিলো। শুভ্র সবার কথার ফাঁকে তীক্ষ চোখে তুলিকে দেখে যাচ্ছে। তুলি সম্পর্কে শুভ্রর একটি কিঞ্চিত ধারণা তৈরি হয়েছে।সেটা হলো, তুলি মেয়েটা বড্ড নাছোড়বান্দা।বন্ধুদের সঙ্গেও তার বড্ড তিরিং বিরিং স্বভাব। এমন একজন মেয়েকে শুভ্রর মতো বিচক্ষণ পুরুষ কিছুতেই নিজের বউ বানাবে না। শুভ্র নিজের সিদ্ধান্ত মনেমনে ঠিক করে ফেললো।

ছাদে দুজনকে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হলে তুলি ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করার ধার ধারলো না। সোজা বলে বসলো,

‘স্যার, আপনার মুখ দেখেই আপনার মনে হচ্ছে আপনার আমাকে খুব একটা পছন্দ হয়নি। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি বিয়ে করবো না। আপনি এখন নিচে গিয়ে বলবেন আমাকে আপনাদের পছন্দ হয়নি। কারণ হিসেবে বলবেন, আমি দেখতে তেমন সুন্দর নই। আপনার গায়ের রঙের সঙ্গে আমার গায়ের রং বেমানান।’

শুভ্র চোখের চশমা ঠিক করে বেশ গাড় চোখে তুলির দিকে তাকালো। ভ্রু নাড়িয়ে জবাব দিলো,

‘আমি মিথ্যা বলি না। তাছাড়া গায়ের রং নিয়ে সুন্দর বিবেচনা করতে নেই। এটা অন্যায়।’

তুলি বিরক্ত হলো কিছুটা।
মুখ স্বাভাবিক রাখতে চাইছে, কিম্তু বারবার রাগ মুখে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে।তুলি নিজেকে সামলে বলল,

‘কারো ভালোর জন্যে একবার মিথ্যা বললে আল্লাহ গোনাহ দেন না।’

শুভ্র এবার রাগলো।
মেয়েটা তো ভারী বেয়াদব। কথায় কথায় কেমন চোখ রাঙাচ্ছে। শুভ্রকে চোখ রাঙায়? এ মেয়ের সাহস দেখে অবাক শুভ্র। নিজে বিয়ে করতে চাইছে না। আর দোষ চাপাতে চাইছে শুভ্রর উপর।শুভ্র রেগে বললো,

‘তুমি ভীষণ বেয়াদব একজন মেয়ে। নিজেকে শোধরাতে পারলে তবেই বিয়েতে বসবেন। আমি কারণ হিসেবে কী বলবো আমার ভাবা হয়ে গেছে।’

কথাটা বলে শুভ্র চলে আসতে নিচ্ছিলো।

তুলি আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাবে, তার আগেই নিজেই নিজের শাড়ির কুচিতে পা বেজে পরে যেতে নিচ্ছিলো। তবে ধরে ফেললো শুভ্র।
ভয় পেয়ে তুলি চোখ খিঁচে শুভ্রর গলা জড়িয়ে ধরেছে। শুভ্র খানিক পর হুঁশে ফিরলো। ধরেছে কোথায়? সোজা তুলির উন্মুক্ত কোমরে।
শুভ্র হাতে ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ পেতেই তাকালো। তুলির কোমরে নিজের হাত দেখে সঙ্গেসঙ্গে ছিটকে সরে দাঁড়ালো। তুলি নিজেকে ঠিকঠাক করে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। ঘটনাটা দুজনের জন্যই অস্বস্তিকর অবশ্যই।

শুভ্র চশমা ঠিক করে বললো,

‘আম সরি। সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই অনিচ্ছাকৃত! পরেরবার-‘

তুলি সঙ্গেসঙ্গে লজ্জায়-অস্বতিতে দৌড়ে ছুটে গেলো নিচে। শুভ্র থমকে গেলো। তুলি এভাবে দৌড়ালো কেনো? লজ্জা পেল? নাকি শুভ্রকে পুরুষরূপী পশু ভাবল? ভাবল কী শুভ্র সুযোগ নিয়েছে? ছিঃ, ছিঃ। শুভ্র নিজের ছাত্রীর সঙ্গে এমন কিছু করার কল্পনাই করবে না কখনো। শুভ্রর এতটাও খারাপ দিন আসেনি।

শুভ্র তারপর চশমা শার্টের আস্তিন দিয়ে ভালো করে মুছে আবার চোখে পরে নিয়ে ধীরেসুস্থে নিচে নামলো।

নিচে নেমেই দেখা গেলো তুলি বসে আছে সবার সামনে। শুভ্রর মা তুলিকে নিজের আনা মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন। পাশেই তুলির মা শুভ্রর মায়ের সঙ্গে রাজ্যের খাতিরদারির আলাপ জমিয়েছেন। শুভ্র গিয়ে মায়ের পাশে বসলো। তারপর মায়ের এক হাত চেপে ধরলো। শুভ্রর মা ছেলের দিকে তাকালেন। তুলি শুভ্রকে দেখে আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকলো কিছুক্ষণ। পরেই কাজের বাহানা দিয়ে ছুটে পালালো সেখান থেকে। শুভ্র মায়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,

‘আম্মু, আমার এই বিয়ে নিয়ে কথা আছে তোমার সঙ্গে। আমরা আপাতত বাসায় যাই?’

