GHAROA CATERERS

GHAROA CATERERS Homely Event Catering & Cloud Kitchen: Delightful Dishes, Delivered.

ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ও যদি পান ঘরের ছোঁয়াকেমন হয় বলুন তো??একেবারেই ঠিক দেখছেন।এবার ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য একেবারে ঘরের তৈরি সুস্বাদু খাবার। বসন্ত হোক কিংবা পৌষ পর্যটকদের সব সময়ের পছন্দের জায়গা কিন্তু বোলপুর।কেউ আসেন এখানে শান্তিনিকেতন দেখতে আবার কেউ বা আসেন সোনাঝুরি। কিন্তু চেনা জানা না থাকলে পড়তে হয় সমস্যায়,কোথায় খাবেন আর খেলেও ঘরের তৈরি জিনিস কোথায় পাবেন?আসলে বাঙ্গালীদের একটা ব্য

াপার ই আলাদা বাইরে গেলেও ঘরের পরিবেশটাকে কোথাও যেনো মিস করে।এবার আপনি এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে, এখানে এসেও যদি নিজেকে রান্না করে খেতে হয় তাহলে ঘুরবেন কখন আর যদি বাইরে খান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুস্বাদু খাবার পাবেন কোথায়?আপনাদের এই সমস্যা দূর করতে বোলপুরে ঘরোয়া নিয়ে এলো আপনাদের জন্য ঘরের তৈরি হাতের বানানো সুস্বাদু খাবার। আর সব থেকে খুশির বিষয় হলো আপনি যেমন বা যে ধরনের পদ খেতে চান, সেই খাবার ই ঘরোয়া হাজির করবে আপনাদের সামনে।অল্প সংখ্যক অর্থাৎ ছোটো গ্রুপ গুলি যারা বেড়াতে আসেন বোলপুরে,তাদের চাহিদা অনুযায়ী একেবারে ঘরের মতন করে পরিবেশন করবে ঘরোয়া।এছাড়াও ঘরোয়া দিচ্ছে আরো এক সুবিধা, জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকীর মতন অনুষ্ঠানগুলিতেও আপনারা পাচ্ছেন ঘরে বসে ঘরোয়ার সুস্বাদু খাবার।তাহলে আর চিন্তা কিসের?এবার ঘর থেকে বাইরে এসেও উপভোগ করুন ঘরের ছোঁয়া।

Happy Republic Day 2025!🙂
26/01/2025

Happy Republic Day 2025!
🙂

আমাদের প্রজন্মে এসে চাটুজ্জে-বানুজ্জে আর দেবনাথ-মাঝিদের বৈষম্যটা একটু কমেছে। তাও অনেকের বাড়ীতে দেখবেন শুধু নাম বললে হবে...
08/12/2024

আমাদের প্রজন্মে এসে চাটুজ্জে-বানুজ্জে আর দেবনাথ-মাঝিদের বৈষম্যটা একটু কমেছে। তাও অনেকের বাড়ীতে দেখবেন শুধু নাম বললে হবে না, পদবী চাই। এবার যদি ধরুন হাজরা, সরকার, ঘোষ বা দাস বেরোলো ( যা বিভিন্ন জাতির হতে পারে) তাহলে তারা শুধু পদবীতেই ক্ষান্ত হবেন না - তখন আবার আরও একটা প্রশ্ন আপনার সামনে আসবে: ' তাহলে কি তোমরা কায়স্থ? নাকি ব্রাহ্মণ? তোমাদের caste কি?' তার ওপর নির্ভর করবে তাদের আপ্যায়ন।

আমার কাছে এরকম কোনো প্রশ্ন এলে আমি নিম্ন থেকে নিম্নতম বর্ণের বলে নিজেকে পরিচয় দি! তবেই তো উল্টো দিকের মানুষটাকে প্রকৃতভাবে চেনা যায়।
কিছু মানুষ শুধু মানুষে মানুষে বিভেদ রেখেছে তাই না- তারা শাক সবজি, মাছ মাংসেও ছোটলোকের খাবার, নিচু জাতির খাবার এইসব করে। এইসব লোকেরাই আবার ধূমপানকে সরাসরিভাবে প্রতিবাদ করতে পারে না বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়, কিন্তু তাদের জাতি,ধর্ম ,মাছ ইত্যাদি নিয়ে নিয়ম-নিষ্ঠা ও বক্তব্য তুঙ্গে।

কি ভাবছেন, এতসব কিছু কেন বলছি?

পমফ্রেটের মত একটা মাছকে কিছু কিছু লোক নিচু জাতের মানুষের জন্য বরাদ্দ মাছ বলে আখ্যা দেয়।
তার কারণ হয়ত আড়াই-তিন দশক আগেও পমফ্রেটকে বাঙালির পাতে কুলীন বলে মর্যাদা দেওয়া হত না। পমফ্রেটের দাম কই-পারশে-ভেটকি-ট্যাংরা, এমনকী রুই-কাতলার চেয়েও কম ছিল। এখন যেমন মূলত সিলভার পমফ্রেট মেলে, তখন একাধিক প্রজাতির পমফ্রেট মিলত। সেই সময়ে বাজারে হামেশাই মিলত ব্ল্যাক পমফ্রেট, মৎস্যজীবী ও বিক্রেতাদের একাংশের কাছে যার চলতি নাম হালুয়া।

পমফ্রেটের চাহিদা মৎস্যপ্রিয় বাঙালির কাছে উত্তরোত্তর বেড়েছে। কই-পারশে-ট্যাংরা পাতে না তোলা এক শ্রেণির বাঙালিও এখন দিব্যি খাচ্ছেন পমফ্রেট মাছ।
এখন পমফ্রেট যখন রাজ্যের অন্যতম প্রিয় মাছ, তখন কমতে শুরু করেছে তার জোগানও-তাই চাইলেই সবসময় পাওয়া যায় না এই মাছ। সমুদ্র থেকে দূরবর্তী জায়গাগুলোতে সুসংরক্ষিত ভাবে বহন করার অসুবিধার কারণে গ্রীষ্মে এইসব মাছ টাটকা পাওয়া অসুবিধার হয়ে দাঁড়ায়।

