14/06/2020
অথচ তাদেরকে মানুষ আইডল ভাবে, তাদের মত হতে চায়ঃ
একটু আগের খবর: বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রবিন উইলিয়ামস ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত একজন কৌতুক অভিনেতা। সারাটা জীবন মানুষকে হাসি-আনন্দের মধ্যে রেখেছেন। কিন্তু নিজে কি সুখী ছিলেন? জি না, তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিখ্যাত ফানি শো ‘মীরাক্বেল’-এর উপস্থাপক মীর আফসার। একবার দুইবার নয়, চার-চারবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।
ঠিক এভাবেই তিন বছর আগে বিশ্ববিখ্যাত মিউজিক ব্যান্ড Linkin Park-এর গায়ক ও প্রধান গীতিকার চেস্টার বেনিংটন নিজেকে নিঃশেষ করে দেন।
যাদের জৌলুস এবং চাকচিক্যপূর্ণ লাইফস্টাইল দেখে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হন, নিজেকে ছোট মনে করেন, তাদের শেষ পরিণতি হলো এ-ই। এইসব সেলিব্রেটিদের কীসের অভাব ছিলো? অঢেল টাকা, তুমুল জনপ্রিয়তা, জীবনকে উপভোগের সকল উপকরণ তাদের কাছে ছিলো। তবুও কেন তারা নিজের জীবন নিয়ে হতাশ হয়েছে?
আল-কুরআনের আলোকে বড় সুন্দর করে উত্তরটি দিয়েছেন বিখ্যাত ইমাম হাফিয ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ্। তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে অন্তরে রয়েছে এক অভাববোধ, যা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করা ব্যতীত দূর হয় না। অন্তরে রয়েছে এক বিষণ্ণতা, যা আল্লাহকে জানা আর তাঁর প্রতি সৎ থাকা ছাড়া বিদূরিত হয় না। অন্তরে আরোও রয়েছে একটি বিশেষ শূন্যতা, যা তাঁকে ভালবাসা, তাওবাহ করে তাঁর দিকে ফিরে যাওয়া এবং সবসময় তাঁকে স্মরণ করা ছাড়া পূরণ হয় না। কোন ব্যক্তিকে যদি পুরো দুনিয়া এবং তার সবকিছুই প্রদান করা হয়, তবুও এটি তার শূন্যতা পূরণ করতে পারবে না।”
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন—‘‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই কেবল হৃদয়সমূহ প্রশান্ত হয়।’’ [সূরা রা’দ, আয়াত: ২৮]
প্রিয় ভাই-বোনেরা! অন্তরের মালিক আল্লাহ্; সেই অন্তরে প্রশান্তি দেওয়ার মালিকও আল্লাহ্। তাহলে কীভাবে আমরা তাঁর অবাধ্য হয়ে মিউজিক, মুভি আর হারাম রিলেশনে মানসিক প্রশান্তি খুঁজি? এটি কি আত্মপ্রতারণা নয়? কবে আমাদের উপলব্ধি হবে?
© AdnH.