Kushtia Kazi Office

Kushtia Kazi Office
Our Service.
1. Marriage & Divorce Registration.
2. Marriage Certificate Provide.

কাজী অফিস গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান।
মুসলিম বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত সকল প্রকার নিবন্ধন, বাংলা ও ইংরেজী কাবিন নামা তালাক নামা, ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রদান সহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
নামঃ মৃত মোঃ মোজাম্মেল হক।

যোগাযোগঃ
ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান।
ফোনঃ “০১৭-২১৫৬১৩০৭”

06/02/2024
বিয়ে নিয়ে অপ্রিয় কিছু সত্য কথা........জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এই তিনটি বিষয় নিয়ে নাকি মানুষের জীবন। তবে জন্ম ও মৃত্যু নিয়ে মানু...
14/04/2023

বিয়ে নিয়ে অপ্রিয় কিছু সত্য কথা........

জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এই তিনটি বিষয় নিয়ে নাকি মানুষের জীবন। তবে জন্ম ও মৃত্যু নিয়ে মানুষ যতটা না ভাবে, বিয়ে নিয়ে তারও অধিক ভেবে থাকে। আর এই বিয়ে বা বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে একেকজনের ভাবনা একেক রকম। কেউ বিয়ে বিষয়টা ইতিবাচক হিসেবে দেখে কেউ বা নেতিবাচক। বিয়েটা কারো কাছে ভয়ের কারণ, আবার কারো কাছে উপভোগ্য। সবকিছুই নির্ভর করছে বিয়ের সম্পর্কটির ব্যাপারে কে কতটা শ্রদ্ধাশীল, দায়িত্বশীল এর ওপর। তাই বিবাহিত জীবন কেমন হবে তা নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রী দুজনের ওপর। তবে তাদের অবশ্যই জানতে হবে বিয়ে নিয়ে কিছু অপ্রিয় সত্য কথা।

বিয়ে নিঃশর্ত ভালোবাসার নিশ্চয়তা দেয় নাঃ

মানুষ ২৪ ঘণ্টাই একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করে না। কিছু সময় থাকে যখন ভালোবাসা উপলব্ধি করা যায় না। কেননা, তখন হয়তো ভালোবাসা উপলব্ধি করার সময় নয়। এটাই বিয়ে, ভালোবাসা নয়। তবু তারা বিবাহিত।

বিয়ে সব সমস্যা সমাধান করবে নাঃ

কিছু দম্পতি অনেক সময়ই মনে করে বিয়ের পর অন্য ব্যক্তিরা তাদের সব সমস্যা ঠিক করে দেবে, তাদের সুখী করবে, পুরোপুরি সমর্থন যোগাবে, তাদের সব কাজ উপভোগ করবে এবং নিঃশর্ত ভালোবাসা দেবে এটি একদমই ভুল ধারণা। আর আপনি যদি এসব বিশ্বাস করে বিয়েতে জড়ান তাহলে মনে রাখবেন আপনার জন্য কষ্ট অপেক্ষা করছে।

স্বাভাবিক বিয়ে বলতে কিছু নেইঃ

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কোনটা ভালো, কোনটা স্বাভাবিক, কোনটা গ্রহণযোগ্য বা নয় তা বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ মানদণ্ড বলতে কিছু নেই। বিয়ের পর কী করা উচিত, কী উচিত নয় তা কেউই বলে দিতে পারে না। এটাই পুরোই আপনার দায়িত্ব কীভাবে বিবাহিত সম্পর্কটা রক্ষা করবেন বা চালিয়ে নিবেন। কারো কাছ থেকেই আপনি এ বিষয়ে সঠিক উত্তর পাবেন না। তাই জানতে না চাওয়াটাই ভালো।

বিবাহিত সম্পর্ককে সফল করতে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজনঃ

একটি বিবাহিত সম্পর্ক উন্নয়নে বন্ধু এবং পরিবারের বিশেষ সমর্থনের দরকার রয়েছে। একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সফল করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারো না কারো হস্তক্ষেপের দরকার হয়। সবসময় নিজেদের ব্যপারে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে নেই।

