Ideas অনির্বান বাংলা

Ideas অনির্বান বাংলা Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ideas অনির্বান বাংলা, Event Planner, Dhaka.
(1)

মর্ডানিজম/প্রগ্রেসিভিজম আর ইসলামে জ্ঞানভিত্তিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর ডিরেকশনটাই পরস্পর বিপরীতমুখী। ইসলামে জ্ঞানের তাফাক্ক...
03/06/2024

মর্ডানিজম/প্রগ্রেসিভিজম আর ইসলামে জ্ঞানভিত্তিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর ডিরেকশনটাই পরস্পর বিপরীতমুখী। ইসলামে জ্ঞানের তাফাক্কু অর্জনের মূল মাকসাদ অর্জিত হয় পেছনে যেতে যেতে রসূল(সঃ) আর সাহাবায়ে কেরামের দ্বীন বোঝার-বোঝানোর বুঝ ধারণের মধ্যদিয়ে। অন্যদিকে প্রগ্রেসিভিজমে জ্ঞানকাঠামোর নির্ভরশীলতা সামনের দিকে আগানোর সমানুপাতিক।

একারণে ইসলামে ট্র‍্যাডিশনাল ইন্টেলেকচুয়াল থট প্রসেস-অপিনিয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। মর্ডানিজমের উসুল ধারণ করা ক`(ল)নি`য়াল মনঃস্তাত্ত্বিক দা(স`রাই কেবল সময়ের সাথে সাথে ইসলামকে নতুন করে বুঝতে চায়, বোঝাতে চায়।

~Md Fahad Ibna Ilias

03/06/2024
"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থা...
31/05/2024

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল৷ একদম ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রয়োজনে বাবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। আমি আমার স্বামীর ওপর এমন নির্ভরশীল হতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

এই অনুচ্ছেদটি এদেশের অনেকগুলো পরিবারের চিত্র। একটু খেয়াল করে দেখুন, 'নির্ভরশীল' শব্দটিকে। এই শব্দটি পরিবারের মেয়েটির মধ্যে চাকরি করার স্পিরিট যোগান দিয়েছে। কিন্তু এই ভাবনাটি কি আসলেই যথার্থ? তার মা কি আসলেই তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

দেখেন, নির্ভরশীলতা তখন আসে যখন সেখানে বিনিময় থাকে না। যেমন, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা প্রয়োজনীয়, সার্ভাইভালের জন্য। বিনিময়ে কিন্তু আমরা সূর্যকে কিছু দেই না। তাই, আমরা সূর্যের ওপর নির্ভরশীল কথাটা যথাযথ।

এখন দেখুন, এই পরিবারটির বেলায় কী হচ্ছে। অর্থ উপার্জন বাবা করছে এটা সঠিক। কিন্তু মা কী করছে দেখুন। রান্নাবান্না, ঘর-দোর সুন্দর রাখা, বাচ্চাদের সুন্দর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা, স্বামীর শারিরিক ও মানসিক চাহিদা নিশ্চিত করা আরো কতো কী! এই কাজগুলো যদি তিনি না করতেন, তবে কী এই পুরুষ চলতে পারতেন? তাহলে তো দেখা গেলো, এই পুরুষও পাল্টা এই নারীর ওপর নির্ভরশীল। এবং, এই পুরুষেরই নারীটির ওপর নির্ভরশীলতা বেশি! তবে একতরফাভাবে মেয়েটি কেন ভাবলো যে, তার মা তার বাবার ওপর নির্ভরশীল?

চিন্তার মানদণ্ডের কারণে। মেয়েটি অর্থকে মানদণ্ড বানিয়েছে। অর্থ দিয়ে যা মাপা যায়, তার মূল্য আছে, অর্থ দিয়ে যা মাপা যায় না, তার মূল্য নেই। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে মায়ের কাজগুলোরও অর্থমূল্য আছে। যদিও অর্থমূল্য নির্ধারণ করা অযৌক্তিক, কারণ মা হচ্ছেন মা। কিন্তু তর্কের খাতিরে আমরা একটুখানি করে দেখি।

আপনি হোটেলে একবেলা খাবার খান। মা যেই যেই খাবার রান্না করেন, সেটা একটা ভালো-পরিচ্ছন্ন পরিবেশনায় খেতে হলে ঐ মানের হোটেলে ১০০ টাকার কাছাকাছি লেগে যাবে। ঐ হোটেলের বাবুর্চির স্যালারি কতো? ১০ হাজার? আপনার মা তো ৩০ দিনে ৯০ বেলা ক্লান্তিহীন রান্না করছেন, আপনাকে ডেকে নিয়ে খেতে বসাচ্ছেন, খাবার শেষে ধোয়া-টোয়ার কাজও করছেন, তাহলে তাঁকে কতো স্যালারি দেবেন?

ঝাড় দেয়া, ঘর মোছার জন্য একটা বুয়া রাখেন তো। দেখবেন সে মাসে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করবে। কিন্তু, তারপরও খাটের নিচে ময়লা থেকে যাবে, শোকেজের কোণায় ধুলো জমে থাকবে। কিন্তু, মা কতো যত্ন নিয়ে ঘর ঝেড়ে-ঝুড়ে রাখছেন, আবার মুছছেন, তাহলে মা'কে কতো স্যালারি দেবেন?

প্রাইভেট টিউটরকে মাসে কতো টাকা স্যালারি দেন? ৬-৭ হাজার? যেই মা কথা বলা শেখালো, ভালো-খারাপ চেনালো, খাবার খেতে, ওয়াশরুমে যেতে, হাঁটতে, পড়তে, লিখতে শেখালো, তার কতো স্যালারি হবে?

হাসপাতালে নার্স কিংবা ডাক্তারকে ঠিক কতো টাকা দিলে তারা আপনার শিয়রে সারারাত বসে পট্টি দিবে মায়ের মতো?

এরপর এই একই নারী তো স্বামীর হক্ব আদায় করছে। শারিরিক হক্ব আদায় করছে। মানসিক প্রশান্তি দিচ্ছে। দুঃশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করছে। সমস্যা শুনছে, সাজেশন দিচ্ছে। পুরো ফ্যামিলিকে মায়া দিয়ে আগলে রাখছে এই নারী। মায়া তো এবস্ট্রাকট জিনিস, এটার অর্থমূল্য তো নির্ধারণ করতে পারবেন না।

তাহলে মায়ের কাজের অর্থমূল্য নেই, এমনটাও কী বলা গেলো? অর্থাৎ, আমার বাবা চাকরি করছে তাই আমার মা তার ওপর নির্ভরশীল এই কথাটা একেবারেই অবান্তর। এইযে, বাবা অর্থ সরবরাহ করছে, ভরণপোষণ করছে, এটা তার অধিকার। এই অধিকার আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এতে নারীর জন্য লজ্জার কিছু নেই। এটা তার প্রাপ্যের চেয়ে বরং অনেক কম! তাই নতজানু হওয়ারও মোটেও কিছু নেই। (নতজানু এই অর্থে যে, আমি টাকা রোজগার করতে পারছিনা, তাই আমি ছোটো হয়ে থাকবো।)

