Barua Simantha

  • Home
  • Barua Simantha

Barua Simantha Hi everyOne! Greetings. Only one reason is that to open this page is all about yours love and affec
(3)

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন?ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালোবর্গী এল দেশেবুলবুলিতে ধান খেয়েছেখাজনা দেব কি...
20/09/2024

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন?

ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো
বর্গী এল দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কিসে।।
ধান ফুরল, পান ফুরল
খাজনার উপায় কি?
আর ক’টা দিন সবুর কর
রসুন বুনেছি।।
ধনিয়া পিয়াজ গেছে পচে
সর্ষে ক্ষেতে জল
খরা-বন্যায় শেষ করিল
বর্ষ এর ফসল।
ধানের গোলা, চালের ঝুড়ি
সব শুধু খালি
ছিন্ন কাপড় জড়িয়ে গায়ে
শত শত তালি
ধানের গাছ, বিলের মাছ
যাই কিছু ছিল
নদীর টানে বাঁধটি ভেঙ্গে
সবই ভেসে গেল।
এ বারেতে পাঁচ গাঁয়েতে
দিয়েছি আলুর সার
আর কটা দিন সবুর করো
মশাই জমিদার।

শৈশব কালে আমাদের মা-খালা, দাদী-নানীরা প্রায় এই ছড়াটা শুনিয়ে ঘুম পারাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো? আমাদের সাথে বর্গীদের কি সম্পর্ক?

অষ্টাদশ শতাব্দীর লুটতরাজপ্রিয় অশ্বারোহী মারাঠা সৈন্যদলের নাম ‘বর্গি’। বাংলাদেশের পশ্চিমের নানান স্থানে প্রতি বছর প্রায় নিয়মকরেই একটা নির্দিষ্ট সময় (১৭৪১ – ১৭৫১) পর্যন্ত মারাঠাদের কিছু সংঘবদ্ধ লুটেরা এদেশে এসে লুটপাট করতো, সৃষ্টি করতো বিশৃঙ্খলার। লুট করে নিতো খেতের ফসল। ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিতো, হত্যা করতো নিরীহ মানুষ। এইসব লুটেরাদেরকেই বাংলার মানুষজন বর্গী বলে ডাকতো। বর্গিহানা এই সময় একপ্রকার বাৎসরিক ঘটনায় পরিণত হয়েছিল।

মারাঠি ধনগর জাতীয় লোকেরা অভিযানে যাওয়ার সময় কেবলমাত্র একটি সাত হাত লম্বা কম্বল ও বর্শা নিয়ে বের হত। এই বর্শাকে মারাঠি ভাষায় বলা হত ‘বরচি’। এই নাম থেকেই ধনগররা বারগির বা বর্গা ধনগর বা বর্গি নামে পরিচিত হয়। বর্গি শব্দটি মারাঠি বারগির শব্দের অপভ্রংশ। বারগির বলতে মারাঠা সাম্রাজ্যের সেই সব অশ্বারোহীদের বোঝাত। এরা ছিল ধনগর জাতীয় এবং মারাঠা নেতা ছত্রপতি শিভাজী মারাঠী প্রশাসন কর্তৃক এদের ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করা হত। মারাঠারা প্রধানত ভারতের মহারাষ্ট্রের অধিবাসী হলেও তারা ভারতবর্ষের গোয়া গুজরাট কর্নাটক অন্ধ্রপ্রদেশ তামিলনাড়ু– ও মধ্য প্রদেশেও বাস করে। সনাতন ধর্মের অনুসারী মারাঠারা মুগল আমলে ছিল ক্ষত্রিয় যোদ্ধা।

মারাঠাদের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন ছত্রপতি শিবাজী (১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬২৭-এপ্রিল ৩, ১৬৮০); তিনিই ১৬৭৪ সালে মহারাষ্ট্রের মারাঠী সাম্রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । মারাঠী সাম্রাজ্য রাজধানী ছিল মহারাষ্ট্রের রাইগাড। ১৮১৮ অবধি মারাঠী সাম্রাজ্যটি টিকে ছিল। মারাঠী সাম্রাজ্য পতনের কারণ ভারতবর্ষে নতুন শক্তির আগ্রাসন।

মুগল সম্রাট আওরঙ্গজেব (নভেম্বর ৪, ১৬১৮-মার্চ ৩, ১৭০৭) সম্রাটের দক্ষিণ ভারতের সামরিক অভিযানের সময় মারাঠা সাম্রাজ্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে, যার ফলে মারাঠারা মুগল শাসনের প্রতি বিক্ষুব্দ হয়ে উঠে। যেহেতু মুগল আমলে মারাঠারা ছিল হিন্দু ক্ষত্রিয় যোদ্ধা সুতরাং সম্রাট আওরঙ্গজেব মনসব পদ দিয়ে মারাঠা সৈন্যদের মুগল সেনাবাহিনীতে অর্ন্তভূক্ত করে মারাঠাদের রোষ প্রশমিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে তেমন কোনো লাভ হয়নি। কিছু কিছু মারাঠা সেনাপতি সম্রাট আওরঙ্গজেব-এর অনুগত থাকলেও বেশির ভাগ মারাঠা সৈন্যই রোষবশত ভারতবর্ষে মুগল শাসিত প্রদেশগুলিতে লুঠপাঠ আরম্ভ করে। রোষের শিকার মুগল শাসিত প্রদেশগুলিতে সুবা বাংলা ছিল অন্যতম।

বাংলা মুগলশাসিত প্রদেশ বলেই ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত বার বার বাংলায় বর্গীদের আক্রমন সংঘটিত হতে থাকে। নওয়াব আলীবর্দী খান ১৭৪০ সালে বাংলার নওয়াব নিযুক্ত হন। ১৭৪২ সালের ১৫ এপ্রিল বর্গীরা বর্ধমান (বর্তমান পশ্চিম বাংলা) আক্রমন করে। জরুরি সংবাদ পেয়ে নওয়াব আলীবর্দী খান সসৈন্য বর্ধমানের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। বর্গীদের নেতা ছিল ভাস্কর পন্ডিত, তার নির্দেশে বর্গীরা নওয়াব-এর রসদ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ২৬ এপ্রিল বর্গী বেষ্টনী ছিন্ন করে কোনওমতে প্রাণে বাঁচেন নওয়াব ।
৬ মে, ১৭৪২। মুর্শিদাবাদের দ্বারপ্রান্তে সশস্ত্র বর্গীরা এসে উপনীত হল। নওয়াব আলীবর্দী খান সে সময় মুর্শিদাবাদে ছিলেন না। নির্মম বর্গীরা মুর্শিদাবাদ নগরের বড় একটি বাজার পুড়িয়ে দেয়। এবং এভাবে বর্গীদের নির্বিকার ধ্বংসযজ্ঞ বাংলার মানসে চিরতরে প্রোথিত হতে থাকে: যে রুদ্ধশ্বাস অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছিল মনোরম বিষন্ন একটি ছড়ার আকারে ...

খোকা ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো
বর্গী এল দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কীসে?

মুর্শিদাবাদ নগরে জগৎ শেঠ নামে এক ধনী সওদাগর বাস করতেন । বর্গীরা তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আদায় করে নেয়। পরের দিনই, অর্থাৎ ৭ মে নওয়াব আলীবর্দী খান মুর্শিদাবাদ উপস্থিত হন। ততক্ষণে মুর্শিদাবাদের অনেকটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে বর্গীরা আরও দক্ষিণে পালিয়ে গেছে ।
১৭৪২ সালের জুলাই মাসে, অর্থাৎ মুর্শিদাবাদ আক্রমনের ২ মাস পর হুগলি জেলায় বর্গীরা একটি সৈন্য শিবির স্থাপন করে এবং খাজনা আদায় করতে লাগল। (‘বুলবুলিতে ধান খেয়েছে’-এই লাইনটি একটি বিশেষ সময়ের প্রতীক। বাঙালির রসিক মনের গূঢ়তম অভিব্যাক্তি ...)