সমুদ্রে পমফ্রেটের এই আকালের পিছনে সমুদ্র দূষণকে দায়ী মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।কারও মতে, প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে ও অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে পমফ্রেটের বংশবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে তাই পমফ্রেটের জন্য এই হা-পিত্যেশ।

পমফ্রেটের ঝাল, তাওয়া পমফ্রেট ফ্রাই, টমেটো দিয়ে কারি, মালাইকারি- এত ধরণের রকমারি,বাহারি পদ আপনারা অনেক খেয়ে থাকবেন, কিন্তু একটা সামুদ্রিক মাছকে সম্পূর্ণ সাবেকি বাঙালিভাবে যদি সর্ষে দিয়ে ঝাল করা হয় তার স্বাদ হয় অনবদ্য। একবার অবশ্যই বানিয়ে দেখবেন এই পদ-"সর্ষে পমফ্রেট"।
আমাদের লক্ষ্য হল দৈনন্দিন ঘরোয়া খাবার ও রন্ধন প্রনালিকে আরও আনন্দময় করে তোলা, কারণ আমরা বিশ্বাস করি রন্ধনের মধ্যে থাকা রোমাঞ্চ প্রাণে শান্তি আনে, মনে ভালোবাসা আসে এবং তা জীবনে সুখের চাবি কাঠি ।

"ও জোনাকী, কী সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ।
আঁধার সাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ ঢেলেছ॥"
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

ক্যাপসিকামকে অনেকে আপনারা সিমলা মির্চ বলেন, জানেন কি তার বাংলায় ও একটি নাম আছে; ক্যাপসিকামের বাংলা নাম হল মিষ্টি মরিচ।ভ...
01/12/2024

ক্যাপসিকামকে অনেকে আপনারা সিমলা মির্চ বলেন, জানেন কি তার বাংলায় ও একটি নাম আছে; ক্যাপসিকামের বাংলা নাম হল মিষ্টি মরিচ।
ভাবুন, বাংলা এতটাই মিষ্টি ভাষা যে এই ভাষার প্রভাবে পরে আস্ত একটা লঙ্কা প্রজাতি মিষ্টি তকমা পেয়ে গেছে। যদিও আগেও এমন হয়েছে- যেমন ধরুন মিষ্টির আলু, মিষ্টি কুমড়ো- তাই বলে মিষ্টি লঙ্কা?

এখানে বলে রাখি ইতিহাস বলে পর্তুগিজদের হাত ধরে ক্যাপসিকাম ভারতে আসে এবং ভারতে বসবাসকারী তৎকালীন ইংরেজদের মধ্যে তা জনপ্রিয় হয়ে পড়ে।
এখন বাঙালির মিক্সড ভেজ থেকে শুরু করে , চাইনিজ এবং ইন্ডো চাইনিজ পদ যেমন চিলি চিকেন, গার্লিক চিকেন সবেতেই ক্যাপসিকাম অপরিহার্য।

পাতা ঝরা বসন্তে, বিকালের সোনা রোদে যখন মন তার সঙ্গে বসে কাব্যিক হয়ে ওঠে; আর দূরে কোথাও মাইক থেকে ভেসে আসে ' প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে--বাঁধন খুলে দাও, দাও দাও দাও", সে অলীক আনন্দ যার তুলনা নেই।
সেই সময়গুলো উপভোগ করে বাড়ি ফেরার পথে আপনার 'তার' সাথে খ্যাতনামা কোনো রেস্তরাঁয় বসে একবার ক্যাপসিকাম পনীর অবশ্যই খেয়ে দেখবেন, সাথে দোসর হতে পারে বাটার নান কিংবা রুমালি রুটি। চেখে দেখুন, প্রাণ লাবণ্যে ভরে উঠবেই।

রেসিপি শেখানোর জন্য অনেকেই আছেন, আমি
আপনাকে খাদ্যের রোমাঞ্চ উপলব্ধি করাতে চেষ্টা করছি। আশাকরি আপনারা হবু, হয়েছে এবং অন্যান্য প্রিয়জনদের নিয়ে চেষ্টা করবেন ক্যাপসিকাম পনীর।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

ছোটবেলা থেকে অনেকটা সময় কেটেছে। আমি এখন কুন্তলশুভ্র হতে চলেছি- অর্থাৎ আমার প্রায় চুলই পেকে যাচ্ছে। কবে আবার ইন্দ্রলুপ্...
23/11/2024

ছোটবেলা থেকে অনেকটা সময় কেটেছে। আমি এখন কুন্তলশুভ্র হতে চলেছি- অর্থাৎ আমার প্রায় চুলই পেকে যাচ্ছে। কবে আবার ইন্দ্রলুপ্ত মানে টাক দেখা দেয় কে জানে? যা হবার হবে। শেখার ইচ্ছা আর জানার কৌতুহল চুলকে সাদা করলেও সময়কে এত ধরনের এত রঙে রাঙিয়েছে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। চলার পথে পদে পদে পেয়েছি নতুন রং, নতুন স্বাদ কোনো একঘেয়ে জিনিসকে কে সম্পূর্ণ নতুন করে পাওয়ার উল্লাস, আরও কত কি।

