27/02/2022
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=513143760169824&id=100044226139671&sfnsn=wiwspmo
অনেক পুরনো কথা লিখল Rudra Sarkar
কমেন্ট সেকশনে একজন কীবোর্ডিস্টের নাম দেখলাম। ভুল কোরো না। তিনি আমাদের ব্যান্ডে কোনওদিন ছিলেন না। বরং তাঁর একটি মন্তব্য প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। সে প্রসঙ্গে লিখেছিলাম ‘এই তো আমি’ বইএ।
সারপ্রাইজ বলতে তুমি যা বোঝাচ্ছ বা অ্যাকুস্টিক সেট— সেগুলো বহুদিন পরে কনসার্ট হচ্ছে, এমন সিচ্যুয়েশন বলেই বাদ দেওয়া হয়েছিল। ব্যান্ড আবার অনুষ্ঠান করায় সড়গড় হয়ে গেলেই ওগুলো হয়, হবে। এটা তো তুমি বোঝোই, কতদিন স্টেজ পায়নি ব্যান্ড। এর ফলে কী অবস্থা হয়। সবারই যন্ত্রে মরচে পড়ে যায়। সব কানেকশন ঢিলে হয়ে যায়।
সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল টাইট প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন। সেটা করা গেছে।
রুদ্রর লেখা—
Fossils !
নাম টির সাথে আমার পরিচয় সম্ভবত ১৯৯৯ সালে। টেলিগ্রাফ পত্রিকায় The pied pipers of Kolkata শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে প্রথমবার ফসিলস ব্যান্ডের নামটির উল্লেখ পাই। তখন জানি না যে রূপম ইসলাম এই ব্যান্ডের সাথে যুক্ত। কারণ রূপম দাকে শুনেছি তার আগে তোর ভরসাতে ক্যাসেট এ। নীল রঙ এর ভিডিও তখন চলত এ টি এন বাংলায় (এখন ইউটিউব এ সার্চ করলে নীল রং এর যে ভিডিও টি পাওয়া যাবে, সেটি নয় কিন্তু) ! তো তার পর Fossils কে প্রথম দেখলাম রবীন্দ্র সদনে, বাংলা সঙ্গীত মেলায়। এক রোববারের সকালে। তখন প্রথম দেখলাম রূপম দাকে স্টেজে। তারপর প্রথম অ্যালবাম কিনলাম। ২০০৩ এ শান্তিপুর এ একটা ব্যান্ড ফেস্টে গেলাম Fossils কে দেখতে। বলা ভাল, জাস্ট ছিটকে গেলাম। তারপর থেকে তো দেখছি, দেখেই চলেছি। নিজের কলেজ অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলজি , আদিসপ্তগ্রাম এ ওদের কনসার্ট আয়োজন করলাম সবাই মিলে। তার ওপর ২০০৬ এ পেলাম ওদের সান্নিধ্য। আমার ব্যান্ড মিসিং লিংক এর মেন্টর ছিলেন ওরা।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই। চোখের সামনে একটা ব্যান্ড কে উঠে দাঁড়াতে দেখেছি আমি। যার নাম Fossils। কতটা পরিশ্রম, ডেডিকেশন, একতা থাকলে এই উচ্চতায় কেউ যেতে পারে? আর স্যাক্রিফাইস? তার কথা কেউ বলে?
ঝড় ২ তে গিয়ে আমার মনে হল আমি ড্রিম থিয়েটার বা আয়রন মেডেন দেখতে এসেছি বোধহয়। অন্তত জনস্রোত তো সেই রকমই।
রূপম দা বললেন , " এই জনস্রোত একদিনে হয়নি। "
অবশ্যই। হয়েছে তিল তিল করে লড়ে যাওয়া অক্লান্ত পরিশ্রম এর মধ্যে দিয়ে। মানুষ কে যে গান ছুঁতে পারে না, তাকে আমি গানের পর্যায়ে ফেলি না। তোমার গান গুলো মানুষের ডি এন এ তে ঢুকে গেছে। জানি না কিভাবে একজনের সব গান কিভাবে এরকম হতে পারে!! এটা রহস্য!!
আবার অন্য প্রসঙ্গে চলে যাচ্ছি। ঝড়ের প্রসঙ্গে আসি। এরকম বিশ্বমানের প্রোডাকশন আমি কলকাতায় দেখিনি। নামকরা একটি সপ্তাহান্তের উৎসব যেখানে মিউটম্যাথ বা মেগাডেথ পারফর্ম করে গেছে সেখানেও দেখিনি। এ জিনিস ভোলা যাবে না। আবার হোক। বারবার হোক।
শুধু একটাই রিকোয়েস্ট থাকবে আমার Fossils এর কাছে। পরের ঝড়ে একটা acoustic set যদি রাখা যায় মাঝখানে এবং সেট লিস্ট এ যদি কিছু সারপ্রাইজ থাকে তাহলে আরো একটু বেশি আনন্দ হবে।
জয় রক।
জয় ফসিলস।
ছবি: Fossils এর পেজ থেকে।