সপ্তদশ ও অস্টাদশ শতকে বাংলার রেশমি কাপড়ের আড়ংগুলি (আড়ং শব্দটা ফারসি। আড়ং বলতে বড় আকারের বাজারকে বোঝায়) ছিল জমজমাট। বর্গী আক্রমনে আড়ংগুলি লোকশূন্য হয়ে পড়ে, আড়ংগুলি খাঁ খাঁ করতে থাকে। বাংলার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়তে থাকে। বাংলাজুড়ে খাদ্যশস্যের অভাব দেখা দেয়, ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। যা হোক। বর্গীরা চৌথ আদায় করতে থাকে এবং পুবের যশোর জেলা অবধি বর্গীদের খাজনা আদায় ক্রমেই সম্প্রসারিত হতে থাকে। বর্গীদের নির্মম অত্যাচারে বহু লোক ভিটেমাটির মায়া ত্যাগ করে গঙ্গার পূর্বাঞ্চলে ( বর্তমান বাংলাদেশে) চলে আসে। পূর্বাঞ্চলের বাঙালিরাও বর্গী লুন্ঠনের শিকার হয়।

বাংলাপিডিয়ায় মোহাম্মদ শাহ লিখেছেন, ‘ঘন ঘন মারাঠা হামলা বাংলাকে মহাবিপর্যয়ে নিপতিত করে। বাংলার জনগনের জন্য এটা এতটাই ধ্বংস আর দুঃখ বয়ে আনে যে, মারাঠা বর্গীদের হামলার ভীতিকর গল্প বাংলার শিশুদের ঘুমপাড়ানি গানে বিশেষ স্থান অধিকার করে। এর সাথে অজন্মা ও খরা মিলে বাংলার অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। মারাঠা হানাদাররা লুন্ঠন, অগ্নি সংযোগ ও হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলার জনগনের মনে এমনি ত্রাসের সঞ্চার করেছিল যে, বহুলোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে গঙ্গার পূর্বদিকের জেলাগুলিতে পালিয়ে যায়। এতে উক্ত এলাকার জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি পেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে। মূল এই অর্থনৈতিক সংকটই পরবর্তী সময়ে বাংলার নওয়াবকে বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত করে।’
বাংলার ইতিহাসে মীর জাফরের আগেও মীর হাবিব নামে বাংলায় আরও একজন বিশ্বাসঘাতক ছিল! পারস্য সেই অভিজাতটি এক সময় নওয়াব আলীবর্দী খানের ঘনিষ্ট ছিল; অথচ, এই লোকটিই লোকাল এজেন্ট হিসেবে বর্গীদের সাহায্য করত! আসলে মীর হাবিব ছিল রাজাকার; তার বাংলা সম্বন্ধে খুঁটিনাটি জ্ঞান ছিল। বর্গীরা সে জ্ঞান প্রয়োগ করে সহজেই বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত!

১৭৪২ সালের মাঝামাঝি বাংলা থেকে বর্গীদের নিমূর্ল করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেন নওয়াব আলীবর্দী। নওয়াবের এ সিদ্ধান্ত বাঙালিদের ভালোবেসে নয়, দিল্লির প্রাপ্য খাজনায় বর্গীরা ভাগ বসাচ্ছিল বলেই। ১৭৪৩ সালে বর্গীরা মেদিনীপুর আক্রমন করে। নওয়াব আলীবর্দীর নেতৃত্বে মুগল সৈন্যরা মেদিনীপুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ৯ ফেব্রুয়ারি দুপক্ষের তুমুল সংর্ঘষ হয়। নওয়াব আলীবর্দীর উন্নততর রণকৌশলের ফলে মেদিনীপুর থেকে বর্গীরা উৎখাত হয়ে যায়। ১৭৪৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিত আবার বাংলা আক্রমন করে বসে। নওয়াব আলীবর্দী খান বাধ্য হয়ে এবার ষড়যন্ত্রের পথ ধরেন। বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিতকে বৈঠকের আহবান জানান। বৈঠকে ২১ জন বর্গীসহ ভাস্কর পন্ডিত এলে তাঁবুর আড়ালে লুকিয়ে থাকা মুগল সৈন্যদের আক্রমনে বর্গীরা নিহত হয়। ১৭৫০ সালের বর্গীরা আবার বাংলায় হানা দেয়। ১৭৫১ সালে বর্গী আক্রমনের তীব্রতা এতই বেড়ে যায় যে, নবাব আলীবর্দী খানকে মারাঠা-বর্গীদের সঙ্গে সন্ধিচুক্তি করেন। এই সন্ধিচুক্তি অনুযায়ী তিনি উড়িষ্যার অধিকার ছেড়ে দেন। চুক্তির শর্তানুসারে মীর হাবিব নওয়াবের কর্মকর্তা হিসেবে পরিগণিত হবেন এবং উড়িষ্যায় নওয়াবের নায়েব নাজিম বা ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন; আলীবর্দী মীর হাবিবের জন্য উড়িষ্যায় ১২ লক্ষ টাকা চৌথ পাঠাবেন এবং প্রদেশের রাজস্বের উদ্বৃত্ত টাকা রঘুজীকে পাঠাবেন। এ চুক্তি অনুসারে ভবিষ্যতে আর কখনও যেন আলীবর্দীর এলাকায় হানাদার মারাঠাদের পদার্পণ না ঘটে মারাঠা সরকার সেই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কিন্তু ১৭৫২ সালের ২৪ আগস্ট মারাঠা সৈন্যদের হাতে মীর হাবিব নিহত হলে আলীবর্দী উড়িষ্যায় তাঁর নিয়ন্ত্রণ হারান এবং প্রদেশটিতে পুনরায় মারাঠাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
আর তার মাত্র ৬ বছর পর ইংরেজদের করতলগত হয়ে যায় বাংলা । ওদিকে মারাঠা-বর্গীরা মুগলদের পরির্বতে নতুন এই শক্তির মুখোমুখি হতে হয়- যে শক্তিটি মুগলদের চেয়ে সহস্রগুণ চতুর খল ও শক্তিশালী।

তথ্যসূত্রঃ ১/সিয়ার উল মুখতারিন
২/বাংলাপিডিয়া

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস উঠেছে।  এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান, ...
16/09/2024

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস উঠেছে। এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান, নিঃশর্তে। অথচ, স্বামী তার স্ত্রীকে কিছুতেই ছাড়তে চান না।

বিষয়টা এইরকম -- চাকরিরতা স্ত্রী, বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছে, হঠাৎ করেই ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন যে, আর সংসার করবেন না তিনি। সংসার করতে তার আর ভালো লাগছে না। তাই, সব কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে নিঃশর্তে ডিভোর্স চাইছেন দাম্পত্য জীবন থেকে। কিন্তু স্বামী চান, স্ত্রীর সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাটাতে। একমাত্র মেয়ে তার নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত, তাই জীবনের বাকি সময়টা স্ত্রীয়ের সাথে একান্তে, আনন্দে কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

কোর্টের চত্বরে বিশাল কৌতূহল -- বিচারক কার পক্ষে রায় দেবেন। কার দলিল কতটা পোক্ত জেতার জন্য।

শঙ্খনীল আর অনুপমা, দাম্পত্য জীবনের পঁচিশ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন একসাথে। একটি মাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের সংসারে কেউ কখনো অশান্তি দেখেনি। বাইরে থেকে সবাই জানতো এরা সবাই সুখী। এমনকি, শঙ্খনীল - অনুপমার বন্ধুমহলে ওরা স্বামী - স্ত্রী হিসেবে সেরা দম্পতির একটা উদাহরণও ছিল। সেই দম্পতির এমন কাহিনী যেন মেনে নেওয়া যায় না। পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে যখন মানুষ রজত জয়ন্তী বিবাহবার্ষিকী পালন করেন, ঠিক সেই সময়েই অনুপমার এমন আইনি আপিল।

বিচারক জিজ্ঞেস করলেন অনুপমাকে, "আপনার স্বামী কি পরকীয়া করেন? "

অনুপমার উত্তর, "বর্তমানে আমার স্বামীর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই তার সবচেয়ে কাঙ্খিত নারী। "

বিচারক আবারও জিজ্ঞেস করেন, "তাহলে উনি কি অত্যাচারী? ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হয় আপনার সাথে? "

অনুপমা হেসে বলল, "মোটা টাকা মাইনে পাওয়া বৌয়ের ওপরে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স করতে পারেন কোনো স্বামী? আমার মনে হয় না, সে ক্ষমতা কোনো স্বামীর থাকতে পারে বলে? "

"তাহলে কেন ডিভোর্স চান আপনি আপনার স্বামীর থেকে ? আপনার সাথে কোনো খারাপ কিছু না হলে তো আর শুধু শুধু একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন না আপনি ? "

বিচারকের এমন প্রশ্নে অনুপমা উত্তর দিতে শুরু করলো, "আজকের ভালোটুকু দেখেই আপনি বিচার করবেন ধর্মাবতার? আমার বিগত পঁচিশ বছরের প্রত্যেকটা দিনের কষ্ট, গ্লানি, চোখের জল, অমানসিক শারীরিক পরিশ্রম -- তার কি কোনো মূল্যই নেই ?

কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম আসে আমার জীবনে। দীর্ঘ সাত আট বছরের প্রেমের পরে আমাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরেই দেখলাম, আমার স্বামীর মধ্যে থেকে সেই প্রেমিক হারিয়ে গেলো। সে তখন আমাকে তার মায়ের সাথে আপোষ করে চলার শিক্ষা দেয়, রান্না শিখে নিতে বলে, তার রোজকার জীবনের বহুকাজ আমার উপরে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে স্বামী হওয়ার মজা লুটতে শুরু করেন। স্বামীর মায়ের কাছে আমি তখন একজন তুচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র, যাকে রোজ অতি তুচ্ছ কারণে হেনস্থা, অপমান করে আমার শাশুড়িমা মজা লুটছেন আমি কিন্তু তখনও চাকুরীরতাই ছিলাম, ছিলাম অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি সাবলম্বী। তবুও স্বামীকে কাছে পাবার লোভে শাশুড়িমায়ের দেওয়া সমস্ত গ্লানি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। লোভ ছিল একটাই, আমার স্বামীর মধ্যে যে প্রেমিক মানুষটি আছে সে তার প্রেম দিয়ে আমায় ভরিয়ে রাখবে। যতই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হই না কেন, বাজারে তো আর প্রেম বিকোয় না, যে অর্থ দিয়ে কিনে নেবো। তাই নিজের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে, তার সংসারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে, তার মায়ের সামনে নিজেকে চরম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করে আমি সেই প্রেমিকের প্রেম পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি আমি সেই প্রেম।সেই প্রেমিক ভালোবাসার কবরে চাপা পড়ে গিয়ে একজন স্বামীকে ফিরিয়ে দিলো আমার কাছে, যে খুব ভালো সন্তান, যে খুব ভালো ভাই, আবার যে খুব ভালো বাবা, ভালো বন্ধু এমনকি ভালো বসও প্রমাণিত হলো।শুধু হতে পারলো না আমার প্রেমিক। ভালো প্রেমিক চাইনি,, প্রতিপত্তি থাকা, অর্থবান প্রেমিকও চাইনি। শুধু সামান্য একজন প্রেমিককে চেয়েছিলাম যার বিশাল হৃদয়টা শুধু আমার জন্য তোলা থাকবে, কিন্তু কিছুই হয়নি।

আমি সেই মানুষটার ভালোবাসার বাঁধনে পড়ে তার সন্তানের মা হলাম। সংসার, সন্তান, চাকরি -- সবকিছু সামলাতে গিয়ে যখন আমি নাজেহাল, যখন প্রতিদিন প্রতি ক্ষনে আমার শাশুড়িমায়ের গঞ্জনায় আমি অতিষ্ট, তখন আমার প্রেমিককে একটু পাশে চেয়েছিলাম, যে আমার পিঠের ব্যথায় তার হাতটা বুলিয়ে দেবে, যে অফিস শেষে তার ক্লান্ত শরীরটা নিয়েই আমার ক্লান্ত শরীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলবে, "চলো, আজ দুজনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলি। আমি মানা করলেও সে বলবে, "ক্লান্ত তো দুজনেই, অফিস তো দুজনেই করেছি, তাহলে ঘরের সবটুকু তুমি একা করবে কেন? "

আমি চেয়েছিলাম সেই প্রেমিককে যে তার মায়ের গঞ্জনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, "এর চেয়ে বেশি কিছু আমার অনুপমা করতে পারবে না। তুমি ওকে অপমান করবে না। ভুলে যেওনা, অনুপমা শুধু আমার স্ত্রীই নয়, সে আমার ভালোবাসাও। "

সে বলেনি ধর্মাবতার, আমার হয়ে একটি কথাও খরচ করেনি সে | বরং বাচ্চা হওয়ার পরে যখন তখন আমার শরীরে, পেটে স্ট্রেচের দাগ, পেটটা মোটা, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখের কোণে কালি পড়ে গেলো, তখন আমার সেই কুশ্রী চেহারাটাকে সে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। তার কাছে সে সময় চেহারায় চড়া রঙ মাখা অফিস কলিগটির দুঃখ ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসের পরেও বাড়ি ফিরে এসে তার সাথে চলতো ফোনে বার্তালাপ। আমি সব দেখেও চুপ ছিলাম। বহুবার আমার স্বামীর কাছে কাকুতি মিনতি করে বলেছি -- "আমি তোমার প্রেমিকা হতে চাই। কিন্তু আমার স্বামী তখন অন্য মহিলার মধ্যে প্রেমিকা খুঁজতে ব্যস্ত। আমি তবুও যাইনি আমার স্বামীকে ছেড়ে, বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম -- যদি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকটাকে ফিরে পাই কোনোদিন, এই আশায়।

মেয়েকে নিয়ে আমি তখনও আলাদা হতে পারতাম, কিন্তু হইনি। কারণ, আমি চাইনি, আমার সন্তান তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক। কিন্তু আমার স্বামী কি ভেবে দেখেছিলেন, তার প্রেম, তার ভালোবাসাকে যদি আমি তার মতোই অপমান করতাম, বেচে আসতাম অন্য কোনো পুরুষের কাছে, তাহলে তার কেমন লাগতো? সে ভাবেনি ধর্মাবতার, সে কোনোদিন আমার জায়গায় তাকে বসিয়ে ভাবেনি, আমার কষ্টটা কোথায়? বরং আমার কিঞ্চিৎ প্রতিবাদও তার পৌরুষকে নাড়িয়ে দিতো। আমার সিঁথিতে এক চিলতে করুণার সিঁদুর দিয়েছে বলে সে বহুবার অতি সহজে বলতে পেরেছে , "বৌ, বৌয়ের মতো থাকবে। "

হ্যাঁ, ধর্মাবতার , "বৌ".... বৌ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে আমায়, প্রেমিকা হতে পারিনি। একমাত্র মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব একা বয়ে চলেছি, নিঃশব্দে, যতই কষ্ট হোক না কেন আমার, মুখ ফুটে বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম আমার সব অনুরোধের একটাই উত্তর আসবে -- "পারবো না।

আমার স্বামী আমাকে সেরা বৌয়ের শিরোপা দিয়েছেন তার বন্ধুমহলে। গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেছেন -- "আমার বৌয়ের সাথে আমার কখন ঝগড়া হয় না। আমার বৌ ভীষণ এডজাস্টিভ। আমার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলায় না কখনো। "

কি করে নাক গলাবো বলুন তো? কি করে এডজাস্টিভ হবো না বলুন তো? তার ব্যক্তিগত জীবনটা তো তার একার ছিল। সে বিবাহিত হয়েও বিনা নোটিসে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণের পথে, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতেন নির্বিদ্বিধায়। কখনো জানতে চাননি, অনুপমার তাকে প্রয়োজন আছে কিনা ? তার ব্যক্তিগত জীবনটা যেমন একান্ত তার, আমার ব্যক্তিগত জীবনটাও কি আমার একান্ত ব্যক্তিগত নয়?