"কড়কড়ে ভাত আর তার সাথে সরপরা তরকারি!" - এই ছিলো একসময় কিছু মানুষের খাদ্যবিলাস। ভাববেন ভাত কি কড়কড়ে হয় নাকি? হয় মশাই হয়- আগে অনেক বেশি শীত পড়ত, তাই শীতকালে ভাত সারারাত রাখলে তা জমে শক্ত কড়কড়ে হয়ে যেত- তার এক আলাদা স্বাদ। ঠিক যেমন জল দিয়ে রাখা পান্তা ভাতের স্বাদ অন্যরকম।
শংকর মাছের তরকারি- সেও যেতো জমে এবং তার ওপরে একটা সরের মত আস্তরণ পড়তো। এই সরপরা তরকারির স্বাদও ছিল অনবদ্য।
ভাবছেন কড়কড়ে ভাত আর তার সাথে সরপরা তরকারি'র কথা কেনো বললাম? এইটা ছিল সবচেয়ে পুরাতন শীতকালীন combo যা অনেকের বাড়ীতে প্রায়ই প্রাকৃতিক ভাবেই হতো।
এটা ওপার বাংলার গল্প- আর এপার বাংলায় সব বাজারে শংকর মাছের চল তেমনভাবে ছিলই না। আগে বনেদী বাড়ীতে এইসব মাছ খাওয়া হতো। সম্প্রতি কালেভদ্রে বাজারে এই মাছের আমদানি হয়। শঙ্কর মাছ কে মাংসের মত পেঁয়াজ রসুন দিয়ে রাঁধলে পাঁঠার মাংসকেও হার মানায়।
শঙ্কর মাছের আবার স্ত্রী ও পুরুষ মাছের ক্ষেতে রন্ধনপ্রণালী আলাদা। ভাবতে পারেন? স্ত্রী মাছ আকারে বড়, নরম মাংসের এবং সর্বোপরি সুস্বাদু ডিম থাকার সম্ভবনায় স্ত্রী শঙ্কর মাছের চাহিদা বেশি। ভাবুন, মাছেদের মধ্যেও মেয়েদের আধিপত্য। শঙ্কর মাছের লেজ দিয়ে নাকি খুব ভালো চাবুক তৈরি হয়। শোনা যায়, আগেকার দিনে জমিদারেরা গরীব চাষিদের শংকর মাছের চাবুক দিয়ে মারতো খাজনা না দিতে পারলে।

একটি নাটকের দৃশ্যে দেখানো হচ্ছে:
একটি জমিদার বাড়ীতে খাওয়াদাওয়ার এলাহী আয়োজন, জমিদার বাড়ির একটি বাচ্ছা ছেলে শংকর মাছ খাচ্ছে এবং তার দিকে একটি গরীব চাষীর ছেলে দুর থেকে তাকিয়ে আছে- তার দুই চোখে ঘৃনা জ্বলজ্বল করছে। সে বলছে:
শংকরের চাবুক মেরে খাজনা আদায়
করো তোমারা- জমিদারির নামে,
সেই পয়সায় ভাত মাখো শংকর রসায়
কিনে শংকর মাছ বারোআনার দামে;
শঙ্কর হন আমার সহায়,
তোমার শাস্তি হোক কঠিন পরিণামে।
ভাবুন একবার, বাঙালির একটি মাত্র মাছকে ঘিরে কত কিছু পেলাম। জানার আনন্দ পেলাম, স্বাদের উল্লাস পেলাম এবং আর পেলাম এক অজানা ইতিহাসের হাতছানি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

আচারি পটলপটল নিয়ে কথা বলার আগে বলে রাখি পটলের বিরোধী দলে নেতা হিসেবে কিছুদিন আগে আবদি আমার যথেষ্ট নামডাক ছিল। কোথায় হি...
11/11/2024

আচারি পটল

পটল নিয়ে কথা বলার আগে বলে রাখি পটলের বিরোধী দলে নেতা হিসেবে কিছুদিন আগে আবদি আমার যথেষ্ট নামডাক ছিল। কোথায় হিরণ্যকশিপুর নারায়ণ বিদ্বেষ লাগে? কোথায় চাঁদ সওদাগরের মনসা বিরোধ? আমার পটল অপ্রীতি ছিল তার থেকেও চরমে- কেউ একটা পটলের প্রশংসা করলেই হয়েছে, আমি তাকে ধরে একটা লম্বা চওড়া রক্ত গরম করা জ্বালামুখী ভাষণ শুনিয়ে দিতাম।
পটলের দুর্ভাগ্য ভাবুন-পটলের ওপরের খোসাটা শক্ত এবং নিচে নরম এবং দানাদার বীজে ভরা, তাই অনেকে পটলকে সবজির আসনে বসাতে অস্বীকার করে। তাইতো পটলের ইংরেজি নাম Pointed Gourd. এখানে বলে রাখি "Gourd" এমন একটা শ্রেনী যা না সঠিকভাবে ফল, না সঠিক সবজি। তাহলে ভাবুন দুর্ভাগ্য- ঠিক কর্ণের মত অবস্থা: ক্ষত্রিয়কুলজাত নাকি সুতপুত্র তাই নিয়ে টানাটানি, একদম আস্ত হাসজারু।
এইটা একটা দিক গেল, আর একটা দিক দেখুন: প্রেমিক কোনো বিশেষ মুহূর্তে প্রেমে গদগদ হয়ে প্রেমিকাকে বলে "তোমার পটলচেরা চোখের সাগরে কোনো নাবিকের মতো আমি আমার জীবনতরী ভাসাতে চাই, ডুবে গেলেও আপত্তি নেই।" আবার অন্যদিকে সেই প্রেমিক মহাশয় পটল তুলতে চান না। পটল তোলার এহেন ব্যাখ্যাটা কি ভাবে শুরু হলো জানা নেই, তবে এটাও তো পটলের দুর্ভাগ্য, যে "পটল তোলা" মানে ভবলীলা সাঙ্গ হওয়া।
অদৃষ্টের এত বঞ্চনার পরও কিছু সৌভাগের পরশ পটলের জুটেছে। খাদ্যরসিক বাঙ্গালীর হাতের ছোঁয়ায় পটলের কিছু অসামান্য পদ সৃষ্টি হয়েছে যেমন মুগেশ্বরী পটল, পটল পোস্ত, দই পটল, পটলের দোলমা ইত্যাদি। এসব তো অনেকেই খেয়েছেন, কিন্তু বিশ্ববরেণ্য বাঙালী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভোজনরসিকতায় সৃষ্টি হওয়া পটলের এক পদ "আচারি পটল"এইসবের উর্ধ্বে। টক, ঝাল, মিষ্টির সমন্বয়ে তৈরি এই পদটি পটলের মত একটি অতি সাধারণ সবজিকে কে অসাধারণ করে তোলে।

"সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর।
আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর॥"

Happy Diwali!স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।
01/11/2024

Happy Diwali!
স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

খেতে এবং খাওয়াতে বাঙালী খুবই ভালোবাসে।আদ্যিকালের সাবেকি ভোজ বলুন কিংবা আধুনিক বুফে অথবা লাইভ কাউন্টার সব ক্ষেত্রেই বাঙ্...
07/10/2024

খেতে এবং খাওয়াতে বাঙালী খুবই ভালোবাসে।আদ্যিকালের সাবেকি ভোজ বলুন কিংবা আধুনিক বুফে অথবা লাইভ কাউন্টার সব ক্ষেত্রেই বাঙ্গালীর ভোজনরসিকতার স্পষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়।

এখন বিয়ে বলুন কিংবা জমাটি জন্মদিন পালন সব ক্ষেত্রেই বাঙ্গালীরা অনুষ্ঠান ভবন অর্থাৎ Banquet Hall ভাড়া করে এবং ক্যাটারারদের রান্না এবং খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব দেয়।

৯০- এর দশকে এরকম ছিল না: সরু লম্বা নড়বড়ে কাঠের টেবিল তাতে লম্বাকরে পরপর ১০ জন মতো বসত, তার নিচে V shape স্ট্যান্ড তার সাথে নাইলন দিয়ে বোনা চেয়ার যার জায়গায় ছেঁড়া, আপনি বসলে আপনার শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ বাইরে ঝুলবে। এক বৈশাখী দুপুরে গলদঘর্ম হয়ে আপনি খাচ্ছেন, তার মধ্যে কর্তা এসে এক বিরাট হাঁক দিলেন: "কইরে তোর পিসেমশাইকে আরও কটা মাংসের টুকরো দে, পাততো ফাঁকা!" মন দিয়ে খেতে খেতে হটাৎ আপনার অন্তরাত্মা চমকে উঠলো। কিংবা দেখলেন, মস্ত এক গামলা করে মাছ নিয়ে এসে এক ব্যক্তি হাতে করে মাছ তুলে পাতে দিচ্ছে। খেয়েদেয়ে হাত ধুতে গেলেন, দেখলেন হয়তো একটা টিউবওয়েল থেকে নিজেকেই জল পাম্প করে হাত ধুতে হচ্ছে। গ্রামেগঞ্জে এমনও হতো, খেয়েদেয়ে বাড়িতে এসে হাত মুখ ধুতে হতো।

এখন সময় বদলেছে, এখন গ্রীষ্মকালে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে খাবার পরিবেশন করা হয়, শীতকালে হাত ধোবার জন্য বাটিতে করে সাবানজল গোলা গরমজল পরিবেশিত হয়। খাবার পরিবেশনের কত রকমের কত কায়দা তার ইয়ত্তা নেই। সুন্দর চিনামাটির প্লেটে, কিংবা কাঁসার থালায় খাবার পরিবেশন করা হয়। মাছের বিভিন্ন পদের জন্য আলাদা আলাদা পাত্র, মিষ্টির জন্য আলাদা পাত্র আরও কত কি। সবচেয়ে মজার বিষয় হল খাবার আগে খিদে বাড়ানোর জন্যও কিছু খাবার থাকে, তাদের স্টার্টার বলে। অনেকে তো ডজনখানেক রকমের স্টার্টার ষ্টল রাখে। বুফেতে নিজেই নিজের পছন্দের খাবার যতবার খুশি নিয়ে খেতে পারে। বসে খাবার ক্ষেত্রে খাবার উপস্থাপনের শৈলীর অন্ত নেই।

আমরা ঘরোয়া ক্যাটারার স্বাস্থ্যকর ও বনেদিয়ানা খাবার নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমরা শুধু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দেব তাই না, আমরা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার উপস্থাপনের আধুনিক থেকে আধুনিকতম শৈলীতে খাবার পরিবেশন করবো। আশাকরি আমাদের খাবারের স্বাদ, উপস্থাপনের শৈলী এবং আন্তরিকতা আপনার অতিথিদের মনে একটা ইতিবাচক দাগ কাটবে।

আপনার বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান থাকলে আমাদের যোগাযোগ করুন। Phone: 9674008262

গত পরশু এই মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে আমরা ঘরোয়া ক্যটারার Bolpur Professor Coloney-তে একটি Order Deliver করলাম। Order যিনি ক...
17/09/2024

গত পরশু এই মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে আমরা ঘরোয়া ক্যটারার Bolpur Professor Coloney-তে একটি Order Deliver করলাম। Order যিনি করেছিলেন উনি উনাদের একটি Ladies Club সভ্যদের জন্য খাওয়ার আয়োজন করেছিলেন।

উনারা আমাদের উপর এতটাই ভরসা করেছিলেন যে নিজেরা মেনুও ঠিক করেন নি, আমাদেরই মেনু সাজানোর জন্য বলেছিলেন। আমরা তাই আমাদের নিজের মত করে মেনু সাজানোর স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। তাই আমরা আমাদের যে তিনটি বিশেষত্ব: বাঙালিয়ানা রান্না, মোগলাই রান্না এবং চাইনিজ রান্না: সবগুলোর থেকে কিছু পদ নিয়ে আমরা আমাদের মত করে খাবার পরিবেশন করেছি।

মেনুতে Starter -এ ছিলো Honey Chilli Potato (Chinese Cuisine), Fried Rice(Indo-Chinease Cuisine), Dhoka(Bengali Cuisine), Chicken Korma(Muglai Cuisine), Chutney(Bengali Cuisine) and Papad(North Indian Cuisine).

উনারা এই মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে প্রতেকে এসেছেন ও আমাদের খাবার খেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছেন এবং আমাদের আরও উন্নতির জন্য আর্শীবাদ করেছেন।
আমাদের স্নেহ এবং ভালোবাসা দেবার জন্য আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

কালকের বিশ্বভারতীর Orderকাশ্মীরী পোলাও+ মখমলি মুর্গ..আমরাই এরকম নতুন এবং অজানা রেসিপিগুলি তৈরি করি এবং সরবরাহ করি।
11/09/2024

কালকের বিশ্বভারতীর Order
কাশ্মীরী পোলাও+ মখমলি মুর্গ..