ত্যাগ বা ছাড় দেয়া গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ

ভালোবাসা কিংবা বিবাহিত যে সম্পর্কই হোক না কেনো ত্যাগ বা ছাড় দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আবার ত্যাগ বা ছাড় দেয়া কোনো কাজে দেবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না বিবাহিত সম্পর্কটি আপনার কাছে গুরুত্ব না পাচ্ছে। আপনি কখন ঝগড়া করবেন, কখন চুপ থাকবেন এটা বোঝাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

14/04/2023

আমাদের সেবাসূহ:
♦ বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রেশন
♦ জটিল বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত ব্যাপারে সমাধান ও সৌজন্যমূলক পরামর্শদান
♦ দেশ-বিদেশ ভ্রমণের জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়
♦ বিদেশে ইমিগ্রেশন বা সিটিজেনশীপের জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রদান
♦ ভিন্ন ধর্মের লোকদের বিয়ে ও তালাকের ব্যাপারে পরামর্শ ও ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়
♦ যারা শুধু পূর্বে শরীয়া অনুযায়ী বিয়ে করেছেন কিন্তু সরকারী কাজী অফিসে বিবাহ রেজিস্ট্রি করেননি, তাদের জন্য নতুন করে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন এবং সার্টিফিকেট প্রদান
♦ যারা ম্যারেজ ও ডিভোর্স ডকুম্যান্ট হারিয়ে ফেলেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন তাদের জন্য ম্যারেজ ও ডিভোর্স ডকুমেন্ট রি-ইস্যুকরন।
♦ ম্যারেজ সার্টিফিকেটের বাংলা, ইংরেজি অনুবাদ, স্টাম্পিং এবং বিশেষ প্রয়োজনে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করা হয়।

14/04/2023

বিলম্বে বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি।
১. বর্তমানে তরুণ তরুণীদের প্রায় ৮০% শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মূলে আছে ‘বিলম্বিত বিবাহ’। বিয়ে পড়ালেখার জন্য অন্তরায় এই ভুল চিন্তা সমাজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে বিয়ে লেখাপড়ার অন্তরায় হতে পারে। সেটা কাটিয়ে ওঠার নানা উপায় আছে।
২. লেখাপড়ার ক্ষতির কথা বিবেচনা করে, বিয়ে পিছিয়ে দিলে ঈমান-আমল, শরীরমন, সমাজ ও উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়, সে তুলনায় লেখাপড়ার ক্ষতির অজুহাত নিতান্তই ঠুনকো।
৩. মেয়ের বাবা মেয়ে উপযুক্ত হওয়ার সাথে সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেললে কী এমন ক্ষতি? এমন পাত্রের কি অভাব আছে, মেয়ে লেখাপড়া শেষ করা পর্যন্ত মা-বাবার সাথেই থাকবে, এই শর্তে রাজি হবে না? এখনো পড়াশোনা করছে, এমন পাত্র বাছাই করলে কিই বা এমন ক্ষতি? মেয়ে তো ঘরেই আছে, জামাই মাঝেমধ্যে আসবে। সম্ভব হলে জামাইকেও মেয়ের সাথে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করলে, খুব বেশি সমস্যা হবে? আরেকজনের জন্য একমুঠ চাল বাড়িয়ে দিলেই হল।
৪. ছেলের পক্ষে সবসময় থাকা সম্ভব না হলে, সে মাঝেমধ্যে আসবে। মেয়ের লেখাপড়াও হল, একজন মুমিন পিতার কর্তব্যও পালন করা হল। বিয়ের পর মায়ের সাথে কিছুদিন থাকার কারণে মেয়েটাও মায়ের কাছে সংসারধর্ম হাতেকলমে শিখতে পারল। বিয়ের প্রথম দিনগুলোতে শ্বশুরবাড়িতে নিজের অনভিজ্ঞতা, শাশুড়ি-ননদের ক্ষুদ্রতার কারণে যেসব সমস্যা হয়, সেগুলো থেকেও বাঁচা গেল।