আমি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছি, তেইশ বছর ধরে মায়ের ভূমিকা পালন করেছি, যে সন্তানকে নিজে যেচে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলাম, তার প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছি, সাবলম্বী করে দিয়েছি। নিজের জীবনকে শূণ্য করে সবার জীবনকে পরিপূর্ণ করেছি।

কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি -- কিচ্ছু না। বরং প্রতিক্ষনে আমার ভিতরের প্রেমিকাকে একটু একটু করে মরতে দেখেছি আমি , অবসাদে নিঃশব্দে তাকে কাঁদতে দেখেছি আমি। সেই প্রেমিকাকে আমি বাঁচাতে পারিনি ধর্মাবতার। কিন্তু আমার মধ্যে যে মানুষটা বেঁচে আছে এখনও, তাকে আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে দিতে চাই, সেই মানুষটার জীবনে যত শূণ্য আছে, তাকে তৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই তাই জীবন সায়হ্ন -- এ এসে আজ বন্ধন মুক্ত হতে চাই আমি, সংসারের সব মেকি সম্পর্ক থেকে। আমি জানি, আজ আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে চাননা, কারণ, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে আমার সেবা পেয়ে আমার সেবা পাওয়া তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে, আমি আজ তার একটা অভ্যেস, একটা অবলম্বন, বলতে পারেন অন্ধের যষ্ঠীর মতো। কিন্তু অন্ধ হলেই যষ্ঠীর প্রয়োজন হয়, একটা লাঠির প্রয়োজন হয় ; একজন পঙ্গুর জীবনে তার লাঠিটা তার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার ভালোবাসা হতে পারেনা কখনো আমার স্বামীর কাছেও আমি ঠিক তাই। আজ আমি তার একাকিত্ব জীবনে প্রয়োজন মাত্র , তার ভালোবাসা নই।

আমি এখন ইচ্ছেমতো ভোরের সূর্য্য দেখতে চাই, ইচ্ছেমতো পড়ন্ত দুপুর অব্দি বিছানার আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকতে চাই, ইচ্ছে মতো পাহাড় হতে চাই, ইচ্ছেমতো নদী। আমি সারারাত জেগে ডায়েরির বুকে মুখ লুকোতে চাই, লিখে রাখতে চাই মনের সব অভিব্যক্তি। পরেরদিন সকালবেলায় উঠে কাউকে চা জলখাবার করে দেবার তাড়া যেন আমাকে জোর করে ঘুমের কোলে না নিয়ে যেতে পারে, আমি সেই চেষ্টাটাই করতে চাই, আমি স্বাধীন হতে চাই।

খুব বেশি দাবী কি করেছি ধর্মাবতার? একটা মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে, আমৃত্যু শুধু দান করে যাবো, পাবো না কিছুই ? মনুষ্যজীবন তো পেয়েছি ঈশ্বরের কাছ থেকে , তাকে উপভোগ করার অধিকার তো কোনো পুরুষ বা কোনো সমাজ কেড়ে নিতে পারে না আমার কাছ থেকে ?

তাই, বাঁধনমুক্ত হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো জীবনের শেষ কটা বছর নিজের মতো করে বাঁচতে চাই, জীবনের সব ব্যর্থতা আর শুন্যতাকে আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই। তাই, জীবনের সব পিছুটান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই আমি। "

অনুপমার বক্তব্যে আদালতের এজলাস নিঃশব্দতায় ভরে গেলো। সত্যিই কি অনুপমা বেশি কিছু দাবী করেছে ? সত্যিই কি এই দাবী অনুপমার শুধু একার ? এই দাবী কি পৃথিবীর সব অনুপমার নয় ? পৃথিবীর সব অনুপমাই কি স্বামীর মধ্যে একজন প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে ফুরিয়ে যায় না ?

উত্তর জানা নেই কারোরই। বিচারকও স্তব্ধ। জীবনের আদালতে বিচার করা যে শুধু কঠিনই নয়,সে বিচার যে বড়ো বেদনাদায়কও।
সংগৃহীত।।

পুরুষ মানুষ 18 বছরে যা চায়, 90 বছরেও তাই চায়, কোনো পরিবর্তন নেইকিন্তু নারী চরিত্র বেজায় জটিল, বয়স পরিবর্তনের সাথে সাথে...
14/09/2024

পুরুষ মানুষ 18 বছরে যা চায়,
90 বছরেও তাই চায়, কোনো পরিবর্তন নেই
কিন্তু নারী চরিত্র বেজায় জটিল, বয়স পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের মনের পরিবর্তন ঘটে ।

18 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " সুদর্শন পুরুষ "
25 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " পরিণত পুরুষ "
30 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " সফল পুরুষ "
40 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " প্রতিষ্ঠিত পুরুষ "
50 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " ভালোবাসার দেওয়ার পুরুষ "
60 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " সাপোর্টিং পুরুষ "
80 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " ধর্ম কথা শোনাবে এমন পুরুষ "
90 বছর বয়সী মহিলা পছন্দ করেন " আল্লাহর সেবায় বিশ্বাসী পুরুষ "

এদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে দেখুন --
18 বছর বয়সী পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
25 বছর বয়সেও পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
30 বছর বয়সেও পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
40 বছর বয়সেও পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
50 বছর বয়সেও পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
60 বছর বয়সেও পুরুষ " সুন্দরী মহিলা পছন্দ করে "
80 বছর, কোমর ঝুঁকে গেছে, হাতে পায়ে বল নাই " সুন্দরী মহিলা পছন্দ "
90 বছর, বিছানা থেকে উঠার ক্ষমতা নেই " সুন্দরী মহিলা পছন্দ "
100 বছর পর, মৃত্যু হয়েছে, বিদেহী আত্মা হয়ে " সুন্দরী মহিলা হুর পছন্দ করে 🤣🤣🤣🤣🤣

~সংগ্রহীত
#পোস্ট

 #ডিভোর্সঢাকায় দিনে ৩৭টা ডিভোর্স হচ্ছে। ঘন্টাতে একটিরও বেশী। এটা শুনে সবাই সেই পুরাতন কাসুন্দি নিয়ে বসে পড়েছে। সব দোষ ঐ ...
14/09/2024

#ডিভোর্স
ঢাকায় দিনে ৩৭টা ডিভোর্স হচ্ছে।
ঘন্টাতে একটিরও বেশী। এটা শুনে সবাই সেই পুরাতন কাসুন্দি নিয়ে বসে পড়েছে। সব দোষ ঐ মেয়েদের,,,,

কারনঃ
*মেয়েরা এখন বেশী শিক্ষিত হচ্ছে,
*মেয়েরা চাকুরী করেছে,
*মেয়েরা বিজনেস করছে!
*আবার একদল হাসছে আর বলছে দেখো বেপর্দা মেয়ে বিয়ে করলে তো ডিভোর্স হবেই!

একদিন তো রিপন ভাই বলেই বসলো এজন্যই আমি বেশী শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করিনি,আর বউকে চাকুরী করানো আমার পছন্দ না। সেদিন সাধুবাদ জানিয়েছিলাম তাকে আর
আমি শুধু বলেছিলাম আপনার মায়ের জরায়ুর অপারেশনটাতো ডা. ফাতিমার কাছেই করিয়েছিলেন তাইনা? আর ডা. ফাতিমাও কারো স্ত্রী। সবাই আপনার স্ত্রীর মতো গৃহিণী হলে বাচ্চা প্রসব করাবেন কার আছে?