আমরাই এরকম নতুন এবং অজানা রেসিপিগুলি তৈরি করি এবং সরবরাহ করি।

09/09/2024

বোলপুর স্কুলবাগানে গনেশপুজো উপলক্ষ্যে একটি ছোটোখাটো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই খাবার পরিবেশন করার দায়িত্ব আমাদের অর্থাৎ GHAROA CATERERS কে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সম্পুর্ন নিরামিষ( পেঁয়াজ,রসুন ছাড়া) সব পদ রান্না করবো ঠিক করি এবং সেইমত ১০০ জনের রান্না করি।

আমাদের পরম সোভাগ্য ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ শ্রী শান্তি মহারাজ আমাদের এই কাজের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। উনি আমাদের তৈরি খাবার খেয়েছেন এবং আমাদের তৈরি খাবার ওনার খুব ভালো লেগেছে।

এতসব পরিশ্রমের শেষে এই রকম একজন গুনি মানুষের সাধুবাদ আমাদের পাথেয়।

মিক্সড ফ্রায়েড রাইসবাঙালি গ্রন্থকীট সে সাড়া বিশ্ব জানে। নরেন দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ এমনই প্রতিভাবান ছিলেন একবার এ...
28/08/2024

মিক্সড ফ্রায়েড রাইস

বাঙালি গ্রন্থকীট সে সাড়া বিশ্ব জানে। নরেন দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ এমনই প্রতিভাবান ছিলেন একবার একটা বইকে পড়ে তার সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতেন শুধু তাই নয় কত তম পৃষ্ঠায় কি পড়েছেন তিনি তা অবদি মনে রাখতেন। বুঝতে পারছেন, বাঙালিরা কত বড় বড় গ্রন্থ নিমেশেই গপাগপ গলাধঃকরণ করেছেন।

এবার বলি বাঙালির কীট খাওয়ার গল্প৷ 'কীট' অথাৎ পোকা- ভাবুন এমন কি কোনো পোকা আছে যা বাঙালি চিবিয়ে চুষে যেভাবে পারে সেভাবে খায়। মহানন্দে খায়? আছে মশাই আছে- চিংড়ি হল সেই জলের পোকা যা হাজার হাজার বছর ধরে বাঙালির স্বাদকোরক মাতিয়ে রেখেছে।

বাঙালির খাদ্যকোষ যেন গিরি গোবরধন-যার তলায় ঠায় পায় চিনা, রাশিয়ান, মোগলাই, থাই, আমেরিকান আরও কত শত দেশের খাবার এবং পাকপ্রণালী। তবে প্রস্তর যুগের শীলনোড়া থেকে আজকের মিক্সার গ্রাইন্ডারের এই যাত্রাপথে বাঙালি খুবই সীমিত বিদেশি পদ সরাসরি আপন করছে- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের পাকপ্রণালী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশীয় উপাদান দিয়ে বাঙালি নিজস্ব নানা পদ সৃষ্টি করেছে।

চিনা পাকপ্রণালী নিয়ে বাঙালি তাতে নিজেদের পাকপারদর্শীতার স্বকীয়তা মিশিয়ে বাঙালি প্রস্তুত করেছে এক নিজস্ব পদ: 'মিক্সড ফ্রায়েড রাইস'। ফ্রাইড রাইস, তাতে একটু বিনস্, একটু ক্যাপসিকাম, একটু গাজর; সাথে একটু ডিম ভাজা, একটু চিংড়ি- হয়ে গেল মিক্সড ফ্রায়েড রাইস। যেমন "চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ, আর রুমালের মা- হল চশমা।" সেরকমই মুখরোচক এই মিক্সড ফ্রায়েড রাইস।

এবার বলুন আপনার রসনার আটলান্টিকে 'মিক্সড ফ্রায়েড রাইস' টাইটানিকের মতো ডুববে না? ডোবাটাই স্বাভাবিক। তাই এই বর্ষার আমেজে এইরকম একটা রকমারি স্বাদের একটা পদ আর কি চিনা বা তিব্বতি বলে ন্যাকামি করে সরিয়ে রাখা য়ায়? না মশাই তাই করে ফেলুন মিক্সড ফ্রায়েড রাইস; দেখুন মন গেয়ে উঠবে-
"প্রাণ দিতে চাই, মন দিতে চাই
সবটুকু ধ্যান সারাক্ষন দিতে চাই
তোমাকে...."

কখনও তালপুকুর দেখেছেন?
25/08/2024

কখনও তালপুকুর দেখেছেন?

তালের বড়াকবিগুরু বললেন তোমার সুরে সুর মেলাতে আমার বেলা য়ায়, সন্ধ্যা নেমে আসে। কিন্তু আপনি ভাবুন শুধু সুর নয়  - তাল, তালে...
24/08/2024

তালের বড়া

কবিগুরু বললেন তোমার সুরে সুর মেলাতে আমার বেলা য়ায়, সন্ধ্যা নেমে আসে। কিন্তু আপনি ভাবুন শুধু সুর নয় - তাল, তালের সঙ্গে তালে তাল মেলানোতে বাঙালির জুরি মেলা ভার। ছোট থেকে বড়, যে কেউ তালের ঘোরে চোখের পলকে মা"তাল" হয়ে উঠতে পারে এবং কেয়াপাতার নৌকার মতো আনন্দে 'তাল'দিঘিতে দুলে দুলে ভাসতে পারে- তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাল নিয়ে যেমন বাঙালির প্রেমের পারদ যেকোনো মুহূর্তে আল্পসের শিখর ছুঁয়ে ফেলতে পারে; তেমনই বাংলা সাহিত্যিকদের কলমেও 'তাল' হয়ে উঠেছে এক প্রধান চরিত্র। তাইতো তাল আমাদের প্রান বিভিন্নভাবে ছুঁয়ে য়ায়। আমরা সহজেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "তালনবমী" এর গোপাল হয়ে উঠি- সজল দৃষ্টিতে তাল খাওয়ার নেমন্তন্ন না পাওয়ার অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকি, তেমনই আবার কবিগুরুর ছন্দে "তালগাছ" হয়ে আকাশ ছুঁয়ে ফেলার স্বপ্ন বুনি।

