বৈভবলক্ষী Baivablaxmi

বৈভবলক্ষী Baivablaxmi আনন্দ দেওয়া ও আনন্দ করা । বিনোদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা @ Give the entertainment and entertain @

04/11/2024

@@@একজন নারীর চাহিদা @@@@

না বুঝে,উল্টোপাল্টা কমেন্ট করবেন না
আপনার স্ত্রী যখন আপনার কাছ থেকে সময়,যত্ন,ভালোবাসা কম পাবে,তখন দেখবেন সে তার চাহিদা বাড়াতে থাকবে!
শাড়ি,গয়না,আসবাবপত্র, কিংবা ঘর সাজানোর যাবতীয় জিনিস কিনতে বায়না ধরবে।বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে চাইবে।
আপনার থেকে যখন সময়,যত্ন কিংবা ভালোবাসা পাবে না,তখন সে অন্যকিছুতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাইবে!
-:আবারঃ-
আপনার স্বামী যখন আপনার কাছ থেকে মানসিক এবং শারীরিক সাপোর্ট পাবে না,তখন তার মেজাজ খিটখিটে থাকবে আপনার সাথে!অকারণে ঝগড়া করবে,সব কাজে ভুল ধরা শুরু করবে!
স্ত্রী যদি মানসিক কিংবা শারীরিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়,তবে সে পুরুষ কখনো সফলতার মুখ দেখতে পারে না!সে থাকবে কেবলই হতাশাগ্রস্ত!
-:সত্যি বলতে:-
পুরুষ মানুষ সব সহ্য করতে পারে,শুধু তার শারীরিক কিংবা মানসিক চাহিদার অপূর্ণতা সহ্য করতে পারে না!আপনি আপনার স্বামীর সাথে যত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন,আপনাদের মাঝে তত দূরত্ব বাড়তে থাকবে!
-:জানেন তো?:-
মানুষ তার সঙ্গীর অবহেলা পেলে;মনে জেদ,তেজ আর রাগ পুষতে থাকে!যা একসময় অনেক বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়,সংসারে তৃতীয় পক্ষের আগমন ঘটে,সম্পর্ক বিচ্ছেদে রূপ নেয়!আর তখন পাশাপাশি এক বিছানায় থেকে শুধু নামেমাত্র সংসারের দায়িত্ব পালন করে গেলেও,মনের দূরত্বটা আজীবন থেকে যায়!
সংসারে স্বামী-স্ত্রীকে থাকতে হয় একে-অপরের পরিপূরক হিসাবে।পরস্পর পরস্পরের দোষ না খুঁজে বরং পরস্পরের যেটা প্রয়োজন,তা পরস্পর মিলেই মিটিয়ে নিন।একজনের মানসিক সাপোর্ট লাগলে,তাকে মানসিক সাপোর্ট দিন,সময় দিন,যত্ন দিন।অপরজনের শারীরিক সাপোর্ট লাগলে,তার শারীরিক চাহিদা পূরণ করুন।কেউ কাউকে দোষারোপ না করে,পরস্পরের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
পৃথিবীর সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী!
সংসার জীবনে অশান্তি নিয়ে,পৃথিবীর কোনো মানুষই ভালো থাকতে পারে না–কস্মিনকালেও না!

Follow me
সংগ্রহিত

02/11/2024

😭বাবা-মা বদলানোর কোনো অপশন যদি থাকতো, তাইলে,অনেক সন্তান'ই তাদের বাবা-মা বদলাইতে চাইতো। কথা'টা কঠিন কিন্তু নির্মম সত্য।❤️
বাবা মা ভালো করেই জানে,কোন সন্তানের উপর কাঠাল ভাংগা সহজ,সংসারে কোন সন্তান সেক্রিফাইজ করতে জানে।মা বাবার কাছে সব সন্তান সমান,এটা একটা টপ লেভেলের মিথ্যা কথা।
আমার কাছে মনে হয় এই কথা'টা পৃথিবীর সুন্দর মিথ্যাগুলির মধ্যে অন্যতম একটা মিথ্যাকথা।
এই দেশে বাবা-মা'য়ের কাছে সব সন্তান কখনোই সমান হয় না,আমাদের দেশে ছেলে'কে বিয়ে করানোর পর ভাবা হয় ছেলে পর হয়ে গেছে।
সে এখন আর বাবা-মা'য়ের নাই।সে এখন বউ কিংবা শ্বশুর বাড়ির।
আমি বলছিনা সব বাবা-মা'ই এরকম।কিন্তু,ট্রাস্ট মি আমি এমন অনেক বাবা-মায়েদের দেখেছি যাদের জন্য নিজের ছেলের জীবন নরক হয়ে গেছে, মেয়ের সাজানো গোছানো সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে।
♦️নিজেদের আলগা ফুটানী মারতে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেছে♦️
সব সন্তান খারাপ হয়না আর বৃদ্ধাশ্রমে যারা থাকে তাদের সবার সন্তান'ই অমানুষ হয়না।
‌ কর্মফল বলেও একটা কথা আছে,এটা আমরা অনেকেই ভুলে যাই।
আপনার সন্তান'ও একজন মানুষ।
তার'ও ভালো লাগা খারাপ লাগা আছে।তাকেও একটু বুঝার চেষ্টা করুন।
এই কথাটা সবার জন্য না অনেক মা বাবা আছে যারা এক চোখামি করে তাদের জন্য 😊
ফলো ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

01/11/2024

জীবনে প্রেমিক বা প্রেমিকা থাকার চেয়ে বরং একটা ভালো বন্ধু থাকুক। যার সাথে কথা বলা যাবে নিঃসংকোচে। যার সাথে সম্পর্কটা হবে দুই দেহ এক আত্মা টাইপের।

জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। সব উল্টো পাল্টা কথাগুলো শোনার জন্য। মন খা'রা'পের দিনে প্রেমিক বা প্রেমিকার মতো করে মন ভালো না করে দিয়ে আরো মে'জাজ খা'রা'প করে দেওয়ার জন্য হলেও একটা ভালো বন্ধু থাকুক।

জীবনে এমন একটা ভালো বন্ধু দরকার, যাকে হুটহাট ফোন দিয়ে চেঁচিয়ে কথা বলে মনের সব রা'গ ,ক'ষ্ট বের করে দেওয়া যাবে। সে তখন ভুল না বুঝে এক চিলতে হাসি হেসে বলবে, “কীরে, রা'গ মিটছে? চল বিকালে হাঁটতে বের হই একসাথে”

জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। কান্না ভেজা গল্পগুলো শোনার জন্য। যে প্রয়োজনে ঢাল হবে, শাসন করবে, বকবে, রাগাবে, গা'লা'গা'লি করবে আবার সোহাগে আদরে আগলেও রাখবেl

জীবনে একটা ভালো বন্ধু থাকুক। যে হবে আমারই মতো! যার জন্য নিজেকে অন্তত মানিয়ে নিতে হবে না। যে বুঝবে আমার একাকিত্বের মানে, চোখের চাহুনির হাসি কিংবা সকল না বলা কথা।

জীবনে এমন একটা ভালো বন্ধু পেয়ে গেলে আর প্রেমিক বা প্রেমিকার দরকার পড়ে না!!
সংগৃহীত
Follow me
কে থাকা ভালো বন্ধু নাকি প্রেমিক বা প্রেমিকা বলুন?

28/10/2024

@@@সাবধান সচেতনতা হোন @@@।

☠️💀☠️অনলাইনে নিজের সম্পদ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না ☠️💀☠️💀।

" জান তোমার নগ্ন বুকের তিল দেখতে ইচ্ছে । একটা ছবি তুলে দাও।"
মেসেঞ্জারে অনলের মেসেজ দেখে চোখমুখ ম্লান হয়ে গেছে তৃপ্তির। এসব ছবি তুলতে গেলে ঝামেলা লাগে তার কাছে। রাত হলেই অনলের তৃপ্তির সাথে ফোনের অপরপ্রান্তে বসেই রোমান্স করা চাই। তৃপ্তি মেসেজ টাইপ করলো,
" এখন ইচ্ছে করছে না গো।"
" তাহলে ভিডিয়ো কল দেই? জামাকাপড় খুলে শুধু ফোনটা সামনে ধরো।"
তৃপ্তির অসহ্য লাগে। দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্কে ছয়মাস হলো অনল এরকম অশালীন আবদার করে। এ-র আগে কখনো এসব কথাবার্তা বলতো না অনল। প্রথম প্রথম তৃপ্তির ভয় করলেও পরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। তার ভালোবাসার মানুষই তো! বিয়ে হলে তো এমনিতেই সবকিছু অনলের। তবুও তৃপ্তি কখনো ভিডিয়ো কলে ওসব করে না। কোথাও যেনো মনের ভেতর একটা সুপ্ত ভয় কাজ করে। যদি ভিডিয়ো কোনোভাবে ভাইরাল হয়ে যায়? এসব ভেবে ছবি তুলে দিবে বলেই সিন্ধান্ত নিলো তৃপ্তি। উনিশ বছর বয়সী তৃপ্তি তার ভালোবাসার মানুষের আবদার কখনো ফেলতে পারে না। অনলের মিষ্টি মিষ্টি কথায় তৃপ্তি পৃথিবীর সকল বাস্তবতা ভুলে যায়।
" না। আমি ছবি তুলে দিচ্ছি অপেক্ষা করো।"
অনলের ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। অনল একটা ব্যাচেলর মেসে তিন বন্ধুর সাথে থাকে। তৃপ্তির মেসেজ দেখে বাকি তিন বন্ধুও হেসে উঠলো।
" ঠিক আছে। একবার দেখেই ডিলিট করে দিবো সোনা।"
" আমি জানি তো তুমি ডাউনলোড করো না ছবি। আদর করা শেষে ডিলিট করে দাও। ওয়েট পাঁচ মিনিটে আসছি।"
তৃপ্তি ঘরের দরজা ভালো করে বন্ধ করে দেয়। অন্ধকার ঘরে বিছানায় শুয়ে অনাবৃত শরীরের স্থিরচিত্র ধারণ করে ফোনের ক্যামেরায়। বলা বাহুল্য অন্ধকারে ফোনের ক্যামেরায় ফ্ল্যাশ জ্বলে।মিনিট ছয়েক পরে ফের অনলাইনে এক্টিভ হয় তৃপ্তি। মেসেঞ্জারে ঢুকতেই অনলের দু'টো মেসেজ শো করে।
" কই তুমি? তাড়াতাড়ি দাও ছবি। উফ আর সহ্য হচ্ছে না সোনা।"
তৃপ্তি ছবিগুলো পরপর পাঠিয়ে দেয়। অনল ছবিতে লাভ রিয়াক্ট দেয়।
" উফ মামা! তোর প্রেমিকার বডির সাইজ জোশ। শরীর তো পুরাই মাখন। এই মামা কতদিন এরকম ফোনে ছবি দেখে শান্ত হবো আর? একদিন রুমে নিয়ে আয় না!"
ৎৎআদিল উত্তেজিত হয়ে অনলের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে তৃপ্তির ছবিতে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো। ওর অবস্থা দেখে বাকিরা হাসলো একসাথে। অনল হেসে বললো,
" আরে বলদ এই মেয়েকে একসাথে সবাই খেতে গেলে তো আর এরকম ইনকাম করতে পারবো না। মেয়ের কি অভাব? বাকিগুলো দিয়ে স্বাদ মেটা। আপাতত নতুন এটাকে দিয়ে কিছু টাকা কামিয়ে রাখি।"
অনলের বাকি তিন বন্ধু সম্মত হয় অনলের সাথে। পনেরো মিনিট পরে অনল ফের তৃপ্তিকে মেসেজ করে।
" ছবিগুলো আনসেন্ড করো। উম্মাহ জান আমাকে শান্তি দেওয়ার জন্য। "
" ভালোবাসি অনল।"
" আমিও ভালোবাসি। শুভ রাত্রি। "
্যতৃপ্তির কিছু বলার থাকলেও আর সুযোগ হয় না। অনলকে এখন আর নক করে পাবে না। তৃপ্তি জানে অনল ডাটা অন রেখেই ঘুমিয়ে যায়। বোকা মেয়েটা এতটুকু বোঝে না প্রয়োজন ফুরাতে আর রিপ্লাই আসে না ওপাশ থেকে। তৃপ্তি ফোন রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করে। আর অনল ফেইক আইডি দিয়ে তৃপ্তির নগ্ন ছবিগুলো অন্য ছেলেদের কাছে দিয়ে চ্যাট সেক্স করে। কলে মেয়েদের মতো ভয়েস করে ছেলেদের কাছ থেকে টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস আদায় করে। অথচ তৃপ্তি এসবের কিছু জানে না! অনলের প্রকৃত রূপ হয়তো একদিন ঠিক তৃপ্তির সামনে আসবে। কিন্তু সেদিন হয়তো খুব দেরি হয়ে যাবে।