রিপন ভাইয়ের মতো পছন্দ হলে কোন কথা নেই সুখী হন।
কিন্তু আপনি শিক্ষিত, সুন্দরী, স্মার্ট, ধার্মিক, আধুনিক, গালে টোল পড়া, ভুবন ভোলানো হাসির রানী, ধনী শ্বশুরের আদরের দুলালী, বংশীয় ঘরের চাকুরীজীবি নারী বিয়ে করবেন আর সার্ভিস চাইবেন গ্রামের কপালপোড়া সখিনাবিবির মেয়ে সাগিরার মতো। সকাল সন্ধ্যা সে গরম খাবার নিয়ে বসে থাকবে আর বাতাস করবে, কিংবা নায়ক রেড ওয়াইন খেয়ে বাড়িতে ফিরবেন তবুও শাবানার মতো লাথি খেয়েও আপনার জুতা খুলে দিবে, মসজিদে গিয়ে টাকা দান করে আপনার মঙ্গল কামনা করবে এসব ভাবাটা এই একবিংশ শতকে অবান্তর।

আপনার সব অন্যায় সে মুখ বুজে সহ্য করবেনা। আপনি পর্ণ এডিক্টেড হোন কিংবা ইয়াবা তারপরও আপনার পায়ের নিচে জান্নাত বলে তাকে বোকা বানাতে পারবেন না।

একজন উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে ধার্মিক হলেও সে অন্যায়কে আঙ্গুল তুলে অন্যায় বলার সাহস রাখে। প্রতিবাদ করতে পারে। বরং সে একটু বেশীই সাহসী কারন তার হৃদয়ে রাসুল সা. কে ধারন করে আর আল্লাহ্ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করে না।

সময় পাল্টে গেছে,,,,নিজের মানসিকতা পরিবর্তন করুন।
বিয়ের আগে ডিসিশন নিন কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চান?
সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন ।

আপনার শিক্ষিত সুন্দরী বউটাও সাতঘাট ঘুরে, লেখাপড়া করে, জবযুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজেকে আপনার জন্য স্মার্ট হিসাবে প্রস্তুত করলেও আপনি কিন্তু আপনার দাদা তার দাদার আমলের মতো ক্ষ্যাত মানসিকতা নিয়েই অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে লুঙ্গি পরে এসি ছেড়ে দিয়ে মোবাইলে এ্যানি, ব্যানি, এঞ্জেলার সাথে সেক্সচ্যাট শুরু করেন।
বউ তখন বাহিরের পোশাক খুলে এ্যাপ্রণ পরে কিচেনে ঢুকে রান্না করে আর বাচ্চাকে ডাইনিং টেবিলে পড়াতে বসায়।
যিনি ঘর এবং বাহির দুটো সামাল দিচ্ছে এমন দুরন্ত আর ভুবনজয়ী নারীকে পাশে রাখবেন, তার সম্মানে বুক ফুলিয়ে রাস্তাতে হাঁটবেন অথচ শতবছরের পুরানো, বাসি, পঁচা, দূর্গন্ধযুক্ত প্রভুত্ববাদ মগজে পুষে রেখে শান্তি কামনা করবেন!

কি অদ্ভুত না!

রাত জেগে আপনার বউটা অসুস্থ বাচ্চা কোলে সারারাত কাটিয়ে দিবে আর আপনি নাকে সর্ষের তৈল দিয়ে তৈলাক্ত ঘুম দিবেন তা নিয়ে সংসারে অশান্তি হতেও পারে। কারন সকাল ন'টাতে তারও অফিস আছে। সকালের নাস্তাটাও তাকেই বানাতে হবে ভেবে আপনি উঠবেন সকাল ৮টা ১০ এ।

একসময় জরিনাবানুর স্বামী মরেছে আর কপাল খুলেছে পাশে বাড়ির কুদ্দুস চকিদারের। নিয়মিত জরিনাবানুর সাথে লটরপটরের ইতিহাস গ্রামের সবার মুখের মজাদার টপিক হলেও কুদ্দুসের বউটা কিন্তু নিরবে নিভৃতে চোখের পানি ফেলেছে, স্বামীকে কিছু বলতে গেলেই রক্তাক্ত হতে হয়েছে, সংসার ছেড়ে চলে যেতে বলেছে, কিংবা ভাত কাপড়ের খোটা তাকে রাতদিন শুনে আধমরা হয়ে অসুখে বিসুখে অবহেলা আর অযত্নে মরার মতো করে বেঁচে থাকতে হয়েছে।

কিন্তু ধরেন আপনি যদি আজ আপনার সুন্দরী ফেসবুক ফ্রেন্ড, স্বামী বিদেশ থাকে মারাও যাইনি এমন একজনেরর বাড়িতে গিয়ে দু ঘন্টা কাটিয়ে আসেন তখন আপনার বউ তর্জনি উঁচু করে বলতেই পারে আর যদি কোনদিন এমন করো তবে কিন্তু খবর আছে। সে এটা সহ্য করবেনা। না শুনলে আপনাকে মুখের উপরই বলে দিবে একদিন আমিও আমার কলিগ কে নিয়ে রাস্তাতে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাবো আর সেলফি তুলবো। সে কিন্তু মুখ বুজে কাঁদবে না।
মাইন্ড ইট।

নারীর অন্যায় মেনে না নেবার প্রবনতাকেই আজকাল অহংকার বলে চালানো হচ্ছে। সেটাই মুল সমস্যা।
আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা বদনবুকে নাক ডুবিয়ে শুয়ে থাকবেন, সুন্দরী বান্ধবীর সাথে রাতবিরাতে কথা বলবেন, নিজের অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা না করিয়ে ল্যাপটপ কাধে ঝুলিয়ে বড়লোকি দেখাবেন! ইউটিউবের অন্ধকার গলিতে ঢুকে নোংরামীতে স্নান করবেন,
দুনিয়ার সকল বন্ধুবান্ধবের বাড়ির কুত্তা-বিড়ালের খবর রাখবেন আর স্ত্রীর খোঁজ রাখবেন না! আর প্রতিবাদ করতে গেলে বলবেন উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা উগ্র হয়, বদমেজাজি হয়, অসহিষ্ণু হয়, অধৈর্য্য হয়, বেয়াদব হয়, মুখে মুখে তর্ক করে!
ব্যাপারটা কেমন অলিক হয়ে গেল না?

বিশ্বাস করেন এমন একদিন খুব নিকটে যেদিন চাকুরীজীবী মা এবং বিজনেসম্যান বাবা তার কর্মজীবি মেয়েকে বিয়ে দেবার আগে ছেলেকে প্রশ্ন করবে তুমি কি কি রান্না করতে পারো? আমার মেয়ে যখন তোমার সন্তান কে গর্ভে ধারন করতে গিয়ে বমি করতে করতে বিছানা থেকে উঠতে পারবে না তখন কি তুমি তাকে এক বাটি স্যুপ বানিয়ে খাওয়াতে পারবে?

ছেলে উত্তর না হলে মুখের উপর তার অভিভাবকদের বলে আসবে পুত্রকে রাজপুত্র না বানিয়ে মানুষ বানান। কারন রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়েছে।
নিজের মা ও তো অসুস্থ হতে পারে তাকে দেখার জন্য ছেলের বউ আছে কিন্তু বউটার অফিস আওয়ারে তো নিজের ছেলেটার কাছে একটু সেবা কি মা আশা করতে পারেনা!

মেয়ের অভিভাবকেরা বুঝে, শুনে, দেখে নিজের সমস্যাগুলোকে ওভারকাম করে জামাতা নির্বাচন করবে। কেবলই বর্তমানের ছেলেপক্ষের মতো কেবল চেহারা আর দিঘলকালো চুল দেখে নয়।

সেই সাহসও অর্জন করতে শিখতে হবে।

ডিভোর্সের মুল কারন পুরুষদের অনুন্নত মানসিকতা, প্রভুত্ত্বের প্রবনতা,নারীকে তার সঠিক সম্মান আর মর্যাদা না দেওয়া দায়ী। এমনকি নারীকে মানুষই মনে না করা!

নারীও দুধে ধোয়া না। তবে সব দোষ তার একার না।

ডিভোর্সি মেয়ের পিতার সাথে একদিন সময় নিয়ে কথা বলবেন প্লিজ। বাকীটা বুঝতে পারবেন!
কিংবা ঐ যে মেয়েটার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিয়েছিল তার স্বামী তার ভাইটার সাথে একদিন কথা বলবেন!

নিজেকে কেবল পুরুষ নয় পিতা, ভাই, পুত্রের স্থানে দাঁড় করিয়ে নিজেদের দিকে আঙ্গুল তুলতে শিখুন তাহলে এক সময় সমস্যা কমে শুন্যে নেমে যাবে।

✍️সুমেরা জামান

প্রখ্যাত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য একবার বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-"মানুষ আপনার গান বিকৃত সু...
13/09/2024

প্রখ্যাত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য একবার বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-

"মানুষ আপনার গান বিকৃত সুরে গায়। আপনার সুর ছাড়া অন্য সুরে গায়। অনেকে আপনার নামটা পর্যন্ত বলে না। এসব দেখতে আপনার খারাপ লাগে না...?"