কিন্তু আলাপটা এখানেই শেষ নয়। আরেকটি অনুচ্ছেদে চলে যাই।

"আমার বাবা চাকরিজীবী। আমার মা গৃহিণী। মা বাবার ওপর নির্ভরশীল। বাবা মাকে যেমন-তেমন করে ট্রি_ট করে, খোঁ_টা দিয়ে কথা বলে, মতামতের মূল্য দেয় না। আমি এরকম আমার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে এসব সহ্য করতে চাই না। তাই আমি চাকরি করবো।"

দেখুন, গল্পটা একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলো। এবার সমস্যাটা আর চিন্তার মানদণ্ডে না। এবার সমস্যাটা পুরুষেরই অবদান। এই বাবা তার মেয়ের মধ্যে পুরুষ সম্পর্কে একটি বিরূপ ধারণা সেট করে দিয়েছে, যা তাকে আল্লাহর তৈরি ফিতরাতের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে।

আমাদের সমাজের পুরুষদের একটা বিশাল অংশ প্রথম অনুচ্ছেদের মেয়েটির মতো চিন্তা করে। তারা ভাবে, মেয়েরা চাকরি করে না বলে তারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদেরকে যাচ্ছেতাই ভাবে ট্রিট করা যাবে। দুইদল-ই আল্লাহর দেয়া ফিতরাত অস্বীকার করছে।

ইস_লা-মী রাষ্ট্রে এসব সমাধানের ব্যবস্থা আছে। খলি-ফার আদালতে বিচার তোলা যাবে। পুরুষটাকে সো_জা করা যাবে, সিরিয়াস কেসে তা-লা_ক পর্যন্তও যাবে। কিন্তু, বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে? এখন তো খলি_ফাও নেই, ইস-লামী আদালতও নেই, গ্রাম্য বিচার-শালিসে তো মহিলা বাই ডিফল্ট অপরাধী।

ঠিক সেই জায়গাটিতেই একটা চাকরিপ্রিয় ক্যারিয়ারিস্টিক নারীপ্রজন্ম গড়ে উঠছে। তারা হয় প্রথম কেইসের অথবা দ্বিতীয় কেইসের। প্রথম কেইস হলে সেটা তাদের চিন্তার দৈন্যতা। দ্বিতীয় কেইস হলে তারা পরিস্থিতির স্বীকার।

আমি সমাধান আলোচনা করবো না। আমি অতোবড়ো মাথাওয়ালা নই। আমি এই ছোটো-খাটো প্রবন্ধের শেষে একটি অনুচ্ছেদে শুধুমাত্র দুটো কেইসের এন্ড রেজাল্ট দেখানোর চেষ্টা করবো।

নারী চাকরিতে আসলে আদতে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা আসলে বিবিধ।

প্রথমেই চলে আসে ফিতরাত নষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি। এই পৃথিবীতে প্রতিটি বস্তুর স্বতন্ত্র জায়গা আছে, প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব অবস্থান আছে। ব্যতিক্রম নয় পুরুষ আর নারীও। পুরুষ এবং নারী শারিরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই ভিন্নতাও সুন্দর এবং এমনভাবে করা যে, তারা পরস্পরের জন্য উপকারী বলে প্রতীয়মান হয়। তারা এমনভাবে সহাবস্থান করবে যাতে ন্যাচার ভায়োলেট না হয় এবং পরস্পরের অধিকার ও কর্তব্যের জায়গাটিও ঠিক থাকে।

নারী ও পুরুষ কে কোথায় অবস্থান করবে, এই ব্যাপারে নির্ধারণ করতে পারেন কে? অবশ্যই তাদের স্রষ্টা তাইতো? তাহলে আমরা নারী-পুরুষের অবস্থান কী হবে, তাদের এক্টিভিটি কেমন হবে, এটা জানবো কুরআন এবং হাদীস থেকে। ইসলামে জেনারেল কেইসে নারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

কেন সেটার কিছু নমুনা বলি।

প্রথমত, এটা তার জন্য একটা ফিজিকাল বার্ডেন। একজন নারী মাসে ৬-৭ দিন অসুস্থ থাকে। এইসময় কি তার চাকরি অফ করার সুযোগ আছে? তাকে তো ঠিকই অফিসে যেতে হবে, সারাদিন কাজ করতে হবে। ঘরে থাকলে সুবিধা কী হতো? এখানে তার শ্বাশুড়ি আছে কিংবা মেয়ে আছে, কিংবা স্বামী আছে। তারা জানে এবং বোঝে। এখানে তার ফুসরতের সুযোগ আছে। অফিসে আছে?

আচ্ছা, প্রেগনেন্সি লিভ কয় মাসের? ৬ মাসের। শুরুর ৪ মাস? প্রেগনেন্সি নিয়েই তো অফিস করতে হয়। মেডিকেল রিসার্চ ঘেঁটে দেখবেন প্রেগনেন্সি নিয়ে অফিস করার স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কিছু নারী আছে, যারা সন্তানই নিতে চান না ক্যারিয়ারের চাপে। ফলে দেখা যায়, বয়স বেড়ে গেলে সন্তান নিতেও জটিলতা তৈরি হয়। কেউবা অক্ষম হয়ে পড়ে। হাইলি ফিজিকাল বিভিন্ন পেশা, যেমন - সেনা_বাহিনী, খেলা_ধুলো ইত্যাদিতে প্রফেশনাল নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় অনেক বেশি!

এরপর আসে, সন্তানের ঠিকঠাক বেড়ে ওঠার ব্যাপারটি। ক্যারিয়ারিস্টিক নারীরা ছোটো বাচ্চাকে বুয়ার কাছে রেখে চাকরিতে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়। এতে কী হয়? না সন্তান মায়ের যত্ন-আত্তি পায়, না পায় মায়ের শিক্ষা। সে পায় বু-য়ার শিক্ষা আর তার অবহেলা। প্রায়ই দেখা যায় ছোটো বাচ্চাদেরকে বুয়ার নির্যা_তন করার নিউজ। এই ক্ষতিটা কি ছোটো কোনো ক্ষতি?

একটা নারী_বাদী টোন আছে, "নারীর কাজ কি শুধু বাচ্চা উৎপাদন আর লালন-পালন করা নাকি?" আমি এখানে 'শুধু' শব্দটার বিরোধিতা করি। অবশ্যই নারীর কাজ শুধু বাচ্চা উৎপাদন, লালন-পালন করা না। নারী অনেক কাজই চাইলে করতে পারে। কিন্তু, এই কাজটা স্পেশালি নারীকে অর্পণ করা হয়েছে এবং স্বয়ং আল্লাহ-ই অর্পণ করেছেন। বাচ্চা জন্মদানের উপযোগী শরীর তাকে দিয়েছেন আর লালন-পালনের উপযোগী মন। এটা অস্বীকার করা মানে প্রকৃতিকে অস্বীকার করা।

আসলে চাকরি নিয়ে আমার কোনো সমস্যাই নেই। চাকরি করুক, কিন্তু এই ক'টি বিষয় নিশ্চিত করতে পারবে কি?