14/04/2023

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)
পরিস্থিতি যেমনই হোক, ডিভোর্স কখনো সুখ দেয়না!!
কমপক্ষে কোন মেয়ে সুখী হতে পারে না।
এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনী😭
জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।
আমি ঊনিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল আমার পছন্দে। সংসারও টিকে ছিল দের বছর। আমাদের একটা ছেলেও আছে, ওর বয়স এক বছর।
আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু জেদি । অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ জেদের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।
সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার ছোট বোন তো রীতিমত অপমান করত!
আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”
নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।
ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।
একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!
এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।
আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।
আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।
ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।
ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?
আমার বাবা মা আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।
কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।
এর পরের কয়েক মাস ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!
আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।
এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো।মা বাবা মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের ছেলেকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।
আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।
ও আবারও বিয়ে করেছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।
এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার মা বাবাকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!
মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।
আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছ কিন্তু ছোট্ট ভুলে সব শেষ হয়ে গেছে তাই দোয়া করি আর কারো সাথে যেন এমন না হয়।

14/04/2023

কেউ খাবার যোগাতে কাজের সন্ধানে দৌড়াচ্ছে, আবার কেউ অতিরিক্ত খেয়ে, খাবার হজমের জন্য দৌড়াচ্ছে.
গভীর রাতে কারো পাজেরো গাড়ি থামছে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে!
কেউ ভাঙা ঘরে থেকেও স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত সুখের স্বপ্ন বুনছে!
কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি!! কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে.
কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে. কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!
কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা!
কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে.
কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! কেউ আবার হিমেল হাওয়ায়,রাস্তায়,ওভার ব্রিজে অঘোরে ঘুমোচ্ছে.
কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে করছেনা.
কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!
কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো?
কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে.
সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি...!
তবে শেষ ঠিকানা সাড়ে তিন হাত মাটি।

14/04/2023

শেক্সপিয়র বলেছিলেন , "একজন ছেলে কখনো একজন মেয়ের বন্ধু হতে পারে না, কারণ এখানে আবেগ আছে , দৈহিক আকাঙ্খা আছে । "একই কথা বলেছেন আইরিশ কবি Oscar Wilde. "নারী এবং পুরুষের মাঝে কেবলই বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা অসম্ভব । যা থাকতে পারে তা হলো আকাঙ্খা, দুর্বলতা, ঘৃণা কিংবা ভালোবাসা।"। বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে ঢোকা একটা ভন্ডামী।শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। সবশেষ পরিনতি পরকীয়া।
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন , "ছেলে আর মেয়ে বন্ধু হতে পারে কিন্ত তারা অবশ্যই প্রেমে পড়বে । হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য অথবা ভুল সময়ে । কিংবা খুবই দেরিতে , আর না হয় সব সময়ের জন্য । তবে প্রেমে তারা পড়বেই । শুধুই সুযোগের অপেক্ষা।
সত্যি বলতে, ছেলে ও মেয়েতে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব অসম্ভব ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ । কেননা শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হলে প্রকৃতি নিজের অস্তিত্ব হারাবে। চুম্বক আর লোহা কখনো পাশাপাশি থাকতে পারে না। আকৃষ্ট করবেই। যদি কেউ তা এড়িয়ে যায় তবে সে ভণ্ডামি করছে নয়তো ধোঁকা দিচ্ছে ।
আগুনের পাশে মোম গলবেই। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুত্ব হতে পারে , কিন্তু একসময় প্রেমে বা অবৈধ সম্পর্কে রুপ নিবেই। শুধুই সুযোগের অপেক্ষা। আর এটাই স্বাভাবিক ।
তবে তাদের এই মন্তব্য গুলোকে জোরালো ভাবে সমর্থন দিচ্ছে Flirtationship যার অর্থ হচ্ছে ছিনালি করা। কড়া ভাষায় বলতে গেলে নোংরামি করা বা সেক্স্যুয়াল এট্রাকশন । বিগত কয়েক বছর আগেও আমরা ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্বকে শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে দেখতাম অনেকটা ভাই-বোনের মতো । কিন্তু বর্তমান সময়ে তা অনেকটা এগিয়ে Friendship থেকে Flirtationship এ রূপ নিয়েছে আর এটা পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির দর্শন থেকে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বর্তমান সময়ে গার্ল ফ্রেন্ড, বয় ফ্রেন্ড সম্পর্ক থেকে এটাই বেশী জনপ্রিয় এর কারন হচ্ছে এতে কারো প্রতি কারো কোনরূপ দায়বদ্ধতা থাকে না, কোন কমিটমেন্ট থাকে না। স্বাধীনভাবে উভয়ই দৈহিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে নিচ্ছে । আর এটা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারন হতে পারে । যেহেতু বাংলাদেশ প্রথাগতভাবে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ। পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির আকর্ষন আর নিজেকে আধুনিক হিসেবে জাহির করার মনোভাব এর হাতিয়ার । তাই অভিবাবকদের এখনি যদি সতর্ক না হয়, তবে আমরা ওই সাংস্কৃতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি যখন একটা ছেলে কিংবা মেয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না তার বাবা-মা কে !
তাই লক্ষ্য রাখুন আপনার বোন কিংবা মেয়ে , স্বামী কিংবা স্ত্রী , ভাই কিংবা ছেলে কাদের সাথে মিশছে ! সঙ্গ এইখানে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন।
সংগৃহীত