শাহ্ আবদুল করিম বললেন-
"কথা বোঝা গেলেই হইল...
আমার আর কিচ্ছু দরকার নাই..."

কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য আশ্চর্য হয়ে বললেন-
"আপনার সৃষ্টি... আপনার গান। মানুষ আপনার সামনে বিকৃত করে গাইবে। আপনি কিছুই মনে করবেন না... এটা কোন কথা... এটার কোন অর্থ আছে...?"

শাহ্ আবদুল করিম বললেন-
"তুমি তো গান গাও...
আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো...

ধর তোমাকে একটা অনুষ্ঠানে ডাকা হলো। হাজার হাজার চেয়ার রাখা আছে কিন্তু গান শুনতে কোন মানুষ আসে নাই। শুধু সামনের সারিতে একটা মানুষ বসে আছে...
গাইতে পারবে...? "
কালীপ্রসাদ কিছুক্ষন ভেবে উত্তর দিলেন-
"না... পারবো না..."
শাহ্ আবদুল করীম হেসে বললেন-
"আমি পারবো...
কারণ আমার গানটার ভেতর দিয়ে আমি একটা আদর্শকে প্রচার করতে চাই। সেটা একজন মানুষের কাছে হলেও। সুর না থাকুক... নাম না থাকুক... সেই আদর্শটা থাকলেই হলো। আর কিছু দরকার নাই... সেজন্যই বললাম শুধু গানের কথা বোঝা গেলেই আমি খুশি..."

কালীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানতে চাইলেই-
"সেই আদর্শটা কি...?"
শাহ আবদুল করীম আবার হেসে বললেন-
"একদিন এই পৃথিবীটা বাউলের পৃথিবী হবে..."
‘এই পৃথিবী একদিন বাউলের পৃথিবী হয়ে যাবে’।

এ কথাটা বলেছিলেন শাহ আব্দুল করিম। এবং উনার চোখে যে বিশ্বাস, মানে যুগ যুগ ধরে... আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমাদের দেশের কোনো রাষ্ট্রপতি কোনো প্রধানমন্ত্রীর চোখে এই বিশ্বাস নেই।... আমরা অনেক নেতাদের মুখে অনেক কথা শুনি, কিন্তু তারা বিশ্বাসে বলেন না কথাগুলো। তারা বলতে হয় বলে বলেন, নয় নিজের স্বার্থে বলেন, নয় লোককে ভুল বুঝানোর জন্য বলেন।...”
- কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য

একবার সুনামগঞ্জে তাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা। প্রোগ্রামের শেষের দিকে মাইকে ঘোষণা আসলো, এবারে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের হাতে তুলে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকার সম্মাননা চেক।

আব্দুল করিম বার্ধক্যে উপনীত। তিনি বোধহয় কানে ভুল শুনলেন। তার বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি পাশে বসে থাকা তার একমাত্র সন্তান জালালকে বললেন, জালাল ইতা কিতা কয়! তিন হাজার টাকা! এ তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে আমি কি করতাম!

আব্দুল করিমকে আস্তে করে জানানো হলো, তিন হাজার নয়, টাকার অংকটা তিন লাখ! শাহ আব্দুল করিম অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি হতভম্ব। তিনি বললেন, তিন লাখ? সর্বনাশ, অত টাকা! এগুলো নিয়্যা আমরা কিতা করমু? আমরার টাকার দরকার নাই, মানুষ যে ভালোবাসা দিছে, সেইটাই বড় প্রাপ্তি। চল চল বাড়ি চল। বলেই তিনি বেরিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।

একজন মানুষ কতটা আর নির্লোভ হতে পারেন!

দেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাথে সম্পর্কের অবনতি নিয়ে তিনি বলেন,

' হুমায়ূন সাহেব অত্যন্ত জ্ঞানী-গুণী মানুষ। আমি তাঁকে শ্রদ্ধাও করি। আমাকেও তিনি শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন। একবার তিনি টিভিতে একটি অনুষ্ঠান বানানোর জন্য একজন লোককে আমার কাছে পাঠালেন। প্রচার আমি কোনোসময়ই চাইনি, তখনো তা-ই করেছিলাম। কিন্তু লোকটির চাপাচাপিতে ঢাকা গেলাম। হুমায়ূন সাহেব আমার সাক্ষাত্কার নেওয়ালেন, গান গাওয়ালেন। আমি ফিরে আসার সময় উনি সৌজন্যসাক্ষাত্টুকু পর্যন্ত করলেন না, গাড়ির ড্রাইভারকে দিয়ে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলেন। আমার হাসি পেল। এই টাকার জন্য কি আমি এতদূর ঢাকা ছুটে গিয়েছিলাম? আমি হাওরের বনে-বাদাড়ে বড় হয়েছি, মনটা সে রকমই বড়। টাকা আমার কাছে কিছুই না। এই করিম টাকার ধান্ধা করলে এতদিনে অনেক বড়লোক হতে পারত! কই, কখনো তো টাকার পেছনে ছুটিনি। এ ঘটনাটি আমাকে খুব পীড়া দেয়। পরে অনুষ্ঠানটি প্রচারের তারিখও তিনি আমাকে জানাননি। সে ঘটনাই আমি সাক্ষাত্কারে বলেছিলাম। পরে আর কখনো হুমায়ূন আহমদের কাছে যাইনি। সত্য কথা বলার কারণে যদি সম্পর্কের অবনতি হয়ে থাকে—তাতে তো আমার আর কিছুই করার নাই।'

ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মানবোধ কাকে বলে বাউল দেখিয়ে গিয়েছেন।

তিনি একবার বলেছিলেন,
'এত সংবর্ধনা, সম্মান দিয়ে আমার কী হবে? সংবর্ধনা বিক্রি করে দিরাই বাজারে এক সের চালও কেনা যায় না। পেটে যদি ভাত না থাকে করিম মেডেল গলায় দিয়ে কী করবে?'

স্পষ্টতায়, স্পর্ধায় কাটিয়েছেন এক বাউল জীবন।

প্রকৃতি ছিল তার প্রথম শিক্ষক। প্রকৃতিই তাকে নিখাদ সোনা করে গড়ে তুলেছে। পার্থিব জীবনের প্রায় দুই যুগ ধরে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি। এরপর তিনি ভর্তি হন নাইট স্কুলে। স্বাক্ষরজ্ঞান লাভের পর তিনি তার সহপাঠীদের নিয়ে গাজীর গান, বাউলা গান, ঘাটু গান, পালাগান, সারিগান, মালজোড় গান, কবিগানসহ বিভিন্ন অতি প্রাকৃতজনের গান গাইতেন। সে সময় ভাটি অঞ্চলের হাওরে নাও বাইছ (নৌকা বাইছ) হতো তখন করিম তার সহপাঠীদের নিয়ে নাওয়ে উঠে গাইতেন ‘কোন মেস্তুরী নাও বানাইছে কেমন দেখা যায় ঝিল-মিল-ঝিল-মিল করেরে ময়ূরপঙ্খী নাও’। এভাবে গানের মধ্য দিয়ে চলে তার বাউলগান চর্চা।

ছিলেন রাখাল বালক। স্কুলে কয়েকদিন মাত্র গিয়েছেন। সারাজীবন দরিদ্রতার সাথে লড়াই করেছেন। বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন প্রিয়তমা স্ত্রী সরলা। তবু গান ছেড়ে যান নি করিম। বরং এইসব প্রতিকূলতা তাকে আরো দৃঢ়চেতা করেছে।

ঈদের নামাজে গেছেন। এক মুরুব্বি তাকে দেখেই বললেন, 'করিম ইসলাম ধ্বংস কইরা ফালাইতাছে। গানবাজনা ইসলামে হারাম, এরপরও সে গান গাইতাছে। এইটার বিহিত করা দরকার'।

তিনি ইমাম সাহেবকে সামনে রেখে সব মানুষের সামনে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, 'গান গাওয়া ইসলামে হালাল কি না?' ইমাম সাহেব বললেন—'গানের সুরে যদি আল্লাহকেও ডাকে, তাহলেও গুনা হবে'।