১. যথাযথ পর্দা।

২. মাহরামসহ সফর।

৩. খুব বেশি প্রয়োজন ব্যতীত নন-মাহরামের সাথে ইন্টারেকশন থেকে বেঁচে চলা।

৪. স্বামীর হক্ব আদায় করা।

৫. সন্তানের হক্ব আদায় করা।

একজন চাকরিজীবী নারীর জন্য এর যেকোনো একটিও পরিপূর্ণ করা আজকের সমাজের প্রেক্ষাপটে অন্তত সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি।

যথাযথ পর্দা আপনি কতোক্ষণ করবেন? কোথায় করবেন? কর্পোরেট জবগুলো ক্রমাগত ইসলা-মো_ফোবিক হচ্ছে। আপনি নিকাব করলে বলবে, "তাহলে আর চাকরি করার মূল্য কী?" এই বাক্যেরও একটা তাৎপর্য আছে, যদি বোঝেন। অনেক কর্মক্ষেত্র আছে, নিকাবই এলাউড না। পরীক্ষা দেবেন, নিকাব এলাউড না। প্রেজেন্টেশন দেবেন, নিকাব এলাউড না। তাহলে যথাযথ পর্দা ম্যান্টেইন হচ্ছে?

এরপর আসেন মাহরামসহ সফর। এই জায়গায় কী করবেন আপনি? আপনার স্বামীর চাকরি এক জায়গায়, আপনার অন্য জায়গায়। সে আপনাকে রোজ অফিসে পৌঁছে দিতে পারবে না। আপনাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে একাকী। এই হা_য়ে-নার দেশে আপনার সেফটি কী? আপনার চাকরি আপনাকে রাস্তায় সিকিউরিটি দিচ্ছে? বাসে আপনি মলা-স্টে_টেড হলে, রাস্তায় আপনি টিজড হলে, কার ক্ষতি? অবশ্যই চাকরি না করা এর সমাধান না বলতে পারেন, কিন্তু যতোদিন সমাধান না আসছে, ক্ষতি মেনে নেবেন?

নন-মাহরামদের সাথে ইন্টারেকশন ঠেকাতে পারবেন? আপনার অফিসের বস থেকে শুরু করে, সহকর্মী, পিয়ন, সবই তো নন-মাহরাম। তাদের সাথে আপনার কাজ করা লাগছে পাশাপাশি বসে। টিম করে প্রেজেন্টেশন দেয়া লাগছে। প্রয়োজনে-স্বল্প প্রয়োজনে কল-মেসেজিং করা লাগছে। ঠেকাতে পারছেন কই?

স্বামীর হক্ব আদায় করা কী সত্যিই সম্ভব? সারাদিনের অফিসের ক্লান্তির পর আপনার কি রেস্টের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আপনি বাসার স্ট্রেসের সাথে অফিস & জার্নির স্ট্রেসকে মেলাবেন না দয়া করে। দুটো যে কতটা ভিন্ন তা আপনি জানেন। আপনার ইচ্ছে হবে না মোটেও এতো স্ট্রেসের পর স্বামীর সাথে একটু ভালো করে কথা বলতে। অফিসে যদি প্যারা থাকে আর মেজাজ বিগড়ে থাকে, তাহলে তো আরো না।

আর সন্তান? সে তো বড়ো হচ্ছে বু-য়ার কাছেই...

এইসব আলোচনা আমাদেরকে তৃতীয় একটি পরিবারের প্রতিচ্ছবি দেখায়।

"আমার বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। দুজনে দিনভর অফিসে থাকেন। রাতে আসেন। এসে দুজনে যান্ত্রিক তরীকায় আমার খোঁজ নেন। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর একদফা ঝগড়া করেন। বাবা-মা দুজনে রাতেও পরবর্তী দিনের জন্য অফিসের কাজগুলো দেখেন। আমি সারাদিন একা ঘরে বসে থাকি। হাসিনা খালা দুপুরে খাইয়ে দেন। আমি টিভি দেখি আর বাবা-মায়ের অপেক্ষা করি। আমার খুব কান্না পায়। আমি কাঁদলে খালা আমাকে বকা দেন।"

দেখেন, আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি দুটো সিনারিও থেকে একটা কনক্লুশন সিনারিওতে গেছি। অনেক বেশি জেনারালাইজড হয়ে গেছে হয়তো। কিন্তু, রেজাল্ট এর কাছাকাছিই আসবে। আমি কোনো সমাধান দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি, যেই সমাধানটা ফে-মি_নিজম প্রস্তাব করেছে, সেটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এবং সেটা আদতে প্র‍্যাক্টিকালও না।

এই জা-হি_লি সমাজে সবচেয়ে বেশি করণীয় আছে পুরুষদের। আপনারা শপথ নেন যে, আপনারা পুরুষ হবেন। আল্লাহ আপনার স্ত্রীর ভরণপোষণ আপনার ওপর বাধ্যতামূলক করেছেন, সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। আপনি এইটা তার ওপর দয়া করছেন না, এটা তার অধিকার, এই মানসিকতা লালন করেন। আপনার স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব দেন। স্ত্রীকে যাচ্ছেতাইভাবে ট্রিট করবেন না। একটু গাই-রত-ওয়ালা পুরুষ হন, এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে আপনার স্ত্রী-কন্যাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়া লাগে যেটা ইসলাম এলাউ করে না। আপনার স্ত্রী-কন্যাকে ইসলামী শিক্ষা দিন, আল্লাহকে চেনান, রাসূলকে (স) চেনান। নারীকে নারী হিসেবে চেনান, তার ফিতরাতকে চেনান। তার যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করুন, নয়তো আপনি নিজেই তাদেরকে জাহি-লি-য়া_তের দিকে ঠেলে দিলেন, এটা মাথায় রাখুন।

বোনেদের প্রতি আহ্বান, সচেতন হোন। নারী হিসেবে নিজেকে চিনুন। নিজের নারীত্বকে ভালোবাসুন, সম্মান করুন। নিজের মর্যাদাকে চিনুন, নিজের মর্যাদা রক্ষা করুন। ফেমি_নিস্ট-দের চক্করে পড়ে জীবনকে দুর্বিষহ বানাবেন না। দুনিয়ায় আপনি কোনো কম্পিটিশনে আসেননি। পুরুষ আপনার কম্পিটিটর নয়, আপনার সহযোগী। প্রাকৃতিক অবস্থানকে অস্বীকার করে অসুস্থ পৃথিবী তৈরি করবেন না।

লিখেছেনঃ আসিফ মাহমুদ

30/05/2024
আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ। আপনাকে কি প্রতিদিন সেখানে ঢুকতে কারো 'সম্মতি'র অপেক্ষা করতে হয়? হয় না। তবে প্রতিষ্ঠান যদি ব...
29/05/2024

আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ। আপনাকে কি প্রতিদিন সেখানে ঢুকতে কারো 'সম্মতি'র অপেক্ষা করতে হয়? হয় না। তবে প্রতিষ্ঠান যদি বিশেষ কোন কারণে বন্ধ থাকে, তখন সেখানে ঢুকতে কারো 'সম্মতি'র দরকার হতে পারে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের স্টাফ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বিশেষ কোন ব্যতিক্রম ছাড়া প্রতিষ্ঠান আপনার প্রবেশের ব্যাপারে উন্মুক্ত 'সম্মতি' দিয়ে রেখেছে।
বৈবাহিক চুক্তির মাধ্যমে একজন নারী ও পুরুষ বিশেষ বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া একে অপরকে জৈবিক প্রয়োজন পূরণের উন্মুক্ত 'সম্মতি' দিয়েই রাখে। প্রতি ক্ষণে, প্রতি পলে পৃথক পৃথক 'সম্মতি'র প্রয়োজন হয় না।
তবে যারা বিবাহের ধার ধারে না, 'সম্মতি' হচ্ছে তাদের 'অসামাজিক' কু&র্মকে জাস্টিফাই করার 'লৌকিক' প্রয়াস।

~মুহাম্মাদ সাদাত

#কলাবিজ্ঞানী #সম্মতি

29/05/2024

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Sazzad Hossen Bappi, Khalid Bin Morad, Mohammad Rahat Islam, Khadiza Tul Kubra, Rumana Afreen, Kobayashi Chikahiro, Tuhin Ibn Nasir, Md Nazmul Islam Khan, Syed Md Subin, Hasib Ur Rahman, To N Ni, Shariful Islam, Muhammad Jahid, Md Shahadat, Mosfiqur Rahman, MD Fahim Abrar Khan, Mohammad Mahfuz, Sabbir Ahmed, জাহিদ তাশফীন, Md Ashraful Islam, ইসতিয়াক আহমেদ, Engr Mmr Mizan, Rahman Jemi

28/05/2024

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমামের ঘটনায় ওই নারী শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সেই নারী শিক্ষার্থী জানান, সেই রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মসজিদে গিয়ে নারীদের অংশে অবস্থান নেন। ওই নারী শিক্ষার্থী ইমামকে চিনেন না এবং মসজিদের ভেতরে তার সঙ্গে ইমামের দেখা ও কোন কথাও হয়নি। কেউ লাইট বন্ধ করেনি। এগুলো সব বানানো কথা।

ঘটনার দিন ১৫ মে রাতে এশার নামাজ শেষে মসজিদের উপরের অংশে থাকা বাসায় চলে যান ইমাম। পরে রাতের দিকে খাদেম ইমামকে জানান, নারীদের নামাজের স্থানে এক ছাত্রী ঘুমিয়ে আছেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলে ছাত্রী জানান, তিনি হলে থাকেন। ইমাম বিষয়টি শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। প্রক্টর বিষয়টি ছাত্রী হলে জানাতে বলেন। একই সঙ্গে সেখানে একজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠান। পরে ছাত্রী হলের প্রভোস্টকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ছাত্রীকে হলে চলে আসার নির্দেশনা দেন। ছাত্রী হলে চলে যান।

আর প্রক্টর স্যার এই দুইদিন কি কি বললেন?

১. প্রক্টরের বক্তব্য: প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার খবর পাই।সঙ্গে সঙ্গে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই।

আসল ঘটনা: মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ৬ মে নয় বরং ঘটনা হয় ১৫ মে তারিখ রাতে। প্রক্টর নিজে খবর পান নি বরং ইমাম উনাকে ফোন দিয়ে তাকে এই ঘটনা জানান। উনি এমনভাবে বললেন মনে হচ্ছে উনার গোয়েন্দা দিয়ে খবর পেলেন!! এবং সিস্টেমে ইমাম যে উনাকে খবর দেন বিষয়টি চেপে গিয়েছেন। যাতে অটো সবার মাঝে একটা মেসেজ যায় "ইমামকে হাতেনাতে ধরলো বোধহয়!!

২. প্রক্টরের বক্তব্য: "এ সময় মসজিদের প্রধান ইমামকে ফোন দিলে তিনি ওই নারী শিক্ষার্থীকে কথা শিখিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলায়। আমি তা ফোনের অপরপাশ থেকে শুনতে পাই।"

আসল ঘটনা: প্রক্টর ফোন দেন নি বরং উনাকেই ইমাম ফোন করে বিষয়টি। আর মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী ইমামের সঙ্গে মেয়ের দেখা ই হয়নি। তাহলে প্রক্টর সাহেব কোন নারীর কথা শুনলেন উপরওয়ালাই ভালো জানেন। প্রক্টর অভিযোগ করলেন ইমাম নারী শিক্ষার্থীকে কথা শিখিয়ে দিয়েছেন অথচ ওই শিক্ষার্থী ইমামের সঙ্গে দেখা ই হয়নি বলে দাবি করেছেন।

৩. প্রক্টর এর বক্তব্য: "এখানে ইমামের দায়িত্বে অবহেলা ছিল, তাই তাঁকে নামাজ পড়ানো থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছেন।

এদিকে ইতিমধ্যেই ইমাম ক্যাম্পাস ছাড়তে বলায় বাড়ীতে চলে গিয়েছেন আর এইদিকে প্রক্টর বলে বেড়াচ্ছেন যে ইমাম তার সঙ্গে দেখা করেননি। ক্যাম্পাস আর বাসা ছেড়ে যেতে বললে ইমাম সাহেবকি রাস্তায় শুয়ে থেকে প্রক্টর অফিসে গিয়ে দেখা করে আসবেন?

এবার আপনারা বলেন এত জল ঘোলাটে করার পেছনের কারণ কি হতে পারে? ঘটনার দৃশ্যপটে ইমান না থেকেও সকল অভিযোগ তার দিয়ে ঠেলে দেয়ার পিছনের কারণ শিক্ষার্থী বুঝে গেছে। আর এই ঘটনায় অব্যাহতি দিলে আসলে কাকে দেয়া উচিত বলে আপনারা মনে করেন?

— জবিয়ানস

28/05/2024

সেরা এনগেজার হওয়ার জন্য এবং আমার সাপ্তাহিক এনগেজমেন্ট লিস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ! Hm Mosharrof Hossain, Jashika Nasrin Kona, Fableeha Tasneem

কেফিয়াহ পরা একটা ছেলেকে দেখলাম মেট্রো স্টেশনে থামাইয়া ব্যাগ চেক করা হয়েছে। আমি পার্সোনালি কেফিয়াহ পরা শুরু করেছি গত ...
27/05/2024

কেফিয়াহ পরা একটা ছেলেকে দেখলাম মেট্রো স্টেশনে থামাইয়া ব্যাগ চেক করা হয়েছে।
আমি পার্সোনালি কেফিয়াহ পরা শুরু করেছি গত মাস থেকে। তো এইটা পরার পর বেশিরভাগ লোকজনের রিঅ্যাকশন ছিলো, কী পরছিস এইটা? দেখে মনে হচ্ছে কোন *** সংগঠনে যোগ দিছিস।

যেই মুহূর্তে নাসা*রাদের দেশ আমেরিকার লাখ লাখ স্টুডেন্ট কেফিয়াহ গলায় দিয়ে নেমে পড়েছে, ঐ মুহূর্তে বাংলাদেশের ভার্সিটির বহু স্টুডেন্ট বলতেছে, এইটা কেন পরেছিস?
পার্থক্য তো ভাই খালি ক্রিকেটে করলে হবে না। আমাদের ক্রিকেট দল ওদের কাছে হাইরা গেছে, তাই আমরা সমালোচনা করতেছি।

বাট এই মুহূর্তে আমেরিকার স্টুডেন্টরাও যেই অসাধারণ সাহস নিয়ে, ঝুঁকি নিয়ে কেফিয়াহ পরে আন্দোলন করতেছে, বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের সেই সাহস, মোরাল বা ইচ্ছা কোনটাই আছে?