সমাপ্ত

আমাদের সমাজেও তৃপ্তির মতো অনেক মেয়ে আছে। আদতে আমরা তাদের নষ্টা বললেও কখন কার সাথে এমন ঘটে বলা যায় না। ভালোবাসার নামে যেসব ছেলেরা নোংরামি করে তারা কখনো প্রকৃত ভালোবাসে না। মেয়েরা এখুনি সচেতন হও। বিশ্বাস করো তবে অন্ধ বিশ্বাস নয়।

28/10/2024

@@কোন মেয়ে কে বিয়ে করবেন @@@

কাকে বিয়ে করবেন,শতকরা ৫ জন মেয়ে এমন খুঁজে পাওয়া যাবে না,যারা বাসর রাত্রে স্বামীর বুকে হাত রেখে, এই কথাটি স্বামীকে সত্যি করে বলতে পারবে, যে আমি তোমাকে সেই (সতিত্ব) যৌবন আজ উপহার দিলাম। যেই (সতিত্ব) যৌবনে কলংকের কোনো দাগ লাগে নাই। আমি তোমাকে এমন একটি পবিত্র দেহ আজ উপহার দিলাম। যেই দেহতে অতীত জীবনে কোনো পর-পুরুষের হাত লাগে নাই , বলতে পারবে শতকরা ৫ জন মেয়ে... খুঁজে পাবেন এই সমাজে এমন একটি মেয়ে..? তাই তো বলি বর্তমান যুগে বউ পাওয়া সহজ,,কিন্তু সত্যিকারের একজন নারী পাওয়া বড়ই কঠিন..!🙂

27/10/2024

@@মা লক্ষ্মী বাড়ি ভাড়া নেওয়ার গল্প@@

|| দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর বিছানায় একটু গড়িয়েছেন সবে; এমন সময় হঠাৎ বেল বেজে উঠলো। বিরক্ত হলেন বিলাশবাবু, এই ভর দুপুরবেলা আবার কে এলো রে বাবা! সবে তো তিনটে বাজে, সবাই এখন খেয়েদেয়ে ভাতঘুম দেয়...এই সেলসম্যান গুলো যখন তখন এসে বেল দেয়। কোনো কান্ডজ্ঞান নেই এদের। ভাড়াটে গুলোও ঘুমাচ্ছে নিশ্চয়ই...ভীষণ বিরক্ত নিয়ে উঠলেন বিলাশবাবু।
এই তিনতলা বাড়িটা বিলাশবাবুর পৈতৃক বাড়ি। বাবা মা মারা যাবার পর বলতে গেলে একা পরে যান। কারণ তিনি বিয়ে থা করেননি; আর তার কোনো ভাইবোনও নেই। সরকারি চাকরি করতেন, রিটায়ার্ড করার পর পেনশন পাচ্ছিলেন দিব্যি। কিন্তু এতবড় বাড়িতে একা থাকতে একটু ভয় ভয় ই করত তার, তাই দোতলা আর তিনতলা পুরোটাই ভাড়া দিয়ে দিয়েছিলেন। একটু উপরি উপার্জনও হয়। কিছুদিন আগে দোতলার একটা ভাড়াটে, দুটো ব্যাচেলর ছেলে; উঠে গেলো। চাকরি নিয়ে কলকাতায় এসেছিল ওরা, এখন চাকরি নিয়েই আবার দূর্গাপুরে চলে গেছে! ওই ঘরটা খালি পড়ে আছে...। বিলাশবাবু ওই ঘরটা ভাড়া দেওয়ার জন্যে বাইরে পোস্টারও টাঙিয়ে রেখেছেন... এখনও অবধি কেউ খোঁজ করতে আসেনি যদিও।
তবে বাড়িওয়ালা হিসেবে বিলাশবাবুর নামডাক কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। তিনি নাকি সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না... পাম্প দিনে একবারের বেশি চালাতে চান না! জল না আসলেও পাম্প চালান না! রাতে দেরি করে ফেরা যাবে না... পুজোর দিনগুলোতেও তার অন্যথা হয়নি! কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজোর এক রাতে মেইন গেটে একদিন তালা দিয়ে দিয়েছিলেন; সেই কারণে তিনতলার ভাড়াটেরা বেচারা সেদিন মাঝরাতে ঠাকুর দেখে এসে আর ঢুকতে পারেনি বাড়িতে। তবে এসব নিয়ে বিলাশবাবুর খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই! তিনি তার মতোই আছেন...
আবার বেল বাজলো! একরাশ বিরক্ত নিয়ে দরজা খুললেন!
– কে রে, তখন থেকে বেল বাজিয়ে বাজছে?
– কাকু, এখানে লক্ষ্মী পুজো অবদি ঘর ভাড়া পাওয়া যাবে? না মানে... আসলে এখন কৈলাস গেলে এত তাড়াতাড়ি ফিরতে পারব না।
বিলাশবাবু হাঁ হয়ে গেলেন, একি! একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে, মুখ খানা একেবারে দেবীর মত! হাতে ঘট নিয়ে, পরনে লাল শাড়ি; কপালে চন্দন, পায়ে আলতা! দরজার সামনে দাঁড়িয়ে...
– কে তুমি? তোমার মা বাবা কোথায়?
– মা তো ভাইবোন দের নিয়ে কৈলাসে ফিরে গেছে কাকু। আমার তো সামনেই পুজো, আমাকে থাকতে হবে এখানে। এর মধ্যে কৈলাস গেলে আর ফিরে আসতে পারবনা।
বিলাশবাবু কিছুক্ষণের জন্যে হতভম্ব হয়ে গেলেন; তারপর বুঝলেন কেউ তার সাথে হয়ত মজা করছে। দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মিলনী হবে পাড়ায়, সেখানে কোনো বাচ্চাকে নিশ্চয়ই লক্ষ্মী সাজিয়েছে; আর বলেছে গিয়ে হয়ত মজা করতে...
– তুমি এসো ভিতরে।
মেয়েটা গুটি গুটি পায়ে ভিতরে ঢুকলো। বিলাশবাবু ঘরে গিয়ে টেলিফোনটা তুললেন, পাড়ার সেক্রেটারি কে ফোন করলেন।
– হ্যাঁ আকাশ? এই, পাড়ায় কি তোমরা কোনো প্রোগ্রাম বা নাটক করছ যেখানে কোনো বাচ্চা মেয়েকে লক্ষ্মী সাজতে হবে? হ্যাঁ...কি বললে?... ও এরকম কোনো নাটক হচ্ছে না?... আচ্ছা বিজয়ার অনুষ্ঠান এখন হচ্ছে না? পরে হবে? আচ্ছা, ঠিক আছে। না না এমনি... রাখলাম।
বিলাশবাবু একটু অবাক হলেন, মেয়েটা কে তাহলে?! তাড়াতাড়ি বাইরের ঘরে এসে দেখেন মেয়েটা আর নেই! চারিদিকে খুঁজলেন, ঘরের ভিতরে, বাইরে। নাহ্, কোথাও নেই। চলে গেল নাকি? হ্যাঁ দরজাটা যদিও খোলা। সদর দরজাটা আটকাতে গিয়ে দেখেন এক অদ্ভুত ব্যাপার...ছোট ছোট পায়ের আলতার ছাপ দরজাটার সামনে! একটু ঝুঁকে দেখলেন বিলাশবাবু; নিশ্চয়ই ওই বাচ্চা মেয়েটার পা থেকে এসেছে। যাই হোক, দরজা আটকে ঘরে ফিরলেন। রাতের বেলা রান্নাঘরে যেতেই টের পেলেন
আগামীকাল লক্ষ্মীপুজোর জন্যে তিনি এক কৌটো নাড়ু নিয়ে এসেছিলেন; সেটা নেই! তন্নতন্ন করে সারা বাড়িতে খুঁজেও পেলেন না... কিন্তু তার স্পষ্ট মনে আছে তিনি ওটা রান্নাঘরের ই এক কোণায় রেখেছিলেন।
পরেরদিন সকালে তিনতলার ভাড়াটেরা এল ওনার ঘরে; লক্ষ্মীপুজোর নেমতন্ন করতে! বিলাশবাবু খুব অবাক হলেন, এই সেই ভাড়াটে যে রাত করে ফিরেছিল বলে তালা খোলেননি তিনি। তারা ওনাকে নেমতন্ন করতে এসেছে? ওরা সারারাত বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল! তিনি ফিরেও তাকাননি...চোখে জল আসল বিলাশবাবুর হঠাৎ...তাহলে কি কাল মা লক্ষ্মী স্বয়ং তার বাড়িতে এসে নাড়ু নিয়ে গেলেন...? মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এরপর থেকে আর কোনোদিনও এরকম আচরণ করবেন না কারোর সাথে; নিজেকে শুধরাবেন! সেদিনের পর থেকে বিলাশবাবু নিজে হাতে প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজো করেন! ||