ব্যাস, আর যায় কই? ওই মুরুব্বি তাকে জিজ্ঞেস করলেন—গান ছাড়ব কি না?তিনি বললেল—সেটা কখনোই আমি পারব না। উত্তর শুনে ওই মুরুব্বি মানুষটি রেগে গেলেন। তিনি বললেন, 'এত স্পর্ধা, ইমাম সাহেব ও মুরুব্বিদের মুখের ওপর কথা। সেটা মেনে নেওয়া যায় না।'

এরপর তিনি বললেন, 'এখন বললাম গান ছেড়ে দেব, পরে ছাড়লাম না। তাই এ ধরনের মিথ্যা কথা আমি বলতে পারব না। নিজে যা বিশ্বাস করি, তা-ই বলেছি। আপনার যদি এ কারণে আমাকে গ্রামে জায়গাও না দেন, তাতেও আমি রাজি।

এরপর থেকে প্রায় প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাজের আগে-পরে মসজিদে মুসল্লিরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে—গান-বাজনা করে তিনি নাকি বেশরা কাজ করছেন।

তখন গ্রামের আশপাশে সারারাত ধরে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ওয়াজে দেশের বিশিষ্ট ওয়াজিরা এসে আল্লা-রসুলের নাম না-নিয়ে উনা শ্রাদ্ধ করার কাজে যোগ দিয়েছিল। রাতভর অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করত। শেষে একসময় পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে গ্রাম ছাড়েন।

গানের জন্য তাকে ধর্মজীবীরা একঘরে করেছে, স্ত্রী সরলা আর শিষ্য আকবরের জানাযায় অংশ নেয় নি এলাকাবাসী।

শাহ আবদুল করিম লালনের সুযোগ্য শিষ্য। কেন? কারণ-শাহ্ আবদুল করিম তাঁর স্ত্রীকে মনে করতেন মুর্শিদ। ‘মুর্শিদ’ শব্দটার অর্থ-নেতা (আধ্যাত্মিক অর্থে অবশ্য)। শাহ আবদুল করিমের স্ত্রীর নাম ছিল আবতাবুন্নেছা। করিম আদর করে ডাকতেন: 'সরলা।'

স্ত্রীকে ‘মুর্শিদ’ মনে করাটা সহজ নয়। অনেক শিক্ষিত আধুনিক পুরুষও এক্ষেত্রে পিছিয়ে। কেন? ঈশ্বর পুরুষ বলেই?। করিম কেন পারলেন? করিম বাউল বলেই পারলেন। বাউল বাংলার ধর্ম- বাংলা মাতৃতান্ত্রিক বলেই।

বাউলের স্ত্রী সরলা মারা যাওয়ার পর গ্রামের ইমাম সাহেব বললেন—'বাউলের স্ত্রীর জানাজা পড়ানোর দরকার নাই।' আবার তার প্রিয় শিষ্য আকবর মারা যাওয়ার পর মসজিদের মাইকে তার মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করেনি। তার দোষ, সে বাউলের সঙ্গে থেকে গানটান গেয়ে নাকি বেশরা ও ইসলাম বিরোধী কাজ করেছে। তাই সে বাউলের মতোই কাফের হয়ে গেছে। তিনি বলেন,'বেতনভোগী ইমামের কথা শুনে আর রাগে-দুঃখে নিজেই আমার বাড়িতে কবর খুঁড়েছি। আকবরের জানাজা পড়িয়ে দাফন করেছি। গ্রামের কেউ কেউ আইছিল, কেউ কেউ আয়ে নাই।'

গ্রামীণ ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলদের আচরণে বাউল আবদুল করিম নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন 'কুলহারা কলঙ্কিনী' বলে। শহরে এসে বাউল আবিষ্কার করেন, এখানকার 'শিক্ষিত' মানুষেরাও তাকে মানুষ ভাবতে পারে না। সেজন্যই হয়ত আবদুল করিমকে গাইতে হয়েছে, 'এ জীবনে দূর হলো না.. বাউল করিমের পেরেশানি!'

'মানুষের' দেওয়া এসব কষ্ট বুকে নিয়ে আজকের এই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাউল শাহ আবদুল করিম!

বাড়ির কাছে উজানধল বাজার। চাল আনতে সেখানে গেছেন তিনি। ফিরে এলে চুলো জ্বালাবেন— এ অপেক্ষায় বসে রইলেন গিন্নি। সামান্য সময়ের ব্যাপার এ বাজারসদাই। অথচ ঘণ্টা পেরিয়ে দিন যায়, সপ্তাহ পেরোয়। অবশেষে ১৮ দিন পর খবর পাওয়া গেল তিনি আছেন হবিগঞ্জে। এক ভক্তের বাড়িতে গান করছেন। এমনই খেয়ালি মানুষ ছিলেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম।

শাহ আবদুল করিম শুধুমাত্র বাউল ছিলেন না, তিনি একাধারে গণসংগীত শিল্পীও। সারাজীবন শোষিত বঞ্চিতদের পক্ষে গান লিখেছেন। তাঁর আঘাতের লক্ষ্য ছিলো ভণ্ড রাজনীতিবিদ, শোষক, পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদ। ধর্মের অপব্যবহার তো অবশ্যই।

শাহ আবদুল করিমের গানে বৈষ্ণব ধারার মীড়াশ্রয়ী সুরের ঝংকারের সঙ্গে সুফী ধারার গতিপ্রধান ছন্দের সম্মিলন ঘটেছে।

শাহ আব্দুল করিম রচিত পাঁচশতাধিক গানে যেমন সিলেটের ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধান মেলে তেমনি বৈষ্ণব-সুফী ধারার সাধন-ভজনের পরিচয়ও পাওয়া যায়। একদিকে বাস্তবজীবনের কঠিন কঠোর পথপরিক্রমা অন্যদিকে জগত-জীবন সম্পর্কে গভীর পর্যবেক্ষণ, সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কৌতূহল শাহ আব্দুল করিমকে করে তুলেছে বাউল মরমী।

বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের পূর্বসূরি মরমি সাধকরা তত্ত্বকথা বলে গেছেন। সমাজে সাম্য সৃষ্টির আন্দোলন করেছেন। কিন্তু শাহ আবদুল করিমের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন মাত্রার। দেশের, দশের, জনগণের, সমাজের দুঃখ-দুর্দশার কথা তিনি তাঁর রচনায় উল্লেখ করে ভিন্নধর্মী সংগ্রাম করেছেন।

আবদুল করিমের জীবন সংগ্রাম এবং গানের সাধনা দেখে মনে হয়, এ যেন বিদ্রোহী কবি নজরুলেরই গল্প। নিজের দারিদ্রের কথা গানের মধ্য দিয়ে বলতে গিয়েই শাহ আবদুল করিম লিখেছিলেন, ‘মাঠে থাকি গরু রাখি, ঈদের দিনেও ছুটি নাই, মনের দুঃখ কার কাছে জানাই’।

শাহ আবদুল করিম কাগমারী সম্মেলনে গান করে মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন এবং তাদের শ্রদ্ধা আদায় করে নেন।

শাহ আবদুল করিম বেড়ে ওঠার সময় লোক সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল পরিবেশ ছিল। শাহ আবদুল করিম ৫৪'র নির্বাচন ৬৯,এর গণ আন্দোলন, ৭১'এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি পর্যায়ে স্বরচিত গনসঙ্গীত পরিবেশন করে জনতাকে দেশ মার্তৃকার টানে উদ্বুদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর গণসঙ্গীতে মুগ্ধ হয়ে মাওলানা আবদুল হামিদ থান ভাসানী তাঁর পিটে হাত রেখে বলেছিলেন-বেটা, গানের একাগ্রতা ছাড়িও না, তুমি একদিন গণ মানুষের শিল্পী হবে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণসঙ্গীত শুনে একশ পঁচাশি টাকা দেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১১ টাকা দিয়ে বলেন, তোমার মতো শিল্পীকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়া হবে।

মুখের বোল কাইড়া নিবে
রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে
আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলবো
প্রয়োজনে রক্ত দেবো
জীবন দিয়ে বাংলা রাখবো
ঢাকায় রক্ত দিছে বাংলা মায়ের সন্তান
আমরা রাখবো তাদের মান।।
~বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম,