-সাদিক খান

নারীবাদী হিসেবে যারা নিজেদেরকে দাবী ওদের দিকে তাকালে দেখবেন ওদের মধ্যে স্বাভাবিক মেয়ের যেই কিউটনেস থাকে ঐটা নাই, তারপর আ...
26/05/2024

নারীবাদী হিসেবে যারা নিজেদেরকে দাবী ওদের দিকে তাকালে দেখবেন ওদের মধ্যে স্বাভাবিক মেয়ের যেই কিউটনেস থাকে ঐটা নাই, তারপর আচার-আচরণে নম্রতা ভদ্রতাও নাই। তখন ওরা পুরুষ আকৃষ্ট করতে নিজেদের ওপেন মাইন্ডেড, ফ্রী ক্যালচারে বিশ্বাসী হেন তেন দাবী করে। যার কারণে ছেলেরা ওদের ফুটপাতের চটপটি ছাড়া অন্য কিছু ভাবে না। এই পোস্ট দাতা সাদিক খানের হলো এই দশা, পুরুষের যেই পুরুষত্ব থাকে ঐটা ওর মধ্যে নাই, যার কারণে মেয়ে পটাইতে লুতুপুতু লেখা লিখে মেয়েদের খুশি করতে চায়। যেমন ধরেন, তার লেখায় মেয়েরা হার্ড হবে এমন কিছু পাবেন না। লেখা দেখলে বুঝবেন বিরাট চরিত্রবান, কিন্তু লেখা বেইচা পটাইতে চায় পরীমনিকে।

যেহেতু তার পুরুষ হওয়ার যোগ্যতা নাই তাই সে, ব্রাকের উৎস স্যারকে নিয়াও কটুক্তি করতে ছাড়ে নাই। সারোয়ার স্যার আমাদের বাবার বয়সী উনার এইখানে সেইখানে কমেন্ট নিয়া কথা হতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এলজিবিটি নিয়া উৎস আর সারোয়ার থেকে বেশি ইফেক্টিভ কাজ কেউ করে নাই। এলজিবিটি নিয়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যেই প্রতিরোধ টা আসছে তার কৃতিত্ব বহুলাংশেই এই দুইজনের। এমন সাদিক খানের চৌদ্দপুরুষকে চৌদ্দবার জন্মাইতে দিলেও একটা ব্রাকের উৎস স্যারের মতো সাহসী কেউ জন্মাবে না। পুরুষ জন্মাইতে ব্লাড লাগে। পুরুষের রাগ থাকবে, হুংকার থাকবে এটাই পুরুষত্বের ন্যাচার। এই ব্লাড সাদিকের চৌদ্দপুরুষের কারো মধ্যে পাইবেন না। কারণ কাপুরুষদের ব্লাডে কাপুরুষই জন্মায় পুরুষ জন্মায় না। বিচি থাকলেই ম্যান হওয়া যায় না। ম্যান ইজ ডিফল্ট থিংক্স।

লেখাঃ Tasriful Haque

১৪ কোটি টাকার প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় ৮ কোটি!  মাছ ও ফসলের অন্যতম ভান্ডার দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল। উত্তরের জনপদের এক সের...
26/05/2024

১৪ কোটি টাকার প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় ৮ কোটি!

মাছ ও ফসলের অন্যতম ভান্ডার দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল। উত্তরের জনপদের এক সেরা প্রাকৃতিক সম্পদ এটি। রাজশাহী, নটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলনবিলের বিস্তৃতি। দেশের সবচেয়ে বড় এই বিল একসময় বছরের নয় মাস থাকতো পানিতে ডুবে। তবে পলি জমে এখন আর আগের মতো নেই চলনবিল।

এ অবস্থায় চলনবিলের ভূমি ও পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে নেওয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চালানো হবে সমীক্ষা। প্রস্তাবিত সমীক্ষা প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এতে মোট ২৭ জন পরামর্শকের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

একটি জাতীয় দৈনিকের কিছু প্রতিবেদন। ভালো মন্দ যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব আপনার।
24/05/2024

একটি জাতীয় দৈনিকের কিছু প্রতিবেদন। ভালো মন্দ যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব আপনার।

দেশে বহু বছর ধরে খ্রিষ্টান মিশনারীরা নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলের বহু মুসলিমকে তারা অর্থে...
24/05/2024

দেশে বহু বছর ধরে খ্রিষ্টান মিশনারীরা নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলের বহু মুসলিমকে তারা অর্থের লোভ দেখিয়ে খ্রিষ্টান বানাচ্ছে। কিন্তু, তাদেরকে কখনোই বাঁধা দেওয়া হয়নি। উল্টো, যেসব দায়ী ধর্মান্তরিতদের ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেছে, তাদেরকে হয়রানি করার ঘটনা নিয়মিত ঘটেছে।

উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামেও তারা যথেষ্ট সক্রিয়। আমরা মুসলিমরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও খ্রিষ্টান মিশনারীরা বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় তাদের কাজ বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।

এতদিন কোন সরকারেরই এসবে কোন সমস্যা ছিল না। বরং এসব নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলেই বরং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতো।

আজ এত বছর পর এসে কেন এটা নিয়ে প্রকাশ্যে জনগণের সিম্প্যাথি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে---বিষয়টা ভাবা দরকার। আর সেই সঙ্গে এটাও ভাবা দরকার, আট রাকআট বিশ রাকআট আর রফে ইয়াদাইন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে কোন জায়গায় আমাদের সময় দেয়া দরকার ছিল। নতুন প্রজন্মের সদস্যদের চিন্তার আহ্বান রইলো।

লেখাঃ সা‌জিদ হাসান

ক্লাস সিক্সের এক মেয়ের অভিভাবক সেদিন বললো: “আমার মেয়ের বইগুলো উল্টেপাল্টে দেখলাম। একটা বইয়ে এমন এমন জিনিস লিখেছে যেটা মা...
24/05/2024

ক্লাস সিক্সের এক মেয়ের অভিভাবক সেদিন বললো:

“আমার মেয়ের বইগুলো উল্টেপাল্টে দেখলাম। একটা বইয়ে এমন এমন জিনিস লিখেছে যেটা মায়েরাও মেয়েদেরকে সরাসরি বলতে ইতস্ততবোধ করবে। এসব জিনিস এভাবে লিখে শেখাতে হয়?”