27/10/2024

প্রতি ঝড়ের সময় আমরা নিত্য নতুন একক বা পরিমাপক শিখতে পারছি। যেমনটি হলো ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া সময় শিখলাম কি কুইন্টাল কুইন্টাল জল। এবার দানা ঝড়ের সময় শিখলাম ঝড়ের গতিবেগ মিলিলিটারে মাপা হয়।😅😅😅😅😅😁😁😁😁😆😆😆

25/10/2024

বাংলা আবার বঞ্চনার শিকার হলো, সব ঝোড় অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিল, বাংলা পেল শুধু কুইন্টাল কুইন্টাল জল। যার ফলে বাংলার চাষীদের কপালে উঠলো হাত।

23/10/2024

আমি তখন বিশ বছরের তরূণী। পরিবার থেকে আমার বিয়ে ঠিক করা হলো চল্লিশ বছরের এক মধ্যবয়স্ক লোকের সাথে। আমার বয়সের দ্বিগুণ বয়স তার। আবার তিনি ছিলেন বিপত্নীক। আর আমি সদ্য প্রস্ফুটিত ফুল। কুমারীত্বের গন্ধ সবে তীব্র হতে শুরু করেছে।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। বাবার সামান্য আয়ে আমাদের সংসার চলতো। আমার মা কখনো অভিযোগ করেন নি। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে স্বামীর সাথে থাকতে পারাটাই তার কাছে ছিলো সুখের সংজ্ঞা। শুনেছি একবার নাকি বাবার বিলেত যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। মা নাছোড়বান্দা। তিনি দুবেলা পান্তা খাবেন। কিন্তু স্বামীকে দূরে পাঠাবেন না! এতে আয় কম হলে হোক। পেটে কিছু পড়লেই হলো।
আমিও মার মতোই স্বপ্ন দেখতাম। অল্প রোজগারে সাজানো সংসার। অভাব থাকলে থাকবে। তবে ভালোবাসা থাকতে হবে অফুরন্ত।
আমার বেলায় তাদের মত পাল্টে গেলো। বিত্তশালী এক লোকের সাথে তারা আমার বিয়ে দিয়ে দিলো। উনার আগের ঘরের দুটো বাচ্চাও আছে। বাসর রাতে লোকটি শান্ত ভঙ্গিতে আমার পাশে এসে বসে। নাক সিটকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেই। মনে মনে "বুড়ো" বলে গালিও দেই। বিষয়টা বুঝতে পেরে উনি বলেন,
_ আমি জানি, আমাকে তোমার পচ্ছন্দ নয়। আমার রঞ্জনের জন্য আমি বিয়েটা করি নি। বাচ্চা দুটো খুব মা কাতুরে জানো? কমলার মরে যাওয়ার পর সবসময় ওরা মাকে খুঁজে বেরায়। মায়ের জন্য কাঁদে। আমি তোমার কাছে স্বামীর অধিকার চাইতে আসি নি। তবে অনুরোধ করে বলছি বাচ্চা দুটোকে আগলিয়ে রেখো।
কঠিন স্বরে তাকে বলি,
_ আপনার বাচ্চাদের আমি খেয়াল রাখবো তবে আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আর আমি বাচ্চাদের নিয়ে আলাদা ঘরে থাকবো। সেই ঘরে আপনি যেতে পারবেন না।
উনি হেসে বলে,
_ বেশ। তুমি যা চাবে তাই হবে। এখানে তুমি নিরাপদেই থাকবে।
শুধু এটুকুনি বলেই লোকটি ঘর থেকে বেরিয়ে যান। আমি অবাক হয়ে চেয়ে দেখি তার প্রস্থানের পথ।