(গানটি তাৎক্ষণিকভাবে বেধেছিলেন যখন শোনেন ঢাকার রাজপথ ভাষার জন্য রক্তে রঞ্জিত হয়েছে; ১৯৫২'র ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি নেত্রকোনার একটি মঞ্চে গান গাইছিলেন।)

তার লেখা বইগুলো হচ্ছে- ‘আফতাব সঙ্গীত’ (আনু. ১৯৪৮), ‘গণসঙ্গীত’ (আনু. ১৯৫৭), ‘কালনীর ঢেউ’ (১৯৮১), ‘ধলমেলা’ (১৯৯০), ‘ভাটির চিঠি’ (১৯৯৮), ‘কালনীর কূলে’ (২০০১) ও ‘শাহ আব্দুল করিম রচনা সমগ্র’ (২০০৯)।

শুধু সুরের মূর্ছনায় সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে তাঁর কাছ থেকে বাহবা কুড়িয়ে নেয়ার লক্ষ্য আর সাধারণ গায়কের মতো ছিল না। তিনি সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি থাকতেন বলেই তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সুখ-দুঃখের সাথে তাঁর গভীর পরিচয় ছিল। তাঁর গানের কথা বা ভাষাগুলো তাই প্রমাণ করে। তাঁর গানের মধ্যে সাধারণ মানুষেরই চাওয়া-পাওয়ার সুরই বেজে উঠেছে।

“কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া
আমি ফুল, বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
সখী গো আমি ফুল, বন্ধু ফুলের ভ্রমরা।”

একবার এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন- ‘আমি বেহেস্ত, দোজখ চাই না। জীবিত অবস্থায় আমার ভাটি অঞ্চলের বিপন্ন মানুষের সুখ দেখতে চাই। ওই মানুষগুলোর সুখ যারা কেড়ে নিয়েছে আমার লড়াই তাদের বিরুদ্ধে। একসময় তত্ত্বের সাধনা করতাম, এখন দেখি তত্ব নয়, নিঃস্ব-বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেহতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, আর সোনার বাংলা সোনার বাংলা করলে হবে না। লোভী, শোষক, পাপাত্মাদের আঘাত করতে হবে।’

'বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে
সইগো বসন্ত বাতাসে...'
-বাউল শাহ আব্দুল করিম

একবার তিনি রেডিও'র একটা চেক ভাঙ্গাতে গেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকে। আব্দুল করিমের পরনে ছেঁড়া পাঞ্জাবি। তাকে দেখে ব্যাংকের কেউ কি ভেবেছে কে জানে! কিন্তু আব্দুল করিম ভীষণ অপমানিত বোধ করেছেন। তিনি বিলাতে গান গাইতে গিয়েছেন। সেখানে দেখেছেন, মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু নিজের দেশে দেখলেন এখানে মানুষের মর্যাদা পদ পদবিতে, পোষাকে, চেহারায়।

সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন,
আমার পাঞ্জাবি ছেঁড়া তো কি হয়েছে, আমি কি এই দেশের নাগরিক না? আমার লুঙ্গিতে নাহয় তিনটা তালি বসানো, কিন্তু আমি তো ট্যাক্স ফাঁকি দেই নাই কখনো। তাহলে এত ব্যবধান, এত বৈষম্য কেন? মানুষ তো মানুষের কাছে যায়। আমি তো কোনো বন্যপশু যাইনি। বন্যপশুরও অনেক দাম আছে, এদেশে মানুষের কোনো দাম নেই, ইজ্জত নেই।

বসন্তে জন্মছিলেন বলেই হয়ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মাটির গন্ধ গলায় তুলে নিয়েছিলেন বাউল শাহ আব্দুল করিম।লাল সবুজের সুরের ডাক নাম শাহ আব্দুল করিম।

শাহ আবদুল করিমের ভাটির সুরের গান শুনে মনের তলায় জল ছলছল করে। বাঙালি মন লোকসুরের জাদুতে যত ভোলে, আর কিছুতে ততটা মজে বলে মনে হয় না। মায়ার টান খুব শক্তিশালী, যেমন তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে’!

এই মায়ার টানে তিনি কোনোদিন কালনি নদী ছেড়ে যাননি। মায়ার টানে পড়েই গ্রামীণ মানুষের সুখ–দুঃখ, প্রেম–ভালাবাসার ব্যালাড রচনা করে গেছেন।

গ্রিক নন্দনের শক্তি যেমন ট্র্যাজিক চেতনা, বাংলা সংস্কৃতির মর্মে তেমন পাই মায়া। মানুষের প্রতি মায়া, ছেড়ে আসা গ্রামের প্রতি মায়া, প্রকৃতির প্রতি মায়া—এমন হাজারো মায়ার টানে ভোগা মানুষ জানে, মায়ার বন্ধন কত শক্তিশালী। মৃত্যু ছাড়া তার বন্ধন নাকি ছেঁড়া যায় না।

শাহ আবদুল করিমের জীবন ও সৃষ্টিকর্ম ছেঁকে নিলে যা পাই, তা এই মায়া। মায়া বাংলাদেশের কৃষক সংস্কৃতির মূল রস। এটা আমাদের আধুনিক সাহিত্যেও ছড়িয়ে গেছে।

একজন স্বশিক্ষিত কবি। তার চেতনাই তার সৃজনের জ্ঞানশিক্ষা। বাংলার মাটি, জল, সবুজ, সুন্দরমা প্রকৃতিই তাঁর পাঠশালা। সেই পাঠশালার চিত্রছায়ায় পাঠ নিতে নিতে তিনি অনুধাবন করেছেন জীবনকে, জীবনের একক নিয়ামক শক্তিকে।তাইতো তিনি অকপটে বলতে পারেন, ‘কেউ বলে দুনিয়া দোজখ, কেউ বলে রঙের বাজার / কোনো কিছু বলতে চায় না, যে বুঝেছে সারাসার।’

তাঁর সবচেয়ে বড় পুরস্কার বোধহয় মানুষের ভালোবাসা। শাহ আবদুল করিমের গান মানুষের মুখে মুখে। আরও হাজার বছর বেঁচে থাকবে তার গান। তার গান গেয়ে অনেক শিল্পী জনপ্রিয় হয়েছেন। ভবিষ্যতেও হবে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বহুল চর্চা হচ্ছে তার গান। একজন সুর সাধকের জন্য এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে!!

শেষ বয়সে এসে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্ট, কিডনির জটিলতা, ফুসফুসে ইনফেকশন এবং বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে উজান ধল গ্রামে স্ত্রী সরলা বিবির কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

কালণীর ঢেউ আছড়ে পড়া উজানধলের বাড়িতে প্রিয়তমা স্ত্রী সরলার পাশে আজ চিরনিদ্রায় শায়িত বাউল সম্রাট । সেই সমাধি ঘিরে আজো প্রতিটি ক্ষণে বেজে উঠে তার শিষ্যদের বাঁশির করুণ রাগিনী কখনোবা কাঠিঢোলে উতাল শব্দে মুখর হয়ে উঠে উজান ধলের আকাশ বাতাস।

‘চলিতে চরণ চলেনা, দিনে দিনে অবশ হই, আগের বাহাদুরি এখন গেলো কই’ মৃত্যুর কিছুদিন আগেই তিনি গানটি লিখেছিলেন।

প্রতিটি মানব জীবনের চরম বাস্তবতার কথা এতটা সহজে বলতে পারার অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন শাহ আবদুল করিম।

বসন্তে বাতাসে মিশেও থাকে বাউল, মিশে থাকেন শাহ্ আব্দুল করিম।

আজ ১২ই সেপ্টেম্বর, বাউল আব্দুল করিমের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী

বিনম্র শ্রদ্ধা বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিম ❤

কৃতজ্ঞতা মঞ্জুর ভাই🥰

Address

Jalsha Market, Jubilee Road
Patenga

Opening Hours

09:00 - 17:00

Telephone

+8801767874177

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Barua Simantha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Barua Simantha:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Event Planning Service?

Share