আবার পুরানের ঘাড়েও 'তাল' বেতাল হয়ে চড়ে বসেছে। বিশেষ করে কৃষ্ণের জীবনকাহিনী জুড়ে এই তাল বাবাজির সাম্রাজ্যই বেশ ভালো মতন বিস্তার পেয়েছে। "তালের বড়া খেয়ে নন্দ নাচিতে লাগিল..." আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। তার পরেই ছোট্ট নন্দ লালার আগমনে, আনন্দে সেজে উঠবে প্রতিটি ঘর। মাখন, ক্ষীর, লাড্ডু সহযোগে নন্দ-লালার জন্য আনন্দ যোগ্যে সামিল থাকবেন সকল মা বোনেরা।

গোপালের প্রিয় পদগুলির মধ্যে আর একটি পদ কিন্তু বাদ দেওয়া একেবারেই নৈব নৈব চ। তা হল, তালের বড়া! কী, শুনেই নিশ্চয়ই মনে মনে তালের বড়ার হাঁড়ি থেকে মায়ের চোখের আড়ালে দু তিনটে সাবাড় করে নিতে মন চাইছে? ছোট্ট গোপাল যখন মাখন চুরি করেছে- তালের বড়াও কি আর ছেড়েছে? ব্যাসমশাই সেটা লেখেননি তাই।

নিশ্চয়ই তালের বড়া নাম শুনেই, ভেসে আসছে এক অপার্থিব, অকৃত্রিম, ফেলে আসা শৈশবের গন্ধ? যে গন্ধকে কেন্দ্র করেই হঠাৎ মন গেয়ে উঠতে চাইছে, "কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা..." তবে জানেন কি, কেন জন্মাষ্টমীতে অন্যান্য ভোগের সঙ্গে, তালের বড়ার আয়োজনও করা হয়ে থাকে? এর পেছনে রয়েছে এক সুন্দর ইতিহাস। কথিত আছে, বাসুদেব গোকুলে ছোট্ট গোপালকে, মিত্র নন্দরাজের কাছে রেখে আসার পরেই, ছোট্ট গোপালের আগমনে নন্দরাজ এক উৎসবের আয়োজন করেন। সেই উৎসবে কিন্তু তখন ক্ষীর, ননী, মাখন ঠাঁই পায়নি, বরং পেয়েছিল সেই ঐতিহাসিক তালের বড়া। সে কারণে তালের বড়া ছাড়া গোপাল-পুজন, একেবারেই যেন অসম্পূর্ণ।

তাই কৃষ্ণ হোক কিংবা নন্দ, ছোট হোক কিংবা বড় সবার তালের বড়াতেই আনন্দ।

"যথা দিনে রাতে মিলন–রাসে
চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে,
যার পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।।
কোথায় বৃন্দাবন!"

বুঝলেন কিছু? নজরুল বললেন যেখানেই আনন্দ সেখানেই বৃন্দাবন! তালের বড়া খান, আনন্দ উপভোগ করুন। গোঠের রাখালের মত আপনিও মনের আনন্দ- বৃন্দাবন খুঁজে পাবেন।

লাউঘন্ট লাউ কি সত্যি বৈরাগী বানায়? লাউ খাওয়ার সাধ কি লাউকে সাধনায় পরিনত করতে পারে? আসলে লাউ কে শুকিয়ে তার খোলটা দিয়ে একত...
21/08/2024

লাউঘন্ট

লাউ কি সত্যি বৈরাগী বানায়? লাউ খাওয়ার সাধ কি লাউকে সাধনায় পরিনত করতে পারে? আসলে লাউ কে শুকিয়ে তার খোলটা দিয়ে একতারা বানানো হয় এবং একতারা হাতে নিয়ে বহু মানুষ বাউল হয়েছেন: বৈরাগ্য বেছে নিয়েছেন।

লাউ এক অতি সাদামাটা সবজি, তাই খুব একটা পাত্তা পায়না। তাই পাতে পড়লে অনেকেই নাক সিটকোন। নাক সিটকোলে হবে কী? গরমে এই সবজির বেশ চাহিদা, তা কেন? বলছি তার কারণ।

এখন দেশে যা গরম পড়ছে, এরপর হা পিত্যেশ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বিশেষজ্ঞদের দাবী লাউ শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে গলদঘর্ম হয়ে গ্রাম বাংলা, এমনকি শহুরে মানুষজনও এই লাউয়ের প্রেমে ডুবে থাকেন।

লাউতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আবার ত্বক সুন্দর রাখে। ব্যস আর যায় কোথায়। এমনিতেও বাঙালিদের সৌন্দর্যের চর্চা চারদিকে। তারপর আবার রোজ রোজ যদি লাউয়ের তরকারি খেতে শুরু করেন তাহলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকবে, তেমনি ত্বকও বলবে বাহ রে বাহ।
এদিকে আবার কিছু মানুষের বক্তব্য লাউ নাকি ফল। এতদিন জেনে এসেছি এতো এক আস্ত সবজি, যা বোতলের মতো দেখতে বলে এর নাম ইংরেজিতে হয়েছে ‘বটল গার্ড’। ও বাবা সে মানলে হবে, এর ভেতরে থাকা আস্ত বীজ গুলোর জন্যে নাকি এটি ফল হিসাবে পরিচিত।

তো সে যাক গে। আমরা বাঙালিরা লাউ দিয়ে বিভিন্ন পদ বানাই, লাউঘন্ট তার মধ্যে অন্যতম। মুগ ডাল, বড়ি, কুচো লংকা, দিয়ে লাউ ঘন্টের স্বাদ মুখে লেগে থাকে খাদ্যরসিকদের।

শীতকালে গরম হাওয়া প্রয়োজনীয় তাই আমরা হিটার চালিয়ে বসি, সেরকমই এই গরমে আমরা ঠান্ডা জায়গা বা অন্তত ঠান্ডা হাওয়ার খোঁজ করি। ঠান্ডা হাওয়া আপনার শরীরের উপরে আরাম দেবে; সেরকমই লাউঘন্ট আপনার শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা করবে।

"দখিন-হাওয়া, জাগো জাগো,
জাগাও আমার সুপ্ত এ প্রাণ।
আমি বেণু, আমার শাখায়
নীরব-যে হায় কত-না গান।"

এরপরও কি বলবেন লাউঘন্ট আপনাকে বৈরাগী বানালো না?