14/04/2023

রমাদানে শয়তান
শেকলবন্দী থাকলেও
নফস
কিন্তু মুক্ত!
সুতরাং নফসের হেফাজত করুন।

মনে রেখআল্লাহ যেমনতোমার দেহেরমালিকতেমন অন্তরেরও মালিকতাই তোমার অন্তর যা চায় তাই করার সুযোগ কিন্তু নেই.
14/04/2023

মনে রেখ
আল্লাহ যেমন
তোমার দেহের
মালিক
তেমন অন্তরেরও মালিক
তাই তোমার অন্তর যা চায় তাই করার সুযোগ কিন্তু নেই.

14/04/2023

বিয়ের আগে যে ১০টি বিষয়
না জানলেই নয়!
কিছু মেয়েরা বিয়ের আগে অনেক অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও বিয়ের সময় একদম ভদ্র হয়ে যায়। কেউ কেউ হঠাৎ করে পর্দা শুরু করে। এমতাবস্থায় সেই মেয়ের চারিত্রিক অবস্থা যাচাই করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ কেউ তো আর কারোর চেহারা দেখে অতীত জানতে পারে না!

এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আপনাকে জানতেই হবে:

১. মেয়ের দ্বীনদারী। দ্বীন পালন সম্পর্কে মেয়ের ধ্যানধারণা ও চিন্তাভাবনা।

২. মেয়ের লাইফস্টাইল। সে কি রকম জীবন-যাপন পছন্দ করে, বিলাসিতা, বেশি বেশি শপিং, বাহিরে ঘুরাঘুরি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা এই বিষয়গুলোর প্রবনতা কতটুকু?

৩. মেয়ে তার অবসর সময় কিভাবে ব্যয় করছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া। নাটক, ভারতীয় সিরিয়াল, মুভি-সিনেমা ইত্যাদির প্রতি প্রবনতা কতটুকু?

৪. চেষ্টা করবেন মেয়ের বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী ও যাদের সাথে মেলামেশা করে তাদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়া এবং সেটা যেন বিশ্বস্ত সূত্রে হয়ে থাকে। মেয়ে সম্পর্কে জানার জন্য এটা আপনাকে খুব বেশি কাজে দিবে।

৫. মেয়ের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সম্পর্কে জানা।

৬. বিশেষ করে মেয়ের মায়ের সম্পর্কে জানা।

এক্ষেত্রে যে ৫টি বিষয় আপনাকে জানতে হবে:

★ পরিবারে মেয়ের মায়ের ভূমিকা কতটুকু?
★ মেয়ের মা সাংসারিক কিনা?
★ সংসারের কতৃত্ব মেয়ের মায়ের হাতে কিনা?
★ তাদের বাড়ি-সম্পত্তি সব মেয়ের মায়ের নামে কিনা?
★ মেয়ের মা অবসর সময়ে ভারতীয় সিরিয়ালে অভ্যস্ত কিনা?

৭. তারপর জেনে নিবেন মেয়ের বোনের সম্পর্কে। যদি মেয়ের কোন বড় বোন থাকে তাহলে বিষয়টা আরও সহজ হয়ে গেল। মেয়ের বোনের সম্পর্কে তিনটি বিষয় জেনে নিবেন:

★ তার স্বভাব-চরিত্র, মন-মানসিকতা।
★ স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবস্থা, তার সঙ্গে একসাথে থাকে নাকি আলাদা থাকে? আলাদা হলে তার পিছনের কারণ?
★ তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে সম্পর্ক কেমন?