বুড়োকে আমার সহ্য হতো না ঠিক, তবে তার বাচ্চা দুটো খুব দ্রুত আমার মনে বিশালাকারে জায়গা করে নেয়। গর্ভে ধারন না করেও যে মা হওয়া যায় তার বাস্তব প্রমাণ ছিলো তারা। কলেজ থেকে যখন বাড়ি ফিরতাম, দীর্ঘ তিন ঘন্টা পর আমায় দেখতে পেয়ে তারা কি যে খুশি হতো! "মা" ডাকের স্বমসুরে তারা আমার তৃষ্ণার্ত প্রাণ ভিজিয়ে দিতো।
একবার প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছিলাম। বুড়ো খুব উসখুস করছিলো। অস্থিরতা নিয়ে আমার ঘরের দরজার সামনে অনবরত পায়চারি করছিলো। তার ভেতরে ঢোকা বারণ। বাচ্চা দুটোর একজনের হাতে ওষুধ আরেকজনের হাতে জল ভর্তি বাটি দিয়ে ফিসফিস করে বলেছিলো,
_ মার জ্বর হয়েছে। মাকে ওষুধ খাওইয়ে জলপট্টি দিয়ে দাও। যাও।
বাধ্য ছেলেমেয়ের মতো তারা আমার মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিয়েছিলো। গুটি গুটি হাতজোড়ায় ভাত মেখে আমায় খাওইয়ে দিয়েছিলো!
আর বুড়ো? দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। হয়তো ভাবছিলো, কখন ওপর মহল থেকে অনুমতি প্রদান করা হবে,
" ভেতরে আসতে পারেন!! "
বুড়োর ঘর পেরিয়ে আমাকে রান্নাঘরে যেতে হতো। প্রায় সময়ই দেখতাম তিনি তার প্রথম স্ত্রীর ছবির সামনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখছেন। প্রথম দিকে বিষয়টা ভালো লাগলেও পরেরদিকে খুব রাগ হতো। কেনো হতো বুঝতে পারতাম না।

পূজা আগের দিন আমি রান্না ঘরে পায়েস রান্না করছিলাম। বাচ্চা দুটো বায়না করেছে তারা গুড়ের পায়েস খাবে। আমিও উৎফুল্ল মনে আমার বাচ্চাদের জন্য রাঁধছি। এমন সময়, মানুষটা রান্নাঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। হাতে বেশ বড়সড় বাদামী রঙের একটা প্যাকেট। উনি সামান্য ঝেড়ে কেশে বললেন,
_ এটা তোমার জন্য।
আমি বললাম,
_ কি আছে এতে?
_ কাজ শেষ করে খুলে দেখো। আশা করি তোমার পচ্ছন্দ হবে। এই টেবিলের ওপর প্যাকেটটা রেখে গেলাম।
উনি চলে গেলেন। আমি রান্না শেষ করে প্যাকেট হাতে নিজের ঘরে চলে এলাম। খুলে দেখি খুব দামী এক খানা শাড়ি। সাথে একখানা চিরকুট ও আছে। তাতে লিখা, " তোমায় নীল আর সাদায় বেশ মানাবে। জানি আমার জোর করার অধিকার নেই। তবুও আগামীকাল শাড়িটা পড়লে খুব খুশি হবো। "
শাড়িটা আমার পচ্ছন্দ হয় নি। কিন্তু চিরকুটের কথাগুলো আমায় বাধ্য করেছিলো পূজো দিন শাড়িটা পড়তে। বুড়ো সেদিন গভীর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। অনেকবার চোখে চোখ পড়েছে। লজ্জায় সে অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু পুনরায় তাকানোর লোভ উপেক্ষা করতে পারে নি।

প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত লোকটির চিলেকোঠার ঘরের টেবিল ল্যাম্প জ্বলতো। ধূসর রঙের এক ডায়রির ওপর সে মুখ থুবড়ে পরে থাকতো। বিরামহীনভাবে কিছু না কিছু লিখে যেতো। আর লিখা শেষে, চশমা খুলে চোখ জোড়া কচলিয়ে যত্ন করে ডায়রি তুলে রাখতো। যেনো কোনো মূল্যাতীত বার্তা রাখা আছে সেখানে।

বুড়োর চায়ের নেশা ছিলো। একদিন বিকেলে অসাবধানতা বশত চায়ের পাতিল ফসকে গরম জল আমার হাতের কিছু অংশে পড়ে। যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠি। তিনি আমার চিৎকার শুনতে পান। উন্মাদের মতো ছুটে আসেন।
_ কি হয়েছে?
_ হাতে গরম জল পড়েছে।
_ কই দেখি?
তিনি উদ্বিগ্ন মুখে এগিয়ে আসেন। আমার হাত ধরেন। সেই স্পর্শে কোনো চাহিদা ছিলো না।
কোনো আকাংখা ছিলো না। তবে মিশে ছিলো অনুরাগ। না বলা অনেক অনুরক্তি। সেদিন তিনি আমার হাতে বার্নল লাগিয়ে দিয়েছেন। আমি কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করি নি। মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়। আমিও মানুষ। এ নিয়ম অবজ্ঞা করার সাধ্যি কি আমার আছে?

