28/06/2020
বিশ্বনাগরিক ড. মুহাম্মদ ইউনূস 🇧🇩❤️
এক ঘণ্টা বক্তৃতার জন্য প্রস্তাব থাকে বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি বা তার চেয়ে বেশি। জাপান, চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে বক্তৃতা প্রদানের আমন্ত্রণ। তার সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য কতো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, বিখ্যাত ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তর থেকে প্রতিনিয়ত আমন্ত্রণপত্র আসতে থাকে!
১৯৫৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে কিশোর ইউনূস কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জাম্বুরিতে যোগদানের মাধ্যমে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ওই বয়সেই এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা ভ্রমণের অনন্য এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তিনি ।
২০১৫ সালের জুলাই মাস। স্যারের ব্যবহৃত হাতঘড়িটি অত্যন্ত পুরনো হয়ে গেছে। ঘড়ির ব্র্যান্ডের নাম উঠে গেছে। রোমান অক্ষরে লেখা ঘড়ির সময় নির্দেশিকাও প্রায় উঠে গেছে। আমি কয়েকবার বেল্ট পরিবর্তন করেছি। প্রয়োজন পড়লো ব্যাটারি পরিবর্তন করার। এবার সাহস করে বললাম, ‘স্যার, সময় বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, ঘড়িটি ব্যবহারযোগ্য নয়।’ স্যার এবার দ্বিমত পোষণ করলেন না। বললেন, ‘তুমি একটা কিনে আনো।’ আমি মিরপুর-১ নম্বরের মার্কেট থেকে এক হাজার ৪৫০ টাকা দিয়ে স্যারের বর্তমান ঘড়ির সঙ্গে মিল রেখে একটা ঘড়ি কিনে আনলাম। স্যার তৎক্ষণাৎ হাতে পরলেন। যথারীতি প্রাণখোলা হাসি দিয়ে ধন্যবাদ দিলেন। টানা তিন বছরের বেশি সময় পরেছিলেন ঘড়িটি। মাঝে দুইবার বেল্ট, একবার ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়েছিল। তার সাদামাটা জীবনযাপন নিয়ে পরবর্তীতে লেখার ইচ্ছা আছে।
লিখেছেনঃ
লেখক-তানবীরুল ইসলাম,
ইউনূস সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমন্বয়কারী।
পুরো আর্টিকেলঃ
http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=233058