৮. মেয়ের বাবার পেশা এবং তার ইনকাম সোর্স সম্পর্কে জানতে হবে।

৯. মেয়ের পরিবার অধার্মিক কিনা?

১০. মেয়ের অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের সাথে তাদের সম্পর্ক ও যোগাযোগ কতটুকু? যেমন: চাচা, ফুফু ও মামা, খালা।

14/04/2023

একটি মেয়েকে ইসলাম যে সম্মান দিয়েছে
যখন সে একজন মেয়েঃ
সে তার পিতার জন্য জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত করে।
যখন সে একজন বোনঃ
সে তার ভাইয়ের জন্য জান্নাতে যাওয়ার উসিলা হয়।
যখন সে একজন স্ত্রীঃ
সে তার স্বামীর অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে।
যখন সে একজম মাঃ
জান্নাত তখন তার পায়ের নিকট অবস্থান করে।

14/04/2023

ধন্য সেই ব্যক্তি,
যিনি সত্যিকারের
বন্ধুকে খুঁজে পান
এবং যে ব্যক্তি
তার স্ত্রীর মধ্যে
সত্যিকারের বন্ধুটি
খুঁজে পান, তিনি
আরও সুখী।
- ফ্রান্জ শোবার্ট

14/04/2023

বিবাহিত জীবনে স্মার্ট পার্টনারের চেয়ে একজন ভালো মানুষ প্রয়োজন, যাতে নিজের জীবনে মানসিক শান্তি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
শুধু স্মার্ট পার্টনার এবং লাক্সারিয়াস লাইফ পেলেই একজন মানুষ কখনও সুখী জীবনের অধিকারী হতে পারেনা; অর্থাৎ তার জীবন কখনও পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারেনা। তার দরকার পড়ে এমন একজন মানুষের, যে কিনা তার মানসিক শান্তির কারণ হবে, যার কাঁধে মাথা রেখে নিজের জীবনের অভিশপ্ত অধ্যায়টা শোনানো যাবে পরম নির্ভরতায়।
আর যার ভাগ্যে মানসিক শান্তি দেওয়া এই মানুষটা জুটে যায়, সে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবান/ভাগ্যবতী মানুষ। সে প্রায় সবকিছুতেই তখন সুখ খুঁজে পায়; আর সে সুখের কখনও কোনো তুলনা হয় না। অন্যদিকে মানসিক অশান্তির চাপে পড়লে আপনি যতই স্মার্ট মানুষের হাত জাপ্টে থাকুন না কেন কিংবা যতই কোনো লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করুন না কেন, আপনি তখন কোনোকিছুতেই সেই কাঙ্ক্ষিত সুখটি খুঁজে পাবেন না। মানসিক শান্তি ছাড়া তখন আপনার এই জীবন অভিশপ্ত হয়ে পড়বে।

মুসলিম বিবাহ ঘরে আপনাদের সকলের আগমন আমাদের কামনীয়💝💝
14/04/2023

মুসলিম বিবাহ ঘরে আপনাদের সকলের আগমন আমাদের কামনীয়💝💝

কিছু পবিত্র সিদ্ধান্ত জীবন কে সুন্দরতম করে তোলে💖💖
14/04/2023

কিছু পবিত্র সিদ্ধান্ত জীবন কে সুন্দরতম করে তোলে💖💖

14/04/2023

যেকোনো দরকারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন মেসেজ এর মাধ্যমে 😊।।।অথবা নাম্বার এ কল দিতে পারেন,,ধন্যবাদ 💛
নামঃ মৃত কাজী মাওলানা মোঃ মোজাম্মেল হক।
যোগাযোগঃ
ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান।
ফোনঃ “০১৭-২১৫৬১৩০৭”

Send a message to learn more

Address

ওয়ার্ড নং ০৪, ০৫, ০৬ ঠিকানাঃ হাউজিং এস্ট্রেট, ডি-ব্লক, বাসাঃ ৪৫৮। পোঃ ও জেলাঃ কুষ্টিয়া ৭০০০ ।
Kushtia
7000

Telephone

+8801721561307

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kushtia Kazi Office posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kushtia Kazi Office:

Share


Other Wedding planning in Kushtia

Show All