Blessings are not valued till they are gone. প্রচলিত সত্যি। দাঁত থাকতে মানুষ দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কখনো কখনো এতটাই দেরী করে ফেলে, ফলাফল হয় শূন্য।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বুড়ো তীব্র মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলো। রাতে ঘুমুতে পারেন না। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে বললাম ডাক্তার দেখাতে। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
_ তুমি যাবে আমার সাথে?
_ যাবো।
বুড়ো খুশি হয়ে গেলেন। আমি উনার সাথে ডাক্তারের কাছে গেলাম। সিটিস্ক্যান করা হলো। এম আর আই করা হলো। ডাক্তার আমায় আলাদা করে ডেকে বললো,
_ রোগীর ব্রেইন টিউমার হয়েছে। টিউমারের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসা করিয়ে বিশেষ কোনো লাভ হবে না।
_ চেষ্টা করতে তো কোনো দোষ নেই। আপনি ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে রোগীকে আজই ভর্তি করা হোক।
ডাক্তারের সাথে কথা বলে বাইরে বেড়িয়ে আসি। বুড়ো আমায় দেখে ফ্যাকাসে হাসলো। আমি ধীর পায়ে টলতে টলতে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার বিবাহিত জীবনে সেদিনই প্রথম তাকে জড়িয়ে ধরি। দুই বাহু প্রসার করে জড়িয়ে ধরি। আমার চোখ দিয়ে অজস্র ধারা সেদিন টপ টপ করে ঝড়ে পড়ছিলো।
ডাক্তারের সকল চেষ্টা আর আমার প্রার্থনা দুটোই বিফলে যায়। শাস্তিস্বরূপ উপরওয়ালা বুড়োকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেয়।

সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিলো। শঙ্খচিল ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াচ্ছিলো নীলে। মেঘের ফাঁকে উঁকি দেওয়া রোদের তীব্রতা ছিলো না। বুড়োর চিলেকোঠার ঘরের জানালা খোলা ছিলো। বাতাসের তীব্রতায় খুলে গেছিলো ডায়রির পাতা। সেটি হাতে নিয়ে আমি পড়তে শুরু করি। পড়তে পড়তে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। ডায়রির শেষ পাতায় শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলের ওপর লিখা ছিলো,
_" মানুষ প্রেমে পড়ে। বারবার প্রেমে পড়ে। আমায় দেখে তরূণীর নাক সিটকানোর স্বভাব আমায় বাধ্য করে তাকে ভালোবাসতে। রান্নাঘরে কর্মরত তরূণীর কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম, আমায় বাধ্য করে প্রেমে পড়তে। নীল-সাদা শাড়িতে তার স্নিগ্ধ মুখখানি যেনো আমার চোখের জায়ু। হয়তো একদিন ফুরিয়ে যাবে আয়ূ। তার হাত ধরে জোৎস্না দেখার ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে যাবে। তার দীঘল কালো চুলের ঘ্রাণ নেওয়া আর হবে না। লুকিয়ে তার রোদে ভিজা সেই মুখ আর দেখা হবে না। আমার বাচ্চাদুটোর সাথে তার খুনসুটি, সেই মূল্যবান মুহূর্ত গুলো আর উপভোগ করা হবে না।
জানি, তার চোখে আমি অপরাধী।
তবু সে ভালো থাকুক! নতুন করে বেঁচে উঠুক তার স্বপ্নেরা। শুধু আফসোস থেকে যাবে, ভালোবাসি - কথাটা হলো না বলা।"

আকাশ কাঁপিয়ে সেদিন আরো একবার কেঁদেছিলাম। চিৎকার করে বলেছিলাম,
আর বুড়ো বলবো না, তোমায়। শুধু একবার ফিরে এসো! একবার সুযোগ দাও ভালোবাসার। সে আর ফিরে আসে নি। মৃত মানুষ কখনো ফিরে আসে না।

#সংগৃহীত

20/10/2024

@@@@দীর্ঘ দিনের জীবন @@@@@

দীর্ঘদিন একসাথে থাকার ফলে, প্রত্যেক সম্পর্কই 'একঘেয়ে' হয়ে যায়। প্রেম শুধুমাত্র আবেগ নয়, এটি কমিটমেন্ট— শারিরীক ও মানসিকভাবে যথাসম্ভব কাছাকাছি থাকার কমিটমেন্ট। কিন্তু এ কঠিন; একই মানুষের সাথে সর্বদা হাসিখুশি থাকা, খুনসুটি করা, শারিরীক উপভোগ, ভীষণ কঠিন। এসবে ঘাটতি আসেই। এবং ঘাটতি এলেই, মানুষ অন্য কাউকে সন্ধান করে, অন্য কারও প্রতি মুগ্ধ হয়ে পড়ে। প্রেমের প্রাথমিক সেই ঝলকানি, পুনরায় খুঁজতে থাকে।

না, এভাবে সম্পর্ক হয় না, আগায় না।

সম্পর্ক হলো— সেই মানুষের সন্ধান ও তাকে পাওয়া, যে ছেড়ে যাবে না; ভোগ নয় উপভোগ করবে, শরীর, মন, রূপ, খুঁত, সবকিছুই।

এজন্য— পাল্টাতে হয়, মানুষকে নয়, অভ্যাসকে, আচরণকে। সে'ক্স পজিশন পাল্টাতে হয়, রুচি পাল্টাতে হয়, আবেগ পাল্টাতে হয়, গান পাল্টাতে হয়, স্পর্শ পাল্টাতে হয়, আচরণ পাল্টাতে হয়। ঠোঁটে চুমু একঘেয়ে হয়ে আসে, ক্লিভেজে চুমু শিখতে হয়; রোজকার সালোয়ারকামিজে মুগ্ধতা ফুরোয়, কোমর-চাপা শাড়িতে মুগ্ধ করতে হয়।

ভালোবাসা ফুরাতে না-দেওয়াটাই ভালোবাসা।

© সংগৃহীত

Flowe me

20/10/2024

@@@@মায়ের কপাল @@@@
বাড়িতে বয়স্ক মা থাকলে অবশ্যই পড়ুন।

বুড়ি কলে মুখ ধুয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, বোঁচকাটা বগলদাবা করে। পুরোহিত আটকালো। বলল, বুড়ি এই যে তুমি মন্দিরে রোজ দুপুরে আসো, ভোগ খাও, চলে যাও...

বুড়ি তাকে থামিয়ে বলল, কেন? আমি তো দশটাকা দিয়ে কুপোন কাটি। অবশ্য রোজ কাটতে হয় না। এক একদিন এমনি এমনিও ভোগ দেয়....কিন্তু কেন জিজ্ঞাসা করছেন?

পুরোহিত বলল, না, মানে তোমায় তো আরতির সময় দেখি না, সকালে পুজোর সময় দেখি না....বছরে একদিনও তোমায় মন্দিরে অন্য সময় দেখি না...সারাদিন করো কি?

বুড়ি বলল, কেন, ভিক্ষা? রাতে স্টেশানে শুই....আবার সকাল থেকে ভিক্ষা..

পুরোহিত বলল, তোমার কিছু চাওয়ার নেই মায়ের কাছে?...এই যে এত দূর দূর থেকে সব আসে মায়ের কাছে এটা-সেটা চাইতে....তোমার কিচ্ছু চাওয়ার নেই?...