আমি শুধু ভাবছিলাম এই লেখাগুলো শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক আলোচনা করবেন। সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে-মেয়ে পাশাপাশি বসে এই আলোচনাগুলো শুনবে। মেয়েদের হায়া চলে যাবে, ছেলেদের জড়তা কেটে যাবে। লজ্জাহীন এই জাতি হবে অশ্লীলতার ধারক। কনজার্ভেটিভ ফ্যামিলিগুলোর মধ্যে এভাবেই ঢুকে যাবে বিভিন্ন বিকৃতি।

অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায় সবচেয়ে বেশি অন্ধবিশ্বাস করে, অফগার্ড থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচার হয় বিভিন্ন পশ্চিমা এজেন্ডা। সহশিক্ষা এই শিক্ষাব্যবস্থার একটা সামান্য অংশমাত্র। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটাই এখন বিভিন্ন হারাম, কু-ফর নরমালাইজেশনের টুল।

ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার কর...
23/05/2024

ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক। বলেছেন:
‘আপনার দলের ময়েদের কালো হিজাব পরিহিত পোষাক বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে কি?’ [১]
কাহিনী হল পুরস্কার জেতা এই দলের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দলের পাঁচ নারী সদস্যের মধ্যে ৪ জনই মাথায় হিজাব/স্কার্ফ পরে আছেন।
এই ছবি দেখার পর রেটোরিকাল প্রশ্নের ছলে এই ব্যক্তি বলছেন, যেহেতু এরা মাথায় কাপড় দিয়েছে তাই এরা বাঙালি মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব করে না।
এই কমেন্ট যিনি করেছেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের একজন অধ্যাপক। বেশ ইন্ট্রেস্টিং ক্যারেকটার।
আজ থেকে ৮ বছর আগে, নিজের এক ছাত্রীকে বুলি করে এই ব্যক্তি আলোচনায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল -
হিজাব করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে মৌখিক অপমান, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা সত্ত্বেও অ্যাটেন্ডেন্স দিতে অস্বীকার করা, ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার মতো বিভিন্ন ধরণের বৈষম্য এবং ঘৃণামূলক আচরণ করে আসছিলেন তিনি।
একদিন বাধ্য সেই ছাত্রী ক্লাসে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন। তখনও তাকে নানাভাবে বুলি করা হয়। অন্য ছাত্রছাত্রীরা পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে, এবং সেটা ভাইরাল হয়ে যায়।
এভাবেই এই লোকের আলোচনায় আসা। [২]
অর্থাৎ ইসলাম, মুসলিম পরিচয় এবং হিজাব নিয়ে এই ব্যক্তির বিদ্বেষ পুরনো। ফেইসবুকে তার বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট থেকেও এটা স্পষ্ট বোঝা যায়। তার আচরণের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে।
রোবটিক্স দলের সদস্যদের নিয়ে তার সাম্প্রতিক কমেন্টও খতিয়ে দেখার মতো। তার বয়ান হল, যারা হিজাব পরে তারা বাঙালি না। অর্থাৎ যারা ইসলাম পালন করে তারা এই সমাজ ও এই দেশের মানুষ না। তারা ভিন্ন কিছু।
ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়কে অপরায়ন বা 'আদারিং' এর এই ন্যারেটিভের সাথে আরে. seসের বয়ানের মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। বিন্দু ত্বব। দী বয়ানের মূল কথাই হল মুসলিমরা ডারতে অনুপ্রবেশকারী। বহিরাগত আগ্রাসনকারী। এরা এখানকার সমাজ, সংস্কৃতি ও পরিচয়কে গ্রহণ করতে পারেনি। তাই এদের ‘সাইয করতে হবে’।
এই অধ্যাপক সেই বিন্দু ত্বব। দী বয়ানের একটি সংস্করণই তুলে ধরেছেন। ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের বিরুদ্ধে তার তীব্র ঘৃণা বিদ্বেষের পেছনে এই আদর্শের ভূমিকা থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আরেকটা ইন্ট্রেস্টিং ব্যাপার হল, এই ব্যক্তির টাইমলাইনে গিয়ে দেখা যাচ্ছে তিনি কয়েক ডজন পর. নো গ্রাফ. ইক পেইজ ফলো করছেন। এই পেইজগুলোর এতোই খারাপ অবস্থা যে এগুলোর স্ক্রিনশট শেয়ার করতেও স্বাভাবিক মানুষের সংকোচ হবে। [৩]
‘ভুলে লাইক পড়ে গেছে’, পেইজ আগে ভালো ছিল পরে ‘হ্যাকড হয়ে’ বা অন্য কোন ভাবে হঠাৎ এমন হয়ে গেছে – এরকম অজুহাত অল্প কিছু পেইজের ক্ষেত্রে হয়তো দেয়া যায়। কিন্তু ডজন ডজন পেইজের ক্ষেত্রে বলার সুযোগ থাকে না।
আমি পারফিউম নিয়ে দু’একটা পেইজ লাইক দিয়েছিলাম, এর পর থেকে ক্রমাগত আমার হোম পেইজে শুধু পারফিউম নিয়ে পোস্ট দেখি। এধরণের অভিজ্ঞতা আমাদের সবার আছে।
যে লোক কয়েক ডজন পর. নো গ্রাফ. ইক পেইজ ফলো করে তার নিউযফিডের চেহারা কেমন হবে? এমন লোক সোশ্যাল মিডিয়াকে প. র্ন দেখার জন্য ব্যবহার করছে বললে মনে হয় ভুল হবে না।
ক্রমাগত পর. নো গ্রাফি দেখতে থাকলে সেটা দর্শকের মস্তিষ্কে পরিবর্তন আনে। পরিবর্তন আসে তার চিন্তাচেতনায়ও। প. র্ন দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন স্বাভাবিক প্রেক্ষাপটকে যৌনায়িত করে উপস্থাপন করে। অজ। চ। র, পরকীয়া, শিক্ষক-ছাত্রী রিলেটেড বিভিন্ন ধরণের ফেটিশ প. র্ন ক্রমাগত তৈরি করতে থাকে। [৪]
এখন চিন্তা করে দেখুন। একজন মানুষ ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়াতে প. র্ন দেখছে। দেখতে দেখতে তার চিন্তাভাবনার বারোটা বেজে গেছে। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ঘটনাকে সেক্সুয়ালাইয করে সে ফ্যান্টাসিতে ভুগছে। এই একই লোক যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুনী ছাত্রীদের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লাস নিচ্ছে। তাদের পোশাকআশাক নিয়ে ব্যাপক মাথা ঘামাচ্ছে।
ক্লাসে তরুণী মেয়েদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় এধরনের একজন প. র্ন অ্যাডিক্ট মানুষের মাথার ভেতরে কী চলে?
হিজাব নিয়ে বিদ্বেষের পেছনেও এই ধরণের বিকৃতির একটা ভূমিকা থাকা অস্বাভাবিক না। এ ব্যাপারে কুরআন থেকে আমরা বেশ কিছু ইনসাইট পাই। লূত আলাইহিস সালাম যখন তাঁর কওমের বিকৃতির বিরোধিতা করেছিলেন, তখন তারা উপহাস আর ঘৃণা ভরে বলেছিল, এদেরকে বের করে দাও, এরা তো ‘অতি পবিত্র’ হতে চায়। [৫]
এই আয়াত থেকে বিকৃতির নেশায় আসক্ত মানুষের চিরন্তন এক মনস্তত্ত্ব আমাদের চোখে ধরা পড়ে। যারা সীমালঙ্ঘন করে, নিজেদের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা তারা মেনে নিতে পারে না। অন্যদেরকেও তারা নিজেদের মতো বানাতে চায়। কারণ এটাই তাদের বিকৃতিকে স্বাভাবিক বানানোর উপায়।
বর্তমান বিশ্বে চলা বিকৃতির আন্দোলনের প্রধান তাত্ত্বিকদের প্রায় সবাই ব্যক্তিগত জীবনে নানা ধরণের জঘন্য কর্মকাণ্ডে আসক্ত ছিল। অবক্ষয়কাল- বইতে এ নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। [৬]
কাজেই যে লোক প. র্ন অ্যাডিক্ট, যে নানা রকম ফেটিশ আর ফ্যাটাসিতে ভোগে, সে তো আসলে হিজাবকে মানতে পারবে না। নিজের নফসের পূজা করা লোক তাই অবধারিতভাবেবেই হিজাবের বিরোধিতা করবে।
ক্লাসের মেয়েরা শরীর ঢেকে আসলে সেটা তার ভয়ারিসম বা 'চোখের সুখের' জন্য সমস্যা। অন্যদিকে আদর্শিকভাবে হিজাবকে তার পক্ষে মানা সম্ভব না। কারণ হিজাব হল আল্লাহর আনুগত্য আর আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করার প্রতীক।
একজন ব্যক্তিকে নিয়ে এতো কথা বলার দরকার ছিল না। তবে আমার মতে এই পুরো ব্যাপারটা আমাদের সমাজের একটা স্ন্যাপশট হিসেবে দেখা যায়। আমাদের সমাজের সেক্যুলার গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এই লোকের মতোই চিন্তা করে, এবং তার মতোই বিভিন্ন রোগ ও আসক্তিতে ভোগে। তারা ঐ জায়গা থেকে ইসলামের বিরোধিতা করে যে জায়গা থেকে মহান আল্লাহর প্রেরিত নবীর বিরোধিতা করেছিল কওমে লূত।
নিজেদের এরা প্রগতিশীল বলে পরিচয় দেয়, তবে এদের আসল পরিচয় হল এরা নফস পূজারী। নিজেদের খেয়ালখুশিকে তারা ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর তাই বিশ্বাসীদের দেখলে তারা ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে।