বাটা মাছের ঝালকেউ হয় কোমল, নরম মনের; কেউ বা উগ্র এবং প্রচন্ডভাবে আধিপত্যশীল। বয়সের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নাকি কোমলপ্রাণ আস...
19/08/2024

বাটা মাছের ঝাল

কেউ হয় কোমল, নরম মনের; কেউ বা উগ্র এবং প্রচন্ডভাবে আধিপত্যশীল। বয়সের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নাকি কোমলপ্রাণ আস্তে আস্তে কঠিন এবং কঠোর হয়ে য়ায়; তাই লোকে বলে। আমি বুঝতে পারি না- মানুষ তো আর সুপারি নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুস্ক ও কঠোর হয়ে য়ায়?

আমাদের প্রজন্ম গুরুজনদের শ্রদ্ধা করে, তাদের আদর আপ্যায়ন করে- কিন্তু তাদের কাছে যথেষ্ট নয়। তারা চায় কোনো প্রশ্ন না করে তাদের আদেশ হবহু মেনে নেওয়া, নিজের মস্তিষ্ক, বুদ্ধি ও অনুভুতিগুলো পাশে রেখে তাদের পথনির্দেশ ও দিকনির্দেশের আজ্ঞাবহ হওয়া। তাই কি সম্ভব? প্রশ্ন প্রতিবাদ বা কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা 'বখাটে' আখ্যা দেন।

যাইহোক বড়োদের এই আদেশ মানানোর চেষ্টা আর আর নতুন প্রজন্মের স্বাধীনচেতা মনোভাব উভয়ের প্রায় সংঘর্ষ হয়। নতুন প্রজন্ম সেক্ষেত্রে সেই সকল মানুষদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করলেও বয়স্করা তার আদেশ না মানাতে পারবার ক্ষোভে উগ্র ও খিটখিটে হয়ে পড়ে।
হোক না একটু খিটখিটে: তাও তো তারা আপনজন। আমাদের প্রিয়।

আমাদের বাঙালির রন্ধনশালায় এমনকিছু পদ আছে যা একটু উগ্র ও ঝাঁঝালো গন্ধভরা। এরকমই একটা মাছের পদ হল মাছের ঝাল।মাছের মধ্যে সর্ষে বাঁটার ব্যবহার এবং কাঁচা সরষের তেলের তিব্র ঝাঁঝালো গন্ধের জন্য এই পদটির নাম দেওয়া হয়েছে 'মাছের ঝাল।'

মাছের ঝাল সেই খিটখিটে আপনজনটির মতো এটি উগ্র ও ঝাঁঝালো হলেও বাঙালির আপন খাবার।
বাটা মাছ বাঙালির অন্যতম প্রিয় মাছ। বাটা মাছের ঝাল অন্যতম উপাদেয় খাবার তাই বাঙালির প্রায় বাড়িতেই রান্না হয় এবং বাঙালি মহানন্দে গ্রহণ করে।

চলুন আজ থেকে আমরা শুধুই স্বাস্থ্যকর এবং ভালো খাবার খাই। সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ আজকের দিনটি আপনারা সকলে চিনা, মোগলাই, থ...
15/08/2024

চলুন আজ থেকে আমরা শুধুই স্বাস্থ্যকর এবং ভালো খাবার খাই।

সকলের কাছে আমাদের অনুরোধ আজকের দিনটি আপনারা সকলে চিনা, মোগলাই, থাই খাবার বাদ দিন এবং দেশি খাবার খান।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ভালো থাকুন।

গোবিন্দভোগের লাউঘন্টগোবিন্দভোগে চালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক অসামান্য ইতিহাস। আগে গাঙ্গেয় সমভুমির একটা বিরাট অঞ্চলে যেমন বর্...
12/08/2024

গোবিন্দভোগের লাউঘন্ট

গোবিন্দভোগে চালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক অসামান্য ইতিহাস। আগে গাঙ্গেয় সমভুমির একটা বিরাট অঞ্চলে যেমন বর্ধমান, হুগলী, বাঁকুড়া,নদীয়া সহ বাংলার বিভিন্ন জেলায় 'খাস ধান' চাষ করা হত। সেই ধানের সুগন্ধে মম্ করত গাঙ্গেয় উপত্যকা।

১৬০০ প্রথমদিকে কলকাতার শেঠটা সর্বধর্মসমন্বয়ের উদ্দেশ্যে বড়বাজারে গোবিন্দ জিউ এর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে নিয়মিত এই সুগন্ধি 'খাস ধান' দিয়ে তৈরি চালের পায়েস নিয়মিত ভোগ হিসাবে দেওয়া হত। পরবর্তীতে শেঠরা গোবিন্দের উদ্দেশ্যে ভোগ নিবেদন করা 'খাস-ধান'- এর নাম দেন গোবিন্দভোগ।

২০১৭ সালে GI Tag পায় বাংলার এই গোবিন্দভোগ। কল্পনা করা যায়? গোবিন্দভোগ বিশ্বের দরবারে বাংলার খাবারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তাই গোবিন্দভোগ আমাদের গর্ব এবং গোবিন্দভোগের সৌরভ আমাদের আনন্দ।

'ঘন্ট' কথাটার অর্থ ঘেঁটে ফেলা। ভাববেন হয়ত ঘেঁটে ফেললে রান্নটা কেমনে হয়? হয় মশাই, একদম হয়। শুধু হয়ই না, বেশ সুস্বাদুও হয়।

আমরা যখন কোনো রান্নার জন্য প্রস্তুতি নি, তরকারি থেকে শাক, সবজি সবই সমান মাপে কাটি ও রান্না করি এবং যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে রান্না করি, যাতে সবজিগুলো ভেঙে না যায়: প্রতেকেই তার আকার গুলো বজায় রাখে। তার দুটি কারন: এক হল তরকারিটা দেখতে সুন্দর লাগে এবং আর একটি হল সবগুলোই সমানভাবেই সেদ্ধ হয়। ঠিক কিনা??