বুড়ি বলল, নেই গো। ছেলে বার করে দিল। বলল শুতে দেওয়ার জায়গা নেই। খেতে দেওয়ার ভাত নেই। তাদের পরিবার বড় হচ্ছে। তা ছেলে যখন বার করে দিল তখন তোমার ও কালী আমার কি করবে? তাকে তো আমি পেটে ধরিনি রে বাবা...তার কি দায়?..

তবে মন্দিরে আসো কেন?....

মাকে বলতে যেন ছেলেটার অমঙ্গল না করে। সেও মা তো। বুঝবে। তারও তো কেউ নেই, নইলে তোমাদের মন্দিরে পড়ে থাকে? সারারাত তালা লাগিয়ে, দরজা জানলা লাগিয়ে চলে যাও...সে একগ্লাস জল চাইলে পাবে কিনা কে জানে... ও সবার ভাগ্যই এক...দেখো না এই দুর্গাপুজো আসছে.... নর্দমার উপরে, এখানে সেখানে প্যাণ্ডেল করে চার পাঁচ দিন ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখবে..কান মাথা খাওয়া গান চালাবে...মদ গিলে রাতে নেত্ত করবে...কুটকাচালি করবে সব সেজেগুজে বসে...মা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবেন...তারপর মন ভরে গেলে টান মেরে জলে ফেলে দিয়ে আসবে নাচতে নাচতে....ওর কাছে আমি আমার জন্যে আর কি চাইব বলো...আমি আসি...টাকা দিই...কুপোন নিই.. ভোগ খাই...আর মাকে বলি তুই তো সব জানিস ছেলেটার যেন অমঙ্গল না হয় দেখিস...এই তো...আসি?

পুরোহিত স্তব্ধবাক। সত্যিই তো মন্দিরে তালা দেওয়া এখন। পাখা লাইট নেভানো। কর্তৃপক্ষ অত টাকা লাইটের বিল দিতে পারে না। বুড়ি চলে যাচ্ছে। ময়লা শাড়ি। বগলে বোঁচকা। চলায় না আছে কোনো তাড়া, বলায় না আছে কোনো ক্ষোভ। এত শান্ত কি করে হলে বুড়ি....

বুড়ি ফিরে তাকালো.. হাসল...সামনের উপরের পাটিতে দাঁত নেই দুটো কি তিনটে...এমন নিরুদ্বেগ, অমলিন হাসি একমাত্র মায়েরাই হাসতে পারে...তাড়িয়ে দিলেও....
===================
সংগ্রহিত।
Please Follow me

19/10/2024

আবহাওয়ার খবর
IMD Weather Update: আসছে বড় দুর্যোগ...! ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা রাজ্যে রাজ্যে! কী পূর্বাভাস বাংলায়? জানিয়ে দিল আইএমডি
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় কাঁটা! লণ্ডভণ্ড করবে সাইক্লোন? রাজ্যে রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা! কী প্রভাব বাংলায়? জানুন IMD-র লেটেস্ট আপডেট!

ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঝড়টি আজ পুদুচেরি এবং নেলোরের মধ্যবর্তী উপকূলের কাছে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস।
বর্তমানে আবহাওয়ার এই মৌসুমী গতিবিধির কারণে দেশের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, এই সিস্টেমটি আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর সকালে পুদুচেরি এবং নেলোরের মধ্যবর্তী উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
দক্ষিণাঞ্চলে ঝড় প্রবেশের কারণে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দেশজুড়ে। অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি চলবে দমকা হাওয়া। আইএমডি জানাচ্ছে এই ঝড়ের সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা যাবে কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। এছাড়া আরও অনেক রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি নিম্নচাপের এলাকাটি চেন্নাইয়ের প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরির ৩৯০ কিলোমিটার পূর্বে এবং অন্ধ্র প্রদেশের নেলোরের ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
মৌসম বিভাগের মতে, ১৭ অক্টোবরই নিম্নচাপ এলাকাটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে এবং চেন্নাইয়ের কাছে পুদুচেরি এবং নেলোরের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু-দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আজকের আবহাওয়া:স্কাইমেট ওয়েদারের রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু, কেরল, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক এবং উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তেলঙ্গানা, কোঙ্কন এবং গোয়ায় বৃষ্টির একটি বা দুটি ভারী স্পেল-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া, মধ্য মহারাষ্ট্র, দক্ষিণ গুজরাত এবং দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারত, সিকিম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থান, লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
বেঙ্গালুরুতে চলছে বৃষ্টি:আবহাওয়ার এই পরিবর্তন কর্ণাটকে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। রাজধানী বেঙ্গালুরুতে কার্যত নতুন করে যেন বর্ষাকাল চলছে। বুধবারও অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়েছে ও যানজটের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার একধিক স্থানীয় এলাকা ডুবে গিয়েছে।
বৃষ্টির কারণে বুধবার বেঙ্গালুরুতে ভারত ও নিউজিল্যান্ড-এর মধ্যে প্রথম ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের খেলাটি বাতিল হয়ে যায়। ট্র্যাকে জল ঢুকে যাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে চার দিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। উডুপি, উত্তর কন্নড়, শিবমোগা, চিক্কামাগালুরু, চিত্রদুর্গা, দাভাঙ্গেরে এবং তুমাকুরু জেলায় আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আন্দামান ও নিকোবরেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর অরেঞ্জ অ্যালার্ট (IMD অরেঞ্জ অ্যালার্ট) জারি করেছে:ভারতের আবহাওয়া বিভাগ কেরলের দুটি জেলা - উত্তর মালাপ্পুরম এবং কান্নুরের জন্য একটি কমলা সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দফতর রাজ্যের দশটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাংলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস:একের পর এক নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে। ফলে দখিনা বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই।
দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় স্থানীয়ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তবে আপাতত ভারী বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, এই পাঁচ জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা।
তবে নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার রাতের মধ্যে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। দেড় মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে ঢেউয়ের উচ্চতা। সর্তকতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরেরর।
শহর কলকাতাতে আজ দুপুর বা বিকেলের মধ্যে দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। দু-এক পশলা সামান্য সময়ের হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
এরইমধ্যে বুধবারের হালকা মাঝারি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে কলকাতায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের সামান্য নীচে যাচ্চে। সকালে হেমন্তের হওয়ার আর মনোরম আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়লে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