লেখাঃ Asif Adnan
https://chintaporadh.com

প্রখ্যাত সাহাবী মুগীরা ইবনে শুবা ছিলেন, ইরাকের গভর্নর। এখানকার লোকেরা তার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করত- কিন্তু তিনি কখন...
23/05/2024

প্রখ্যাত সাহাবী মুগীরা ইবনে শুবা ছিলেন, ইরাকের গভর্নর। এখানকার লোকেরা তার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করত- কিন্তু তিনি কখনোই নিজের অসম্মানের জন্য বদলা নিতেন না।
একবার কোনও এক কর্মকর্তা তাঁকে বললেন, আপনি এদের সাহস বড়ো বাড়িয়ে দিচ্ছেন। মুগীরা রা. বললেন, আমি সবরের উপর রয়েছি।
কিন্তু এরা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করে ফেলছে। কারণ আমার পর যেই গভর্নর হয়ে আসুক, সে তাদের প্রতি রূঢ় হবে। পরে দেখা গেল, যিয়াদ এল গভর্নর হয়ে।
ইসলামী ভূ-শাসনের ইতিহাসে অন্যতম কঠোর ব্যক্তিত্ব। দেখা গেল সেইসব বিদ্রোহীদের সকলেই তার সময়ে নিহত হল। শুধু এতটুকুই নয়, যিয়াদ নিজের কঠোর চরিত্রের ফলে জুলুমও করতে শুরু করল।
সে খলিফার কাছে চিঠি লিখে জানাল, আমি এতদিন আমার বাঁ হাতের দ্বারা ইরাককে সোজা করেছি, এবার আমার ডানহাতকে হিজাজের দিকে প্রসারিত করতে চাই। অনুমতিও পেল।
লোকেরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমারের কাছে গিয়ে তাঁর জুলুমের ব্যাপারে বলল, আব্দল্লাহ ইবনে উমার রা. পশ্চিম দিকে ফিরলেন, রবের কাছে বদদোয়া করলেন।
বললেন, ‘লোকেদের এর জুলুম থেকে হিফাযত করো’। দোয়া কবুল হল। যিয়াদের ডানহাতে একটা ফোঁড়া হল। সেই ফোঁড়া থেকে পচন ধরল। যিয়াদ মারা গেলেন। *
লোকেরা যে ব্যবহার মুগীরা ইবনে শুবা রা. এর সাথে করেছিল- সেটার পরিণতিতে তাঁদের জন্য শাস্তি হিসেবে আল্লাহ্‌ যিয়াদকে চাপিয়ে দিলেন। আবার যিয়াদ যখন জুলুম করতে শুরু করল।
তখন মাজলুমের বদদোয়ায় যিয়াদও ভয়াবহ পরিণতির শিকার হলেন। দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই ধ্বংস হল। এই দোয়া কবুল হবার আগ পর্যন্ত তাঁকে অবকাশ দিয়েছিলেন।
সে শিক্ষা নেয় নি, তওবার পথে ফিরে আসে নি। ইরাকবাসীদের ব্যাপারেও একই কথা। আবার কুফাবাসীরা আলী রা. এর সাথে যে প্রতারণা করেছিল, তেমনিভাবে হুসাইন রা. এর সাথেও।
আলী রা. তাঁদের বিশৃঙ্খলায় ক্ষুব্ধ হয়ে বদদোয়া করেছিলেন, ‘আল্লাহ্‌ আপনি কুফাবাসীর উপর বনু সাক্বাফের কোনও গোলামকে চাপিয়ে দিন’।
সেই বদদোয়ার ফল ছিল হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আস-সাক্বাফির কুফার গভর্নর হয়ে যাওয়া। হাজ্জাজের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বেই কুফাবাসীর জন্য অবকাশ ছিল তওবা করার, তা না করায় তাঁদের উপর জালিম শাসক চেপে বসে।
এরপর হাজ্জাজ নিজেই যখন জুলুমের চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছায়, এর পূর্ব পর্যন্ত তারও অবকাশ ছিল। কিন্তু তিনিও তওবার পথে আসেন নি। একদিন প্রখ্যাত তাবেয়ী সাইদ বিন যুবাইরকে হত্যা করে অন্যায়ভাবে।
এ খবর হাসান বসরির কাছে পৌঁছালে তিনি বদদোয়া করে বলেন, ‘আল্লাহ্‌ তুমি হাজ্জাজকে ধংস করো’। এরপর হাজ্জাজের পেট সংক্রমিত হয়। পেটের ভেতর কিড়ে জন্ম নেয়। দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর তিন দিনের মধ্যেই মারা যান’। **
এই ঘটনাগুলো এই জন্যে বললাম যে, এটা আল্লাহ্‌র একটা সুনান অর্থাৎ রীতি, যখন লোকেরা পাপে নিমজ্জিত হয়, তখন আল্লাহ্‌ শাস্তি হিসেবে জালিম শাসক চাপিয়ে দেন।
আর যখন শাসক জুলুমের মাত্রা অতিক্রম করে তখন রবের শাস্তি, মাজলুমের হাহাকার তার ধ্বংস ডেকে আনে। আল্লাহ্‌ পাপীদের ব্যাপারে সাময়িক অবকাশের কথা কোরআনে জানিয়েছেন, সূরা ইব্রাহিমে।
আবার পরিণতির কথা বলে সাবধান করে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ শিক্ষা নেয় না। আমরা যখন জুলুমের শিকার হই, তখন এই চিন্তা আমরা করি না যে, আমাদেরই পাপের ফসল এসব।
নিজেরা পাপ থেকে ফিরে রবের দিকে প্রত্যাবর্তন না করলে এর থেকে মুক্তি মিলবে না। আবার জালিমও এটা ভুলে যায়, মাজলুমের হাহাকার আল্লাহ্‌ ফিরিয়ে দেয় না। পতন অবশ্যম্ভাবী।
সুতরাং দুনিয়াব্যাপী যত স্তরে মুসলমান আজ জুলুমের শিকার, তাঁদের জন্য কল্যাণের পথ একটাই, রবের কাছে নিজেদের পাপের ব্যাপারে তওবা করা আর চেষ্টা করা এবং রবের সাহায্য প্রার্থনা করা।
বাকি কাজ তো আল্লাহই আঞ্জাম দিবেন। আফসোসের ব্যাপার, আমরা জুলুম থেকে মুক্তি চাই, অথচ যে কারণে জালিম আমাদের উপর চেপে বসেছে সেই গুনাহের দিকে আরও অধিক ধাবিত হই!
পরিপূর্ণ ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন ব্যাতীত আমাদের আর কোনও মুক্তির পথ নাই। পথ একটাই আর তা হচ্ছে, তাকওয়ার, তওবার। মুসলমানের বিজয় এই পথ ছাড়া অসম্ভব।
সূত্রঃ
*আল কামিল ফিত-তারিখ
*আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া।
-----আরজু আহমাদ।

