Like & Comment নয় বরং মোদ্দা কথা সঠিক Audience-ই আমাদের আসল টার্গেট: Brand Image তৈরির ক্ষেত্রে পেইজের ফলোয়ার একটা বড় বিষয়। সেই ফলোয়ার ও লাইক বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে আপনি অনেক টাকা ও সময় নষ্ট করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই ফলোয়াররা যদি আমার সঠিক কাস্টমার না হয়ে থাকে তাহলে কি লাভ? তার চেয়ে বরং যতোজন ফলোয়ার তার বেশিরভাগই ক্রেতা হয় সেটাই উত্তম। এজন্য দরকার সঠিক নিয়মে পেইজ পরিচালনা করা। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ একটি বড় ব্যাপার।
১. Drive Referral Traffic: পূর্বের মতো সহজ না হলেও ফেইসবুক থেকে এখনও Traffic চালাতে পারেন। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাই বড় ফ্যাক্টর।
২. ব্রান্ড-ইমেজ অনেক শক্তিশালী করতে হবে:আপনার ব্রান্ড ইমেজকে শক্তিশালী ক্ষেত্রে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদেরসব সময় এক্টিভ রাখতে হবে। এজন্য অনেক ধরনের পলিসি নেয়া যেতে পারে। যেমন: অফার দেয়া, লাইভ কাস্ট, ডিসকাউন্ট, ইভেন্ট ইত্যাদি আয়োজন করা।
৩. আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদের সাথে সম্পর্কও যোগাযোগ ভালো রাখতে হবে: এক্ষেত্রে Facebook Group পেইজ সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখে। কাজেই আপনার গ্রুপ-পেইজেনিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে।
৪. Customer Service ঠিক রাখতে হবে: কাস্টমার সার্ভিসঠিক না থাকলে সব পরিশ্রমই পন্ডশ্রমে রূপ নিবে।
৫. Generate Leads & Conversions (লিড ফরম): কাস্টমারকে আপনার হাতে ধরা দেয়ার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো লিড ফরম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি রাতারাতি ফল দিতে পারে।
বি:দ্র: Facebook একটি প্লাটফর্ম যেখানে কাস্টমার এবং টার্গেট অডিয়েন্সের মধ্যে Two-Way Communication তৈরি করে। ১. আপনি কাস্টমারকে হিট করতে পারেন ২. কাস্টমারও তার প্রয়োজনে আপনাকে নক করতে পারে। আবার উভয়পক্ষ পারস্পরিক আলোচনাও করতে পারে।
২: Audit Facebook Presence / পেইজের বেসিক তথ্যসমূহ অবশ্যই আপডেটেড রাখুন
Mission: আপনার ব্যবসা ও সেবার উদ্দেশ্য ও সম্পর্কে অল্প কথায় ধারনা দিন।
Contact Info: আপনাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য তথ্যগুলো সঠিক ও আপডেটেড রাখতে হবে। অনেক পেইজে ফোন নাম্বার দেয়া আছে কিন্তু কল দিলে বন্ধ অথবা কেউ রিসিভ করে না। এমন হলে প্রথমেই কাস্টমার আপনার বিমুখ হয়ে পড়বে।
Website: আপনার ব্যবসায়িকওয়েবসাইট আছে মানে হলো আপনার ব্যবসায় স্থায়ীত্ব ভালো। তাই পেইজে Website লিংক দিন।
About: সংক্ষেপে বলতে গেলে আপনার কোম্পানির বায়ো-ডাটা আপডেট রাখুন।
Company Overview: আপনার কোম্পানিরবর্তমান কার্যকলাপ আপ-টু-ডেট রাখুন।
Products: আপনার পণ্যকে আপনার পেইজে সুন্দররূপে সাজিয়ে রাখুন। এবং নিয়মিত পণ্য / সেবার পোস্ট দিন।
Categories: পেইজে আপনার পণ্য / সেবার সঠিক ক্যাটাগরি দিন। নয়তো আপনার পণ্যের প্রচার ভুল লোকের কাছে যাবে।
Our Story: কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সফলতাগুলো আপ-টু-ডেট ম্যাসেজ দিয়ে রাখুন।
কোন ধরনের পোস্ট সবচেয়ে ভালো ফল দেয়?
আপনার কোন ধরনের পোষ্টগুলো ভালো ফল দিচ্ছে? এগুলো কি হাস্যকর নাকি সিরিয়াস নাকি অনুপ্রেরণা, প্রভৃতি মূলক পোস্ট?
সফল পোষ্টগুলোর ছবি, কালার, বিষয় অথবা লেখার ধরণ কি একই ধরনের?
ভিডিওগুলো কি ভালো ফল দিচ্ছে? দিয়ে থাকলে সেগুলো কি ফানি, রোমান্টিক, তথমূলক, সিরিয়াস, ছোট, বড়, প্রভৃতি তথ্যগুলো যাছাই করুন।
আপনার পোষ্টে যে লিংকগুলো দিয়েছিলেন তার ফলাফল কেমন?
আপনার পেইজের নাম, Profile Picture, Logo এবং Cover Photoকেমন হয়েছে?
৩: Understanding Your Audience / পণ্য অনুযায়ী ভোক্তা টার্গেট করা
কিছু Tools এর সহায়তা নিয়ে অডিয়েন্স সম্পর্কে ধারনা তৈরি করুন। পরবর্তীতে যেটি টার্গেটেড অডিয়েন্স তৈরি করতে সহায়তা করবে এবং সহজেই আপনার ব্যবসায় ভালো ফল পাবেন।
Google Analytics ব্যবহার করে Facebook Referral Traffic এনালাইজ করতে পারেন।
Co-Schedule's Facebook Report ব্যহার করতে পারেন।
৪: Developing a Brand Voice for Facebook / ভোক্তার ধরন অনুযায়ী পোস্ট উপস্থাপণ করা
৫: Running a Competitive Analysis / নিয়মিত তুলনামূলক এনালাইসিস করতে হবে
৬: Planning a Facebook Content Strategy / ফেইসবুকের স্ট্রাটেজি ফলো করে নিয়মিত প্লানিং করতে হবে
i. Text Posts: সেবার ধরন অনুযারী কোন বর্ণনা দেয়া।
ii. Link Posts: অন্যকোন ওয়েবসাইটের লিংকও একটা পোস্ট হতে পারে।
iii. Image Posts: একটি সিঙ্গেল ছবি বা ছবির গ্যালারিও পোস্ট হতে পারে।
iv. Video Posts: সরাসরি কোন ভিডিও অথবা ইউটিউব থেকে কোন ভিডিও লিংক ১টি পোস্ট হতে পারে।
v. Facebook Live Posts: ফেইসবুকে লাইভ ভিডিও (রিয়েল-টাইম ব্রডকাস্ট) একটি পোস্ট হতে পারে।
vi. Facebook Stories: ফেইসবুকের বাইরে ইন্সটাগ্রামের পোস্টও ফেইসবুকের পোস্ট হতে পারে।
৭: Setting a Facebook Posting Schedule / পণ্য অনুযায়ী দিনের কোন সময় বিক্রি বেশি হবে তা নির্ধারন করে পোস্ট দিতে হবে / শিডিউল পোস্ট
৮: Measuring the Effectiveness of Your Strategy / আপনার আরোপিত প্লান অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিত ফলো করতে হবে