17/10/2024

এ প্রেম যেনো মরীচিকা
-----------------
মরীচিকার মতো তোমার প্রেম,
ছুঁতে চাইলে হাত ফসকে যায়,
আলো-ছায়ার মোহময় খেলায়,
অস্তিত্বটা যেন কোথাও হারায়।

তুমি আছো, অথচ যেন নেই,
চোখের পলকে মিলিয়ে যাও
দিগন্তপারে সাগরের ঢেউয়ে ।
মরুভূমির মাঝে জলধারা ভেবে
তোমায় পাওয়ার আশায় ছুটি,
তৃষ্ণা মেটে না, অতৃপ্ত হৃদয়ে
তোমায় সাথে নিত্য খুনসুটি ।

তোমার সত্ত্বা মরীচিকার মতো,
কাছে এলেও মনে হয় কত দূরে ।
এ যেন এক অসমাপ্ত কাহিনি ।
তুমি আছো স্বপ্নদেশের ওপারে,
আমি শুধু ছুটে চলি পথে-প্রান্তরে।

সংগ্রহিত*********
@ flower

16/10/2024

আচ্ছা লক্ষ্মীপূজায় কি দিয়ে পূজা দেওয়া হয় - কলা না কোলা ? দেখি কয়জন সঠিক উত্তর দিতে পারে।

12/10/2024

সুপ্রভাত। শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা গ্রহণ কোরো। মায়ের আশীর্বাদে অশুভ শক্তির বিনাশ , হোক।।কলুষ মুক্ত হোক এই ধরাধাম মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিনাশের মধ্য দিয়ে সৌভ্রাতৃত্ব বোধ গড়ে উঠুক।

28/09/2024

মোবাইল ব্যবহার কারীরা একমিনিট কষ্ট করে এটি অবশ্যই পড়ুন:-

মোবাইল তোমার জীবনকে দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে। তোমাকে সময়ের গুরুত্ব অনুভব করতে দিচ্ছে না। তোমার বিশ্রামের গভীর রাতগুলোকে সন্ধ্যেতে পরিণত করেছে।

একবার ফোনটা ধরলে নেশার মতো অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেশ খানিকক্ষণ স্ক্রীন স্ক্রোল করে চলেছো। খেয়াল করে দেখবে, তুমি আগের মতো পেপার পড়ছো না, বই ওল্টাচ্ছো না এমনকি টিভি দেখাও কমিয়ে ফেলেছো। তুমি আগের মতো কথাও বলছো না, মনের অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছ না।

তোমার অনুসন্ধান করার সব সূত্র শুধু মোবাইল হয়ে গেছে। আড্ডায় উপস্থিত আছো কিন্তু আড্ডা দিচ্ছ না, মূলত ফোন ঘাঁটছো। আলোচনায় উপস্থিত থাকলেও উদাসীন থাকছো। তোমার যেন নতুন আর কিছুই করার, শেখার বা জানার নেই এবং এই সবের মধ্যে তুমি তোমার সারাটা দিন মোবাইলের আবর্তে কাটিয়ে ফেলছো, যা তোমায় বুঝতেই দিচ্ছে না কিভাবে দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আর এটা বুঝতে যে একটা দিনে কতটা সময় আদতে থাকে বা কতটা সময় তুমি কাজে লাগাতে পারো কিন্তু কাজে লাগাচ্ছ না।
Reels, post, story তে more like comment এর নেশায় জীবনের মূল্যবান সময় আমরা হারিয়ে ফেলেছি।

জাস্ট একটা কাজ করো। একটা দিন শুধু ফোনটা বন্ধ করে সেটার সংস্পর্শ থেকে ২৪ ঘন্টা দূরে থাকো। তুমি আদতে অনুভব করবে ঠিক কতটা সময় সারাটা দিনে রয়েছে।

তুমি অনুভব করবে যেন সময়ই কাটছে না। তুমি অনুভব করবে একটা দিন আদতে ঠিক কতটা বড়। আর তুমি এটাও উপলব্ধি করবে তুমি ঠিক কতটা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছো। বার বার মনে হবে ফোনটা দেখলে ভালো হয়।

পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারো। কারণ এভাবে জীবনকে অসাড়ভাবে দ্রুত ফুরিয়ে লাভ নেই। একটা সময় পৃথিবীতে নেশা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নেশামুক্তি কেন্দ্র। এই মোবাইলও অদূর ভবিষ্যতে তোমাকে সাইকো পেসেন্ট বানিয়েই ছাড়বে। তোমাকেও তখন রিহ্যাবের সাহায্য নিতে হবে। সেটা যাতে এই জন্মে না করতে হয়, এখন থেকেই সচেতন হও।

শুধু নেশাই নয়, মোবাইল ফোনও আমাদের সুস্থ সমাজ টা কে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের প্রতিভা গুলোকেও।

ব্যাপার টা বুঝুন এবং বোঝান ।🙏🏻

27/09/2024

জিতে গেল রাজ্য, খারিজ CBI-র আর্জি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
supreme court
:২০২২ থেকে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) রমরমা। এই শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বহুজনা। এদিকে কিছুদিন আগে সমতলের পর পাহাড়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে তদন্ত করছিল সিবিআই (CBI)। এদিন GTA দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট ।
পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। রিপোর্টও তলব করা হয়েছিল সিবিআই এর কাছে। বিচারপতির একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আর সেখানেই হল সুরাহা।
এদিন আদালতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘রাজ্য পুলিসের তদন্ত কেন যথার্থ নয়? কেন সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন? হাইকোর্টকে বলতে হবে’। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘শুধুমাত্র খুব বিরল ক্ষেত্রেই এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। সেটাই উচ্চ আদালত কেন পুলিসের তদন্ত অন্য়ায্য বা নিরপেক্ষ নয় মনে করার কারণ নথিভুক্ত করার পর’। এরপরই রাজ্যের দাবি মেনে CBI তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর ঠুকেছিল খোদ রাজ্য সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতরের করা অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দফতরের দায়ের করা অভিযোগে নাম রয়েছে বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এদের বিরুদ্ধে।
Follow me.

Address

Diamond Harbor

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বৈভবলক্ষী Baivablaxmi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share