বাবা-মা নাম রাখছে আজিজুর রহমান। কিন্তু কাজকারবার দেখেন। ঢাবির এক শিক্ষিকা তার শিক্ষার্থীদের একটি কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে অভি...
23/05/2024

বাবা-মা নাম রাখছে আজিজুর রহমান। কিন্তু কাজকারবার দেখেন। ঢাবির এক শিক্ষিকা তার শিক্ষার্থীদের একটি কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছে আর সেখানে এসে এই আজিজ কি কুৎ'সি'ত একটা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করলো। ই‌নি আবার ঢাবির প্রফেসর।

আমার আম্মু হাসপাতালে ভর্তি। এখানে আমিও আছি প্রায় ৪ দিনের মতো৷ এখানকার পরিবেশ দেখে যা বুঝলাম ' কামাই থাকলে জামাই লাগে না'...
21/05/2024

আমার আম্মু হাসপাতালে ভর্তি। এখানে আমিও আছি প্রায় ৪ দিনের মতো৷ এখানকার পরিবেশ দেখে যা বুঝলাম
' কামাই থাকলে জামাই লাগে না' টাইপ কথার কোনো মূল্য নাই৷
যেই ওয়ার্ডে আছি সেখানে সব মহিলা আর সেই মহিলাকে সুস্থ করানোর জন্য, তাকে ভালো দেখার জন্য তাদের স্বামী বা ছেলে বা অন্য কোনো পুরুষ দৌঁড়াদৌড়ি করছে৷ একবার ১৫ তলা থেকে নিচে নামছে তো আবার উঠছে। উঠার পর আরেকটা দরকারে আবার পাঠানো।
২৫/২৬ বছরের মেয়েদের দেখলাম তার বাবা অথবা মায়ের জন্য দৌঁড়াচ্ছে, খাটছে কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে৷ পুরুষেরা যেখানে লিফট না পেয়ে হেঁটে যাচ্ছে সেখানে নারীরাও চেষ্টা করছে কিন্তু খুব বেশি পারছে না।
মোদ্দা কথা হচ্ছে নারীবাদী দের বয়ান বাস্তব জীবনে প্রায় ৯৯% মেয়েদের জন্য এপ্লকেবল না৷ কারণ শরীরের স্রষ্টা, বায়োলজির স্রষ্টা দেহকে ওইরকম করেই বানিয়েছেন। পুরুষদের পেটানো দেহ, পরিশ্রম উপযুক্ত শরীর কিন্তু মেয়েদের সেরকম না৷ তারা অল্প কাজে হাপিয়ে উঠে, বেশি ভারী ও পরিশ্রমের কাজ করতে হিমশিম খায়৷
সাইকোলজিস্ট সাদিয়া খান একবার বলেছিল, "দুনিয়াতে মোস্ট প্রিভিলেজড মানবগুষ্টি হচ্ছে ওয়াইট ওমেনরা। তাদের ক্ষেত্রে পরিবার ও সামাজিক বন্ধনমুক্ত হওয়ার ফলে তেমন অসুবিধার সৃষ্টি হয় না। তাদের গভমেন্ট সাপোর্ট ও এনভায়রনমেন্টাল কারনেই প্রোভাইডার ও প্রটেক্টর প্রয়োজন হয় না তেমনটা।

কিন্তু তারা তাদের বিষাক্ত সব আইডোলজি দিয়ে আন্ডারপ্রিভিলেজড মেয়েদের ভিতর পরিবার ও সমাজের বিরুদ্ধ বিদ্রোহ ঢুকিয়ে দিচ্ছে, আদতে তারা মেয়েদের ক্ষতিই করছে।তাদেরকে অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে "ইন্ডিপেন্ডেন্ট" ও "ডোন্ট নিড ম্যান" বানানোর নামে।"
নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক, স্বামী স্ত্রী একে অপরের সহায়ক। কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী না; কিন্তু আধুনিক সমাজ, পশ্চিমা সভ্যতা নারীদের মননে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, " টাকা থাকলে বেডা লাগে না " পুরুষ তোমার প্রতিপক্ষ, তাকে মোটেও বিশ্বাস করবে না"৷
যার ফলস্বরূপ নারী ও পুরুষের মধ্যে এক অদ্ভুত দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী স্বামী কে সেবা করছে না মন থেকে, স্বামী ও স্ত্রী কে দেখভাল করছে না ভালোভাবে, এতে সংসার ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, তালাকের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে৷
" সমান অধিকার", " ইকুয়ালিটি" টাইপ বয়ান যদি হাসপাতালে দেয়া হতো তাহলে এখানে কোনো রোগী টিকতে পারতো না৷
মানুষ মাত্রই অপরের উপর নির্ভরশীল৷ জন্মের সময়েও যেমন অসহায়, মউতের সময়েও অসহায়। মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য চলাফেরা, কথা বলা, বুদ্ধি দেয়ার কারণে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভেবে বসি, অহংকার করে বসি যে আমি একাই একশ, টাকা থাকলে বেডা লাগে না, আমার শরীর আমার ইচ্ছা টাইপ মুখরোচক বুলি কপচিয়ে বেড়াই কিন্তু বেমালুম ভুলেই যাই যে সামান্য জ্বর হলেই আমার ইচ্ছামত কিছু হয় না৷
তাই মনে রাখা উচিত 'নারী-পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, পরিপূরক একে অপরের'।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ideas অনির্বান বাংলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

Nearby event planning services