08/06/2023
পৃথিবী থেকে যখন কমছে সবুজ, গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে একের পর এক প্লট, বিশ্ব উষ্ণায়নে যখন গলছে অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহের একাংশ, চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ, পুড়ছে অ্যামাজনের মতো জঙ্গল, জলস্তর বাড়ছে সমুদ্রের, তখনও নিবীড় মনে চারা পুঁতে চলেছেন সালুমারাদা।
জন্মসূত্রে কর্নাটকের তুমুকুরি জেলার বাসিন্দা তিনি। কোনও প্রথাগত শিক্ষা তাঁর নেই, পেশা ছিল দিনমজুরি। বিয়ের পর সন্তানাদি না হওয়ায় গাছকেই সন্তান করে নিয়েছিলেন সালুমারাদা। যদিও এই নাম তাঁর বৃক্ষপ্রেমী হওয়ার পরই পাওয়া। জন্মগত সূত্রে তিনি ছিলেন- আলা মারাদা থিম্মাক্কা। পরবর্তীতে তাঁর বৃক্ষ প্রীতি এবং নিরন্তর কাজ তাঁকে 'সালুমারাদা' নামই দেয়। যার অর্থ- গাছেদের সাড়ি। এই নাম, আজকের প্রতিপত্তি, তা পাবেন বলেও কাজ শুরু করেননি। ভালবাসা থেকেই শুরু করেছিলেন বৃক্ষরোপণ। আজ সেই সব মহীরূহরাই দু'হাত ভরে ভরিয়ে তুলেছেন তাঁকে।
নিজের হাতে ৮ হাজার গাছকে সন্তানস্নেহে পালন, ১১২ বছরেও কীর্তি গড়ে চলেছেন ভারতের 'বৃক্ষ-মাতা'।
সারাজীবনের কাজ তাঁকে দিয়েছে দেশ ও বিদেশের একাধিক সম্মান, পুরস্কার, পদ্মশ্রী, অর্থ। সম্পত্তি পেরিয়েছে কোটির গণ্ডি। একশো বছর পেরনো শরীরে এসেছে রোগ-ব্যাধির হাতছানি। কিন্তু গাছ লাগানো কাজে আজও তার খামতি নেই।
বনসৃজন প্রকল্পে দেশের সেরা আইকন সালুমারাদাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। ❤️