শুভ্রর মা মুহূর্তেই ধরে ফেলেন ছেলের মনের খবর। মিষ্টির প্লেট টেবিলে রেখে ছেলের দিকে ঝুঁকে এসে ফিসফিস করে বললেন,

‘খবরদার শুভ্র। বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করলে তোকে আমি মে রে মে রে ভর্তা বানিয়ে দিবো। আমার ছোটবেলার শখ, আমার প্রিয় বান্ধুবির মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা করবো। আজ যখন সুযোগ এসেছে, আমি এটা কোনভাবেই যেতে দিচ্ছি না। তুই বিয়ে করবি আর তুলিকেই করবি। যা এখন আমার সামনে থেকে। ড্রাইভারকে গাড়ি বের করতে বল। আমাদের কথাবার্তা শেষ।’

শুভ্র মায়ের ধ মকি-হু মকি শুনে একটা ঢোক গিলে। বরাবরই মায়ের মুখের কথা তার কাছে বেদবাক্যের ন্যায়। মায়ের মুখের উপর কেন যেন শুভ্র না করতে পারে না। এতবড় হয়ে গেছে, একটা সনামধন্য মেডিকেল কলেজে চাকরি করছে। কত ডাক্তার তার আগেপিছে ঘুরে।আর সেই শুভ্র তার মায়ের কথায় রীতিমত উঠবস করে। মায়ের সামান্য অসুস্থতায় অস্থির হয়ে যায় শুভ্র, অথচ এই হাতে কত ক্রিটিকাল রোগী অবলীলায় সামলিয়েছে সে।

মায়ের প্রতি তার এই দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে শুভ্রর বাবা মা রা যাবার পর। বাবা মা রা যাওয়ার পর শুভ্রর মা একদম একা হয়ে যান, চুপচাপ থাকতে শুরু করেন। শুভ্র তখন ছোটো এক ১২ বছরের বাচ্চা। মাকে হাসতে দেখতে তার ইচ্ছে হতো। তাই তারপর থেকেই শুভ্র মায়ের আশেপাশে ঘুরঘুর করতো। মায়ের সুবিধা অসুবিধার দিকে সেই ছোট্ট থেকে শুভ্রর নজর।
ছোট্ট শুভ্র তখন থেকেই বড্ড দায়িত্ববান, মায়ের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠে।

শুভ্রকে বিদায় দেওয়ার জন্যে তুলিকে আলাদা ভাবে বলা হলো। শুভ্র গাড়িতে উঠবে। তুলি এসে দাঁড়ালো শুভ্রর পাশে। শুভ্র তাকালে, তুলি বলল,

‘সরি স্যার। উল্টাপাল্টা বলার জন্যে। ভাইভা টেবিলে প্লিজ এসব কিছু মনে রাখবেন না।’

শুভ্র চশমা সোজা করলো। তারপরও আড়চোখে বান্ধবির সঙ্গে গল্প করা আম্মুর দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,

‘চাইলেও মনে রাখা যাবে না। আমাদের আজকে দেখা হওয়াটা মেডিকেল কলেজ অব্দি যেনো না আসে। ওটা আমার কাজের জায়গা, আর তোমার শেখার জায়গা। আমি চাইনা, আমাদের দুজনের লাইফে আজকের ঘটনাটা প্রভাব ফেলুক। ক্লাসে আমরা অচেনা হয়ে থাকবো!আই থিঙ্ক ইউ গট ইট।’

তুলি মাথা নাড়লো বাধ্য মেয়ের ন্যায়। শুভ্র ডাকলো,

‘আম্মু দেরি হচ্ছে আমাদের। চলো।’

শুভ্রর মা গলা জড়িয়ে কোলাকুলি করলেন বান্ধুবির সঙ্গে। একটু এগিয়ে এসে তুলিকেও জড়িয়ে ধরলেন। কপালে চুমু খেয়ে দরদ মাখা গলায় বললেন,

‘দ্রুত আমার ঘরে মেয়ে হয় আয়। দুজন মিলে এই শুভ্র-ফুভ্র কে একদম সোজা করে ফেলবো। একদম ডান্ডা মেরে ঠান্ডা।’

তুলি অপ্রস্তুত হয়ে আড়চোখে শুভ্রর দিকে তাকালো। তুলি মারবে ডান্ডা, তাও শুভ্র স্যারকে। এর আগে নিজেই না অজ্ঞান হয়ে যায়। শুভ্র খুব স্বাভাবিক হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। বললো সে,

‘আমার চৌদ্দগুষ্টি পরে উদ্ধার করো আম্মু। আমার দেরি হচ্ছে, কালকে আমার মেডিকেল আছে কিন্তু। তুমি আমার চাকরি খাবে, আম্মু।’

শুভ্রর মা হালকা হেসে তুলির দিকে তাকালেন। মুখ ভেঙ্গিয়ে বললেন,

‘জ্বালিয়ে ছারখার করছে ছোট থেকেই। তুই এলেই এবার আমার রক্ষা। আজকে আসি তাহলে।’

তুলি হালকা হেসে তাদের বিদায় দিলো। শুভ্র যাবার আগে তুলিকে ভালোভাবে একবার দেখে নিলো। মেয়েটার প্রতি তেমন আকর্ষণ বোধ করছে না শুভ্র। কী ভাবে এই মেয়ের সঙ্গে ভবিষ্যতে সে সংসার করবে কে জানে।

#অ্যারেঞ্জ_ম্যারেজ
#সূচনা_পর্ব

এই পর্বে ৮০০ রিয়েক্ট আসলে, নেক্সট পর্ব আগামীকাল আসবে। চ্যালেঞ্জ পূর্ণ হবে? দেখি তাহলে।
গল্প রেগুলার আপনার নিউজফিডে পেতে আমার এই পেইজ ফলো দিয়ে রাখুন ঝটপট।ভালো থাকবেন।

Address

DHAKA
Kazipara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Patro chai patri chai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Patro Patri Online Serching

We are Provide High Quality Of service.

Call +880197645316

or inbox US

Nearby event planning services