শুধু দু-ধরনের তরকারির ক্ষেত্রে নিময়টা আলাদা। এক হল ঘন্ট আর এক ঘ্যাঁট।

রকমারি সবজি একসাথে করে রান্না করলে এবং কোনোটারই আকার ঠিক বজায় না থাকলে তা হল ঘ্যাঁট। এই ঘ্যাঁট ব্যাপারটা একটু অসবর্ণ শোনায়-আর সত্যি বলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘ্যাঁট খুব একটা আদর যত্ন করে রান্নাও করা হয় না।

ঘ্যাঁটের একটি বনেদিআনা রূপ হল ঘন্ট। একটি মাত্র সবজি (যেমন লাউ, মোচা, কুমড়ো, থোড়) দিয়ে রাজকন্যার খোপার মতো তাকে সযত্নে প্রস্তুত করা হয়। মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট ও হয় আজকাল অনেক ভোজবাড়িতে কিন্তু লাউঘন্টই হল সবচেয়ে প্রাচীন তার কারন হল মানুষের প্রথম চাষ করা সবজির মধ্যে লাউ অন্যতম।

নিরামিষ লাউঘন্টতে একটু গোবিন্দভোগে চাল ব্যাবহার করলে গোবিন্দভোগের সুঘ্রাণে লাউয়ের সুস্বাদে তা আরও মনোময় এবং অসামান্য হয়ে ওঠে।

মানুষ যতই বিবিধ পুজো নিয়ে মাতামতি করুক- সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেটপুজোতে। ভাবুন পেটপুজো এমন পুজো যার আপনি নিজে পুরহিত- আর কড়ম...
10/08/2024

মানুষ যতই বিবিধ পুজো নিয়ে মাতামতি করুক- সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেটপুজোতে। ভাবুন পেটপুজো এমন পুজো যার আপনি নিজে পুরহিত- আর কড়মড় কড়মড়, কিংবা হাপুস হাপুস শব্দে যে মন্ত্রোচ্চারণ আপনার মুখ থেকেই নির্গত হয়;তাই এই মন্ত্র(যার উদ্দেশ্য মনকে ত্রান করা) আমার মনে বেশ ভালোই আনন্দ দেয়, অর্থাৎ মন্ত্র তার উদ্দেশ্য সাধন করে। সবচেয়ে বড় কথা হল- পুজার শেষে প্রায় প্রতিবারই উদরদেব সন্তুষ্ট হন। আহা!

প্রতেকটা দেব দেবীর পুজোর যোগাড় আালাদা, পদ্ধতিও ভিন্ন। যেমন দুর্গাপুজোয় অনেক বেশি সামগ্রী লাগে, অনেক লম্বা পুজো প্রনালী; আবার কালিপুজো একরাতের কিন্তু বলির জন্য একটা আস্ত পাঁঠা লাগে- মানে বেশ খরচা সাপেক্ষ। আবার শিবের পূজা বেশ সাদামাটা তাতে শুধু বেলপাতা আর ফুল হলেই জোগাড় শেষ।

রান্নারও তাই, কোনোটায় অনেক লম্বা পাক প্রনালী, কোনোটা বানাতে দামী দামী উপাদান লাগে আবার কোনোটা শিবের পুজোর মতো সাধারণ উপাদানে হয় এবং একটা অসাধারণ পদ সৃষ্টি হয়।

এবছর সারাটা বর্ষা ধরে যে যে সবজিটা উপদ্রব করছে, যেখানে যাচ্ছি সেখানে দেখা যাচ্ছে সেটা হল পটল। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে দেখি পটল, দুপুরে ভোজ খেতে গিয়ে পটল- খবরের কাগজ, ফেসবুক থেকে শুরু করে পাড়ার বৌদিদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এই পটল। আমারতো মনে হয় জলাতঙ্কের মতো আমার পটলাতঙ্ক হয়েছে।আপনারও যদি আমার মত পটলাতঙ্ক হয়ে থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি পটল দিয়ে উদরদেবের পুজোয় বসার জন্য মশলাদার ছোলা পটল করে ফেলুন।

বিরাট কিছু পাকপ্রণালী নয়, পেঁয়াজ রসুন দিয়ে কষা আলু পটলের তরকারিতে কিছুটা আধসিদ্ধ ছোলার ডাল দিয়ে আর একটু কষে নিলেই হয়ে যাবে মশলাদার ছোলা পটল৷ ব্যাস শিবপূজার মত- করে খেয়ে দেখুন। উদরদেব সন্তুষ্ট তো হবেই এবং প্রান ও আনন্দে নাচবে।

সবশেষে বলি সব পুজোর শেষে যেমন প্রসাদ বিতরন করা হয়- উদরদেবেরও হয়। উদরদেবের পুজার প্রসাদ হল এক অসামান্য আনন্দ, যা আমি আপনাদের মধ্যে বিতরন করছি।

আপনারাও বানান মশলাদার ছোলা পটল এবং নিজের উদরদেবের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য সাজান- মন আনন্দে ভরে গেলে সেই আনন্দ প্রসাদের মতো সবার মধ্যে বিতরন করুন।

Address

Bolpur

Telephone

+919674008262

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when GHAROA CATERERS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to GHAROA CATERERS:

Videos

Share

Category